কয়রা
কয়রায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ
খুলনার কয়রায় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েলের বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্য দিলরুবা খাতুনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল আমাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ভুক্তভোগী দিলরুবা খাতুন আমাদী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত এক নং ওয়ার্ডের সদস্য।
দিলরুবা খাতুনের অভিযোগ, শনিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পর প্রথমে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েলের লোকজন তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান তাকে তার কক্ষে ডাকেন। সেই সময় সেখানে পরিষদের আরও কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যান চেয়ার থেকে উঠে প্রথমে কক্ষের দরজা বন্ধ করেন। এরপর কোনো কারণ ছাড়াই তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তাকে মারতে উদ্যত হলে উপস্থিত কয়েকজন তাকে নিবৃত্ত করেন। এ সময় তিনি ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলারও’ হুমকি দেন।
আরও পড়ুন: যশোরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবকের মৃত্যু
ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, রানা ও মুন্নার (চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের সহোদর ভাই) সঙ্গে দিলরুবার আগে কি হয়েছে জানি না। ওই দিন প্রথমে রানা ও মুন্না দিলরুবার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। পরে চেয়ারম্যান এসে পরিষদের কলাপসিবল গেট বন্ধের নির্দেশ দেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারতে যান। পরে সালাম সানা নামের এক ব্যক্তি দিলরুবাকে চেয়ারম্যানের হাত থেকে রক্ষা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল বলেন, একটি প্রকল্পের কাজে অনিয়ম হয়েছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে তার (ইউপি সদস্য) কাছে জানতে চাওয়া নিয়ে একটু-আধটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। এর বেশি কিছু না।
স্থানীয় সরকার বিভাগের খুলনার উপ-পরিচালক মো. ইউসুপ আলী বলেন, আমদী ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্যকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় কয়রা থানায় অভিযোগ করার কথা শুনেছি। অভিযোগের কপি পেলে জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল কয়রায় একটি খালের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আক্তারুজ্জানকে মারধর করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যানের জিয়াউর রহমান জুয়েল। সেই সময় ভুক্তভোগী সার্ভেয়ার আক্তারুজ্জান এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নারী খুন, ভাইকে মারধর
১ বছর আগে
কয়রায় অনেক বেড়িবাঁধ অরক্ষিত, আতঙ্কে খুলনার উপকূলবাসী
খুলনার কয়রা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক বেড়িবাঁধ অত্যন্ত অরক্ষিত এবং বেড়িবাঁধের কোথাও কোথাও মাত্র দুই থেকে তিন ফুট চওড়া মাটির বাঁধ রয়েছে। বেড়িবাঁধ এমন দুর্বল হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ স্থানীয় মানুষ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
এছাড়া এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ১১ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে এবং ১১ থেকে ১৫ মে’র মধ্যে তা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ সংস্কারে স্থানীয় শত শত মানুষ
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারের রাখাইন ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
তার মধ্যে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় আঘাত আনার সম্ভবনা দেখছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এটির বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।
গত বছরের মে মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় অশনি। ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে ইতোমধ্যে দিন অতিবাহিত করছে উপকূলবাসী। এরমধ্যে আবার দুর্বল বেড়িবাঁধ নিয়ে তাদের শঙ্কা বেড়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) স্থানীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ইয়াসের পর খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ২১টি জায়গায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করা হয়। পাশাপাশি ২০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধে মাটি ও বালুর বস্তা ফেলে সংস্কার করা হয়। বর্তমানে সাত কিলোমিটারের বেশি সংস্কারকাজ চলমান। তবে এখনো ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে আছে।
এলাকাবাসী ও পাউবোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলার ৬ নম্বর কয়রা, ৪ নম্বর কয়রা রিং বাঁধ, ঘাটাখালী, হরিণখোলা, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা, মঠবাড়িয়া, ২ নম্বর কয়রা, হোগলা, গাজীপাড়া, গোলখালী, হাজতখালী, জোড়শিং ও মহেশপুর এলাকার প্রায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
এদিকে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীতে পানি বাড়লে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে।
এছাড়া কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীতে পানি সরবরাহের আটটি জলকপাট অকেজো পড়ে আছে।
শাকবাড়িয়া নদীর নয়ানী ও সুতিয়া বাজার-সংলগ্ন জলকপাটটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম। জলকপাটের দুই পাশের মাটি ডেবে গিয়ে নদী থেকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে এমন আশংকা করছে স্থানীয়া।
শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধের পাশেই হেমলতা মন্ডলের (৫০) ঘর। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁধের ওপর বসে তিনি কখনো নদীর দিকে, আবার কখনো নিজের ঘরের দিকে তাকাচ্ছিলেন।
কাছে যেতেই ধসে যাওয়া বাঁধটি দেখিয়ে বললেন, আগে দুই বার ভেঙেছে। পরে বড় বাঁধ দিলেও সেটিও কয়েক দিন আগে ভেঙে গেছে। বালু দিয়ে বাঁধ দেওয়ায় এ অবস্থা। আরেকটু হলে গ্রামে পানি ঢুকবে। ভাঙন তাঁদের নিঃস্ব করেই ছাড়বে।
উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নের গাজীপাড়া ও গাতিরঘেরী এলাকায় নতুন প্রযুক্তিতে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সেই বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য পাউবোর কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জানা গেছে, তীব্র ভাঙনে সিসি ব্লক সরে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের কাটকাটা এলাকার শাকবাড়িয়া নদীর বাঁধ।
উত্তর বেদকাশী থেকে দক্ষিণ বেদকাশী পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার বাঁধের ঢালে মাটি ধসে জীর্ণশীর্ণ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও দুই পাশের মাটি সরে বাঁধ সরু হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত
১ বছর আগে
কয়রায় বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে এলাকাবাসী
সুন্দরবন ঘেঁষা খুলনার কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার ভোরে হঠাৎ করে কয়রার কপোতাক্ষ নদের তীরের হরিণখোলা বেড়িবাঁধ ও শিবসা নদীর তীরে গাতিরঘেরী বেড়িবাঁধে ধস শুরু হয়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ঘিরে আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূলীয় অঞ্চলে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের তীরে বসবাসকারীদের মাঝে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ভর করেছে।
আরও পড়ুন: ধরলার তীব্র ভাঙন মুখে ৫ শতাধিক পরিবার
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন,বাঁধের যা অবস্থা, ঘূর্ণিঝড় হলে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া ছাড়া আমাদের নিস্তার নেই।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, হরিণখোলা বেড়িবাঁধে মারাত্মক ভাঙন দেখা দিয়েছে। দুপুরের জোয়ারের আগে কাজ করতে না পারলে জমির ফসল, ঘরবাড়ি সব আবার নোনা পানিতে প্লাবিত হবে। হরিণখোলা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।
কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়রার হরিণখোলা ও গাতিরঘেরীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের নিয়ে মেরামতের কাজের প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়া কয়রায় হোগলা, দোশহালিয়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ঘাটাখালী, গাববুনিয়ার, আংটিহারা, চার নং কয়রা সুতির গেট ও মঠবাড়ির পবনাও ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মার ভাঙনে গোয়ালন্দে ফেরি চলাচল ব্যাহত
ফেরিঘাটে ভাঙন, নদীগর্ভে বিলীন বসতভিটা
২ বছর আগে
বিয়ে না দেয়ায় ছোট ভাইয়ের দায়ের কোপে বড় ভাইয়ের হাত বিচ্ছিন্ন!
খুলনার কয়রায় বিয়ে না দেয়ায় ঝগড়ার জেরে ছোট ভাইয়ের দায়ের কোপে বড় ভাইয়ের হাত বিছিন্ন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছোট ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মেঘারআইট গ্রামে শুক্রবার এই ঘটনাট ঘটে।
আহত বড় ভাই শাহাদাৎ হোসেন এবং আটক ছোট ভাইয়ের নাম শাকিল। তারা একই এলাকার সোহরাব মিস্ত্রির ছেলে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ: ‘কারিগরের’ দুই হাত বিচ্ছিন্ন
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম দোহা বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। শুক্রবার শাকিল তার বড় ভাই শাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায় ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে শাহাদাতের বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিবেশীদের কয়েকজন জানিয়েছেন শাকিল বিয়ে করতে চাইছিলেন, এই নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় বোমা বিস্ফোরণে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন
ওসি জানান,এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শাকিলকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রাক সংঘর্ষে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষিকার হাত বিচ্ছিন্ন
স্থানীয়রা জানায়, আহত শাহাদাৎকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২ বছর আগে
বাঁচার তাগিদে স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাঁধ নির্মাণ
‘একদিন আয় না করলে সংসার চলে না, তবুও বাঁচার তাগিদে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে হয়। সব ভেসে গেছে, জিনিসের দাম বেড়েছে। সংসার চালানো নিয়ে চিন্তিত।’ খুলনার কয়রায় স্বেচ্ছাসেবায় রিংবাঁধ নির্মাণ করতে আসা এক উপকূলযোদ্ধা গোপাল সরকার আক্ষেপের সাথে এমনটি জানালেন। তিনি দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের হলুদবুনিয়ায় বসবাস করেন।
দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের চা বিক্রেতা ওবায়দুল হোসেন বলেন, দিন শেষে যে আয় হয় সেটা দিয়ে কোন রকমে তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে কষ্টে দিনতিপাত করি। পানি ওঠায় কয়েক দিন দোকান বন্ধ, প্রতিদিন বাঁধে যেয়ে ফ্রি কাজ করেছি। বাজার করতে পারিনি, খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। তবে বাঁধ মেরামত করতে পেরে তিনি খুঁশি।
এমন আক্ষেপ শুধু ওবায়দুল কিংবা গোপালের নয়, অবহেলিত কয়রার লাখো মানুষের। ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষই নিম্নবিত্ত। কোথাও বাঁধ ভেঙে গেলে টিকে থাকতে স্বেচ্ছাশ্রম নিজেদেরই ঝাপিয়ে পড়তে হয় পানি আটকানোর জন্য।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, ১৪/১ নম্বর পোল্ডারে কয়রা উপজেলার শাকবাড়িয়া, মেদেরচর, ঘড়িলাল বাজার ও চরামুখা এলাকার বাঁধ মেরামতে ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কাজটিতে অর্থায়ন করেছে জাপান আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (জাইকা)। দরপত্রের মাধ্যমে ‘অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই কাজটির দায়িত্ব পায়।
প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদার জাকির মোহান্দি। তিনি তার পূর্ব পরিচিত শ্রমিক সর্দার সাতক্ষীরার আক্কাস আলীর কাছে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে লাইসেন্স ভাড়া দিয়েছেন। বিষয়টি শ্রমিক আক্কাস আলী স্বীকার করেছেন। বর্তমানে ওই কাজটি তিনিই করছেন। আর স্থানীয়ভাবে কাজ দেখাশুনা করছেন ওই মোজাফ্ফার মেম্বার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বড় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ, সরঞ্জাম ও লোকবল নেই ওই শ্রমিক সর্দারের। কাজের মান ভালো না হওয়ায় চলমান কাজের চরামুখা এলাকার বাঁধ গত ১৭ জুলাই ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দাপ্তরিকভাবে ওই কাজের তদারকির দায়িত্বে আছেন পাউবো’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মশিউল আবেদীন। তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সরঞ্জাম বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অফিস থেকেই সব দিয়েছি। যে কোন দোকান থেকে সব আনতে বলি, পরে যে ঠিকাদার কাজ পাবেন তিনি সব পরিশোধ করেন। পরে মোজাফ্ফার মেম্বারের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, তিনি ওখানের কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এজন্য উনাকে দিয়ে করাচ্ছি।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী এলাকার স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে পানি প্রবেশ রোধ করা গেছে। পাউবো’র পক্ষ থেকে বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য বাঁশ ও জিও ব্যাগ দেয়া হয়েছিল। এবার পাউবো বাঁধ শক্তিশালী করার কাজ করবে।
গত ১৩ আগস্ট জোয়ারের পানির চাপে কপোতাক্ষ নদের চরামূখা নামক স্থানের রিংবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ওই দিন থেকে টানা পাঁচ দিন স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বুধবার (১৭ আগস্ট) নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। টানা ৪ দিন বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও পঞ্চমদিনে প্রায় ৩ হাজার মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমের প্রচেষ্টায় ফের রিংবাঁধ দিয়ে কপোতাক্ষের নোনা পানি আটকাতে সক্ষম হয়েছে। তবে শুধু এবার নয়, প্রতি দুর্যোগের পর এভাবেই ভাঙা বাঁধ মেরামতে স্থানীয় মানুষকেই দায়িত্ব নিতে হয় বলে জানালেন তারা। এবার বাঁশ- সিনথেটিক ব্যাগ চাহিদা মত না পাওয়ায় কাজে চরম ভোগ পেতে হয় বলে অভিযোগ তাদের।
পড়ুন: কয়রায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণে সহস্রাধিক মানুষ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই ভোরে চরামুখার এই বাঁধের প্রায় ৩০০ মিটারের মতো ধসে যায়। সেসময় ভাঙা স্থানে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানো সম্ভব হয়। এরপর ১৩ আগস্ট দুপুরে উচ্চ জোয়ারে ওই রিং বাঁধটি পুনরায় ভেঙে যায়। এই ভাঙনে কপোতাক্ষের নোনা পানিতে ডুবে যায় ১০টির বেশি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়ে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। অভ্যন্তরিণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, মৎস্য ঘের, আমনের বীজতলা, বসতবাড়িসহ পরিবেশের চরম ক্ষতি হয়েছে।
বাঁধ মেরামতে আসা লোকজন অভিযোগ করেন, চরামুখার বাঁধটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও তারা এড়িয়ে গেছে। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের জানালে এ কাজ তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না বলে জানিয়ে দেন। উপজেলা প্রশাসনও একই কথা জানায়। অথচ বাঁধ ভাঙলে বারবার ভুক্তভোগী মানুষকেই তা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হয়।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা নাজমুল জানান, বাঁধ নির্মাণে কাজ করেছি। চাহিদা অনুযায়ী সরঞ্জামাদি দেয়া হয়নি। মোজাফ্ফার মেম্বার ও এক পাউবো কর্মকর্তার সখ্যতা রয়েছে।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমরা দেখেছি বিগত ১০ বছরে জরুরি কাজের নামে কয়রার বেড়িবাঁধ সংস্কার ও নির্মাণ বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১শ’ ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৮ হাজার টাকারও বেশি। বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ হয় না। সেখানে রয়েছে অর্থ লুটপাটের অসাধু চক্র। টেন্ডারে কাজ পেয়ে মূল ঠিকাদার নিজের লাভটা রেখে কাজটা বিক্রি করে দেন আরেকজনের কাছে। এভাবে হাতবদল হলে কাজের মান খারাপ হতে বাধ্য- এটাই দেখে এসেছি এতদিন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে চরামুখা গ্রামের খালের গোড়া নামক স্থানে কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের রিংবাঁধ মেরামত কাজ পরিদর্শন করেছেন খুলনা-৬ আসনের (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু।
এসময় তিনি বলেন, সরকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছেন যেটা একনেকে পাশ হয়েছে, এটার টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া জাইকার অর্থায়ানে ৩৫০ কোটি ব্যয়ে বেঁড়িবাধের কাজ চলমান আছে। এছাড়াও বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
পড়ুন: কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪ গ্রাম প্লাবিত
২ বছর আগে
কয়রায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণে সহস্রাধিক মানুষ
টিকে থাকার লড়াইয়ে ফের খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধ নির্মাণে নেমেছেন স্থানীয় প্রায় দুই হাজার মানুষ। কিন্তু বার বারই ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। এর আগে একই স্থানে ১৮ জুলাই (সোমবার) দুই হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হন।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ফের বাঁধ নির্মাণে স্বেচ্ছায় এই কাজে অংশগ্রহণ করেছেন উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, গত ১৭ জুলাই (রবিবার) ভোর রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪/১ প্লোডারের দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা খালের গোড়া এলাকার বেড়িবাঁধের প্রায় ২০০ মিটার ভাটার টানে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরদিন ১৮ জুলাই (সোমবার) স্বেচ্ছাশ্রমে দুই হাজার মানুষ রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হন। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হলে ওই স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কাজ না করায় গত রবিবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পুনরায় রিংবাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ নদের লোনা পানি বিস্তীর্ণ জনপদে ডুকে পড়ে।
তারা জানান, নদী ভাঙনে ঘর-বাড়ি, জমি-জমা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ১০ গ্রামের অনেক পরিবার। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। অনেকেই আবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় ভেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত
বাঁধ নির্মাণে যোগ দেয়া জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাঁশ ও ব্যাগ স্বল্পতায় কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড যে সরঞ্জামাদি দিয়েছিল সেটা যথেষ্ট ছিল না। যথেষ্ট মানুষ থাকার পরেও বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন করতে পারিনি।
দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের আক্তারুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনের কারণে আমার ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। রান্না করার কোনো ব্যবস্থা নেই। বাঁধ না হলে ছেলে মেয়ে নিয়ে কী করবো ভেবে পাচ্ছি না। সে কারণে বাঁধার কাজে নেমে পড়েছি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. মাসুদ রানা বলেন, পানিতে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ১০ গ্রাম তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে তিন হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের এবং ডুবে গেছে আমনের বীজতলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার মানুষ। ক্রমাগত ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন: কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত
এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের চরম গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এই ইউপি সদস্য।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, একই স্থানে বারবার ভাঙা দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই ভোগান্তি।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ওই এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে দ্রুত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত জনমনে স্বস্তি নেই। কারণ বিগত ১০ বছরে জরুরি কাজের নামে কয়রার বেড়ি বাঁধ সংষ্কার ও নির্মাণ বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১৪২ কোটি ৫৮ লাখ আট হাজার টাকারও বেশি। অথচ সেইসব জোড়াতালিতেও লুটপাট বাঁধ সংস্কারের নামে যেটুকু কাজ হয়, সেখানেও রয়েছে আমলা, কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ঠিকাদার মিলিয়ে সরকারি তথা জনগণের অর্থ লুটপাটের অসাধু চক্র।
এই নাগরিক নেতা বলেন, টেন্ডারে কাজ পেয়ে মূল ঠিকাদার নিজের লাভটা রেখে আরেক জনের কাছে কাজটা বিক্রি করে দেন। এভাবে হাতবদল হলে কাজের মান খারাপ হতে বাধ্য, এতদিন এটাই দেখে এসেছি। তাই এবার আর এমনটি চাই না।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবন প্লাবিত
তিনি বলেন, কয়রায় নদী ভাঙনের কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে রাস্তাঘাটে কিংবা পরের জমিতে আশ্রয় নেন। অনেকে আবার সর্বস্ব হারিয়ে ভাসমান কচুরিপানার মতো শহর ও বন্দরে পাড়ি দেন। যাদের প্রকৃত হিসাব সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। শুধু দক্ষিণ বেদকাশী নয়, উপকূলীয় এ উপজেলার প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষকে নদীভাঙনের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয়। একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে এতোদিন কয়রার মানুষ আন্দোলন করে আসছিল। এখন বরাদ্দ হয়েছে, এবার আন্দোলন সচ্ছতার সঙ্গে কাজটি বাস্তবায়নের বিষয়টি বুঝে নেয়ার।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ণের বোর্ডের (বিভাগ-২) উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পুর) মো. মশিউল আবেদিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধ মেরামতের মাধ্যমে পানি আটকানোর জন্য মানুষ কাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে বস্তা ও বাঁশ দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে। পানি আটকানোর পর মূল ক্লোজারে কাজ করা হবে।
২ বছর আগে
কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত
খুলনার কয়রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১৪/১ নং পোল্ডারের চরামুখা স্থানে কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী বেড়িবাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই এলাকার কয়েকশত একর মৎস্য ঘের ডুবে গেছে।
