এটিএম বুথ
সিলেটে এটিএম বুথে চুরি হওয়া ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
সিলেটে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় হওয়া মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) প্রথমে একজনকে গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে মৃত গরুর মাংস বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীর জেল-জরিমানা
প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন- সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার হাতিডহর গ্রামের হোসাইন আহমদের ছেলে আলতাব হোসেন লিমন (২২), মোগলাবাজার থানার নৈখাই পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল হক (২৪) ও একই থানার নৈখাই মাঝপাড়া গ্রামের সিদ্দেক আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্না (২৫)। গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে লিমন ও আমিনুল সিকিউরেক্সের কর্মী।
তাদের মধ্যে লিমনকে সিলেট মহানগরের শিবগঞ্জ পয়েন্ট, আমিনুলকে ঢাকার মতিঝিল থানাধীন সাজেদা টাওয়ারস্থ সিকিউরেক্স কোম্পানির অফিস এবং নুরুলকে ভৈরব থানাধীন উজানভাটি হোটেলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেট মহানগর পুলিশের আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
তিনি জানান, গেল ৩ নভেম্বর মামলা দায়েরের পরই অভিযান চালিয়ে সিকিউরেক্স কোম্পানির এটিএম কর্মকর্তা আসামি আলবাব হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর তার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নুরুল ইসলাম মুন্না নামে আরেকজনকে ভৈরব থেকে আটক করে তার হেফাজত থেকে আরও ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবক অপহরণ: কারাগারে সিসিকের ৪ কর্মচারী
পরে আসামি আমিনুলকে সিকিউরেক্স কোম্পানির ঢাকাস্থ অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে আরও ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকার মধ্যে ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আসামিরা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রেখে দিয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা তারা খরচ করে ফেলেছেন।
এসব টাকা উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা অতীতে ইসলামী ব্যাংকের আরও ৮ লাখ টাকা চুরি করেছে বলে স্বীকার করেছে।
এসব কর্মকাণ্ডে সিকিউরিটি কোম্পানির গাফিলতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ২৮ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকার ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। পরে ৩০ অক্টোবর বুথে ‘ক্যাশ জ্যাম’– সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিলে বুথে গিয়ে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার হিসেবে গরমিল পায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় বুথে টাকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের দুই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ব্যাংকটির সিলেট অঞ্চলের এটিএম বুথের ইনচার্জ সন্দীপন দাস।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে ওই বুথে মাথায় ক্যাপ, মুখে মাস্ক, চোখে কালো চশমা ও হাতে গ্লাভস পরা দুই ব্যক্তি সুবিদবাজার এলাকার এটিএম বুথে প্রবেশ করেন। বুথের আশপাশে নিরাপত্তাপ্রহরী উপস্থিত ছিলেন না।
ওই দুই ব্যক্তি বুথের ভেতরে প্রবেশ করেন। সে সময় একজন বুথের নিচের দিকের অংশ খোলেন এবং অন্যজন তার পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে নিরাপত্তাপ্রহরীকে বুথের সামনে উপস্থিত হতে দেখা যায়। ভেতরে থাকা দুই ব্যক্তির দিকে উঁকি দেন।
ভেতরে থাকা এক ব্যক্তিকে নিরাপত্তাপ্রহরীকে শাটার নামানোর জন্য ইশারা দিতে দেখা যায়। পরে নিরাপত্তাপ্রহরী শাটার নামিয়ে দেন। একপর্যায়ে ওই দুই ব্যক্তি বুথের লকার খুলে ভল্ট নামিয়ে সেখান থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের ব্যাগে ভরেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের জাফলং ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
১ বছর আগে
দিনাজপুরে বুথের টাকা চুরিতে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তা, গ্রেপ্তার ২
দিনাজপুরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের সিডিএম (ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন) থেকে চুরি হওয়া প্রায় ১২ লাখ টাকা উদ্ধারসহ ব্যাংক কর্মকর্তা ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় আলামতও জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে দিনাজপুর শহরের ফুলবাড়ী বাসস্টান্ডে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ফাস্ট ট্রাক -এ ওই চুরির ঘটনা ঘটে।
সোমবার এ ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীদের বিস্তারিত জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
গ্রেপ্তার ব্যাংক কর্মকর্তা বরকত জামান পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বাগপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত তবিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি ওই ফাস্ট ট্রাকে জুনিয়র চ্যানেল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চুরিতে তাকে সহযোগিতা করেছে দিনাজপুর সদরের শেখপুরার রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমানের ছেলে বিকাশ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, পরিকল্পনা ও কৌশল অনুযায়ী গেল ১১ নভেম্বর শুক্রবার বুথের প্রহরিকে চেনতানাশক প্রয়োগ করে দুই ধরনের ডিজিটাল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ফাস্ট ট্রাকের সিডিএম খুলে ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেন বুথের দায়িত্বে থাকা জুনিয়র কর্মকর্তা বরকত জামান। চুরির ঘটনায় ধরা পড়া এড়াতে সিসিটিভির ডিভিআর খুলে নিয়েছিল সে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংক থেকে আড়াই লাখ টাকা চুরি
২ বছর আগে
এটিএম বুথে কার্ড আটকে গেলে কি করবেন ? এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
অটোমেটেড টেলার মেশিন বা এটিএম বুথ আর্থিক লেনদেনের একটি নিরাপদ ও ঝামেলা বিহীন মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপরেও প্রগতিশীল এই সেবাটি ব্যবহারের সময় পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাটি হলো এটিএম বুথে কার্ড আটকে যাওয়া। জরুরি ভিত্তিতে টাকা তোলার প্রয়োজন হলে এটিএম মেশিন থেকে কার্ডটি আর বের না হলে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে যান গ্রাহকগণ। বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবার হলে এ অবস্থায় তাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। তাই এটিএম কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চলুন সেই বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক।
এটিএম বুথে কার্ড আটকে যাওয়ার কারণ
পরপর তিনবার ভুল পিন নাম্বার প্রবেশ
গ্রাহকরা তাড়াহুড়ো বা বেখেয়ালে অনেক সময় দ্রুত টাকা তুলতে গিয়ে কার্ডের পিন নাম্বার ভুলে যান। আবার অসাবধানতায় ভুল বাটনে চাপ দিয়ে ভুল পিন নাম্বার প্রবেশ করিয়ে ফেলেন। এটা এখন একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে যে, যে কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে পরপর তিন বার ভুল পিন নাম্বার বা পাসওয়ার্ড দিলে সিস্টেম সাময়িকভাবে ব্লক হয়ে যায় । আর এটিএম মেশিনের ক্ষেত্রে কার্ডটি আটকে যায়।
আরও পড়ুন: রাতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক জনিত জটিলতা
এই বিষয়টি একদমি সকলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। যন্ত্র মানেই সেখানে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকবে। কার্ড ব্যবহারের সময় এটিএম মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগে ব্যাঘাত ঘটার দরুণ নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। আর তখন গ্রাহকের দেয়া তথ্যগুলো ঠিকমত কাজ নাও করতে পারে। যার পরিণতিতে কার্ডটি মেশিনের ভেতরে থেকে যায়।
মেয়াদোত্তীর্ণ কার্ড ব্যবহার
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডগুলো সাধারণত দুই বা তিন বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। মেয়াদ অতিক্রান্ত কার্ড এটিএম-এ বারবার প্রবেশ করালে এটিএম কার্ডটি আটকে দেয়। কিছু মাস্টার কার্ড আছে যেগুলো ব্যবহারের জন্য কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে স্বল্প মেয়াদ নেয়া হয়। যেমন বিভিন্ন ধরনের গিফ্ট কার্ডের ক্ষেত্রে অনেকেই ভুলে যান যে তার কার্ডের অল্প মেয়াদটি অতিক্রম হয়ে গেছে। এ ধরনের কার্ডের ক্ষেত্রে প্রায়ই কার্ড বের করা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
এটিএম সার্ভার সমস্যা
এটিএম কার্ড আটকে যাওয়া এমনকি সরাসরি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে সমস্যার ক্ষেত্রেও একটি সাধারণ কারণ সার্ভার সংক্রান্ত জটিলতা। সার্ভারের গতি স্বাভাবিকের থেকে কম থাকলে অনেক সময় কার্ড এটিএম মেশিনে আটকে যেতে পারে।
বাহ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কার্ড ব্যবহার
এটিএম কার্ডটি মুলত একটি আয়তাকার পাতলা প্লাস্টিক বা ধাতব টুকরো। সব সময় সঙ্গে থাকায় বিভিন্ন কারণে কার্ডটিতে হাল্কা ফাটল বা কোন এক প্রান্তের দিকে অল্প ভেঙে যেতে পারে। এমন অবস্থা হলে ব্যবহারের সময় কার্ড আটকে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা
অসমর্থিত কার্ড ব্যবহার
অধিকাংশ এটিএম মেশিন মাস্টার ও ভিসা কার্ড সাপোর্ট করে থাকে। এগুলো ব্যতীত ব্যাংকের অন্য কার্ড এটিএম মেশিন অসমর্থিত হতে পারে। এ ধরনের কার্ড ব্যবহারে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
এটিএম বুথে কার্ড আটকে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়
লেনদেন বাতিলের চেষ্টা ও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা
প্রথমেই লেনদেন বাতিলের জন্য ক্যানসেল বাটনে প্রেস করতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পুরো কার্যকলাপটি সম্পন্ন হওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। অনেক সময় সার্ভার ডাউন থাকলে ছোট ছোট লেনদেনও ধীরগতি সম্পন্ন হয়ে যায়। এসময় সাথে সাথেই বুথ থেকে বেরিয়ে না এসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা উচিত। কেননা এমনও হতে পারে যে, সময় বেশি নিলেও টাকা ঠিকই বেরিয়ে আসছে।
আর লেনদেন যদি বাতিল হয়েই যায়, তাহলে সেই অতিরিক্ত সময় পর কার্ডটি বেরিয়ে আসতে পারে। তাই বুথ ত্যাগ করার পূর্বে আর্থিক লেনদেনের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বাতিল হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নেয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: গরমকালে কম খরচে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন?
ঘটনার খুঁটিনাটির রেকর্ড নেয়া
এ অবস্থায় অস্থির না হয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে সমস্যার খুটিনাটি লিখে নিতে হবে। কোন ব্যাংকের কার্ড, কার্ডের নাম্বার, মেয়াদ, কোন অ্যাকাউন্টের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে তার নাম্বার, ঘটনার সঠিক সময় এবং কার্ড আটকানোর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কিভাবে কার্ডটি ব্যবহার করা হয়েছে ইত্যাদি মনে করে নোট করে ফেলতে হবে।
বুথ কর্মকর্তা ও কাস্টমার কেয়ারে জানানো
সব নোট করা হলে এবার ধীর স্থির ভাবে প্রথমে বুথের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সব জানাতে হবে। প্রায় ক্ষেত্রে কর্মকর্তা সঠিক নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। সমস্যার সমাধান না হলে তিনি রেজিস্ট্রি খাতায় তা লিপিবদ্ধ করে নিবেন। কর্মকর্তা না থাকলে নিদেনপক্ষে গার্ডকে জানিয়ে রাখতে হবে।
পরিশেষে ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে পুরো ঘটনা জানাতে হবে। বিশেষ করে কার্ডের যাবতীয় লেনদেন বন্ধ করতে বলতে হবে। সমস্যাটি চূড়ান্তভাবে সমাধানের জন্য কাস্টমার কেয়ার থেকে সম্ভাব্য সব রকম নির্দেশনা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য ঢাকার কাছাকাছি সেরা কয়েকটি রিসোর্ট
ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করা
ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ সম্ভ না হলে একমাত্র উপায় হলো ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় চলে যাওয়া। এখানে যে বুথে সমস্যা হয়েছে সেটি আর কার্ডটি যদি একই ব্যাংকের তাহলে কার্ডটি দ্রুত ফিরে পাওয়া যাবে। কিন্তু বুথটি অন্য ব্যাংকের হলে কার্ডটি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমতাবস্থায় কার্ড প্রতিস্থাপন অর্থাৎ যে ব্যাংকের কার্ড সেখানে যেয়ে নতুন কার্ড-এর আবেদন করাই একমাত্র উপায়।
নতুন কার্ড হাতে পেতে ব্যাংকভেদে ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। আবেদনের সময় সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র, বর্তমান ঠিকানার যে কোন ইউটিলিটি বিল ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি থাকতে হবে।
শেষাংশ
মুলত গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই কার্ড নির্ভর ব্যাংকিং সেবার অবতারণা হয়েছে। এটিএম কার্ডের উপযুক্ত ব্যবহারে এর শতভাগ সুবিধা আদায় করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
চলমান এই ট্রেন্ডটির সাথে মানিয়ে নিতে সাবধানতার সাথে এটিএম কার্ডটি বুথে কার্ড প্রবেশ করতে হবে এবং যে কারণগুলোতে কার্ড আটকে যেতে পারে সেগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। উপরোল্লিখিত পদক্ষেপগুলো নেয়া হলে এটিএম বুথে কার্ড আটকে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যাবে। এরপরেও এটিএম বুথে কার্ড আটকে গেলে আতংকিত না হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিতে হবে।
২ বছর আগে
ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন
ব্যাংক কর্তৃক জারি করা প্লাস্টিকের পাতলা আয়তক্ষেত্রাকার কার্ড বা এক কথায় ক্রেডিট কার্ড এর ধারকদের যে কোন পণ্য ও পরিষেবা ক্রয়ের জন্য অর্থ ঋণের সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রযোজ্য সুদসহ এই ঋণকৃত অর্থটি কার্ডধারককে ফেরত দিতে হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। ব্যাংকগুলো প্রধানত ভিসা, মাস্টারকার্ড, ডিসকভার এবং আমেরিকান এক্সপ্রেস- এই চার মূল ধরনের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের সরবরাহ করে থাকে। কেবল অর্থ ঋণই নয়; বিভিন্ন উপলক্ষে এই কার্ডগুলো গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। চলুন জেনে নিই, কীভাবে একটি ক্রেডিট কার্ড করা যায়।
ক্রেডিট কার্ড-এর সুবিধাগুলো
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন পণ্য বা পরিষেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড-এর আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধাগুলোর কারণে প্রতিদিনি এই কার্ডের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
> ব্যয়বহুল পণ্য বা পরিষেবা তাৎক্ষণিকভাবে কেনা যায়।
> অনলাইনে কোন ঝামেলা ছাড়াই কেনাকাটা করা যায়।
> ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটায় রিওয়ার্ড পয়েন্ট-এর সুযোগ থাকে, যেটি বাড়ার ফলে ক্রেডিট কার্ড থেকে খরচের মাধ্যমেই আয়সহ বিভিন্ন মূল্যছাড় এমনকি ফ্রিতে পণ্য বা পরিষেবা ক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
> যথেষ্ট পরিমাণে কেনাকাটার পাশাপাশি সময়মত ক্রেডিট কার্ড-এর বিল প্রদান করলে ক্রেডিট কার্ডধারীর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে ঋণ লাভের যোগ্যতার সূচক সংখ্যা বা সিআইবি রেকর্ড বাড়ে।
> ব্যবহৃত ক্রেডিট কার্ড-এর চার্জ বেশি বা অন্য কোন ক্রেডিট কার্ড-এর সুযোগ-সুবিধা মনে হলে সহজেই বর্তমান কার্ড থেকে সেই কার্ড-এ স্থানান্তরিত হওয়া যায়।
> পেমেন্ট গেটওয়ে বা মার্চেন্ট সেবায় কোনো অসামঞ্জস্যতা ধরা পড়লে ক্রেডিট কার্ড-এ সহজেই টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করা যায়, যার জন্য কাগজের চেক অপেক্ষা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার অধিক নিরাপদ।
> ক্রেডিট কার্ড চুরি বা হারিয়ে গেলে নিকটবর্তী সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে দ্রুত অর্থ ফেরত সহ একদম নতুন কার্ড পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার পূর্বশর্ত
ক্রেডিট কার্ড-এর মাধ্যমে মূলত গ্রাহককে পণ্য বা পরিষেবা ক্রয়ের জন্য অর্থ ঋণ দেয়া হয়। তাই এই কার্ড দেয়ার পূর্বে ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকৃত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে যাচাই করে নেয় যে গ্রাহকের সেই অর্থ পরিশোধের সক্ষমতা আছে কি না।
গ্রাহকের যোগ্যতার উপর নির্ভর করে অর্থ খরচের একটি সীমা নির্ধারণ করা হয় যাকে ক্রেডিট লিমিট বলে। এর অতিরিক্ত খরচ করা যায় না।
ক্রেডিট কার্ড নেয়ার জন্য মাসিক আয় কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা হতে হয়। মাসিক আয় যত বেশি হয় সেই আয়ের ধরন ও ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ক্রেডিট লিমিটের পরিমাণও বেড়ে যায়।
যেমন প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় হলে ১ লাখের আশেপাশে (কম-বেশি) কোন পরিমাণ ক্রেডিট লিমিট পাওয়া যায়।
ক্রেডিট কার্ড আবেদনকারীদের যোগ্যতার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সাধারণত চাকরিজীবীদের নূন্যতম ৬ মাস চাকরি এবং ব্যবসায়ীদের কমপক্ষে ১ বছরের ব্যবসায়ীক লেনদেন যাচাই করে থাকে।
কিছু ব্যাংক ফিক্সড ডিপোজিটের উপর ভিত্তি করে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকে। ডাচ-বাংলা, ইস্টার্ন ব্যাংক ৫০ হাজার টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের উপর ক্রেডিট কার্ড সরবরাহ করে থাকে।
ক্রেডিট কার্ড আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র
→ দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
→ টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) সার্টিফিকেট
→ চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র কিংবা স্যালারি সার্টিফিকেট, যেখানে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকার সালারি হতে হবে, এবং ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
* ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, ম্যামোর্যান্ডাম অব এ্যাসোসিয়েশন, ১০ লাখ টাকার ব্যবসায়িক লেনদেন সহ ১ বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
*অন্যান্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পেশা নিয়োগের সনদপত্র এবং রেফারেন্স হিসেবে ইউটিলিটি বিলের কপি।
→ রেফারেন্স।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে হজের জন্য নিবন্ধন করবেন যেভাবে
২ বছর আগে
রাজধানীতে এটিএম বুথের ভল্ট ভেঙ্গে টাকা লুটের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৩
রাজধানীর বেসরকারি ব্যাংক আইএফআইসি’র বাড্ডা শাখার এটিএম বুথের দেয়াল ভেঙ্গে ডাকাতি করার সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার ভোরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে বাড্ডা থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. রুবেল, হৃদয় ও মামুন।
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাড্ডার আইএফআইসি ব্যাংকের হেড অফিসের সিসিটিভি অপারেটর সিসিটিভিতে দেখেন, একজন লোক এটিএম বুথের ভল্ট ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন। পরে জানা যায়,সাইনবোর্ডের দেয়াল ভেঙে একজন ডাকাত ভেতরে ঢোকেন। তিনি শাবল দিয়ে এটিএম বুথের একটি ভল্ট ভেঙে ফেলেন। তখনি তিনি বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে জানান।
বাড্ডা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলম মাসুদ সিদ্দিকী জানান,৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকের ভেতর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: আত্মহত্যা চেষ্টাকারী নারীকে উদ্ধার করল পুলিশ
৯৯৯ এ কল: নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহৃত কিশোরী ফরিদপুরে উদ্ধার
৯৯৯ এ কল: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চাচাতো ভাই আটক
৩ বছর আগে
সিলেটে এটিএম বুথে লুট, ৪ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার শেরপুরে ব্যাংকের এটিএম বুথ লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফর রহমান। তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে এটিএম বুথ থেকে টাকা লুট, গ্রেপ্তার ৩এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নিয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এটিএম বুথ লুটের ঘটনা দেশে বিরল উল্লেখ করে বলেন, ‘এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘ডিএমপির গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেপ্তার শামীম আহমেদ এবং সিলেট জেলা গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেপ্তার সাফি উদ্দিন জাহির দীর্ঘদিন দুবাইয়ে থাকা অবস্থায় তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। একসময় দুজনই দেশে ফিরে চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে যায়। শেরপুরে এটিএম বুথ লুটের ঘটনাটিও শামীম ও জাহিরের পরিকল্পনাতেই বাস্তবায়িত হয়। গ্রেপ্তার শামীম এক সময় ওমানে থাকা অবস্থায় সেখানকার স্থানীয় ব্যাংকের এটিএম বুথ ডাকাতির ঘটনায় আট বছর কারাবাস করে। শেরপুরের ঘটনার পরেও সে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে এটিএম বুথ ভেঙে ২৪ লাখ টাকা লুটএর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ভোররাত ৩টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর শেরপুরস্থ নতুনবাজারে অবস্থিত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মীকে বেঁধে ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫শ' টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। ঘটনার দৃশ্য ধারণ হয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওসমানীনগর থানায় অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।