চলন্ত বাস
রূপগঞ্জে চলন্ত বাসে আগুন, আহত ১০
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সোহাগ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে যাত্রীরা বাস থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কর্ণগোপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত যাত্রীদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাসে আগুন
বাসের যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার উদ্দেশে সোহাগ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৯২৫৮) ৪০-৪২ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে। পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ গাড়িতে আগুন দেখে যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এ সময় চালক গাড়িটিকে রাস্তার পাশে দাঁড় করান। এর পরপরই পুরো বাসে আগুন ধরে যায়।
এ সময় আতঙ্কিত যাত্রীরা জানালা ও দরজা দিয়ে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে পার্শ্ববর্তী এসএফ টেক্সটাইল মিলের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক দল এগিয়ে এসে প্রায় ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে বাসের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। আহত যাত্রীরা স্থানীয় ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এসএফ টেক্সটাইলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়সাল ভূঁইয়া বলেন, রাস্তার পাশেই আমাদের কারখানা। হঠাৎ দেখি একটি বাসে আগুন জ্বলছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক টিম নিয়ে ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এ ঘটনায় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা বাড়ি ফিরে গেছেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম জানান, দগ্ধ বাসটি উদ্বার করা হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। কারণ জানতে চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসে আগুন
যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সময় ২ বাসে আগুন
১ বছর আগে
ময়মনসিংহে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা: রাস্তায় লাফিয়ে পড়া সেই নারী পোশাককর্মীর মৃত্যু
ময়মনসিংহের ভালুকায় নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করতে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পড়া সেই নারী পোশাককর্মী মারা গেছেন। রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শামছুন্নাহার (৩৮) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের জয়কা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে এবং দুই সন্তানের জননী।
জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর শামছুন্নাহার জেরার ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ি নয়নপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন এবং গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রিদিশা গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন।
শুক্রবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শামছুন্নাহার কাজ শেষে একটি মিনিবাসে করে ভালুকায় ফিরছিলেন। বাসটি ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে আসার পর বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে যায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাককর্মী নিহত, আটক ১
এই সুযোগে বাসের চালক রাকিব মিয়া তার দুই সহকারীসহ শামছুন্নাহারকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সম্ভ্রম বাঁচাতে শামছুন্নাহার চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন। এতে তিনি মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ আহত নারীকে উদ্ধার করে ভালুকা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর তার জ্ঞান না ফেরায় রাত ২টার সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক কামাল হোসেন বলেন, শামছুন্নাহারের মাথার আঘাত খুব গুরুতর ছিল। শনিবার দুপুরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউ এ স্থানান্তর করা হয়। মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে বাসটি জব্দ করা হয়েছে এবং বাসের চালক রাকিব মিয়া (২১), বাসের হেলপার আরিফ মিয়া (২০) এবং সুপারভাইজার আনন্দ দাসকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে। পরে শনিবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ মমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে বাসচাপায় পোশাককর্মী নিহত, তরুণীর লাশ উদ্ধার
৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ১৬ জন আহত
১ বছর আগে
চলন্ত বাসে যাত্রী উঠানামা বন্ধ ও মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপি বলেছেন, ‘প্রয়াত সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে আমাদের জন্য দু’টি বিষয় অনুকরণীয় হতে পারে; একটি হচ্ছে- চলন্ত বাস থেকে যাত্রী উঠানামা বন্ধ করার ব্যবস্থা করা, আর আরেকটি বিষয় হচ্ছে- আমাদের সাংবাদিকদের মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার চর্চায় নজর দেয়া।
মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি বিশ্লেষক মরহুম জগলুল আহমেদ চৌধুরীর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, ‘জগলুল সবসময় সঠিক তথ্য তুলে ধরতেন। ইদানীংকালে আমাদের যারা নতুন সাংবাদিক তাদের জন্য জগলুলকে অধ্যয়ন করা দরকার।’
অনুজপ্রতিম সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে পারিবারিক সূত্রে এবং পেশাগত কারণে নিজের সম্পর্কের কথা স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার মৃত্যু অত্যন্ত পীড়াদায়ক। জগলুল আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশের জন্য সাংবাদিকতার যে নিদর্শন রেখে গেছেন তা এ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে।’
ড. মোমেন আরও বলেন, ‘পেশাদার সাংবাদিকদের যেহেতু অনেক কিছু জানতে হয়, জগলুলেরও জানার অনেক আগ্রহ ছিল। তিনি সবসময় তথ্য জানার চেষ্টা করতেন এবং রিপোর্টিং জন্য প্রচুর জ্ঞানার্জন করতেন। বিশেষ করে উপমহাদেশ সম্পর্কে জানার বিষয়ে তার গভীর আগ্রহ ছিল। সে আগ্রহ থেকেই তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে অনেক কিছু জানতেন এবং বিশ্লেষণ করতে পারতেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ হিসেবেও জগলুল অত্যন্ত হৃদয়বান মানুষ ছিলেন। তিনি কখনও কাউকে অসম্মান করতেন না। এটি তার একটি বড় গুণ। মনের দিক থেকেও তিনি উদার ছিলেন।’
সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী স্মৃতি ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের সভাপতি, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এমপি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টের মহাসচিব ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠানে ইউএনবি’র সম্পাদক ফরিদ হোসাইন, প্রয়াত সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর পরিবারের সদস্য, আত্মীয় ও বন্ধুজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসায় নিউ হ্যাম্পশায়ারের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ বি খান
সিলেটের কুমারগাঁও-বিমানবন্দর ৪ লেন সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১ বছর আগে
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে সকল যাত্রীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুট ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রাজা মিয়া (৩২) টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গৌরস্থান এলাকায় মৃত হারুন অর রশীদের ছেলে। রাজা ডাকাতদলের সদস্য। বাসের চালক ও হেলপাড়কে জিম্মির পর রাজা গাড়ি চালিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
তিনি বলেন, চলন্ত বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ডাকাতদলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজা টাঙ্গাইলের যাত্রীবাহী বাস ঝটিকা সার্ভিসের একজন চালক। দীর্ঘদিন যাবত তিনি টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
গ্রেপ্তার রাজাকে আজ আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিবাগতরাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস অন্তত ২৪ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে খাবারের জন্য বিরতি দেয়া হয়। সেখান থেকে ৫ মিনিট যাওয়ার পর মূল সড়ক থেকে প্রথমে তিনজন যাত্রী ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পর আরও চারজন যাত্রী ওঠে। নির্ধারিত স্টেশন ছাড়া কিছু দূর যাওয়ার পর আরও তিনজন যাত্রী সেজে বাসে ওঠে।
আনুমানিক রাত ১২টার দিকে যাত্রীরা ঘুমানোর এক পর্যায়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া এলাকা পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা হঠাৎ করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুরোবাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকায় থেকে বাসটিকে ঘুরিয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা কালিহাতী হয়ে মধুপুরে আসে। এরই মধ্যে ডাকাত দলের সদস্যরা সবারহাত-মুখ ও চোখ বেঁধে জিম্মি করেন। এরপর যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়।
পরে ডাকাত দলের সদস্যরা গাড়িতে থাকা এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালুর ঢিবির কাছে বাসের গতি থামিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ ব্যাপারে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। হেকমত নামে কুষ্টিয়ার বাসিন্দা ও ওই বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন।
এদিকে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামীসহ গ্রেপ্তার ২
বাগেরহাটে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায় চট্টগ্রামগামী একটি বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুট করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার বিকালে মধুপুর থানায় ধর্ষণ ও ডাকাতির মামলা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস অন্তত ২৪ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে খাবারের জন্য বিরতি দেয়া হয়। সেখান থেকে পাঁচ মিনিট যাওয়ার পর মূল সড়ক থেকে প্রথমে তিন জন যাত্রী উঠেন। কিছুদূর যাওয়ার পর আরও চার জন যাত্রী উঠেন। নির্ধারিত স্টেশন ছাড়া কিছুদূর যাওয়ার পর আরও তিন জন যাত্রী সেজে বাসে উঠেন।
তিনি জানান, আনুমানিক রাত ১২টার দিকে যাত্রীরা ঘুমানোর এক পর্যায়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া এলাকা পৌঁছলে ডাকাত দলের সদস্যরা হঠাৎ করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুরো বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। কিছুদূর যাওয়ার পরে বাসটিকে ঘুরিয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা কালিহাতী হয়ে মধুপুরে আসেন। এরই মধ্যে ডাকাতদলের সদস্যরা সবার হাত-মুখ ও চোখ বেঁধে জিম্মি করে।
পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এক কেজি সোনা জব্দ, আটক ১
পুলিশ সুপার জানান, এরপর যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। পরে ডাকাত দলের সদস্যেরা গাড়িতে থাকা এক নারীকে ধর্ষণ করেন। বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া মসজিদের পাশে বাসটি বালুর টিবির মধ্যে উল্টিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা। এই পুরো সময় বাসটি চলন্ত অবস্থায় ছিল।
কায়সার বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশের ডিবিসহ একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করছি দ্রুতই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের রয়েছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
পড়ুন: গ্রামীণ টেলিকম: ১৬ কোটি টাকা ফি নিয়েছেন শ্রমিকদের আইনজীবী
রাজধানীতে ৬ ‘ডাকাত’ গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা: বাসচালকসহ গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলন্ত বাসে গার্মেন্টস তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় বাস চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বন্দর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বাসচালক মো. গিয়াস উদ্দিন নয়ন (২১) ও তার সহকারি সীমান্ত দত্ত (২২)।
বন্দর থানা পুলিশ জানায়, নগরীর বন্দর থানায় দায়ের হওয়া একটি ছিনতাই মামলায় চালক ও তার সহকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনার আগে একই বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে রিকশাচালক গ্রেপ্তার
বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কিশোর মজুমদার জানান, পলাশ কান্তি দে নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার ছিনতাইয়ের অভিযোগে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ইপিজেড এলাকার বে শপিং সেন্টারের সামনে থেকে বাসে ওঠেন। নিমতলা বিশ্বরোডে বাস পৌঁছার পর তাকে নামিয়ে দেয়ার জন্য বললে চালক দ্রুতগতিতে বাসটি বড়পোলের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে বাসে যাত্রীবেশে থাকা তিন জন তাকে ছুরিকাঘাত করে নগদ ১০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এরপর বাসটি সিটি গেট এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক পিন নম্বর নিয়ে তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার ৮০০ টাকা তুলে নেয়। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে লালখান বাজার এলাকায় ফ্লাইওভারে পলাশকে নামিয়ে দেয়া হয়। আহত পলাশ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মামলা করেন।
তিনি বলেন, ‘নিমতলাসহ আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা দেখি, একই বাসে গার্মেন্টস ফেরত এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল।’
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনার পরে পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। পাঁচ দিন সংজ্ঞাহীন থাকার পর ২৪ মে তার জ্ঞান ফেরে। পরদিন ২৫ মে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, গত ১৯ মে রাত ৯টার দিকে কারখানা ছুটি হলে তিনি বাসায় ফেরার জন্য একই কারখানার আরও ১০-১২ জন শ্রমিকের সঙ্গে বাসে ওঠেন। বাস বহদ্দারহাট এলাকায় পৌঁছার পর অন্য শ্রমিকরা দ্রুত নেমে যান। পেছনের আসন থেকে উঠে নামার জন্য এগিয়ে আসতে তাকে নিয়ে বাস দ্রুত রাহাত্তার পুলের দিকে চলে যায়। এসময় বাস চালাচ্ছিল সহকারী আর চালক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন তরুণী নিজেকে বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন।
২ বছর আগে
রাজধানীতে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে যাত্রী হত্যার অভিযোগ
রাজধানীতে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে যাত্রী হত্যার অভিযোগ উঠেছে চালকের সহকারীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ারীর জয় কালী মন্দির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ইরফান আহমেদ (৪৮) ডেমরার সারুলিয়া বড় ভাঙ্গা এলাকার মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে এবং নবাবপুরের একটি ইলেকট্রিক দোকানের শ্রমিক।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক হাবীবুর নিহত
