নোটিশ
৪ শতাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের নোটিশ বোয়িংয়ের
প্রফেশনাল অ্যারোস্পেস লেবার ইউনিয়নের ৪০০-এর বেশি সদস্যকে ছাঁটাইয়ের নোটিশ পাঠিয়েছে বোয়িং।
সিয়াটল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে সোসাইটি অব প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং এমপ্লয়িজ ইন অ্যারোস্পেস বা এসপিইইএ'র সদস্যদের কাছে গোলাপি স্লিপগুলো পাঠানো হয়। জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত শ্রমিকরা বেতনভুক্ত থাকবেন।
অক্টোবরে বোয়িং ঘোষণা দিয়েছিল, আগামীতে ১০ শতাংশ এবং প্রায় ১৭ হাজার কর্মী চাকরি ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে কোম্পানিটি।
সিইও কেলি অর্টবার্গ কর্মীদের বলেন, ‘আমাদের আর্থিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য কর্মী স্তরগুলো পুনরায় সাজাতে হবে।’
এসপিইইএ ইউনিয়ন জানিয়েছে, ৪৩৮ জন সদস্যকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ইউনিয়নের স্থানীয় শাখায় ১৭ হাজার বোয়িং কর্মী রয়েছেন। তাদের অধিকাংশই ওয়াশিংটন রাজ্যে অবস্থান করছেন। তবে কিছু কর্মী ওরেগন, ক্যালিফোর্নিয়া ও উটাহতে অবস্থান করছেন।
৪৩৮ জন কর্মীর মধ্যে ২১৮ জন এসপিইইএর পেশাদার ইউনিটের সদস্য। এর মধ্যে প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীরা রয়েছেন। বাকিরা কারিগরি ইউনিটের সদস্য। এর মধ্যে বিশ্লেষক, পরিকল্পনাবিদ, প্রযুক্তিবিদ ও দক্ষ ব্যবসায়ী রয়েছেন।
যোগ্য কর্মীরা ক্যারিয়ার ট্রানজিশন সেবাসমূহ এবং তিন মাস পর্যন্ত ভর্তুকিসহ স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা পাবেন। কর্মীরা সেভারেন্স প্যাকেজ হিসেবে প্রতি বছরের পরিষেবার জন্য প্রায় এক সপ্তাহের বেতন পাবেন।
বোয়িংয়ের ইউনিয়নভুক্ত মেশিনিস্টরা ধর্মঘটের পরে এই মাসের শুরুতে কাজে ফিরতে শুরু করেছিলেন।
এই ধর্মঘট বোয়িংয়ের আর্থিক অবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করে।
ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে অবস্থিত বোয়িং আর্থিক ও নিয়ন্ত্রক সমস্যার মধ্যে রয়েছে। উৎপাদন হার অত্যন্ত ধীর হয়ে গেছে এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ৭৩৭ ম্যাক্সের উৎপাদন প্রতি মাসে ৩৮টি বিমান পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করেছে। এটি এখনও পূর্ণ করতে পারেনি বোয়িং।
৪ দিন আগে
সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে ৩ মাস আগে নোটিশ দিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত জানিয়েছেন, কোনো সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে তিন মাস আগে নোটিশ দিতে হবে।
তিনি জানান, হুট করে বা কম সময়ের নোটিশে কোনো সংবাদকর্মীকে প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে আসা ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি।
এ সময় সাংবাদিকতার নামে যারা অপ-সাংবাদিকতা করে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অপতথ্যকে দমন করতে গিয়ে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করতে চায় না। এটা সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বক্তব্য।
আরও পড়ুন: সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখছে বেতার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ফেইসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে একটি জবাবদিহিতার মধ্যে আনা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের এমন দাবিরও সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ক্লিন ফিড ছাড়া কেউ টেলিভিশন চালাতে পারবে না। এমনটা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া সারাদেশে ক্যাবল নেটওয়ার্কের কাজ শিগগিরই ডিজিটালাইজড করার কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
সিইসির পদত্যাগ ও ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ ফয়জুল করিমের
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ ও সাংবিধানিক পদে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল বাসেত এই আইনি নোটিশ পাঠান।
এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ফয়জুল করিম ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ নেতাকর্মী তার ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
তবে প্রিজাইডিং অফিসার ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা সত্ত্বেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরে সাংবাদিকরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এতে বলা হয়েছে, এই বক্তব্যের কারণে তিনি রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নৈতিক ও আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আপনার উপরোক্ত বক্তব্যটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অবৈধ, যার ফলে আমার মক্কেলের অপূরণীয় শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে (এর জন্য আপনি দায়ী)। তাছাড়া, তার খ্যাতি এবং ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে... তার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
