রহস্য
দেশে প্রথমবার শিং মাছের জীবনরহস্য উন্মোচন
দেশে প্রথমবারের মতো দেশীয় শিং মাছের জীবন রহস্য বা জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন এবং স্ত্রী-পুরুষ শিং মাছের লিঙ্গ নির্ধারণকারী সম্ভাব্য জিন শনাক্তকরণে সফলতা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম ও তার গবেষক দল।
লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শিং মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন গবেষক তাসলিমা খানম।
গবেষক তাসলিমা খানম বলেন, জাপান সোসাইটি ফর দি প্রমোশন অব সায়েন্সের অর্থায়নে ২০২২-২০২৪ সালে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকোয়েন্সিং কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তৈরিকৃত ড্রাফট জিনোম ব্যবহার করে সম্ভাব্য লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন সনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে যা যেকোনো দেশীয় মাছের ক্ষেত্রে প্রথম।
এই গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু কিছু মাছের ক্ষেত্রে লিঙ্গভেদে স্ত্রী ও পুরুষ মাছের দৈহিক বৃদ্ধির পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। শিং মাছ এর অন্যতম উদাহরণ। যেখানে স্ত্রী শিং মাছের বৃদ্ধি পুরুষ মাছ অপেক্ষা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি হয়ে থাকে। এই মাছের বাণিজ্যিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তেলাপিয়ার ন্যায় মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদনকে অন্যতম উপায় হিসেবে মনে করা হয়। সফলভাবে মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদনের জন্য লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন সনাক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: এসএসসিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাফল্য, কারিগরির চিত্র উল্টো
এ পর্যায়ে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষায় মনোসেক্স তেলাপিয়ার গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বে মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় শীর্ষ প্রজাতি হল তেলাপিয়া যার সিংহভাগ আসে মনোসেক্স তেলাপিয়া থেকে। শিং মাছের লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তকরণের ফলাফল ব্যবহার করে মনোসেক্স শিং মাছও উৎপাদন করা সম্ভব। যা শিং মাছের বাণিজ্যিক চাষে বিপ্লব ঘটাবে বলে মনে করি।
মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদন সম্পর্কে এই গবেষক আরও বলেন, লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তের ফলে প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে মার্কার অ্যাসিসটেড সিলেকশনের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি শিং মাছ প্রজননক্ষম হওয়ার অনেক আগেই স্ত্রী ও পুরুষ মাছ শনাক্তকরণ সম্ভবপর হবে যা প্রচলিত সিলেকটিভ ব্রিডিং প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। শিং মাছের জিনোম থেকে শুধুমাত্র লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিনই নয়, অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেমন দৈহিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য দায়ী জিন সনাক্তকরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মানব স্বাস্থ্যে ও অর্থনীতিতে শিং মাছের গুরুত্ব উল্লেখ করে গবেষক তাসলিমা বলেন, উন্নতমানের আমিষ, ক্যালসিয়াম ও আয়রনসমৃদ্ধ, কম কাঁটা ও স্বল্প চর্বিযুক্ত হওয়ায় এই মাছটি পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণের জন্য বিশেষভাবে সুপরিচিত।
