সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।
এখান থেকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলন হচ্ছে। কূপের ১২০০ মিটার গভীরতায় এ গ্যাস পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নতুন জায়গায় গ্যাসের সন্ধান
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, গত ১৪ আগস্ট ৭ নম্বর কূপের একটি স্থানের ২ হাজার ১০ মিটার গভীরতায় দৈনিক ৬ থেকে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ৭ নম্বর কূপের আরেকটি স্থানের ১ হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অন্যান্য কূপ থেকে পাওয়া দৈনিক ৬০ থেকে ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ৭ নম্বর কূপ থেকে পাওয়া গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
এছাড়া এ বছরের ২৪ মে খননকাজ শেষে কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮ নম্বর কূপে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।
এদিকে কূপের ৩ হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাস পাওয়া যায়। ২৭ জানুয়ারি রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়নের বেশি ঘনফুট গ্যাস।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যেতে চায়। আর সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে শুধু এই কোম্পানি থেকেই প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান