কুমির
সুন্দরবনে ছাড়া হলো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো আরেকটি কুমির
জীবনাচরণ সম্পর্কে জানতে সুন্দরবনে ছাড়া হলো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো আরেকটি কুমির। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের চরাপুটিয়া খালে অবমুক্ত করা হয় কুমিরটি।
এ নিয়ে ৫টি কুমিরের পিঠে ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হলো। এর আগে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ৪টি কুমিরের পিঠে ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয়।
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশে এই প্রথম কুমিরের জীবনচারণ জানতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়েছে বলে জানায় বন বিভাগ।
বন বিভাগ জানিয়েছে, স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার যুক্ত করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা কুমিরটির জন্ম হয়েছে ১২ বছর পূর্বে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে। স্ত্রী প্রজাতির কুমিরটির দৈর্ঘ ৭ ফুট ও ওজন ২০ কেজি।
আরও পড়ুন: পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিশালাকৃতির কুমির
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, বন বিভাগ ও আইইউসিএনের (প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট) সহযোগিতায় সুন্দরবনের নদী-খালে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে চারটি কুমির অবমুক্ত করা হয়।
তিনি জানান, ট্রান্সমিটার যুক্ত ৪টি কুমির থেকে প্রতি ১৫ দিন অন্তর রিডিং সংগ্রহ করা হচ্ছে। অ্যাপসের মাধ্যমে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।
৬৭ দিন আগে
পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিশালাকৃতির কুমির
পদ্মা নদীর কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া অংশে জেলের জালে একটি বিশালাকৃতির কুমির ধরা পড়েছে। কুমিরটির ওজন আনুমানিক সাড়ে ৩ মণ এবং লম্বায় প্রায় ১০ ফুট।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে তালবাড়িয়া ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে শরিফুল ইসলাম নামের এক জেলের মাছ ধরার জালে কুমিরটি ধরা পড়ে।
জালে কুমির আটকে থাকতে দেখে জেলেসহ আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে সেটিকে ডাঙায় তুলে আনলে হাজার হাজার উৎসুক জনতা কুমিরটিকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়।
খবর পেয়ে কুষ্টিয়ার বন বিভাগ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় পরিবেশ কর্মীদের সহায়তায় কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে রিসোর্ট থেকে কুমির উদ্ধার
এ বিষয়ে জেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা ৭-৮ জন জেলে প্রতি দিনের মতো নদীতে মাছ ধরতে যাই। দুপুর ১টার দিকে নদীতে জাল ফেলি। জাল টানার পর প্রথমে মনে করেছিলাম বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে, কিন্তু জাল তোলার পরে দেখি বিশাল আকৃতির একটি কুমির। আমরা জাল কেটে কুমিরটিকে বের করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখি। পরে বন বিভাগের লোক এসে কুমিরটিকে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের (বিবিসিএফ) সহ-সভাপতি শাহাবউদ্দিন মিলন বলেন, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই স্থানীয়রা পদ্মা এবং গড়াই নদীতে কয়েকটি কুমির দেখতে পাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা মুরগি, হাঁস ও ছাগল দিয়ে রাখি নদীতে। কয়েকবার দেখা গেলেও হাজারো মানুষের ভিড়ের কারণে শেষ পর্যন্ত আর কুমিরের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে আজ (মঙ্গলবার) দুপুর দেড়টার দিকে জানতে পারি, তালবাড়িয়া ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে একটি কুমির ধরা পড়েছে। খবর পেয়ে আমরা বিবিসিএফ টিম এবং কুষ্টিয়া বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে জেলেদের জাল কেটে কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে কুমিরটিকে নিরাপদ কোনো স্থানে অবমুক্ত করা হবে।
এ ব্যাপারে সামজিক বনায়ন কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (জগতি) মো. আতিয়ার রহমান জানান, এটি একটি মিঠা পানির কুমির। এসব কুমির লম্বায় ১০ ফুটও হতে পারে। কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। পরবর্তীতে উপযুক্ত স্থানে আমরা এটিকে অবমুক্ত করব।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মৌয়ালের মৃত্যু
১০১ দিন আগে
গাজীপুরে রিসোর্ট থেকে কুমির উদ্ধার