এতে বলা হয়েছে, ‘এমন পরিস্থিতিতে, আপনি, নোটিশ প্রাপক, উপরোক্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনৈতিক বিবৃতি প্রত্যাহার করবেন এবং নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জাতীয় দৈনিক--প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রকাশ করবেন।’
‘এছাড়াও, আপনি 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার' পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং আমার মক্কেলকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে৫০০ কোটি টাকা দেবেন।’
এতে বলা হয়, ‘অন্যথায়, নোটিশের মেয়াদ শেষে আমার মক্কেল দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে যথাযথ আদালতে নোটিশ প্রাপকের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।’
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
১ বছর আগে
সিলেট সিটি নির্বাচন: আ. লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (৩০ মে) সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়সল কাদিরের সই করা চিঠিতে উক্ত দুই মেয়র প্রার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
আনোয়ারুজ্জামান ও বাবুলকে প্রদত্ত চিঠিতে বলা হয়, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
সিলেটে ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনী আচরণবিধির তোয়াক্কা না করেই তারা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আচরণ বিধিমালা ৩২ বিধি অনুযায়ী কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের লিখিত জবাব দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদির বলেন, দুই মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছি। তাই তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তাদের জবাবের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটিতে ইভিএমে ভোট হবে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সরে দাঁড়ালেন আরিফ
১ বছর আগে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) হাইকমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগের ওপর চার বছর আগে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় এবং কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিবিড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া যে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হয়, এটা তারই ফলশ্রুতি।
পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর দুই দেশের সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহে প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন করে ২০২২ সালে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়।
সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্ত লেবার ডিপার্টমেন্ট ৮ হাজার ৭২৭টি নিয়োগের ডিমান্ডের বিপরীতে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯২ জন বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯৫ জন নতুন কর্মী মালয়েশিয়ায় এসে পৌঁছেছে। বাকি প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর আগমন প্রক্রিয়াধীন আছে।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২/৩ বছরে মধ্যে মালয়েশিয়ায় আনুমানিক মোট পাঁচ লাখ নতুন বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হবে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ‘ভারত বিচিত্রা’ পত্রিকাটিকে দুই দেশের বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে উল্লেখ ভারতীয় হাইকমিশনারের
এদিকে, মালয়েশিয়ায় আসার পর কিছু সংখ্যক বিদেশি কর্মী সঠিক কাজ পাচ্ছেনা বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, সোস্যাল মিডিয়া ও ব্যাক্তিগত সোর্স থেকে জানা গেছে। তারমধ্যে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীও সমস্যায় পড়েছে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন অবহিত হয়েছে।
এ বিষয়ে, হাইকমিশন নিজস্ব উদ্যোগে এবং মালয়েশিয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কিছু সংখ্যক কর্মীদের কাজ দিতে নিয়োগকর্তাকে বাধ্য করেছে। বাকী কর্মীদের নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে কিছুটা আলোকপাত করা প্রয়োজন বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন মনে করে। মালয়েশিয়া সরকারের বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমোদন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হলে একজন কর্মীও কর্মহীন হওয়ার কথা নয়।
কারণ, মালয়েশিয়ায় সারা দেশব্যাপী লেবার ডিপার্টমেন্টের শাখা-প্রশাখা রয়েছে। একমাত্র তারা যদি সঠিক যাচাই-বাছাই করে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন অনুমোদন করেন তাহলেই বিদেশি কর্মীদের সঠিক চাকরি, কর্ম পরিবেশ, আবাসন ও মজুরি নিশ্চিত হবে।
