অপমৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের গড় ভবানীপুর মধুডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের গড় ভবানীপুর মধুডাঙ্গী গ্রামের জহরুল ইসলামের ছেলে রুমিন ইসলাম (৬) ও শফিকুল ইসলামের মেয়ে শোভা আক্তার (৪)। রুমিন ও শোভা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাইবোন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ৬নং ভাতুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খাওয়া শেষে চাচাতো ভাইবোন বাড়ির পাশের পুকুরের ধারে খেলা করছিল। খেলার সময় পুকুরের পানিতে শোভা পড়ে যায়। ছোট বোনকে বাঁচাতে রুমিন পানিতে ঝাপ দেয়। কিন্তু তারা দু’জনই পানিতে ডুবে মারা যায়। সকাল ১০ টার দিকে স্থানীয় লোকজন পুকুরের পানি থেকে রুমিন ও শোভাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
হরিপুর থানা পরিদর্শক (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পোঁছেছি। মৃত দুই ভাইবোনের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু ( ইউডি) মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাঁতার প্রতিযোগিতায় নেমে পানিতে ডুবে কমিশনারের মৃত্যু
২ বছর আগে
মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামের কুমার নদীতে সোমবার সকালে গোসল করতে নেমে এক শিশু মারা গেছে।
নিহত সাকিকুল ইসলাম (৮) একই গ্রামের মনোয়ার হোসেন মোল্লার ছেলে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুকদেব রায় জানান, সকালে সাদিকুল বাড়ির কাউকে না জানিয়ে নদীতে গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে সে পানিতে নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে তার লাশ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে
চাঁদপুরের মতলবে যুবকের ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ উপজেলা সদরের ঘোষপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহতের আ: রহমানর (৪০) বাড়ি ময়মনসিংহ শহরের বিদ্যাগঞ্জ গ্রামে। তিনি দি একমি ল্যাবরেটরিজ কোম্পানি লিমিটেডের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, আব্দুর রহমান বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দি একমি ল্যাবরেটরিজ কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টায় কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার আবুল কাশেম উপজেলায় কর্মরত ওই কোম্পানির সকল বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে সভার আহবান করেন।
আরও পড়ুন: লকডাউন অমান্য করায় চাঁদপুরে গরুর হাট ভেঙে দিল প্রশাসন
সভায় আব্দুর রহমানকে উপস্থিত না দেখে তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দেন তার অপর এক সহকর্মী। ফোন রিসিভ না করায় তার বাসায় খোজ নিতে যান সহকর্মীরা। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় বাসার দরজা বন্ধ এবং বাসার ভিতরে মোবাইলে ফোনের শব্দ শোনা যাচ্ছে। তাকে কয়েকবার ডাকাডাকি পর কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। সাথে সাথে পুলিশ এসে বাসার দরজা ভেঙে ভিতরে দেখতে পায় ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে আব্দুর রহমানে লাশ। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারেনি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া ইউএনবি কে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৩ বছর আগে
সন্তানের নাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েই আসামি গ্রেফতার
খাতার মলাটে পাওয়া শিশুর নাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের সূত্র ধরে ৩ মাস পর সাভারের আশুলিয়ায় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে কফিল উদ্দিন হত্যা ঘটনায় রিতা বেগম (২৯) নামে ওই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
রিতা বেগম নওগাঁ জেলা সদরের চকরামচন্দ্র মহল্লার খাইরুল ইসলামের মেয়ে। নিহত কফিল উদ্দিন (৬০) জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার পাতুসি গ্রামের মৃত কাজী মুনশী শেখের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার বঙ্গবন্ধু সড়কের ডাক্তার শাফকাথ হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: সাভারে পোশাক কারখানার লিফট ছিঁড়ে শ্রমিক নিহত
আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার রিপন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রিতাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ জানান, গত ২২ মার্চ আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের ডা. সাফকাতের বাড়ির কেয়ারটেকার কফিল উদ্দিনের রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলোনা। তবে ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী এক নারী পালিয়ে যায়। সেই ঘরে তল্লাশি করে শুধু একটি খাতার মলাট পাওয়া যায়। সেই মলাটে শিশুর নাম ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই দীর্ঘ ৩ মাস পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে খুন, ‘৯৯৯’ এ ফোনের পর সন্দেহভাজন দুই হত্যাকারী আটক
রিতার বরাত দিয়ে এসআই সুদীপ কুমার গোপ বলেন, কফিল উদ্দিন সাফকাত হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। আর ওই বাসায় রিতা বেগম ভাড়া থাকতেন। সেখানে ভাড়া থাকায় কফিল উদ্দিনের সাথে ভাল সম্পর্ক হয় রিতার। এই সুবাদে কফিলের তরকারি মাছ ইত্যাদি কেটে দিয়ে সহযোগিতা করতেন রিতা। ঘটনার দিন রাতে কফিলের মাছ কেটে তার ঘরে দিতে গেলে কফিল কুপ্রস্তাব দেয় রিতাকে। এ সময় রিতা তার গলা চেপে ধরলে কফিল মেঝেতে পড়ে মারা যায়। আগে থেকেই শ্বাস কষ্টের রোগী ছিলেন কফিল উদ্দিন। ঘটনা আড়াল করতে কফিল উদ্দিনের হাতে ইন হেলার দিয়ে সকালে বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান রিতা।
উল্লেখ্য এ ঘটনায় ৩ মাস আগে অপমৃত্যুর মামলা হলেও শুক্রবার সকালে নিহতের স্ত্রী হানুফা বেগম আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে রিতা বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়।
৩ বছর আগে
সাতক্ষীরায় মাছের ঘের থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাছের ঘের থেকে এক গৃহবধূর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে শ্যামনগর উপজেলার মাজাট অনন্তপুর গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নুরনাহার বেগম (৪০) ওই গ্রামের আব্দুল গফফার গাজীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে শ্যামনগর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে অনন্তপুর গ্রামের জনৈক মোশারফ হোসেনের মাছের ঘের হতে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’
৩ বছর আগে