ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুক্তযুদ্ধকালীন পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত ও শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের ছেলেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলফাডাঙ্গা উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হারিচুর রহমান সোহানকে সংগঠনের উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, হারিচুর রহমান সোহানের বাবা আলফাডাঙ্গা উপজেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মোল্যা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ট্রাকচাপায় ২ বন্ধু নিহত
এতে বলা হয়, আবদুর রহমান মোল্লা আলফাডাঙ্গা উপজেলায় পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত। সরকারের গেজেটে রাজাকার হিসেবে তার নামও রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন তিনি।
এছাড়া আবদুর রহমানের বড় ছেলে নুরুল ইসলাম লিটন স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং এক সময় উপজেলা যুবদলের সভাপতিও ছিলেন। পদ পাওয়া সোহান ছাত্র জীবনে কোনোদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেননি। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কোনো সভা-সমাবেশেও যোগ দেননি তিনি। ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি এনায়েত হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রবিন অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘কোনো স্বাধীনতা বিরোধীরপুত্র স্বেচ্ছাসেবক লীগে আসতে পারবে না। আমরা তদন্ত করব। সত্যতা পেলে যারা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ বলেন, ‘উপজেলা কমিটি আগে থেকে আমাদের কিছু জানায়নি। আমরাও হারিচুর রহমান সোহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছেন তার বাবা একাত্তরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।’