প্লাবিত গ্রামবাসী জানায়, অনেক দিন ধরে ওই স্থানের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য স্থানীয়রা বেশ কয়েক দিন ধরে স্বেচ্ছায় কাজ করেছে। কিন্তু রবিবার ভোরে জোয়ারে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। দুপুরের জোয়ারে শেষ পর্যন্ত আর পানি আটকানো সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: টেকসই বেড়িবাঁধ ও সুপেয় পানির দাবি সাতক্ষীরার উপকূলবাসীর
বেড়িবাঁধ মেরামতের বিষয়ে পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ব) মশিউল আবেদীন বলেন, বাঁধটি অনেক দূর পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাইলেও দ্রুত মেরামত বা সংস্কার সম্ভব ছিল না। তাছাড়া নদীতে জোয়ারের পানি না কমলে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙে ৩ গ্রাম প্লাবিত
এ ব্যাপারে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস জানান, প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং সেই সঙ্গে দ্রুত বাঁধ মেরামতের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
২ বছর আগে
খুলনায় নারী নির্যাতনের মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
খুলনার কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি কুচির মোড়ে সন্তানদের সামনে মাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মামলার ২ নম্বর আসামি আফছার গাজী (৪০) এবং ৫ নম্বর আসামি আখফর হোসেন গাজী।
শনিবার সন্ধ্যায় কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম আলী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ড পীর গ্রেপ্তার
তিনি জানান, শনিবার দুপুরে আসামি আফছার গাজী ও আখফর হোসেন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে মামলার পরপরই আসামি আরাফাত হোসেন ও সাইদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইয়াবা জব্দ, দম্পতিসহ গ্রেপ্তার ৩
এর আগে ঘটনার চারদিন পরে ভিকটিমের বাবা আব্দুল গফফার গাজী বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
২ বছর আগে
কয়রায় ভুয়া ডাক্তার গ্রেপ্তার
খুলনার কয়রা থেকে মোবারক হোসাইন নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার অর্জুনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে খুলনা জেলার কয়রা থানার অর্জুনপুর এলাকায় এক ব্যক্তি র্দীঘদিন যাবৎ ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার পদবী বহন করে ভুল চিকিৎসা প্রদান করে আসছে এবং প্রতারণার মাধ্যমে নিরীহ রোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে৷ ওই সংবাদের প্রেক্ষিতে র্যাব-৬ এর অভিযানিক দলটি এই সংক্রান্তে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, কাউন্সিলর পুত্র গ্রেপ্তার
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল কয়রা উপজেলার অর্জুনপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত মো. মোবারক হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় ভুয়া ডিগ্রী সম্বলিত খালি চিকিৎসাপত্রসহ চিকিৎসাকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন:খুলনায় মাদকসহ ৪ পুলিশ গ্রেপ্তার
এতে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে কয়রা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, চুরি ও মারামারিরসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া বরিশালে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে দণ্ডিত হয়েছে।
২ বছর আগে
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত, বাসে আগুন
খুলনার কয়রায় বাসের চাপায় এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বমিয়া সরদারবাড়ি মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রমজান আলী (১৪) উপজেলার বামিয়া গ্রামের কিনু আলী সরদারের ছেলে এবং বামিয়া এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রমজান আলী সাইকেলে করে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে সে বামিয়া সরদারবাড়ি মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পাইকাগাছাগামী একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সে সাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে এবং বাসের সামনের চাকা তার মাথার ওপরে উঠে যায়। এর ফলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সড়ক অবরোধ করে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
কয়রা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবন দাশ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষিণকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
২ বছর আগে