প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ ও সাংবিধানিক পদে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল বাসেত এই আইনি নোটিশ পাঠান।
এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ফয়জুল করিম ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ নেতাকর্মী তার ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
তবে প্রিজাইডিং অফিসার ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা সত্ত্বেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরে সাংবাদিকরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এতে বলা হয়েছে, এই বক্তব্যের কারণে তিনি রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নৈতিক ও আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আপনার উপরোক্ত বক্তব্যটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অবৈধ, যার ফলে আমার মক্কেলের অপূরণীয় শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে (এর জন্য আপনি দায়ী)। তাছাড়া, তার খ্যাতি এবং ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে... তার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
এতে বলা হয়েছে, ‘এমন পরিস্থিতিতে, আপনি, নোটিশ প্রাপক, উপরোক্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনৈতিক বিবৃতি প্রত্যাহার করবেন এবং নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জাতীয় দৈনিক--প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রকাশ করবেন।’
‘এছাড়াও, আপনি 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার' পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং আমার মক্কেলকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে৫০০ কোটি টাকা দেবেন।’
এতে বলা হয়, ‘অন্যথায়, নোটিশের মেয়াদ শেষে আমার মক্কেল দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে যথাযথ আদালতে নোটিশ প্রাপকের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।’
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের