সামরিক
সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতাই ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের ভিত্তি: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, সামরিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতাই বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কের ভিত্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যহারে অগ্রগতি অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, আধিপত্য বিস্তার, সম্প্রসারণ বা প্রভাব বিস্তার করা চীনের নীতিতে নেই।
রাষ্ট্রদূত বক্তব্যে বলেন, ‘দুই দেশের নেতারা যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তা সক্রিয়ভাবে বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক চীন।’
বুধবার বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের আমন্ত্রণে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও
লেকচারে এনডিসির কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেনসহ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৭০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা এবং বিদেশি সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভকে অগ্রাধিকার দেয় এবং একটি নিরাপত্তা ধারণা প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন করে। যা একটি সাধারণ, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক ও টেকসই পদ্ধতির উপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এজেন্ডাগুলোর অগ্রগতির আশা করছে রাশিয়া ও চীন
সামরিক পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, চীন একটি জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি অনুসরণ করে যা প্রকৃতিগতভাবে প্রতিরক্ষামূলক।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন নিজের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার সময় পারস্পরিক ভবিষ্যতের আলোকে একটি বৈশ্বিক সম্প্রদায় গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ দুই সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন স্তরে বিনিময় আরও জোরদার করতে ইচ্ছুক। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা শিল্প ও সহযোগিতা আরও গভীর করা, বাণিজ্য, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি, নৌবাহিনীর জাহাজের পারস্পরিক পরিদর্শন এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহযোগিতা করতেও ইচ্ছুক চীন।
বক্তব্যের শেষে রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীন-মার্কিন সম্পর্ক, চীন-ভারত সম্পর্ক, ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল’, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উদ্যোগের আওতায় চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার বিষয়ে খোলামেলা বন্ধুত্বপূর্ণ মতবিনিময় করেন। তাইওয়ান প্রশ্ন এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়েও কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের উচিত নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র অন্বেষণে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করা: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
১ বছর আগে
ইন্দো-প্যাসিফিক: বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাড়াতে চায় ফ্রান্স
সফররত ফরাসি কর্মকর্তা বলেছেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইন্দো-প্যাসিফিকের দেশগুলোর সঙ্গে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক ঘনিষ্ঠ’ সহযোগিতা থাকবে।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়ান অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর (সাধারণ রাজনৈতিক অধিদপ্তর) বার্ট্রান্ড লরথোলারি সাংবাদিকদের বলেন, এটি আমাদের একসঙ্গে কাজ করা সাধারণ কাজগুলো বোর্ডে পর্যালোচনা করে নতুন প্রকল্প এবং উদ্যোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ দেয়।’
আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এবং সকলের জন্য বিনিময় করে নেয়া সমৃদ্ধিসহ ‘মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য ফ্রান্স এবং বাংলাদেশ একই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
এক প্রশ্নের জবাবে লরথোলারি বলেন, দুই দেশ অনেক কিছু করতে পারে এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা সেই প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার অংশ।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা নিরাপত্তার কথা বলি, তখন আমরা সামুদ্রিক পরিবহনের নিরাপত্তা, সমুদ্রে পণ্য পরিবহন এবং একসঙ্গে অবৈধ মাছ ধরার বিষয়েও কথা বলি। আমরা শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়েও কথা বলছি যেখানে বাংলাদেশের একটি লক্ষ্যণীয় অবস্থান রয়েছে।’
এর আগে, ফরাসি কর্মকর্তা বাংলাদেশের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ এবং ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, জনগণের সঙ্গে জনগণের আদান-প্রদান, সংযোগ, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যাসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপয়, ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল এবং ডেপুটি ডিরেক্টর, ফরাসি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এফডিএ) সেসিলিয়া কর্টেস।
২০২১ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় সফরের কথা উল্লেখ করে ফরাসি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা একটি সমৃদ্ধ সম্পর্ক উপভোগ করছি। আমাদের একটি খুব মজবুত ভিত্তি রয়েছে।’
হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের সময় দুই দেশ তাদের অংশীদারিত্বের প্রতিরক্ষা এবং সুরক্ষা উপাদানকে আরও সমৃদ্ধ করতে তাদের ইচ্ছার কথা জানায়।
সেই লক্ষ্যে উভয় দেশ সংলাপ জোরদার করতে এবং তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে, বিশেষ করে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে, যা সফরের সময় শুরু হয়েছিল।
দুই দেশ আগামী বছর প্যারিসে দ্বিতীয় আলোচনায় বসবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুত সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে জার্মানি
১ বছর আগে
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ কমাতে পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
জনগণের ওপর দমন-নিপীড়ন বন্ধ করতে মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে অর্থ সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহের সুযোগ কমাতে আরও পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের (তাতমাদাও) অর্থনৈতিক যোগানের বিষয়ে দেশটির স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের (এফএফএম) করা সুপারিশের ভিত্তিতে মানবাধিকার কাউন্সিল এ অনুরোধ করেছে।
প্রতিবেদনটিতে তাতমাদাও ও এর অর্থনৈতিক যোগানের পাশাপাশি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার ওপরও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য এফএফএমের সুপারিশগুলো পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তুলে ধরতে হবে যে এই ধরনের পদক্ষেপগুলো অবশ্যই মানবাধিকারকে সম্মান করবে এবং প্রত্যাশিত আর্থ-সামাজিক প্রভাবগুলো প্রশমিত করার জন্য চেষ্টা চালাবে।
এতে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে এবং সামরিক সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে।
আরও পড়ুন:জোরপূর্বক গুম: জাতিসংঘ ২১ দেশের ৬৯৬ মামলা পর্যালোচনা করবে
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ আছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ দখল করার পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিষদকে অর্থবহ করতে এবং টেকসই উপায়ে শাসন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বরং মিয়ানমারের জনগণের ওপর দমন ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
তাতমাদাওকে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার জন্য এফএফএমের সুপারিশগুলোতে কিছু অগ্রগতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বিশেষ করে জান্তাবাহিনীর বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহের ওপর গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এটি মিয়ানমারের জনগণকে সমর্থন করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং সমন্বিতভাবে সামরিক সরকারের আর্থিক বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক সরকার স্পষ্টত জনগণের কল্যাণ ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টির চেয়ে তাদের সামরিক অভিযানকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
আগের বার্ষিক বাজেটের তুলনায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক কল্যাণে বরাদ্দ কমিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছে সেনা সরকার।
অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে দারিদ্র্য কমপক্ষে দুইগুণ বেড়েছে এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। স্কুলগামী শিশুদের অর্ধেকের বেশি দুই বছর ধরে শিক্ষার কোনো সুযোগ পায়নি।
এরপরও কিছু দেশ ও কোম্পানি বেশ কয়েকটি সেক্টরে সামরিক মালিকানাধীন উদ্যোগের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে সক্রিয় বা দেশ থেকে পরিচালিত সমস্ত ব্যবসাকে চালু ও স্বচ্ছ রাখতে উচ্চতর মানবাধিকারের যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন। সেইসঙ্গে সামরিক বাহিনীর অর্থের যোগান কমানোর ব্যাপারটি নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘের সতর্কতা: ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
ক্ষেপণাস্ত্র কোম্পানির তথ্যচুরি খতিয়ে দেখছে ন্যাটো
উচ্চ পর্যায়ের গোপনীয় সামরিক কিছু নথি একটি হ্যাকার চক্র হ্যাক করে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। দলটি ওই নথিগুলোর তথ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। পুরো বিষয়টির প্রভাব কী হতে পারে তা উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট (ন্যাটো) খতিয়ে দেখছে।
নথিগুলোর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো মিত্রদের মাধ্যমে ব্যবহৃত অস্ত্রের নীলনকশাও রয়েছে।
অপরাধী হ্যাকাররা নথিগুলো বিক্রি করছে, একটি প্রধান ইউরোপীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকের সাথে যুক্ত ডেটা চুরি করার পরে।
ইউরোপীয় এক অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানি এমবিডিএ মিসাইল সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ একটি লিংক হাতিয়ে নেয়ার পর থেকেই নথিগুলো বিক্রি শুরু করেছে উক্ত হ্যাকার চক্র।
এমবিডিএ স্বীকার করেছে যে, ওই লিংকে নথিগুলো ছিল। তবে গোপনীয় কোনো নথিই তাদের সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয়।
কোম্পানিটির সদরদপ্তর ফ্রান্সে অবস্থিত। তারা জানায়, এই তথ্যচুরির ঘটনা একটি তথ্য সংরক্ষণ করার এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ থেকে হয়েছে। তারা আরও বলেন, কোম্পনিটি ইতালিতে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছিল। যেখানে ঘটনাটি ঘটে।
এটি বোঝা যাচ্ছে তদন্তের বিষয়টি ঘটছে এমবিডিএর সরবরাহকারীদেরকে ঘিরে।
আরও পড়ুন: ন্যাটো: আমেরিকার নেতৃত্বে এ সামরিক জোট কি এখনো প্রয়োজন?
এক বিবৃতিতে ন্যাটোর একজন মুখপাত্র বলেন, এমবিডিএ থেকে চুরি যাওয়া তথ্যের অভিযোগ নিয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি। ন্যাটোর কোনো নেটওয়ার্কে কোনোধরনের প্রবেশের ইঙ্গিত আমরা এখনও পাইনি।
রুশ ও ইংরেজি নানা ফোরাম থেকে অপরাধী চক্র তাদের কাজ চালাচ্ছে। ১৫ বিটকয়েনের বিনিময়ে ৮০ গিগাবাইট সমপরিমাণ তথ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে তারা। যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় দুই লাখ ৭৩ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। তারা এও দাবি করছে, ইতোমধ্যে একজন তাদের থেকে তথ্য কিনেছে।
বিবিসি ৫০ মেগাবাইটের বিনামূল্যের নমুনা তথ্য দেখেছে। যার নাম দেয়া ছিল, ‘ন্যাটো কনফিডেনিশিয়াল’, ‘ন্যাটো রেস্ট্রিকটেড’ ও ‘আনক্লাসিফাইড কন্ট্রোলড ইনফরমেশন’। পাশাপাশি হ্যাকার চক্রটি মেইলের মাধ্যমে ‘ন্যাটো সিক্রেট’ নামে তথ্য সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: ন্যাটো সম্মেলনে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্টের
২ বছর আগে
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপ
নতুন আইন পাশের মাধ্যমে ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে নিজেদের দখলকে সুরক্ষিত করার জন্য আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাশিয়া। এই আইনের মাধ্যমে মস্কো ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন পাবে। অন্যদিকে এই পদক্ষেপের কারণে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমারা।
রাশিয়ার এই নতুন আইন কোনো রকম বিচার-বিবেচনা ছাড়াই অনুমোদন দেয়া হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা আশঙ্কা করছে এই আইনটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের জন্য একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। কেননা এর একদিন আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে পুতিন ডিক্রিতে স্বাক্ষর করার পরপরই সাঁজোয়া বাহিনীর কনভয়কে বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল জুড়ে ঘুরতে দেখা গেছে। তবে তারা রাশিয়ান কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
আরও পড়ুন: পূর্ব ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি রাশিয়ার, সেনা মোতায়েনের নির্দেশ
এদিকে, রুশ কর্মকর্তারা এখনও বিদ্রোহী অধ্যূষিত পূর্বাঞ্চলে কোনো সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করেননি। তবে ডনেটস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী স্থানীয় কাউন্সিলের সদস্য ভ্লাদিস্লাভ ব্রিগ সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়ান সেন্যরা ইতোমধ্যেই এই অঞ্চলের উত্তর ও পশ্চিমে অবস্থান নিয়েছে।
বিদ্রোহী অঞ্চলগুলোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার পুতিনের এই সিদ্ধান্ত প্রায় আট বছরের পুরনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘাতকে উস্কে দেয়া হবে। আট বছর আগের সংঘাতে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয় এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস নামের শিল্প কেন্দ্রকে ধ্বংস করা হয়।
২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ রাশিয়ার অধিগ্রহণের কয়েক সপ্তাহ পরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা মস্কোর বিরুদ্ধে সেনা ও অস্ত্র দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করার অভিযোগ করেছে। রাশিয়া বরাবরই এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার রাশিয়ান পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে যে খসড়া বিল দ্রুত পাশের চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতে বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে রাশিয়ান সামরিক ঘাঁটিগুলোতে সেনা মোতায়েন সহ সামরিক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে পুতিনকে আলোচনার প্রস্তাব ইউক্রেনের
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি দেশবাসীকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে রাতে দেয়া এক ভাষণে বলেন, ‘আমরা কাউকে বা কিছুকে ভয় করি না। আমরা কারো কাছে ঋণী নই। এবং আমরা কাউকে কিছু দেব না।’
ইউক্রেনের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দেখা করবেন।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভে এই টুইটে বলেছেন, ‘ক্রেমলিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার নিজস্ব আগ্রাসনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’ মস্কোর এই পদক্ষেপকে ‘নতুন বার্লিন প্রাচীর’ হিসাবে বর্ণনা করে এবং পশ্চিমাদের দ্রুত রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে মার্কিন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিষিদ্ধ করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থা - হিসেবে মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারে।
অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররাও বলেছে তারা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়া বাজার ও প্রযুক্তি পণ্য অবরোধের মুখে পড়বে
২ বছর আগে
মিয়ানমারে গোপন হাসপাতালে সামরিক বাহিনীর হামলা
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত জনগণের সেবায় নিয়োজিত গোপন হাসপাতালের সন্ধান পেয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
ফ্রেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর স্বাস্থ্যসেবা এবং ডাক্তারদের ওপর যুদ্ধ ঘোষণা করে সেদেশের জান্তা বাহিনী। দেশের শত্রু সন্দেহে মেডিকেল কর্মকর্তাদের আটক, হামলা এবং হত্যা করে আসছে জান্তা বাহিনী।
আরও পড়ুনঃ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান ফর্টিফা রাইটসের
সম্প্রতি ওই গোপন হাসপাতালে সশস্ত্র হামলা চালায় সামরিক বাহিনী। ইয়াংগুনের এক চিকিৎসক বলেন, ‘সামরিক বাহিনী পুরো স্বাস্থ্যখাতকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা বিশ্বাস করি রোগীদের সেবা প্রদান করার মতো মানবিক কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওইদিন ক্লিনিকে এক জনের গলায় গুলি করা হয়, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই তরুণ মারা যায়।’
আরও পড়ুনঃ মিয়ানমারের সামরিক শাসনের প্রধান ঘটনাগুলো
এক মেডিকেল শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি এর আগে কখনো মানুষ খুন হতে দেখিনি। ওইদিনের পর থেকে আমি শুধু কান্না করেছি, আমি ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না, খেতে পারছিনা।’
মিয়ানমারের সামরিকবাহিনী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর থেকে এই পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৯০ জনকে হত্যা করেছে। এছাড়া ৫ হাজার ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান
এসব কিছুর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে দেশটির স্বাস্থ্যখাত। ক্ষমতা দখলের পর থেকে কমপক্ষে ২৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও ৪০০ ডাক্তার এবং ১৮০ জন নার্সের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
৩ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে জেএমবি সামরিক শাখার ২ সদস্য গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল থানা পুলিশ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবি'র সামরিক শাখার দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার ভোরে রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া শিকনাথপুর গ্রামের ভরনিয়া ডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপন বৈঠক চলাকালে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন ও রাণীশংকৈল থানার ওসি এস এম জাহিদ ইকবাল এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ‘জেএমবি সদস্য’ গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার দু’জন হলেন রংপুরের গঙ্গাচড়া থানার মহুভাষা জুম্মাপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল কাফি (২৭) ও কুড়িগ্রাম জেলার নলেয়া ব্যাপারী মোড় মহল্লার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে হযরত আলী (২১)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। তারা দুজনেই নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবির) সামরিক বিভাগের সদস্য। আদালতে তাদেরকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
এর আগে গত ১৭ মার্চ রাণীশংকৈলে অস্ত্রসহ দুই জেএমবি সদস্য আটকের মামলায় এ দুজন এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি ছিল।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ‘জেএমবি’র ৩ সদস্য আটক
রাণীশংকৈল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল লতিফ শেখ জানান, গ্রেপ্তার দু’জন এখানে এসেছিল তাদের কী করণীয় ও সংগঠনের কাযর্ক্রমে গতিশীলতা এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলানোর নীল নকশা তৈরি করতে।
আরও পড়ুন: সাভারে দুই জেএমবির সদস্য আটক
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ ৩ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫ রাউন্ড গুলি, জেহাদী বই ও মোবাইল সেটসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সামরিক শাখার ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল রাণীশংকৈল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত এমদাদুল হক (৩১) ও শহিদুল ইসলাম (১৮) সহোদর ভাই ছিলেন। ওই ঘটনায় রাণীশংকৈল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে এবং অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।
৩ বছর আগে