নিহতের ছোট ভাই মো. রায়হান জানান, সকালে ডেমরার বাসা থেকে নবাবপুরে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন ইরফান। পরে তারা জানতে পারেন, জয় কালী মন্দির মোড় এলাকায় ‘গ্রিনবাংলা পরিবহন’ এর বাসের সহকারী (হেলপার) চলন্ত বাস থেকে ইরফানকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং দুপুর পৌনে ১২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে তারাও জানতে পেরেছেন বাসের সহকারী (হেলপার) গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ইরফানকে। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শুধু বাম চোখের নিচে একটু দাগ ও ফোলা রয়েছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
২ বছর আগে
চলন্ত বাস থেকে যাত্রীকে লাথি মেরে ফেলা দেয়ায় চালক, হেলপার গ্রেপ্তার
বাড়তি ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে চট্টগ্রামে চলন্ত বাস থেকে এক যাত্রীকে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়ার অভিযোগে বাসের চালক এবং হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ সময় বাসটিও জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দু’জন হলেন- বাসের চালক মো. আশরাফ এবং হেলপার মো. হানিফ।
এর আগে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেইট থেকে ইস্পাহানির মোড়ে বাসযাত্রী আবদুল হামিদকে লাথি মেরে বাস থেকে রাস্তায় ফেলে দিলে তিনি আহত হন।
আহত যাত্রী আবদুল হামিদ বলেন, আমি নগরীর দুই নম্বর গেইট মোড় থেকে লালখান বাজার যাচ্ছিলাম। ওয়াসা মোড় পার হতেই হেলপার আমার কাছ থেকে ভাড়া চাইলে আমি ৫ টাকা দেই। কিন্তু সে ৮ টাকা দাবি করে। আমি বেশি টাকা দিতে না চাইলে সে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। একপর্যায়ে আমাকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়৷
আরও পড়ুন: দ্বিগুণ ভাড়ায় চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাস চলাচল শুরু
বাস থেকে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে আটক বাস চালক ও হেলপার জানান, যাত্রী হামিদ হেলপারকে মারধরের চেষ্টা করছিল। হাতাহাতির এক পর্যায়ে তাকে বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, 'পাঁচ টাকার ভাড়া আট টাকা নেয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়। এক পর্যায়ের বাসের হেলপার যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেয় এবং তিনি আহত হন। পুলিশের সহায়তায় তাকে মেডিকেলে ট্রিটমেন্ট করা হয়। আমরা চালক এবং হেলপার দু'জনকেই গ্রেপ্তার করেছি এবং বাসটি আটক করেছি।'
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন যাত্রী আবদুল হামিদ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্য আটক
৩ বছর আগে
আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: একজনের স্বীকারোক্তি, ৫ জন রিমান্ডে
সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক সুমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া বাকি পাঁচ জনের প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শনিবার বিকেলে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. শাহাজাদী তাহমিদার আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে আসামি পাঁচ জনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে দুপুরে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ছয় আসামিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ঢাকা জেলা কোর্ট পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আশুলিয়া থেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এদের মধ্যে আসামি চালক সুমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শুনানি শেষে অপর পাঁচআসামির প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন-ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনা এলাকার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) ও বগুড়া জেলার ধুপচাচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপারা ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে এবং আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাত।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ওই ছয়জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন।
আশুলিয়া থানা-পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী নারায়ণগঞ্জে স্বামী ও সন্তান নিয়ে থাকেন। তিনি সেখানে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তার বোন মানিকগঞ্জে থাকেন। গতকাল শুক্রবার তিনি বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় ফেরার পথে বাসে তিনি ধর্ষণের শিকার হন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেপ্তার
পরে টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এ সময় ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।
৩ বছর আগে