খাতার মলাটে পাওয়া শিশুর নাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের সূত্র ধরে ৩ মাস পর সাভারের আশুলিয়ায় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে কফিল উদ্দিন হত্যা ঘটনায় রিতা বেগম (২৯) নামে ওই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
রিতা বেগম নওগাঁ জেলা সদরের চকরামচন্দ্র মহল্লার খাইরুল ইসলামের মেয়ে। নিহত কফিল উদ্দিন (৬০) জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার পাতুসি গ্রামের মৃত কাজী মুনশী শেখের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার বঙ্গবন্ধু সড়কের ডাক্তার শাফকাথ হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: সাভারে পোশাক কারখানার লিফট ছিঁড়ে শ্রমিক নিহত
আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার রিপন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রিতাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ জানান, গত ২২ মার্চ আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের ডা. সাফকাতের বাড়ির কেয়ারটেকার কফিল উদ্দিনের রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলোনা। তবে ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী এক নারী পালিয়ে যায়। সেই ঘরে তল্লাশি করে শুধু একটি খাতার মলাট পাওয়া যায়। সেই মলাটে শিশুর নাম ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই দীর্ঘ ৩ মাস পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে খুন, ‘৯৯৯’ এ ফোনের পর সন্দেহভাজন দুই হত্যাকারী আটক
রিতার বরাত দিয়ে এসআই সুদীপ কুমার গোপ বলেন, কফিল উদ্দিন সাফকাত হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। আর ওই বাসায় রিতা বেগম ভাড়া থাকতেন। সেখানে ভাড়া থাকায় কফিল উদ্দিনের সাথে ভাল সম্পর্ক হয় রিতার। এই সুবাদে কফিলের তরকারি মাছ ইত্যাদি কেটে দিয়ে সহযোগিতা করতেন রিতা। ঘটনার দিন রাতে কফিলের মাছ কেটে তার ঘরে দিতে গেলে কফিল কুপ্রস্তাব দেয় রিতাকে। এ সময় রিতা তার গলা চেপে ধরলে কফিল মেঝেতে পড়ে মারা যায়। আগে থেকেই শ্বাস কষ্টের রোগী ছিলেন কফিল উদ্দিন। ঘটনা আড়াল করতে কফিল উদ্দিনের হাতে ইন হেলার দিয়ে সকালে বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান রিতা।
উল্লেখ্য এ ঘটনায় ৩ মাস আগে অপমৃত্যুর মামলা হলেও শুক্রবার সকালে নিহতের স্ত্রী হানুফা বেগম আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে রিতা বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়।