তৃতীয় ঢেউ
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
শনিবার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১১ হাজার ৫৮৮ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, যা গত বছরের আগস্টের পর একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এছাড়া একদিনে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ইন্দোনেশিয়া গত বছর করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। গত ডিসেম্বেরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ২০০-এ নেমে এসেছিল। তবে ওমিক্রন সংক্রমণ শনাক্তের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৫৬ লাখ ছাড়িয়েছে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সংক্রমণ অত্যন্ত দ্রুত বাড়বে। আমরা শিগগিরই সংক্রমণ বৃদ্ধি দেখতে পাব। বর্তমান ঢেউ সম্ভবত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বা মার্চের শুরুতে শীর্ষে উঠবে৷
তিনি বলেন, সরকার কোভিড রোগীদের জন্য আরও শয্যা বৃদ্ধি করেছে। সব এলাকায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ওমিক্রন প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল রাজধানী জাকার্তা। যদিও রাজধানীর ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে বলে জাকার্তার ডেপুটি গভর্নর আহমদ রিজা পাত্রিয়া জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার লঙ্কান ক্রিকেটার ইসুরু উদানা করোনায় আক্রান্ত
২ বছর আগে
বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু!
গেল এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৩৫ লাখ বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাসের তথ্যমতে, গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে অতিরিক্ত শনাক্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ লক্ষে।
পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বর্তমান অবস্থা গত মে মাসের মতো রূপ ধারণ করায়, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বিশ্বজুড়ে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শুরু হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এর আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন যে, মহামারি করোনার আরেকটি ঢেউয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে বর্তমান বিশ্ব।
বার্তা সংস্থা তাস গত এক সপ্তাহের বিশ্ব করোনার একটি বিশ্লেষণ ভিত্তিক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি মানুষ
নতুন সংক্রমণের বৃদ্ধিগত বসন্তকালের সময় থেকেই যেসব দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ কমে এসেছিল, সেসকল দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ হাজারের অধিক করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে, যা গত মে মাসের পর থেকেই নিম্মগামী ছিল। এমনকি গত জুনে দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে নেমে এসেছিল।অপরদিকে রাশিয়াতে, পুরো জুন মাস জুড়ে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ২০ হাজারের নিচে যায়নি। কিন্তু গত দুইদিন ধরে দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যা ২৫ হাজারের অধিক পরিলক্ষিত হচ্ছে।এদিকে পশ্চিম ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন ৫০ হাজারের অধিক এবং নেদাল্যান্ডে ১০ হাজারের অধিক সংক্রমণ ধরা পড়ছে।এছাড়া ইতালি এবং জার্মানির করোনা পরিস্থিতি প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ফ্রান্সের করোনা সংক্রমণের হার ১.৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পর করোনায় চলে গেলেন সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন
নতুন সংক্রমণের হ্রাসপরিসংখ্যান অনুযায়ী, ল্যাটিন আমেরিকায় চলা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ কমছে। ব্রাজিলে টানা দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের হার কমে চলেছে, যা বর্তমানে দৈনিক ৪০ হাজারের কম।ব্রাজিলের প্রতিবেশী দেশ আর্জেন্টিনাতে করোনার সংক্রমণ প্রায় ২.৭ গুণ হারে হ্রাস পাচ্ছে।অপর দিকে কলম্বিয়াতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ করোনা সংক্রমণ কমেছে। দেশটিতে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে।পৃথিবীর আরেক প্রান্তের দেশ সাউথ আফ্রিকাতেও করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। দেশটিতে গত সপ্তাহেই সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা গেলেও, বর্তমানে সংক্রমণের হার কমে আসছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ২০৪, শনাক্ত ৮৪৮৯
মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধিপরিসংখ্যান অনুসারে গত সাত দিনে বিশ্বে প্রায় ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনার কারণে মারা গেছেন, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২ হাজার ৫শ’ বেশি।ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেশটিতে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, যা গুরুতর অবস্থার দিকে ধাবিত হওয়ার ইঙ্গিত করছে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত শুধু ব্রাজিলেই প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ২’ মানুষ মৃত্যুর রেকর্ড দেখা গেছে।অপরদিকে রাশিয়াতও প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেশটিতে গত শুক্রবার প্রায় ৮০০ জন করোনা রোগী মারা যায়।তবে আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়াতে মৃত্যুর সংখ্যা আশানুরূপভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
৩ বছর আগে
স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীন হলে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা মন্ত্রীর
স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীন হলে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউ আমরা সফলভাবে সামলে নিয়েছিলাম। মানুষের স্বাস্থ্যবিধিতে ব্যাপক অনীহা ও অবহেলার কারণে দেশে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। এখন দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা কমে যাচ্ছে। তবে প্রথমম ঢেউয়ের পর যেভাবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীন হয়েছিল সেই ঘটনা আবার ঘটতে দিলে খুব দ্রুতই দেশে তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে পারে।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা শিগগিরই কেটে যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, মানুষ যুদ্ধ করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে কিন্তু মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য মানুষ খুব বেশি ভাবেনি এবং স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে তেমন কোন পরিকল্পনাও নেয়নি।
আরও পড়ুন: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২১ লাখ টিকা আসছে
তিনি বলেন, ‘এবারের করোনা মহামারিতে বিশ্ব বুঝতে পেরেছে যে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ কতটা জরুরি বিষয়। করোনা দেখিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়া এ পৃথিবীতে মানুষ বেশিদিন বাঁচতে পারবে না। আমাদের দেশেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাজেট অনেক কম। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বৃদ্ধিসহ বিনিয়োগও বৃদ্ধি করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। ভারত থেকে এই ভাইরাস আমাদের দেশেও চলে আসতে পারে। এ কারণে আগামীতে স্বাস্থ্যখাতের সকল পর্যায়ের কর্মীদের সতর্কতার সাথে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমেরর সভাপতিত্বে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কমিউনিটি ক্লিনিকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
৩ বছর আগে