বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় দুপক্ষের নারী-শিশুসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আগুনে ৬টি মোটরসাইকেল, আসাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বিকালে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিকবার হামলা পাল্টা-হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ আগস্টের পর বিএনপির মোস্তাফিজুর রহমান ও রুহুল আমিনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ঘটে। সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে তাদের বিরোধ চরমে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ১১ বছর পর খালাস পেলেন সিলেট বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী
এর আগে সোমবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তখন উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়। ওই ঘটনার জেরে বুধবার দুপুরে ও বিকালে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে রুহুল আমিন ও তার ভাইদের ৮টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় নারী-শিশুসহ ২০ জন আহত হন। আগুনে ৬টি মোটরসাইকেল, আসাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রুহুল আমিন ওরফে রুহুল মেম্বরের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, মোস্তাফিজুর রহমানের লোকজন কয়েকদিন ধরে তাদের লোকজনদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। স্বর্ণালংকারসহ মুল্যেমান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এমনকি আগুন দিয়ে তাদের ৮ ভাইয়ের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। রুহল আমিনের পরিবারের দাবি, রুহুল আমিন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হতে চায় এ জন্য তাদের বাড়িঘরে হামলা-লুট-পাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রুহুলের ভাই রেজার নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলায় ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়।