কুমির
খান জাহান আলীর মাজারে কুমিরের মৃত্যু
বাগেরহাটের হযরত খান জাহান আলী (রহ.) মাজারের ৬০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক দীঘিতে একটি কুমির মারা গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সন্ধ্যায় কুমিরটির ময়নাতদন্ত করে। মাজারের খাদেম ও দর্শনার্থীরা কুমিরটিকে অশ্রুসিক্ত শেষ বিদায় জানান।
মৃত কুমিরটি পুরুষ প্রজাতির। এখন দিঘিতে রয়েছে মাত্র একটি নারী প্রজাতির কুমির।
মাজারের প্রধান শের আলী ফকির বলেন, তিনি লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন, দীঘিতে একটি কুমির মৃত অবস্থায় ভাসছে। পরে তিনি প্রশাসনকে খবর দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে বিলুপ্তপ্রায় কুমির উদ্ধার
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, কুমিরটি এর আগে দু'বার অসুস্থ হয়েছিল এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগ এর চিকিৎসা করে।
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, কুমিরটি তিন-চার দিন আগে মারা গেছে। কুমিরটির বয়স আনুমানিক ১৫ বছর।’
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, হযরত খান জাহান আলীর (রা.) মাজারের ৬০০ বছরের পুরানো দীঘিতে কুমিরের ঐতিহ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দীঘির দু’টি কুমিরের মধ্যে একটি মারা গেছে। দীঘির ঐতিহ্য ধরে রাখতে মিঠা পানির কুমির যাতে দিঘিতে সংরক্ষণ করা যায় সে জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদে কুমির, এলাকায় আতঙ্ক
বরিশালের জয়ন্তী নদীতে পাঙ্গাসের জালে উঠে এলো কুমির!
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে বিলুপ্তপ্রায় কুমির উদ্ধার
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে মিঠাপানির বিলুপ্ত প্রায় একটি কুমির উদ্ধার করেছে বন বিভাগের প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের উদ্ধারকারী দল।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গজারিয়ায় ভুবনেশ্বর নদ থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়। কুমিরটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা।
উদ্ধারকারী দলটি মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকালেই কুমিরটি নিয়ে সড়কপথে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হয়।
জানা গেছে, গত বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকালে চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের শিকদারডাঙ্গী গ্রামের ভুবনেশ্বর নদে প্রথম কুমিরটি দেখা যায়। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে কুমিরটি কয়েকবার ভেসে ওঠে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: একদিন পর কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দরে ফেরি চলাচল শুরু
আলিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. বকলুকার রহমান বলেন, কুমির দেখার খবর পেয়ে আমরা থানা ও বন বিভাগকে বিষয়টি জানাই। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মানুষকে সতর্ক করে। এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করেও সতর্ক করা হয়।
খুলনা প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রাণী বিশেষজ্ঞ মফিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, কুমিরটি উদ্ধারে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের সদর উপজেলার পাটপাশা এলাকায় পরিদর্শনে যায় উদ্ধারকারী দল। তবে সেখানে কুমিরের কোন সন্ধান মেলেনি। পরে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গজারিয়ায় ব্রিজের নিকট ভুবনেশ্বর নদে কুমিরটি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করা হয়।
মফিদুল ইসলাম আরও জানান, উদ্ধার করা কুমিরটি মিঠাপানির বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কুমির। কুমিরটি প্রথমে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নেওয়া হবে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত একটি খাল থেকে আরও একটি মিঠাপানির কুমির উদ্ধার করা হয়। পরে কুমিরটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠায় প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
২০০০ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার’- বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে মিঠা পানির কুমির বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: পশুর নদীতে সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদে কুমির, এলাকায় আতঙ্ক
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের ভুবনেশ্বর নদের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি কুমিরের দেখা মিলেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গাজিরটেক ইউনিয়নের ব্যাপারী ডাঙ্গী গ্রামের লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে কুমিরটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।
কুমিরটি দেখে এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে এশার নামাজের পর মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই চরভদ্রাসন থানা পুলিশ স্থানটি পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির কুমির
তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কুমিরটি ওই এলাকা থেকে এক কিলোমিটার দূরে তেলিডাঙ্গি এলাকায় অবস্থান করছিল বলে জানা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাত ১১টার দিকে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায় লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে একটি বাঁশের সাঁকোর নিচে কুমিরটি অবস্থান করছে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর পানি থেকে মাথা উঠিয়ে আবার ডুব দিচ্ছে কুমিরটি।
সুজন বেপারী জানান, কুমিরের বিষয়টি সন্ধ্যার পরে এলাকায় জানাজানি হয় এবং পরে এ ব্যাপারে মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়।
সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. কাউছার ব্যাপারী বলেন, কুমিরের খবর পেয়ে তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছেন। কিন্তু কুমিরটি উদ্ধারে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিরের খোঁজে পুনরায় ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কুমিরটি পূর্বের স্থান হতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভাটিতে তেলিডাঙ্গী সিকদার ডাঙ্গী এলাকায় অবস্থান করছে। সেখানে নদের পানিতে কিছু সময় পর পর মাথা তুলে আবার ডুব দেয় কুমিরটি। এসময় কুমির দেখতে নানা বয়সী উৎসুক মানুষকে রাস্তার দুই পাশে ভিড় করতে দেখা গেছে।
কুমিরটি উদ্ধারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শঙ্কা প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেন, এই নদের পানিতে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা গোসল করার পাশাপাশি গবাদি পশু গোসল করানো হয়। এখনও কুমিরটি উদ্ধার না হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী মোর্শেদ বলেন, কুমিরের বিষয়টি আমি বনবিভাগসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সংশ্লিষ্টরা খুব শিগগিরই কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করবে। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীকে আপাতত গোসল বা নদে নেমে অন্য কোন কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া জানান, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। খুলনা বিভাগীয় অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা সেখান থেকে কুমিরটি উদ্ধারে একটি টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।
খুলনা বিভাগীয় বন অধিদপ্তরের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কুমিরটির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সঠিক অবস্থান জানতে পারলে আমাদের একটি টিমকে উদ্ধার অভিযানে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালের জয়ন্তী নদীতে পাঙ্গাসের জালে উঠে এলো কুমির!
সুন্দরবনে কুমিরসহ ১৮ বন্যপ্রাণী অবমুক্ত
বরিশালের জয়ন্তী নদীতে পাঙ্গাসের জালে উঠে এলো কুমির!
বরিশালের মুলাদী উপজেলার জয়ন্তী নদীতে আইড় পাঙ্গাস ধরতে ফেলে রাখা জালে উঠে এলো কুমির! সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রথমে বিষয়টি জেলেরা আঁচ না করতে পারলেও জালে ওজন অনুভব করায় বড় মাছ মনে করে উপরে তুলে আতঙ্কিত হয়ে যান। এরপর কৌশল অবলম্বন করে কুমিরটিকে নদীতীরে নিয়ে আসেন তারা। এই ঘটনা ছড়িয়ে পরার পর থেকে জেলেসহ স্থানীয় জনতার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে মাছের ঘেরে মিলল ৮ ফুট কুমির
কুমিরটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও জেলেদের হেফাজতে রয়েছে।
খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি দল বরিশালে রওনা দিয়েছে।
জেলে জাবুল হোসেন জানান, সকালে আইড় পাঙ্গাসের জাল ফেলে কিছু সময় পর ফের জাল তুলতে গিয়ে ওজন অনুভব হওয়ায় মনে করেছিলাম বড় মাছ উঠেছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখি একটি কুমির আমার জালে পেঁচিয়ে রয়েছে।
এরপর আমরা আতঙ্কিত হয়ে পরলেও কৌশল অবলম্বন করে ধীরে ধীরে কুমিরসহ জাল তীরে নিয়ে আসি। ঘটনাটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রুবেলকে জানাই।
মুলাদীর নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুবেল বলেন, কুমির উদ্ধারের খবটি প্রথমে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই। তারা কুমিরটি আমাদের কাছে রাখতে বলেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোকজন আসলে কুমিরটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, কুমির উদ্ধারের বিষয়টি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। তাদের একটি দল ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন। তারা বরিশাল পৌঁছে কুমিরটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কুমিরসহ ১৮ বন্যপ্রাণী অবমুক্ত
চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির কুমির
সুন্দরবনে কুমিরসহ ১৮ বন্যপ্রাণী অবমুক্ত
সুন্দরবনে কুমির ও তক্ষকসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১৮টি বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বুধবার বিকালে ওই সব বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করা হয়। বন্দী থাকা এসব বন্যপ্রাণী ফিরে পেয়েছে আবাসস্থল। বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে এসব বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবনে অবমুক্ত করা এসব বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে- দুটি লোনা পানির কুমির, একটি তক্ষক, একটি বক, ১১টি কালিম পাখি, একটি ভুবন চিল ও দুটি মাছকুড়াল।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে র্যাবের বিশেষ অভিযান
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নভেম্বর মাসে যশোর ও মাদারীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ১৮টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এসব বন্যপ্রাণী সুন্দরবনের করমজলে আনার পর অবমুক্ত করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় উদ্ধারকরা নানা প্রজাতির বেশকিছু বন্যপ্রাণী সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সুন্দরবন ঘুরলেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা
সুন্দরবনে পর্যটকের খরা, হতাশায় ট্যুর অপারেটররা
শরীয়তপুরে মাছের ঘেরে মিলল ৮ ফুট কুমির
শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলায় এক মাছের ঘের থেকে কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন এর দৈর্ঘ্য ৮ ফুট।
সোমবার রাত ৮টায় উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের পাজালকান্দি গ্রামের খলিল কাজির মাছের ঘের থেকে কুমিরটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলাওলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান বেপারী। স্থানীয়রা বলেন, এত বড় একটি কুমির এখানে কীভাবে আসলো, সেটি নিয়ে আমরা এখন আতঙ্কে আছি। আমাদের বাড়ির পাশে ছোট একটি নদী আছে। এখানে এতো বড় কুমির থাকার কথা না। এরকম কুমির সাধারণত খুলনা-বাগেরহাট এলাকায় দেখা যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ৫৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
ওসমান বেপারী জানান, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পাজালকান্দি এলাকার মো. খলিল কাজির মাছের ঘেরের পাড়ে এক গর্ত দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে ফাঁদ পেতে কুমিরটি ধরা হয়। কুমিরটি বর্তমানে পাজালকান্দি এলাকায় শিকল ও রশি দিয়ে বাঁধা আছে।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফি বিন কবির বলেন, কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ ফুট। এব্যাপারে রাতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে কুমিরের ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছি। তারা দেখে বলেছেন এটা নোনা পানির কুমির। তারা পাঁচ সদস্যর একটি দল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন।
জেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সানাউল্লাহ পাটোয়ারী আসবেন। পরে কুমিরটির বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে যাত্রীবাহী বাস থেকে ২৩ কেজি ওজনের চিত্রা কচ্ছপ উদ্ধার!
একদিনে সমুদ্রে ভেসে যাওয়া ৩ শতাধিক পর্যটক উদ্ধার
রূপসায় নদীর চরে কুমির, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
খুলনার রূপসায় নদীর চরে বড় আকৃতির একটি কুমির দেখতে পেয়েছে এলাকাবাসী। রবিবার উপজেলাধীন চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে কুমিরটি দেখতে পায় এলাকাবাসীরা।
এই প্রথম রূপসা নদীতে কুমির দেখতে পাওয়া যায় বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চররূপসার মাছ কোম্পানি এলাকায় কম্পিউটার দোকানদার মো. রফিকুল ইসলাম প্রথমে কুমিরটি দেখতে পেয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইলে কুমিরের ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেন। পরে তিনি তার ফেসবুক আইডিতে ছবিটি পোস্ট করেন। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুমিরের ছবিটি ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন: কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে গেলেন যুবক