গাজীপুরের রিসোর্ট অবৈধভাবে রাখা একটি কুমির উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। কুমিরটির বয়স আনুমানিক ২০ বছর।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরের নীলেরপাড়া এলাকায় পাখির স্বর্গ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: খান জাহান আলীর মাজারে কুমিরের মৃত্যু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযান চালিয়ে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। এটি স্ত্রী কুমির। রিসোর্ট থেকে উদ্ধারের পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের কুমির বেষ্টনীতে এটাকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠনের মাধ্যমে ঢাকা বন বিভাগ জানতে পারে পাখির স্বর্গ রিসোর্টে একটি কুমির রয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গাজীপুর সাফারি পার্কের বন্য প্রাণী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেভ ওয়াইল্ড লাইফ এবং নেচার (সোয়ান) এর সদস্যরা কুমিরটি উদ্ধার করেন। বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী নোনা পানির কুমির কোথাও রাখা যাবে না। এখান থেকে যে কুমিরটি উদ্ধার করেছি এটি নোনা পানির কুমির,যা প্রায় ২০ বছর ধরে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। উদ্ধার করা কুমিরটি গাজীপুর সাফারি পার্কে বিচরণের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সেভ ওয়াইল্ড লাইফ এবং নেচার (সোয়ান) সভাপতি আদনান আজাদ বলেন, আমরা যখন জানতে পারি রিসোর্টে অবৈধভাবে একটি কুমির রাখা হয়েছে, তখন খোঁজ খবর নিয়ে বন বিভাগকে অবগত করি। তাদের সহযোগিতায় কুমিরটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মৌয়ালের মৃত্যু
বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কুমির উদ্ধার
২১৩ দিন আগে
সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মৌয়ালের মৃত্যু
সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মোশাররেফ হোসেন গাজী নামে এক মৌয়ালের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) ঢাংমারী নদীতে ঘটনাটি ঘটে।
মৃত মৌয়াল মোশাররেফ হোসেন গাজী খুলনার দাকোপ উপজেলার ঢাংমারী গ্রামের আমির আলী গাজীর ছেলে।
আরও পড়ুন: যশোরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে চারজন মৌয়াল শনিবার দুপুরে একটি ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে ঢাংমারী নদী দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেন।
তিনি আরও বলেন, এসময় হঠাৎ করে একটি কুমির নৌকা থেকে মোশারফেকে টেনে নদীতে নিয়ে যায়। পরে তার সঙ্গীরা করমজল এলাকার খাল থেকে মোশারেফের লাশ উদ্ধার করে।
প্রসঙ্গত সুন্দরবনে নদী-খালে মাছ এবং বনে বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পযন্ত তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ।
এই তিন মাস জেলে-বাওয়ালি, মৌয়াল ও পর্যটকসহ সবার সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধি রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু
৩০০ দিন আগে
খান জাহান আলীর মাজারে কুমিরের মৃত্যু
বাগেরহাটের হযরত খান জাহান আলী (রহ.) মাজারের ৬০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক দীঘিতে একটি কুমির মারা গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সন্ধ্যায় কুমিরটির ময়নাতদন্ত করে। মাজারের খাদেম ও দর্শনার্থীরা কুমিরটিকে অশ্রুসিক্ত শেষ বিদায় জানান।
মৃত কুমিরটি পুরুষ প্রজাতির। এখন দিঘিতে রয়েছে মাত্র একটি নারী প্রজাতির কুমির।
মাজারের প্রধান শের আলী ফকির বলেন, তিনি লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন, দীঘিতে একটি কুমির মৃত অবস্থায় ভাসছে। পরে তিনি প্রশাসনকে খবর দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে বিলুপ্তপ্রায় কুমির উদ্ধার
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, কুমিরটি এর আগে দু'বার অসুস্থ হয়েছিল এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগ এর চিকিৎসা করে।
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, কুমিরটি তিন-চার দিন আগে মারা গেছে। কুমিরটির বয়স আনুমানিক ১৫ বছর।’
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, হযরত খান জাহান আলীর (রা.) মাজারের ৬০০ বছরের পুরানো দীঘিতে কুমিরের ঐতিহ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দীঘির দু’টি কুমিরের মধ্যে একটি মারা গেছে। দীঘির ঐতিহ্য ধরে রাখতে মিঠা পানির কুমির যাতে দিঘিতে সংরক্ষণ করা যায় সে জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদে কুমির, এলাকায় আতঙ্ক
বরিশালের জয়ন্তী নদীতে পাঙ্গাসের জালে উঠে এলো কুমির!