এ ঘটনায় ২১ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ আট হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি, একটি প্লায়ার্স ও মাথায় ব্যবহারের তিনটি কাপড়ের টুকরো জব্দ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নূর মোহাম্মদ, শামীম আহমেদ ও আব্দুল হালিম। গ্রেপ্তারের পর গতকাল বুধবার তাদেরকে সিলেট জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে (ডিএমপি) পুলিশ।অপরদিকে বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার মূল হোতা ও পরিকল্পনাকারী সাফি উদ্দিন জাহিরকে (৩৮) হবিগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন পাঁচপাড়িয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তার জাহির পাঁচপাড়িয়া গ্রামের মমতাজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। তার দেয়া তথ্য অনুসারে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলের পাশ থেকে বুথের মেশিন ভাঙার শাবল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
৩ বছর আগে
সিলেটে এটিএম বুথ থেকে টাকা লুট, গ্রেপ্তার ৩
সিলেটের ওসমানী নগর থানা এলাকায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা লুটের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার এ লুটের ঘটনায় ঢাকা ও হবিগঞ্জ থেকে মঙ্গলবার এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো.শামীম আহমেদ,নূর মোহাম্মদ সেবুল এবং মো.আব্দুল হালিম।
আরও পড়ুন: সিলেটে এটিএম বুথ ভেঙে ২৪ লাখ টাকা লুট
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,গোয়েন্দা শাখার একটি দল (সাইবার ও বিশেষ অপরাধ বিভাগ)মঙ্গলবার ঢাকা ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় একযোগে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গোয়েন্দারা মোট ২৪ লাখ টাকার মধ্যে ১০ লাখ আট হাজার টাকা,দুটি মোবাইল ফোন সেট, একটি ছুরি এবং চুরিতে ব্যবহৃত তিন টুকরো কাপড় জব্দ করেছে।
বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে যুগ্ম কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তর) হারুন-উর-রশিদ বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ৩ টা ১৫ মিনিটে ডাকাতরা সিলেটের শেরপুরের নাটুন বাজারের হাজী ইউনুস উল্লাহ মার্কেটের নিচতলার এটিএম বুথের গার্ডকে মারধোর করে স্কচ টেপ দিয়ে তাঁর হাত ও মুখ বাঁধে। এরপর তারা এটিএম মেশিনের তালা ভেঙ্গে ২৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সাইবার হামলার আশঙ্কায় এটিএম বুথের কার্যক্রম সীমিত
১২ সেপ্টেম্বর সিলেটের ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওসমানী নগর থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার অনুরোধের পর সাইবার ও বিশেষ অপরাধ বিভাগের গোয়েন্দারা এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে।
ছিনতাইকারী চক্রের নেতা মো.শামীম আহমেদ নিয়মিত ভারতীয় মেগা সিরিয়াল সিআইডি দেখতেন এবং সেখান থেকেই তিনি এটিএম মেশিন ভাঙার কৌশল শিখে টাকা লুট করার পরিকল্পনা করেন।
৩ বছর আগে
সিলেটে এটিএম বুথ ভেঙে ২৪ লাখ টাকা লুট
সিলেটের ওসমানীনগরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের এটিএম বুথ ভেঙে ২৪ লাখ টাকা লুট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার শেরপুর নতুন বাজারের ইউনুছ ম্যানশনের নিচতলায় শনিবার ভোররাত ৪টার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাইবার হামলার আশঙ্কায় এটিএম বুথের কার্যক্রম সীমিত
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক জানান, উপজেলার শেরপুর নতুন বাজারস্থ ইউনুছ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে। একই ভবনের নিচতলায় সায়রা কমিউনিটি সেন্টারের পাশে রয়েছে ব্যাংকটির একটি এটিএম বুথ। শনিবার রাত ৪টার দিকে ডাকাত দলের সদস্যরা বুথের সিকিউরিটি গার্ডকে বেঁধে রেখে বুথ ভেঙে ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা গার্ডকে এ অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেন।
আরও পড়ুন: এটিএম বুথে কার্ড দিলেই পাওয়া যাবে বিশুদ্ধ পানি
তবে এই ব্যাপারে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক আশরাফুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় এটিএম বুথ থেকে টাকা লুট, মামলা
৩ বছর আগে