কুমিরটি দেখার জন্য স্থানীয়রা ও দূর-দূরান্তের মানুষ এসে ভীড় জমাতে থাকে।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বাদশা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম কুমিরটি দেখতে আসেন এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের সতর্ক করার জন্য বেশ কয়েকটি মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবাইয়া তাছনিম বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে সঙ্গে নিয়ে চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রূপসা নদীর পাড়ে গিয়ে কুমিরের দেখা পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, উৎসুক জনতা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে কয়েকটি মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে।
বাগমারা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ লুৎফর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টি রূপসা নদীর পাড়ে অবস্থিত। জোয়ারের সময় বারান্দা পর্যন্ত পানি হয়। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা খুবই ঝুঁকিতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে নদীর পাড়ে চর এলাকায় কুমির দেখতে পাওয়ায় শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
এতে অভিভাবকদেরও দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হবে। এই মুহূর্তে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সীমানা প্রাচীর যদি শিগগিরই না দেয়া হয়, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও হ্রাস পেতে পারে।
চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা খাতুন বলেন, সকালে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে নদীর চরে কুমিরটি দেখতে পাওয়া যায়। অল্প সময় কুমিরটি চরে ছিলো। এরপর নদীতে চলে যায়। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দিলে উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে তারা কুমিরটি দেখতে আসেন। তারা শিক্ষার্থীসহ উৎসুক জনতাকে সতর্ক থাকতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, কুমির আতঙ্কে বিদ্যালয়ের ক্লপ শিকল গেট আটকিয়ে শ্রেণিতে পাঠদান দেয়া হয়। কোনো শিক্ষার্থীকে বাইরে যেতে দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির কুমির
করমজল পর্যটন কেন্দ্র: প্রজনন হচ্ছে লবণ পানির কুমির ও ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ
সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে কুমিরের ৩৮টি ছানা ফুটেছে
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে পিলপিল নামের কুমিরের ডিম থেকে ৩৮টি ছানা ফুটেছে। সোমবার দুপুরে প্রজনন কেন্দ্রের ডিজিটাল ইনকিউবেটর থেকে একে একে কুমিরের ছানা ফুটে বের হয়।
জানা যায়, ছানা ফুটাতে কুমিরের ৩৮টি ডিম ৮২ দিন ইনকিউবেটরে রেখে নিবিড় পরিচর্যা করে বন বিভাগ। প্রজনন কেন্দ্রের প্যানে রেখে কুমিরের বাচ্চাগুলোকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে বন বিভাগ। এবার বন বিভাগ কুমিরের ডিম থেকে শতভাগ বাচ্চা ফুটাতে সফল হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিন বছরে জুলিয়েট এবং পিপল নামে এই দুটি কুমিরে প্রজনন কেন্দ্রে ১৬৪টি ডিম পাড়ে। কিন্তু বন বিভাগ ওই ১৬৪টি ডিম থেকে কুমিরের একটি ছানাও ফোটাতে পারেনি। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কুমিরের চারটি ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। ২০২১ সালে প্রজনন কেন্দ্রে একটি ডিমও পাড়েনি কুমিরে।
আরও পড়ুন:বাগেরহাটে জেলের বাড়ি থেকে কুমির উদ্ধার
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, প্রজনন কেন্দ্রের কুমির পিলপিল ২২ জুন ৩৮টি ডিম পাড়ে। ওই ডিমগুলো ডিজিটাল ইনকিউবেটরে রাখা হয়। ৮২ দিন পর ৩৮টি ডিমের সবগুলো থেকেই বাচ্চা ফুটেছে। প্রজনন কেন্দ্রের প্যানে কুমিরের ছানাগুলো লালন পালন করে বড় করে তোলা হবে।
তিনি আরও জানান, ৬ থেকে ৭ বছর প্যানে থাকবে কুমির। পরবর্তীতে সুন্দরবনের নদী-খালে এই কুমিরগুলো অবমুক্ত করা হবে।
এপর্যন্ত করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া ২০৬টি কুমির সুন্দরবনের নদী-খালে অবমুক্ত করা হয় বলে তিনি জানান। বন বিভাগের তথ্য মতে, বিলুপ্তপ্রায় লবণপানি প্রজাতির কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য সরকার ২০০০ সালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে ওই ‘কুমির প্রজনন’ কেন্দ্র গড়ে তোলে। সুন্দরবনের নদী-খালে পাওয়া লবণ পানির পাঁচটি কুমির নিয়ে কেন্দ্রের প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৫ সাল থেকে রোমিও-জুলিয়েট নামের ওই কুমির জুটি দিয়ে প্রজনন শুরু হয়। এর পর ওই প্রজনন কেন্দ্রে যুক্ত হয় পিলপিল এবং আলেকজেন্ডার। বর্তমানে রোমিও এবং জুলিয়েট প্রজনন ক্ষমতা হারিয়েছে বলে বন বিভাগ জানায়।
আরও পড়ুন:কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে গেলেন যুবক
বাগেরহাটে চিংড়িঘের থেকে কুমির উদ্ধার
কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে গেলেন যুবক