৫৩৩ দিন আগে
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে বিলুপ্তপ্রায় কুমির উদ্ধার
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে মিঠাপানির বিলুপ্ত প্রায় একটি কুমির উদ্ধার করেছে বন বিভাগের প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের উদ্ধারকারী দল।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গজারিয়ায় ভুবনেশ্বর নদ থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়। কুমিরটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা।
উদ্ধারকারী দলটি মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকালেই কুমিরটি নিয়ে সড়কপথে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হয়।
জানা গেছে, গত বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকালে চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের শিকদারডাঙ্গী গ্রামের ভুবনেশ্বর নদে প্রথম কুমিরটি দেখা যায়। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে কুমিরটি কয়েকবার ভেসে ওঠে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: একদিন পর কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দরে ফেরি চলাচল শুরু
আলিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. বকলুকার রহমান বলেন, কুমির দেখার খবর পেয়ে আমরা থানা ও বন বিভাগকে বিষয়টি জানাই। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মানুষকে সতর্ক করে। এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করেও সতর্ক করা হয়।
খুলনা প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রাণী বিশেষজ্ঞ মফিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, কুমিরটি উদ্ধারে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের সদর উপজেলার পাটপাশা এলাকায় পরিদর্শনে যায় উদ্ধারকারী দল। তবে সেখানে কুমিরের কোন সন্ধান মেলেনি। পরে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গজারিয়ায় ব্রিজের নিকট ভুবনেশ্বর নদে কুমিরটি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করা হয়।
মফিদুল ইসলাম আরও জানান, উদ্ধার করা কুমিরটি মিঠাপানির বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কুমির। কুমিরটি প্রথমে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নেওয়া হবে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত একটি খাল থেকে আরও একটি মিঠাপানির কুমির উদ্ধার করা হয়। পরে কুমিরটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠায় প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
২০০০ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার’- বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে মিঠা পানির কুমির বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: পশুর নদীতে সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
৫৩৫ দিন আগে
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদে কুমির, এলাকায় আতঙ্ক
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের ভুবনেশ্বর নদের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি কুমিরের দেখা মিলেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গাজিরটেক ইউনিয়নের ব্যাপারী ডাঙ্গী গ্রামের লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে কুমিরটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।
কুমিরটি দেখে এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে এশার নামাজের পর মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই চরভদ্রাসন থানা পুলিশ স্থানটি পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির কুমির
তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কুমিরটি ওই এলাকা থেকে এক কিলোমিটার দূরে তেলিডাঙ্গি এলাকায় অবস্থান করছিল বলে জানা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাত ১১টার দিকে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায় লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে একটি বাঁশের সাঁকোর নিচে কুমিরটি অবস্থান করছে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর পানি থেকে মাথা উঠিয়ে আবার ডুব দিচ্ছে কুমিরটি।
সুজন বেপারী জানান, কুমিরের বিষয়টি সন্ধ্যার পরে এলাকায় জানাজানি হয় এবং পরে এ ব্যাপারে মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়।
সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. কাউছার ব্যাপারী বলেন, কুমিরের খবর পেয়ে তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছেন। কিন্তু কুমিরটি উদ্ধারে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিরের খোঁজে পুনরায় ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কুমিরটি পূর্বের স্থান হতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভাটিতে তেলিডাঙ্গী সিকদার ডাঙ্গী এলাকায় অবস্থান করছে। সেখানে নদের পানিতে কিছু সময় পর পর মাথা তুলে আবার ডুব দেয় কুমিরটি। এসময় কুমির দেখতে নানা বয়সী উৎসুক মানুষকে রাস্তার দুই পাশে ভিড় করতে দেখা গেছে।
কুমিরটি উদ্ধারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শঙ্কা প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেন, এই নদের পানিতে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা গোসল করার পাশাপাশি গবাদি পশু গোসল করানো হয়। এখনও কুমিরটি উদ্ধার না হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী মোর্শেদ বলেন, কুমিরের বিষয়টি আমি বনবিভাগসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সংশ্লিষ্টরা খুব শিগগিরই কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করবে। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীকে আপাতত গোসল বা নদে নেমে অন্য কোন কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া জানান, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। খুলনা বিভাগীয় অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা সেখান থেকে কুমিরটি উদ্ধারে একটি টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।
খুলনা বিভাগীয় বন অধিদপ্তরের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কুমিরটির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সঠিক অবস্থান জানতে পারলে আমাদের একটি টিমকে উদ্ধার অভিযানে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালের জয়ন্তী নদীতে পাঙ্গাসের জালে উঠে এলো কুমির!
সুন্দরবনে কুমিরসহ ১৮ বন্যপ্রাণী অবমুক্ত
৫৪০ দিন আগে
বরিশালের জয়ন্তী নদীতে পাঙ্গাসের জালে উঠে এলো কুমির!
বরিশালের মুলাদী উপজেলার জয়ন্তী নদীতে আইড় পাঙ্গাস ধরতে ফেলে রাখা জালে উঠে এলো কুমির! সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রথমে বিষয়টি জেলেরা আঁচ না করতে পারলেও জালে ওজন অনুভব করায় বড় মাছ মনে করে উপরে তুলে আতঙ্কিত হয়ে যান। এরপর কৌশল অবলম্বন করে কুমিরটিকে নদীতীরে নিয়ে আসেন তারা। এই ঘটনা ছড়িয়ে পরার পর থেকে জেলেসহ স্থানীয় জনতার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে মাছের ঘেরে মিলল ৮ ফুট কুমির
কুমিরটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও জেলেদের হেফাজতে রয়েছে।
খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি দল বরিশালে রওনা দিয়েছে।
জেলে জাবুল হোসেন জানান, সকালে আইড় পাঙ্গাসের জাল ফেলে কিছু সময় পর ফের জাল তুলতে গিয়ে ওজন অনুভব হওয়ায় মনে করেছিলাম বড় মাছ উঠেছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখি একটি কুমির আমার জালে পেঁচিয়ে রয়েছে।
এরপর আমরা আতঙ্কিত হয়ে পরলেও কৌশল অবলম্বন করে ধীরে ধীরে কুমিরসহ জাল তীরে নিয়ে আসি। ঘটনাটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রুবেলকে জানাই।
মুলাদীর নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুবেল বলেন, কুমির উদ্ধারের খবটি প্রথমে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই। তারা কুমিরটি আমাদের কাছে রাখতে বলেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোকজন আসলে কুমিরটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, কুমির উদ্ধারের বিষয়টি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। তাদের একটি দল ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন। তারা বরিশাল পৌঁছে কুমিরটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কুমিরসহ ১৮ বন্যপ্রাণী অবমুক্ত
চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির কুমির
৬২৭ দিন আগে
সুন্দরবনে কুমিরসহ ১৮ বন্যপ্রাণী অবমুক্ত
সুন্দরবনে কুমির ও তক্ষকসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১৮টি বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বুধবার বিকালে ওই সব বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করা হয়। বন্দী থাকা এসব বন্যপ্রাণী ফিরে পেয়েছে আবাসস্থল। বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে এসব বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবনে অবমুক্ত করা এসব বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে- দুটি লোনা পানির কুমির, একটি তক্ষক, একটি বক, ১১টি কালিম পাখি, একটি ভুবন চিল ও দুটি মাছকুড়াল।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে র্যাবের বিশেষ অভিযান
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নভেম্বর মাসে যশোর ও মাদারীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ১৮টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এসব বন্যপ্রাণী সুন্দরবনের করমজলে আনার পর অবমুক্ত করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় উদ্ধারকরা নানা প্রজাতির বেশকিছু বন্যপ্রাণী সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সুন্দরবন ঘুরলেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা
সুন্দরবনে পর্যটকের খরা, হতাশায় ট্যুর অপারেটররা
৮২৮ দিন আগে
শরীয়তপুরে মাছের ঘেরে মিলল ৮ ফুট কুমির
শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলায় এক মাছের ঘের থেকে কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন এর দৈর্ঘ্য ৮ ফুট।
সোমবার রাত ৮টায় উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের পাজালকান্দি গ্রামের খলিল কাজির মাছের ঘের থেকে কুমিরটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলাওলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান বেপারী। স্থানীয়রা বলেন, এত বড় একটি কুমির এখানে কীভাবে আসলো, সেটি নিয়ে আমরা এখন আতঙ্কে আছি। আমাদের বাড়ির পাশে ছোট একটি নদী আছে। এখানে এতো বড় কুমির থাকার কথা না। এরকম কুমির সাধারণত খুলনা-বাগেরহাট এলাকায় দেখা যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ৫৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
ওসমান বেপারী জানান, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পাজালকান্দি এলাকার মো. খলিল কাজির মাছের ঘেরের পাড়ে এক গর্ত দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে ফাঁদ পেতে কুমিরটি ধরা হয়। কুমিরটি বর্তমানে পাজালকান্দি এলাকায় শিকল ও রশি দিয়ে বাঁধা আছে।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফি বিন কবির বলেন, কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ ফুট। এব্যাপারে রাতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে কুমিরের ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছি। তারা দেখে বলেছেন এটা নোনা পানির কুমির। তারা পাঁচ সদস্যর একটি দল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন।
জেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সানাউল্লাহ পাটোয়ারী আসবেন। পরে কুমিরটির বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে যাত্রীবাহী বাস থেকে ২৩ কেজি ওজনের চিত্রা কচ্ছপ উদ্ধার!
একদিনে সমুদ্রে ভেসে যাওয়া ৩ শতাধিক পর্যটক উদ্ধার
৮৭২ দিন আগে