তাছাড়াও, মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী দেশি-বিদেশি সব কর্মীর আইনগত সব অধিকার নিশ্চিতের দায়িত্ব লেবার ডিপার্টমেন্টের ওপর এবং সে লক্ষ্যে ওই প্রতিষ্ঠানকে সাংগঠনিক ও আইনগত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোনো দেশের দূতাবাসের পক্ষেই শতভাগ যাচাই-বাছাই করে কর্মী নিয়োগের ডিমান্ড সত্যায়ন করা সম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে, দূতাবাসকে আবশ্যিকভাবে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করতে হবে। এটা বাংলাদেশসহ সব সোর্সিং কান্ট্রির দূতাবাসের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
বাংলাদেশ দূতাবাস আনুমানিক ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সঠিক আছে কি-না সে সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ডিমান্ড সত্যায়ন করে থাকে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
বাকি আনুমানিক ৫ ভাগ ডিমান্ডের বিপরীতে দূতাবাস নিয়োগকর্তার অফিস/প্রজেক্ট সাইট ইত্যাদি ভিজিট করে সত্যায়ন করে থাকে। শতভাগ প্রজেক্ট /ফ্যাক্টরি তথা হাজার হাজার নিয়োগ প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে ভিজিট করা দূতাবাসের পক্ষে বাস্তবিকভাবেই অসম্ভব।
মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের পক্ষেই একমাত্র সম্ভব। তাই, মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের ছাড়পত্রের ওপর আস্থা রেখে শ্রমিক পাঠানোটাই যুক্তিসংগত এবং শ্রমিক পাঠানো অন্যান্য সব দেশ এটাই করছে।
তাছাড়া, শতভাগ প্রজেক্ট দূতাবাস ভিজিট করে ডিমান্ড সত্যায়ন করতে হলে কর্মী আসার গতি এতই ধীর হবে যে, যেটা কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
অপরদিকে, প্রতিযোগী দেশসমূহ সেই সুযোগ গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ তার যথাযথ সুফল থেকে বঞ্চিত হবে।
তবে, এক্ষেত্রে ডিমান্ড সংগ্রহকারী বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহ তাদের মালয়েশিয়ার সহযোগী এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগকর্তার সঠিকতা এবং বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের সক্ষমতা যথাযথভাবে যাচাই করার পর শ্রমিক প্রেরণের কার্যক্রম গ্রহণ করলে শ্রমিকদের কর্মহীনতার ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে সতর্ক করেছে, যাতে দূতাবাস কোনো প্রজেক্ট সাইট/কোম্পানি সরেজমিনে যাচাই করতে না যায়।
কূটনৈতিক পত্রে তারা জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার যে কোনো কোম্পানি পরিদর্শনের একমাত্র এখতিয়ার মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় সভায়ও বিষয়টি বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে এবং কর্মী নিয়োগের ডিমান্ডের যথার্থতা নিশ্চিতের দায়িত্ব মালয়েশিয়ার সরকারের বলে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর প্রতিনিধি বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনকে কোম্পানি ভিজিট থেকে বিরত থাকার জন্য পুনরায় বলা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় আসার পর কাজ না পাওয়া কর্মীর সংখ্যা মোট আগত কর্মীর তুলনায় খুবই কম এবং এটি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণযোগ্য সীমার মধ্যে রয়েছে। এটিা শুধু বাংলাদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রেই হচ্ছে না, নেপাল ও মিয়ানমারসহ অনেক দেশের শ্রমিকও এ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশি কর্মীদের নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ পরিস্থিতির অবনতি না হয়, সে বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে তারা নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে করে বৈধভাবে আগত একজন বাংলাদেশি কর্মীও মালয়েশিয়াতে বিড়ম্বনার শিকার না হয়।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ এবং ব্যবস্থাপনার বাস্তবতার বিষয়টি সব সচেতন মহল সম্যক অবহিত আছেন। মালয়েশিয়ার নতুন সরকার এ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশকে অবহিত করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশনের 'ওপেন হাউজ' মতবিনিময় সভা
সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের দীর্ঘদিনের পুরানো ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মালয়েশিয়ার বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনাকে বাংলাদেশ হাইকমিশন সাধুবাদ জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন বিশাল এ কর্মযজ্ঞ পূর্ণ আন্তরিকতা ও সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। লক্ষ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীর নিরাপদ অভিবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে।
এক্ষেত্রে, কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সব চ্যালেঞ্জকে বিবেচনায় রেখে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন শ্রমিক নিয়োগের ডিমান্ডসমূহের অনুমোদনের সত্যতা এবং নিয়োগকারীর সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু কোম্পানি সরেজমিনে তদন্তের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ কার্যক্রম পরিচালনায় হাইকমিশনের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার শিথিলতাকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে না।
মহৎ এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ হাইকমিশন সব সচেতন মহল এবং সব অংশীজনের যথাযথ দায়িত্ববোধ, পূর্ণ আন্তরিকতা ও সহায়তা প্রত্যাশা করে।
১ বছর আগে
ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ বলেন, আদালত বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। এটাই আমাদের সংবিধানের স্পিরিট। কাউকে কানসহ মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা যাবে না।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাবির বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন। ঢাবি ভিসি,বাংলা বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আজিজুল হক সাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮/৯/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন),মিডটার্ম পরীক্ষা,চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে। এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬/১২/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিতে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ‘১৮/৯/২০২২ তারিখে গৃহীত উপরোক্ত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ: ছাত্র অধিকার পরিষদের সোহাগ-মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
১ বছর আগে
হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে হাওয়া সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন ও সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ বরাবর এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে হাওয়া সিনেমাটির ছাড়পত্র বাতিল করে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি সেন্সরবোর্ড পুনঃগঠন করে বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো সিনেমার ছাড়পত্র দেয়ার আগে চলচ্চিত্রটিতে যেন ভায়োলেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর কোনো ধারার লঙ্ঘন না হয় সে ব্যাপারে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে গত ২৯ জুলাই দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পাওয়া মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় ট্রলারে থাকা একটি খাঁচায় শালিক পাখি বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে সেটিকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
'হাওয়া’ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত এ ধরনের অপরাধের ফলে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়ায় উৎসাহিত হবে। এই দৃশ্য ধারণের জন্য বনবিভাগের কোনো অনুমতিও নেয়া হয়নি। বন্যপ্রাণী হত্যা এবং খাওয়ার দৃশ্য দেখে মানুষ মনে করতে পারেন যে, এটা করা যায়। তারা এগুলো দেখে উৎসাহিত হতে পারেন। সিনেমা নাটকে ধূমপানের দৃশ্যে যেমন লেখা থাকে যে, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু ‘হাওয়া’ সিনেমার ওই অংশে এই ধরনের কোনো বার্তা ছিল না।
আরও পড়ুন:‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
এছাড়া ‘হাওয়া’ সিনেমায় বেশ কয়েকটি খুনের দৃশ্য রয়েছে যা অতি ভয়ঙ্কর তথা ভায়লেন্স পূর্ণ। এছাড়া পুরো সিনেমায় নারী চরিত্রকে নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি অসংখ্য গালি ব্যবহার করা হয়েছে। যা পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা মোটেও উচিত নয়। এহেন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা, তরুণ-তরুণীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অথচ ‘হাওয়া’ সিনেমার কোথাও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা নিষেধ এই কথাটিও উল্লেখ নেই। এই ধরনের চলচ্চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয় বর্হিবিশ্বেও প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন হলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেবে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘হাওয়া’ সিনেমাটিতে ভায়লেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘন হলেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এর সদস্যরা পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনকে হাওয়া সিনেমার বিতর্কিত দৃশ্যগুলো কর্তন বা আইন লঙ্ঘনের চিত্র সংস্কার করতে না বলে, বরং হাওয়া সিনেমাটিকে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ছাড়পত্র দিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘনে এবং সমাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরিতে উৎসাহ দিয়ে সমঅপরাধ সংঘটিত করেছেন।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা ‘হাওয়া’ সিনেমাটি দেখে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘনের সত্যতা পেয়ে ১৭ আগস্ট আদালতে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন:‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
২ বছর আগে
সেই জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় বিনা অপরাধে চার বছর কারাভোগ করায় মো. জালাল ওরফে জজ মিয়ার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে উল্লেখ করে তাঁকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
জজ মিয়ার পক্ষে বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ কাউছার এই আইনি নোটিশ পাঠান। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১১ ব্যক্তি বরাবর এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আইনি নোটিশ যাঁদের কাছে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবর, পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক খোদা বকশ চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রশীদ, মুন্সী আতিকুর রহমান ও সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাওলাদারকে দেয়া দুদকের নোটিশ কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট
নোটিশে বেআইনিভাবে জজ মিয়াকে কারাবাসে রাখার জন্য লুৎফজ্জামান বাবর, খোদা বকশ চৌধুরী, আবদুর রশীদ, মুন্সী আতিকুর রহমান, রুহুল আমিন বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তির দায় আছে কি না, তা নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
জজ মিয়ার মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ায় লুৎফজ্জামান বাবর, খোদা বকশ চৌধুরী, আবদুর রশীদ, মুন্সী আতিকুর রহমান, রুহুল আমিন বা অন্য কোনো ব্যক্তি দায়ী হলে তাঁদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
নোটিশ গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ জানাতে বলা হয়েছে। তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেলিটকের তারেককে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির নির্দেশ হাইকোর্টের
জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
২ বছর আগে
জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বেআইনিভাবে ছবি ও ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করার অভিযোগে বেসরকারি যমুনা ব্যাংক ও মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের কাছে জরিমানা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। নোটিশে দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে মোট পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
রবিবার আইনজীবী আশরাফুল হাদী বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
সাত দিনের সময় দিয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথসহ বিভিন্ন জায়গায় সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সংবলিত ছবি তুলে নিতে হবে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সাকিব আল হাসানের বিখ্যাত ব্র্যান্ড ইমেজ নিজেদের ব্যবসায়িক কাজে সীমিত ব্যবহারের জন্য বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি চুক্তি হয়। শর্ত অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়, কিন্তু এরপরও প্রতিষ্ঠানটি সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সংবলিত ছবি ব্যবহার করায় এ নোটিশ দেয়া হয়।
যমুনা ব্যাংককে কেন নোটিশ পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে আশরাফুল হাদী বলেন, 'যমুনা ব্যাংকের বুথে সাকিব আল হাসানের ছবি সংবলিত বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। তার মানে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের মধ্যে আন্ত ব্যাবসায়িক সম্পর্ক আছে। পরোক্ষভাবে হলেও যমুনা ব্যাংক সাকিব আল হাসানের ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করছে।’
নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী আশরাফুল হাদী বলেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও শর্ত ভঙ্গ করে ছবি, ব্র্যান্ড ব্যবহার করায় আইনভঙ্গ হয়েছে। এ জন্য পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবহৃত সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অনিশ্চিত সাকিব
ফের বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব
২ বছর আগে
তালা ভেঙে হলে উঠা শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে ঢাবি
কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে আবাসিক হলগুলোতে উঠে পড়া শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্থায়ী কমিটির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হলগুলিতে তালা ভেঙ্গে প্রবেশ এবং পূর্ব অনুমতি ছাড়া সেখানে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেনো নেয়া উচিত নয় তা জানতে চেয়ে ছাত্রদের কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শিক্ষার্থীদের ৭ অক্টোবরের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করে বিভিন্ন হলগুলিতে শিক্ষার্থীদের থাকতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করোনার অন্তত একটি ডোজ নেওয়ার শর্তে পাচঁ অক্টোবর থেকে সীমিত পরিসরে মাস্টার্স এবং অনার্স ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীদের জন্য হলগুলি পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
৩ বছর আগে