সুন্দরবনের খালে গোসল করতে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে গেলেন কলেজ পড়ুয়া এক যুবক। সম্প্রতি সুন্দরবনের ঢাংমারী খালে গোসল করতে নামলে একটি কুমির আক্রমণ করে ওই যুবককে।
ওই যুবকের নাম রাজু হাওলাদার (২৪)। তিনি খুলনার দাকোপ উপজেলার পূর্ব ঢাংমারী এলাকার খ্রিষ্টান পাড়ার বাসিন্দা নজির হাওলাদারের ছেলে।
কুমিরের আক্রমণ থেকে ফিরে এসে লোমহর্ষক বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানান, সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে তিনি নিজ বাড়ি লাগোয়া সুন্দরবনের ঢাংমারী খালে গোসল করতে নামেন। এক পর্যায়ে কোমর পানিতে দাঁড়িয়ে মাথায় শ্যাম্পু মাখছিলেন তিনি। এই সময় হঠাৎ করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে একটি কুমির তাকে আক্রমণ করে। কুমিরটি রাজুর ডান পায়ের হাঁটুর ওপরের দিকে কামড়ে ধরে প্রায় ১৫-১৬ হাত পানির গভীরে টেনে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কুমিরের চোখে ঘুষি মেরে প্রাণে বাঁচল কিশোর
রাজু কুমিরটির সঙ্গে ধস্তাধস্তি করার একপর্যায়ে কুমিরের চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। কুমিরের চোখে আঘাত করলে কুমিরটি রাজুর পায়ের কামড় ছেড়ে দেয়। তখন রাজু দ্রুত উপড়ে উঠে আসে। তখন তিনি দ্রুত নদী থেকে উঠে মা-বাবা বলে চিৎকার করেন। তাৎক্ষণিক তার মা-বাবা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
কুমিরের কামড়ে রাজুর পায়ের ক্ষত জায়গায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
রাজুর বাবা নজরুল হাওলাদার, মা মরিয়ম বেগম এবং বড় ভাই মনির হাওলাদার ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে জানান, তারাসহ গ্রামের অধিকাংশ লোকজন ঢাংমারী খালে নেমে মাছ ধরা ও গোছলসহ বিভিন্ন কাজে করে থাকেন। কিন্তু কুমির কখনও কাউকে আক্রমণ করেনি। তবে হাঁস-মুরগি ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু রাজুকে এভাবে আক্রমণ করবে এটা কেউ ভাবতে পারেননি।
তবে তারা রাজু বেঁচে ফেরায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও তার চিকিৎসার অর্থ যোগান নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। বাড়ির একটি ছাগল বিক্রি করে তার চিকিৎসা চলছে। কিন্তু বন বিভাগের পক্ষ থেকে বা কোনো জনপ্রতিনিধি তাদের সহায়তায় এগেয়ি আসেনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনে ৩টি কুমির অবমুক্ত
এ বিষয়ে দরিদ্র এ পরিবারের পক্ষে সহায়তার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইফুল বারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাংমারী খালে প্রায় সময়ই বড় বড় দুইটি কুমির দেখা যায়। তাই বনবিভাগের পক্ষ থেকে খালের পাড়ের আশপাশের মানুষদের খালে নামতে প্রতিনিয়ত নিষেধ করা হচ্ছে। তারপরও তারা তা না শুনে খালে গোসল ও মাছ ধরতে নামেন। ফলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
বাগেরহাটে চিংড়িঘের থেকে কুমির উদ্ধার
বাগেরহাটের মোংলায় চিংড়িঘের থেকে একটি লবণ পানির কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বন বিভাগের সদস্যরা বুড়িরডাঙ্গা গ্রামের একটি চিংড়িঘের থেকে ওই কুমিরটি উদ্ধার করে। পরে কুমিরটি সুন্দরবনের ভারানি খালে অবমুক্ত করা হয়।
কুমিরটি সুন্দরবনের নদী-খাল হয়ে ভাসতে ভাসতে ওই চিংড়িঘের যায় বরে বন বিভাগ জানায়। এনিয়ে দুই মাসে সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে যাওয়া চারটি কুমির উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
মঙ্গলবার উদ্ধার করা কুমিরটির বয়স আনুমানিক সাত বছর, দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ ফুট এবং ওজন ১০ কেজি।
আরও পড়ুন: রামপালে জেলেদের জালে কুমির, সুন্দরবনে অবমুক্ত
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, বুড়িরডাঙ্গা এলাকার আকরাম আলী মঙ্গলবার সকালে তার চিংড়িঘেরে কুমির দেখে তাদেরকে খবর দেয়। তারা গিয়ে চিংড়িঘের থেকে অক্ষত অবস্থায় কুমিরটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গহীনে ভারানি খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।
প্রায়ই কেন কুমির সুন্দরবনের নদী-খাল ছেড়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনের নদী-খালে এখন কুমিরের সংখ্যা অনেক বেশি। বনের বিভিন্ন নদী-খালে কুমির বিচরণ করে। অনেক সময় ভাসতে ভাসতে কুমির অন্যত্র যেতে পারে। তারা খবর পেলেই কুমিরসহ যে কোন বন্যপ্রাণি উদ্ধার করে নিয়ে এসে সুন্দরবনে অবমুক্ত করে।
বন বিভাগের তথ্য মতে, সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে এপর্যন্ত জন্ম নেয়া ২০৬টি লবণ পানির কুমির সুন্দরবনের নদী-খালে অবমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে প্রজনন কেন্দ্রে দুই থেকে ৯ বছর বয়সের ৯২টি কুমির রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে জেলের বাড়ি থেকে কুমির উদ্ধার
ফরিদপুরে উদ্ধার হওয়া কুমির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে