সন্ধান
অপহরণের সাত দিনেও উদ্ধার হননি রবির টেকনিশিয়ান ইসমাইল
খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণ হওয়া মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি রবির টেকনিশিয়ান ইসমাইল মিয়ার সাত দিনেও কোনো সন্ধান মেলেনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) নরসিংদী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের সামনে ইসমাইলকে ফিরে পেতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: কাজের জন্য কক্সবাজার গিয়ে নিখোঁজ ৬
নরসিংদীর বাসিন্দা ইসমাইল রবির টেকনিশিয়ান হিসেবে খাগড়াছড়িতে কর্মরত ছিলেন। তিনি বেলাবো উপজেলার বীর বাগবের এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
গত ১৯ এপ্রিল খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ময়ুরখীল এলাকায় কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন এই যুবক। এ ঘটনায় মাকিছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।
এদিকে আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গণির সঙ্গে দেখা করেন অপহৃত ইসমাইলের পরিবার। এ সময় শিগগিরই তাকে খুঁজে বের করা হবে বলে পরিবারকে আশ্বস্ত করেন জ্যেষ্ঠ সচিব। তবে এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ইসমাইলের বাবা নুরুল ইসলাম জানান, গত দুই বছর ধরে রবির টাওয়ার মেরামতের চাকরি করে আসছেন ইসমাইল। সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে রবির ৭/৮টি টাওয়ার বিকল হয়ে যাওয়ায় নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলে কোম্পানির নির্দেশে গত ১৯ এপ্রিল সকালে মানিকছড়ির ময়ুরখীল এলাকার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাওয়ার পথে মানিকছড়ি কলেজ এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা ইসমাইল ও তার সহযোগী আব্রে মারমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ থেকে পড়ে নাবিক নিখোঁজ
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, ‘তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রবি কোম্পানির সঙ্গে দুর্বৃত্তদের লেনদেন-সংক্রান্ত কোনো বিষয় রয়েছে, আর সে কারণেই তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
৬ দিন আগে
আটটি গোপন ‘আটক কেন্দ্রের’ সন্ধান পেয়েছে গুম কমিশন
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিশন আটটি গোপন আটক কেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছে। এসব কেন্দ্রে বছরের পর বছর ধরে আটককৃতদের নির্যাতন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে গুম কমিশনের প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আয়নাঘরের চেয়েও ভয়ংকর আটটি গোপন আটক কেন্দ্রের সন্ধান পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: বিএফআইইউর সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত গুমের প্রায় ১ হাজার ৬০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে এবং ৪০০টি অভিযোগের তদন্ত চলছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধে ১৭২টি, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বিরুদ্ধে ৩৭টি, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে ৫৫টি, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) বিরুদ্ধে ২৬টি, পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে ৬৮টি।
এছাড়া গুমের শিকার দুই শতাধিক ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান কমিশনের প্রধান।
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে গত ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠন করে সরকার।
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত, গুম হওয়াদের খুঁজে বের করতে গত ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করে সরকার।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে গুমের ঘটনা তদন্ত, গুমদের শনাক্ত এবং কোন পরিস্থিতিতে তারা গুম হয়েছেন তা নির্ধারণের জন্য এই কমিশন গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক তিন এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
১৭৯ দিন আগে
প্রায় ২০ বছর পর কম্বোডিয়ায় বিরল মাছের সন্ধান
প্রায় দুই দশক ধরে ‘মেকং নদীর ভূত’ নামের এক মাছ দেখা যায়নি কম্বোডিয়ার কোনো জলাশয়ে। তবে দীর্ঘদিন পর ফের সেই মাছের দেখা মিলেছে দেশটিতে।
আবারও দৈত্যাকার এই কার্প জাতীয় মাছের দেখা পেয়েছে কম্বোডিয়ার কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং দেশটির মৎস্য প্রশাসনের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল।
আরও পড়ুন: কম্বোডিয়ায় হোটেল-ক্যাসিনোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৯
এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০০৫ সাল থেকে এই অস্বাভাবিক আকৃতির স্যামন মাছ দেখা যায়নি। ফলে মাছের এই প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে ফের দৈত্যাকার এই মাছের সন্ধান মেলা বিজ্ঞান মহলে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
কম্বোডিয়ার সোয়ে রিয়েং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক বুনিয়েথ চ্যান বলেন, ‘জায়ান্ট স্যামন কার্পের পুনরাবিষ্কার শুধু এই প্রজাতির জন্যই নয়, পুরো মেকং বাস্তুতন্ত্রের জন্য আশার সঞ্চার করবে।’
‘মেকং বাস্তুতন্ত্র পৃথিবীর সবচেয়ে উৎপাদনশীল বাস্তুতন্ত্রগুলোর একটি, মেকং নদীতে প্রতি বছর ২০ লাখ টনেরও বেশি মাছ উৎপাদিত হয় এই বাস্তুতন্ত্রে, যার মূল্য ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি।’
পুনরাবিষ্কারের পর এই মাছকে সুরক্ষিত প্রজাতির তালিকায় যুক্ত করেছে কম্বোডিয়ার মৎস্য প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া এফটিএ চুক্তিতে সম্মত
১৯২ দিন আগে
সিলেটের আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান
সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।
এখান থেকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলন হচ্ছে। কূপের ১২০০ মিটার গভীরতায় এ গ্যাস পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নতুন জায়গায় গ্যাসের সন্ধান
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, গত ১৪ আগস্ট ৭ নম্বর কূপের একটি স্থানের ২ হাজার ১০ মিটার গভীরতায় দৈনিক ৬ থেকে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ৭ নম্বর কূপের আরেকটি স্থানের ১ হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অন্যান্য কূপ থেকে পাওয়া দৈনিক ৬০ থেকে ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ৭ নম্বর কূপ থেকে পাওয়া গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
এছাড়া এ বছরের ২৪ মে খননকাজ শেষে কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮ নম্বর কূপে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।
এদিকে কূপের ৩ হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাস পাওয়া যায়। ২৭ জানুয়ারি রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়নের বেশি ঘনফুট গ্যাস।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যেতে চায়। আর সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে শুধু এই কোম্পানি থেকেই প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান
১৯২ দিন আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে কমিশন গঠন
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে ৫ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ‘কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ এর ক্ষমতাবলে এই কমিশন গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় হাইকমিশনারের
জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনাগুলোর বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল এবং এ বিষয়ে সুপারিশ করবে জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে জানাবে কমিশন। একইসঙ্গে কমিশন জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করবে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দিবে ও কমিশনের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করবে এবং কমিশনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যে কোনো ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিতে পারবে। এছাড়া কমিশনের সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারক এবং কমিশনের সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের মর্যাদা এবং অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।
কমিশন ‘কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ অনুসারে তদন্ত শেষ করে ৪৫ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এ কমিশনের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীসহ কমিশনে সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
কমিশন ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিলেন তা নির্ধারণ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওই দিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তবর্তীকালীন সরকার।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে যে কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
২৪৮ দিন আগে
সিলেটে নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান
সিলেটের হরিপুরে একটি নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে নতুন এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।
এখানে গ্যাসের যে চাপ আছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে ৪৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ভোলায় নর্থ-২ কূপে গ্যাসের সন্ধান
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার হাগলা হাওরের মাঝখানে অবস্থিত নতুন এই কূপটি বর্ষায় ডুবে থাকলেও শুকনো মৌসুমে পানি থাকে না সেখানে।
২০১৮ সালে ত্রিমাত্রিক ভূতাত্তিক জরিপে সেখানে গ্যাসের সন্ধান পায় সিলেট গ্যাস ফিল্ড। এরপর ‘পরীক্ষা’ ও ‘নিরীক্ষা’র জন্য ১০ নম্বর কূপ হিসেবে এটি খনন শুরু করে চীনের একটি কোম্পানি।
গত ৫ মাস খনন শেষে সেখানে মিলেছে সফলতা। এখানে ৪৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার সর্বনিম্ন বাজার মূল্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
এলএনজি আমদানি মূল্য হিসেবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২০৩ কোটি টাকা।
এর আগে, গত ২২ নভেম্বর সিলেট গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৈলাসটিলায় পরিত্যক্ত ২ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।
যেখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রবিবার (২৬ নভেম্বর) জানান, সম্পূর্ণ নতুন এই কূপ থেকে গ্যাস পাওয়া গেছে। এখান থেকে দৈনিক ১৩ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ইলিশা-১ কূপের তৃতীয় স্তরেও গ্যাসের সন্ধান মিলেছে
ভোলায় ইলিশা-১ নামে নতুন আরও একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান
৫২৪ দিন আগে
সবচেয়ে দূরবর্তী ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেল জোতির্বিজ্ঞানীরা
নাসার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এক্স-রেতে শনাক্ত করা সবচেয়ে দূরবর্তী ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
ব্ল্যাক হোলটি বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি, যেখানে এর বিস্তৃতি তার ধারণকারী গ্যালাক্সির মতোই।
নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এবং নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য একত্রিত করে গবেষকদের একটি দল মহাবিস্ফোরণের মাত্র ৪৭০ মিলিয়ন বছর পরে ক্রমবর্ধমান ব্ল্যাক হোলের টেলিটেল স্বাক্ষর খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন।
আরও পড়ুন: টেশিসকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার
নাসা জানিয়েছে, মহাবিশ্বের প্রথম সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের সৃষ্টি কীভাবে হয়েছিল তা এই ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারে।
গবেষকদল পৃথিবী থেকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত গ্যালাক্সি ক্লাস্টার অ্যাবেল ২ হাজার ৭৪৪ এর দিকে ইউএইচজেড ১ নামের একটি গ্যালাক্সিতে ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পান।
নাসার মতে, ওয়েবের তথ্য থেকে জানা গেছে যে পৃথিবী থেকে ১৩ দশমিক ২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই গ্যালাক্সিটি ক্লাস্টারের চেয়ে অনেক বেশি দূরে, যখন মহাবিশ্ব তার বর্তমান বয়সের মাত্র ৩ শতাংশ ছিল।
আরও পড়ুন: উইংস উইমেন অব ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী আলিফা বিনতে হক
৫৪৩ দিন আগে
সীতাকুণ্ডে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ২
সীতাকুণ্ডের দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। বুধবার সকালে র্যাব-৭ এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ এবং অস্ত্র কারখানার মালিকসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ২জন হলেন- কারখানা মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী মো. ইমন (২৪)।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে অবৈধ অস্ত্র কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ১
এর আগে মঙ্গলবার র্যাব গোপন খবরের ভিক্তিতে জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ছিন্নমূল পাথরিঘোনা দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাগান বাড়ির টিনের দোচালা ঘরের ভেতর থেকে সাদা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে সদ্য প্রস্তুত করা ৩টি দেশীয় বন্দুক, একটি রাম দা এবং অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে।
৬১৯ দিন আগে
ঢাকায় জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ৯
রাজধানীর লালবাগ এলাকায় একটি জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এসময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রবিবার (২৫ জুন) রাতে লালবাগ থানার কাশ্মীরি লেন এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের তৃতীয় ও ষষ্ঠ তলায় জাল টাকা তৈরির ওই কারখানার সন্ধান মেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাবুল, ইব্রাহিম, আফাজুল, রাসেল, হাবিবুল্লাহ, দুলাল হোসেন, মিনারা খাতুন ও সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
ডিবির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে জাল টাকা কেনা-বেচার জন্য একটা সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় হয়েছে এ খবরের ভিত্তিতে সহকারী জেলা প্রশাসক কামালের নেতৃত্বে একটি দল লালবাগ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় কাশ্মীরি লেনের স্বপ্ন শপিং মার্কেটের পাশের গলি থেকে চারজনকে আটক করে তাদের শরীর তল্লাশি করে প্রায় ২৫ লাখ জাল টাকা জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেখানো মতে বাড়িটির তৃতীয় ও ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে এই জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাবুল, মিনারা ও সাইফুল একই অপরাধে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন মেয়াদে হাজত বাস করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। এছাড়া চক্রের বাকিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে পালানোর ৩২ দিন পর আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীতে পলাতক হিযবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার: র্যাব
৬৭৬ দিন আগে
আরাভের সন্ধান পেতে ডিবিকে সাহায্য করতে প্রস্তুত হিরো আলম
দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানকে গ্রেপ্তার করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন আশরাফুল আলম তথা হিরো আলম।।
এছাড়া তদন্তের স্বার্থে তাকে আবারও ডাকা হলে ডিবি কার্যালয়ে আসবেন বলেও জানান তিনি।
শনিবার দুপুরে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাইক্রোবাস উপহার নিতে হিরো আলম যাচ্ছেন হবিগঞ্জ
এর আগে এদিন বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে ব্যক্তিগত সমস্যার অভিযোগ নিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের সঙ্গে দেখা করেন হিরো আলম।
বহুল আলোচিত পুলিশ হত্যা মামলার আসামি ও পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান সম্পর্কে হিরো আলম বলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রয়োজনে তিনি ডিবিকে সাহায্য করবেন বা তথ্য দেবেন।
তিনি বলেন, আজও এ নিয়ে সামান্য কথা হয়েছে।
হিরো আলম আরও জানান, আরাভ খান যে পুলিশ হত্যা মামলার আসামি তা তার জানা ছিল না, এমনকি ডিবির পক্ষ থেকেও তাকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তাই আরাভ খানের আমন্ত্রণে তিনি দুবাই গিয়েছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ জমা দিতে এসেছিলেন।
আলম আরও বলেন, ‘আপনারা দেখছেন চলচ্চিত্র জগতের কিছু লোক আমাকে নিয়ে অশালীন ভাষায় কথা বলছে। এর আগে কেউ আমাকে তিরস্কার করলেও আমি প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু কিছু চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা-অভিনেত্রী আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথাবার্তা ছড়াচ্ছেন, তাই তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানান, কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এতে এমন ব্যক্তিদের নাম রয়েছে যারা আমার সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলেছেন। এছাড়াও, যারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমার বিষযয়ে রিপোর্ট করেছেন তাদের নামও রয়েছে।’
সম্প্রতি বগুড়া উপনির্বাচনে পরাজিত হিরো আলম ডিবি প্রধানের প্রশংসা করে বলেন, ‘হারুন স্যার খুব ভালো মানুষ। তিনি আমার অভিযোগ শুনেছেন। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে তিনি আমাকে সাহায্য করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: হিরো আলমের যুদ্ধ চলবেই
এবার জরিমানার ফাঁদে হিরো আলম!
৭৬২ দিন আগে