বাংলাদেশি যুবক
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
ঠাকুরগাঁওয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোড়া গুলিতে নাইমুর রহমান নাইম নামে এক বাংলাদেশি যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কোটাপাড়া বিজিবি সিমান্তের ৩৮৩/২ এস মেইন পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, গ্রেপ্তার ১
গুলিবিদ্ধ নাইমুর রহমান নাইম (২২) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
নাইমের চাচা আলমগীর বলেন, ‘আমরা চাচা-ভাতিজা নো ম্যানস ল্যান্ডের থেকে দূরে আমাদের জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলাম। এসময় সীমান্তের ওপারের ভারতীয় বিএসএফের ভেলাগাছি ক্যাম্পের সদস্যরা নাইমকে লক্ষ্য গুলি ছোড়েন। তাকে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই। পরে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেই।’
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাকিবুল আলম চয়ন বলেন, ‘গুলিতে তার ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেছে।’
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার
সিলেট সীমান্তে খাসিয়ার গুলিতে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু
৩ মাস আগে
কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. হাসান নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালের দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের কাইমপুর গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক। হাসান তার ৫ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট এবং হাসানের স্ত্রী ও ৪ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: গোমস্তাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকায় ভারত সীমান্তের ২০৫০ পিলার এলাকায় হাসানসহ ৪/৫ বন্ধু শূন্য রেখা এলাকায় ঘুরতে যায়।
এ সময় ভারতের ওই এলাকার ৩ নম্বর গেট দিয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাসানের শরীরের পেছনের দিকে আঘাত করে। এতে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় কয়েকজন লোক তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক (সিও) জাবেদ বিন জব্বার সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক বিএসএফের গুলিতে মারা যাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি।’
এদিকে দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে ঘটনাটির আনুষ্ঠিানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং বিএসএফ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অনাকাঙ্খিত ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত
৬ মাস আগে
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নুরুল হুদা লিটন নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে জোহান্সবাগে লিটনের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিতে নিহত নুরুল হুদা লিটন দাগনভূঞা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব জগতপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদের বাড়ির এবাদুল হকের ছেলে।
আরও পড়ন: নেত্রকোণায় প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার বিয়ের জন্য বাড়িতে কনে দেখে রাখা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ নুরুল হুদার দেশে আশার কথা ছিল।
নুরুল হুদার জ্যাঠাতো ভাই মনির হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ শেষে গাড়িতে উঠতে গেলে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দাগনভূঞা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার লাশ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ন: গাইবান্ধায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাছ বাজারে প্রাইভেটকার, নিহত ৩
রাজশাহীতে অসুস্থ বাবাকে দেখতে যেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মেয়ে নিহত
৯ মাস আগে
বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে দু’দেশের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দর্শনা পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও একই পাড়ার খাঁজা মঈনুদ্দিনসহ ৫/৬ জন ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার পর দর্শনার কামারপাড়া-বারাদী সীমান্তের ৮২ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ওইদিন দিবাগত গভীর রাতে তারা ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন ৩২ গোবিন্দপুর বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) ক্যাম্পের একটি টহল দলের মুখোমুখি হয়। এ সময় বিএসএফ দল তাদের লখ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন সাইদুল ও খাঁজা মইনুদ্দিন।
ঘটনার পরদির রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যান।
ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি-বিএসএফের কাছে চিঠি দিলেও বিএসএফ তাতে সারা না দেওয়ায় লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসেও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, আহত ৩ বাংলাদেশি
এদিকে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে লাশ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। ফলে লাশ নিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ৮২ পিলারের কাছে কৃষ্ণনগর থানার ওসি বিপেন সরকার লাশ হস্তান্তর করলে আমি দর্শনা থানা ওসি হিসেবে লাশ দুটি গ্রহণ করি। সন্ধ্যার পর লাশ তাদের পরিবারের কাছে বুঝে দেওয়া হয়।
এ সময় বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন এর এডি মো. হায়দার ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার রাজেস নারায়ন উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
১০ মাস আগে
বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ ১৭ দিন পর হস্তান্তর
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আরিফুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে ১৭ দিন পর হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
শুক্রবার বিকালে শ্যামকুড় সীমান্তে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ ঘটনার ১৭ দিন পর মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় চেয়ারম্যান ঘাট সীমান্ত দিয়ে তার লাশ ফেরত দেয়া হয়।
এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বিএসএফ, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। নিহত আরিফুল ইসলাম (২৮) শ্যামকুড় গ্রামের মৃত আফিজ উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত: অবশেষে লাশ হস্তান্তর
বিএসএফ ও ভারতের হাঁসখালী থানা পুলিশ লাশ নিয়ে পৌঁছালে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। নিহতের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন। পরে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে লাশ হস্থান্তর করেন ভারতীয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে ভারতের হাঁসখালী থানার পাখিউড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে আরিফুলের মৃত্যু হয়। পরে বিএসএফ সদস্যরা তার লাশ নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
১ বছর আগে
ভারতে ২১ মাস জেল খেটে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি যুবক
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে প্রায় দু’বছর জেল খেটে শুক্রবার দুপুরে সিলেটের তামাবিল অভিবাসন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশি এক যুবক।
ফেরত আসা মো. আলী হোসেন (৩০) শেরপুরের নালিতা বাড়ি উপজেলার বাটকুচি টিলাপাড়া গ্রামের মো. ফরহাদ হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া দুই নারীকে ফেরত পাঠাল ভারত
তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রনু মিয়া বলেন, ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে দেশটির পুলিশ দু’বছর আগে তাকে আটক করে। ২১ মাস কারাগারে থাকার পর ভারতীয় অভিবাসন পুলিশ তামাবিল অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে আলী হোসেনকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আটক বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
২ বছর আগে
শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতের অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আজমতপুর বাগিচাপাড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইব্রাহিম (২৪) শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের আজমতপুর ঢুলিপাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে।
নিহতের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, গতকাল রাতে ইব্রাহিম সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিল। সকালে আমরা জানতে পারি বিএসএফের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন। তবে লাশ সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তের ওপারে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতের অভিযোগ
শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক জানান, দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির লাশ বিএসএফের কাছে রয়েছে।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমির হোসেন মোল্লা জানান, আজমতপুর বাগিচাপাড়া সীমান্তের ১৮২/২-এস নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় ভারতীয় অংশে গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে নিহত ব্যক্তি বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে কি না বা বাংলাদেশি কি না এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: নওগাঁও সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
কালীগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ'র গুলিতে ২ যুবক নিহতের অভিযোগ
২ বছর আগে
রাজশাহী সীমান্তে বাংলাদেশি যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
রাজশাহীর পবা উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত থেকে বুধবার সকালে এক বাংলাদেশি যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত মো. মিঠুন (২৫) উপজেলার চর মাঝাড়দিয়াড়ের হারুমণ্ডলের পাড়ার মনজুর হোসেনের ছেলে।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল জানান, মিঠুন চরে মোটরসাইকেল চালক ছিলেন। ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে মোটরসাইকেল চালাতেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশিদের বাড়িতে বিএসএফ’র হামলার অভিযোগ
বিজিবি রাজশাহীর-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ বলেন, ভারতীয় সীমান্ত থেকে প্রায় ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিঠুনের লাশ পড়ে ছিল। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। সকালে জানতে পেরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তে অনুপ্রবেশের সময় আটক ৪
এ বিষয়ে রাজশাহীর দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব হোসেন জানান, কে গুলি করেছে তা তদন্তে বের হয়ে আসবে।
৩ বছর আগে
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রিফাত হোসেন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরনগর কানিরবাড়ী সীমান্তের ৮৬২ নম্বর মেইন পিলারে এ ঘটনা ঘটে।
রিফাত হোসেন উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের মুন্সিরহাট নাজিরগোমানী এলাকার ইসলাম হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকবে আরও ১৪ দিন
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরনগর কানিরবাড়ী সীমান্তের ৮৬২ নম্বর মেইন পিলারে সীমান্ত রেখা এলাকায় ৭-৮ জন গরু চোরাকারবারি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে রিফাত হোসেন নিহত হন। রিফাতের মরদেহ বিএসএফ ও মাথাভাঙা থানা পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জগতবেড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহ আলম রিফাত হোসেনের পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, নিহত রিফাতের গলায় ও মাথার পেছনে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফ'র বাধায় সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ
এ বিষয়ে রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর কোম্পানি কমান্ডার বেলাল হোসেন বলেন, ‘মরদেহ ফেরত নিয়ে আসার জন্য কোচ বিহার ১৪০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করা হবে। সেখানে প্রতিবাদ জানানো হবে।’
৩ বছর আগে
রৌমারী সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে রাশেদুল মিয়া (২৫) নামের এক বাংলাদেশি যুবককে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাটকড়াইবাড়ী নামক সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার নং ১০৫৬ -এর নিকট থেকে তাকে আটক করে।
আটক রাশেদুল উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাটকড়াইবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিএসএফ’র গুলিতে আহত ভারতীয় কিশোরকে হস্তান্তর
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাশেদুল মিয়া চোরাই পথে ভারত থেকে গরু পাচার করে আনার জন্য সীমান্তে যান। এ সময় ভারতের গুটালু ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান মিজান।
জামালপুর ৩৫, বিজিবির অধীন দাঁতভাঙ্গা ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান জানান, রাশেদুলের পরিবারের কাছে তার আটকের খবর পেয়ে বিএসএফের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
৩ বছর আগে