তিনি আরও বলেন, ২০২০-২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্বাদুপানির মোট উৎপাদিত মাছের ২ দশমিক ৫২ শতাংশ এসেছে শিং ও মাগুর মাছ থেকে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে স্ত্রী ও পুরুষ মাছ সংগ্রহ করে বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে প্রজননের এর মাধ্যমে মাছের সর্বমোট ৪০টি পরিবার তৈরি করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ৮টি পরিবার টিকে ছিলো এবং তা থেকে ৮০০টি পোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে জানান তিনি।
গবেষণা প্রকল্পটির ফলাফল জাপানিজ সোসাইটি অফ ফিশারিজ সায়েন্স আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাসলিমা খানমের নেতৃত্বে গবেষক দলে ছিলেন বাংলাদেশ, জাপান ও সুইডেনের একদল গবেষক।
গবেষণার বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিং মাছ রোগীর পথ্য হিসেবে পরিচিত। আমরা জানি পুরুষ মাছ সচারচর বেশি শক্তিশালী হয় মেয়ে মাছের তুলনায়। কিন্তু শিং মাছে তার বিপরীত। শিং মাছের ক্ষেত্রে মেয়ে মাছ বেশি শক্তিশালী হয়। মেয়ে মাছগুলো বেশি নির্বাচন করা গেলে বেশি উৎপাদন করানো যাবে। লিঙ্গ নির্ধারণ করার মাধ্যমে সহজেই তা করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৭ মাস আগে
চট্টগ্রামে ৮ টুকরো লাশের রহস্য উদঘাটন
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গায় লাগেজ থেকে উদ্ধার করা মস্তকহীন ৮ খণ্ড করা লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম, পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিবিআই জানায়, পতেঙ্গার আকমল আলী রোডে লাগেজ থেকে উদ্ধার করা খণ্ড খণ্ড মরদেহের পরিচয় মিলিছে। ওই ব্যক্তির নাম মো. হাসান। তার বয়স ৫৮ বছর। তিনি বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলি এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে। লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: তিস্তায় নিখোঁজের ১৬ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষার্থী লাশ উদ্ধার
পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, ৩০ বছর ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর ১ বছর আগে ফিরে আসেন। পরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ বাধে। সেই থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তান তাকে মারার পরিকল্পনা করেন।
স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও ছেলে মোস্তাফিজকে আটকের পর পিবিআই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া পলাতক অন্য এক ছেলেকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
পিবিআই চট্টগ্রাম নগর অঞ্চলের ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন সেলিম জানান, মো. হাসানের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে।সম্পত্তিকে কেন্দ্র করেই স্ত্রী ও ছেলেদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে দুই ছেলেকে নিয়ে হাসানকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করেন তার স্ত্রী। হত্যার পর কেটে টুকরো করে লাগজে ভরে মাথা এক জায়গায় এবং লাগেজ ভর্তি ৮ টুকরো লাশ অন্য জায়গায় ফেলে দেয়।
সিএমপি পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আফতাব হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পরিত্যক্ত লাগেজটি পাওয়া যায়। যাতে একটি লাশের খণ্ডিত অংশগুলো পাওয়া যায়। এর মধ্যে হাত-পায়ের আটটি খণ্ডিত অংশ ছিল। হাত-পাগুলো আট টুকরো করে কেটে টেপ মুড়িয়ে লাগেজে ভরা হয়েছিল। লাগেজের ভেতর শার্ট এবং লুঙ্গিও ছিল।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের টঙ্গীতে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নিখোঁজ ঝালমুড়ি বিক্রেতার লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার কিছু বাংলা ইউটিউব চ্যানেল
গল্প শোনার প্রতি সবারই একটা বিশেষ ভালোলাগা কাজ করে; হোক সেটা নিজে বই পড়ে, নানী-দাদীর কাছ থেকে গল্প শুনে কিংবা ইউটিউবে অডিওবুক স্ট্রিমিং করে। আর যদি সেটা হয় রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প, তাহলে তো কথাই নেই। একদা এক ব্রাক্ষণ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো অথবা পোড়োবাড়িতে প্রবেশের সাথে সাথে তার পেছনের দরজাটি বন্ধ হয়ে গেলো; কথাগুলো দূর থেকে শুনতে পেলেও অবচেতন মনেই যেন সবাই কান পেতে থাকে পরে কি ঘটছে তা শোনার জন্য। এখন হয়ত আর সেই গল্পদাদু নেই, কিন্তু রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার জন্য আছে দারুণ কিছু বাংলা ইউটিউব চ্যানেল। তেমনি কয়েকটি চ্যানেলের ব্যাপারে জানা যাবে আজকের ফিচারে।
রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার সেরা ১০টি বাংলা ইউটিউব চ্যানেল
থ্রিলার ল্যান্ড
২০২০ সালের ১৫ মার্চ থ্রিলার, হরর, ফ্যান্টাসি ও সাসপেন্স গল্পের ওপর ফোকাস করে খোলা হয় এই ইউটিউব চ্যানেলটি। ভারতীয় কতক গল্পবলিয়েদের কন্ঠের মাধুর্যে গত দুই বছরে চ্যানেলটির সংগ্রহ হয় ৮ লাখ ৪৯ হাজার গ্রাহক। কমেন্ট বক্স জুড়ে দর্শক মুখরতা স্থির চিত্রের নেপথ্যের কথাগুলোর আবেশের কথা জানান দিয়ে যায়। থ্রিলার ল্যান্ডে এ পর্যন্ত মোট ১১৭টি ভিডিও বানানো হয়েছে, যেগুলোতে পাওয়া সর্বমোট ভিউ সংখ্যা ৬৪ লাখেরও বেশি।
এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পাওয়া অডিওবুকটি হচ্ছে মহুয়াডহর মায়া শিরোনামের ভিডিওটি। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে গল্প বলা প্রকাশ করা হয়ে থাকে চ্যানেলটিতে। বাংলা রহস্য ও ভৌতিক গল্পের চ্যানেলের দিক থেকে থ্রিলার ল্যান্ড শীর্ষস্থানীয় একটি ইউটিউব চ্যানেল।
আরও পড়ুন: ঈদুল আযহার বাংলা সিনেমা ২০২২: সিনেমাপ্রেমিদের ঈদ আনন্দ
ভেল অব টেল্স
বিশ্বসাহিত্যের প্রায় প্রতিটি ধারাকে ফিচার করা হলেও এই চ্যানেলের গল্পগুলোর মধ্যে রহস্যের উপস্থিতিটা বেশি পরিলক্ষিত হয়। ভারতীয় কয়েকজন গল্পকথক নামকরা সাহিত্যগুলোর পাশাপাশি নিজেদের কন্ঠে নিয়ে আসে নিজেদেরই রচিত কিছু গল্প। সর্বমোট ৮৫টি ভিডিওর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাহিনীগুলো বিদেশি গল্প থেকে অনূদিত, যার কাজটি করেন চ্যানেলের পরিচালকরাই।
২০১৯ এর ২৯ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ভেল অব টেল্সের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ লাখ ৯ হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে ৪১ লাখের বেশি বার দেখা ভিডিওগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ পেয়েছে শার্লক হোমসের সিংহের মানি গল্পটি। গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে থ্রিলার ল্যান্ড-এর পরেই রাখা যেতে পারে এই চ্যানেলটিকে।
স্ক্যাটার্ড থটস
বিশ্ব বিখ্যাত গোয়েন্দা গল্প শুনতে হলে স্ট্রিমিং করতে হবে স্ক্যাটার্ড থটসের ভিডিওগুলো। রোমহর্ষক পোস্টার আর কন্ঠের নাটকীয়তায় পুরো ভিডিওটি যে আসলে স্থির চিত্রের, তা বেমালুম ভুলে বসতে হবে। ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে কয়েকজন ভারতীয় তরুণ-তরুণী তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় প্রতিনিয়ত চ্যানেলটির গুণাগুণ বাড়িয়ে চলেছেন।
তার ফসল আজ অবধি চ্যানেলটির সংগৃহীত ১ লাখের বেশি গ্রাহক এবং ১২৭টি ভিডিওতে ৯৩ লাখের বেশি ভিউ। সহজ বাংলা ভাষায় যখন রহস্যের জটগুলো খুলতে শুরু করবে, সে মুহুর্তের চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার মত অমূল্য আর কিছু হয় না। এখন পর্যন্ত চ্যানেলটি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বার যে ভিডিও দেখা হয়েছে তার শিরোনাম হলো শার্লক হোমসের ব্রুস পার্টিংটন প্ল্যানের অ্যাডভেঞ্চার।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে প্রথম ইংরেজি মঞ্চ নাটকে তাসনুভা আনান
থ্রিলার স্টেশন
থ্রিলার ল্যান্ডের কয়েক মাস আগে ২০১৯-এর ৩১ অক্টোবর এই ইউটিউব চ্যানেলটি প্রতিষ্ঠা করা হলেও এখন পর্যন্ত এর অর্জিত গ্রাহকের সংখ্যা ১ লাখের বেশি। চ্যানেল টাইটেল প্রায় একই রকম হলেও কিন্তু ভারতীয় বাংলা চ্যানেল দুটোর নির্মাতারা এক নন। অবশ্য দুটোরই ইউটিউব কন্টেন্টের মুল বিষয়বস্তু এক- থ্রিলার, গোয়েন্দা ও রহস্য গল্প।
চ্যানেলটির বর্তমান ভিডিও সংখ্যা মোট ৪৭টি এবং তাতে সর্বমোট ভিউ সংখ্যা ৬৩ লাখের বেশি। গল্পকথকরা এখানে সব সময় স্থির চিত্রের আড়ালে থাকেন না। মাঝে মাঝে স্টুডিওতে রেকর্ড করা অবস্থাতে তাদের পুরো গল্প বলাটাও দেখানো হয়। ভিডিওগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ভালো লাগা কন্টেন্টটির নাম ‘রাত নামলেই’।
গল্পের ফেরিওলা
রাজদ্বীপ চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল ও তাদের কিছু বন্ধুরা মিলে গল্পের ফেরিওলার নাম। ২০২০-এর ৪ এপ্রিল থেকেই তিনি তার অসাধারণ গল্প বলার নৈপুণ্য দিয়ে অতি যত্নে গড়ে তুলেছেন গল্প ফেরিওলা ইউটিউব চ্যানেলটি। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন জনরাতে পরিভ্রমণ হলেও রাজদ্বীপ ইউটিউবার মূলত রহস্য ও হরর কন্টেন্টের জন্য বিখ্যাত।
এখন পর্যন্ত ভারতীয় বাংলা চ্যানেলটির অর্জন ১ লা্খেরও বেশি গ্রাহক। সর্বমোট ১২১টি ভিডিওতে ১০ লাখের বেশি ভিউ পাওয়া চ্যানেলটি এখনো গ্রাহকদের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া ভিডিও হলো ‘সাবাশ ফেলুদা’। প্রাসঙ্গিক স্থির চিত্রের পাশাপাশি এর ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যানিমেশনগুলোও বেশ মনোযোগ ধরে রাখার মত।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান বন্ধের দাবি: চলচ্চিত্র পরিষদের প্রতিবাদ
এখনো গল্প
এখনো গল্প ঠিক গল্পের চ্যানেল নয় বরং বাস্তব জীবনের কিছু অভিজ্ঞতার কথামালা। চ্যানেলের গল্পবলিয়েরা নিজেদের এবং দর্শকসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতাগুলোকে তুলে ধরে নিজেদের কন্ঠে। ভারতীয় বাংলা চ্যানেলটির বেড়ে ওঠার গতি বেশ ধীর।
২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর-এ প্রতিষ্ঠিত হয়েও এখন পর্যন্ত গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৪২ হাজার থেকে কিছু বেশি। মাত্র ৭৯ ভিডিওতে সর্বমোট ভিউ পড়েছে ২৫ লাখের বেশি। হরর জনরার পাশাপাশি রোমান্টিক গল্পও এই চ্যানেলটির একটি প্রধান কন্টেন্ট। সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় কন্টেন্টের তালিকায় শীর্ষে আছে একটি রোমান্টিক গল্প। তবে দ্বিতীয় স্থানটি অধিকার করে আছে ‘শেষ ট্রেন’ নামের হরর গল্পটি।
ক্ষীরের পুতুল
বিখ্যাত এক সাহিত্যের নামানুসারে নির্মিত এই ইউটিউব চ্যানেলটির পরিচালকেরা হলেন সঞ্জিত মল্লিক, মৃত্যুঞ্জয় দাস এবং বিক্রম সাহা। এই চ্যানেলটির কন্টেন্ট কোন অডিওবুক নয়; গল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্মাণ করা হয়েছে কার্টুন। স্বভাবতই শিশু-কিশোরদের গল্প শোনার জন্যও দারুণ একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এটি। হরর-ফ্যান্টাসি বা রূপকথার গল্পগুলোই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে এই ভারতীয় বাংলা চ্যানেলটিতে।
২০১৯-এর ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার পর চ্যানেলটির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ২ লাখ ৯৮ হাজারের অধিক। ক্ষীরের পুতুলের সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো- এই দুই বছরে মাত্র ২৮টি ভিডিওতে মোট ভিউ পড়েছে ৬ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। গল্পগুলোর অধিকাংশই সর্বোচ্চ ১১ থেকে ১৩ মিনিট দীর্ঘ। এগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ভিডিওটির শিরোনাম ‘রিক্সায় ভূত’।
আরও পড়ুন: শনিবার ‘দ্য প্যাশন অব ড্রয়িং-২’ আয়োজন করবে গ্যালারি কসমস
ফাহিমের অডিও বুক বাংলা
বাংলাদেশি ইউটিউবারদের মধ্যে রহস্য গল্প নিয়ে অডিওবুক বানানোর ক্ষেত্রে শীর্ষে আছেন অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি ইউটিউবার ফাহিম। হুমায়ুন আহমেদে রহস্য ও অদ্ভূতুড়ে গল্প শুনতে আগ্রহী হলে যেতে হবে এই চ্যানেলটিতে। এছাড়াও শ্রুতি মধুর শব্দ চয়নে বিদেশি গল্পের অনুবাদগুলো দারুণভাবে প্রস্ফুটিত হয়ে উঠে ফাহিমের অডিওবুকে।
এই চ্যানেলটির যাত্রা শুরু ২০১৮ সালের ২ মার্চে। চার বছরে ফাহিমের অর্জন ৩ লাখের বেশি গ্রাহক। প্রতিটি কন্টেন্ট বেশ দীর্ঘ হওয়া সত্ত্বেও কমেন্ট বক্সে ভক্তদের উন্মাদনা ফাহিমকে তার কন্টেন্টের অডিও গুণাগুণ আরও বাড়াতে প্রেরণা যোগায়। তার প্রমাণ মেলে তার ৩৮৯টি ভিডিওর ৩৯ লাখের বেশি ভিউতে। ফাহিমের সেরা কন্টেন্ট হলো হুমায়ুন আহমেদের ‘মিসির আলীর চশমা’।
গল্প তরু হরর
২০২০ সালের ১২ নভেম্বর পথ চলা শুরু হয় গল্প তরু হররের। এটি মূলত গল্প তরু ইউটিউবের একটি শাখা চ্যানেল। দুটোরই বিষয়বস্তু গল্প বলা বা অডিওবুক। নামের মতই গল্প তরু হররে রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প ফিচার করা হয়ে থাকে। ১০১টি ভিডিওতে মোট ২ লাখের বেশি ভিউয়ে সমৃদ্ধ এই বাংলাদেশি চ্যানেলেও শোনা যাবে হুমায়ুন আহমেদের রহস্য গল্পগুলো। এখন পর্যন্ত হুমায়ুন আহমেদের ‘দৌলত শাহর অদ্ভূত কাহিনী’ অডিওবুকটি সেরা কন্টেন্ট হয়ে আছে। গ্রাহকের দিক থেকে যাচাই করা হলে চ্যানেলটি বেশ ছোট; মাত্র ৪ হাজারের বেশি এর গ্রাহক সংখ্যা।
গল্পকথন বাই কল্লোল
কল্লোল নামটি ইতোমধ্যে একটি ব্র্যান্ড হয়ে গেছে বাংলা গল্প শোনা লোকদের মাঝে। ২০১৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রথম ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে গল্পকথনের ইউটিউব অভিষেক ঘটে। দেড় বছরের মাথাতেই কল্লোল বেশ নামডাক পেয়ে যান। অবশ্য তার কন্টেন্ট শুধু হরর গল্প নিয়ে নয়। বাংলা সাহিত্যে আধুনিক জনপ্রিয় শাখা-প্রশাখাগুলো জীবন্ত হয়ে উঠে তার কন্ঠের স্পর্শে।
গত চার বছরে তিনি মোট ৫৬২টি ভিডি প্রকাশ করেছেন, যেগুলোতে সর্বশেষ মোট ভিউ পড়েছে দেড় কোটিরও বেশি। বর্তমানে কল্লোল এই চ্যানেলটির মাধ্যমে ১ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি গ্রাহককে গল্প শুনিয়ে যাচ্ছেন। তার ২০২১-এর ১০ অক্টোবর শুরু করা রূপকথা বাই কল্লোল নামের ইউটিউব চ্যানেলটিও ইতোমধ্যে ৯ হাজার ৯৮০ জন গ্রাহক পেয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মোশাররফ করিমের ‘অমানুষ’
পরিশিষ্ট
রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার এই বাংলা ইউটিউব চ্যানেলগুলোর গ্রাহকদের সবাই কিন্তু শিশু-কিশোর নন। টান টান উত্তেজনায় চাদরে নিচে বিছানায় সেধিয়ে যাওয়ার নেশার কাছে ছোট বেলার মত বড় বেলাও হার মেনে যায়। তাই এই দর্শকদের বিরাট অংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষজন। নস্টালজিয়া থেকেই হোক অথবা হরর গল্পের প্রতি ভালবাসা থেকেই হোক; কানে ইয়ার ফোন গুঁজে জীবন্ত হয়ে ওঠা ভয়েস ওভার আর্টিস্টদের কন্ঠে বুদ হয়ে থাকার ঝোঁক কেউই সামলাতে পারেন না। ভিডিওগুলোর পোস্টার এবং এনিমেশন ঘটনাগুলোকে চোখের সামনে এত প্রানবন্ত করে তোলে, যা সেই গল্পদাদুর নাটকীয় কন্ঠ শুনে মানসপটে ভাসতে থাকা চলচ্চিত্রের থেকে কোন অংশে কম নয়।
২ বছর আগে
প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে দুই বন্ধুর পরকীয়ার বলি রাসেল!
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে দুই বন্ধুর। এরই জের ধরে দেবর ও এক প্রেমিক মিলে হত্যা করে অন্য প্রেমিক রাসেলকে। উপজেলার পাবুরিয়াচালা গ্রামে এই হত্যার ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হলেও ঘটনার এক বছর দুই মাস পর রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছে গাজীপুর পিবিআই। হত্যায় জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার পিবিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সুপারি চুরির ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক খুন
গ্রেপ্তার তিন যুবক হলেন,ওই গ্রামের মো.আইয়ুব আলীর ছেলে মো.রানা (২২),আ হকের ছেলে মো. হেলাল (৪৫)ও মো.মুক্তার হোসেনের ছেলে মো.কাউছার (২৩)।
পিবিআই জানায়,ওই গ্রামের জমির আলীর ছেলে মো.রাসেল (১৯)কে হত্যা করা হয় এক বছর দুই মাস আগে। রাসেল হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ভাইয়ের হাতে বোন খুন
৩ বছর আগে
হবু বউ পছন্দ না হওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার আত্মগোপন, ৭ দিন পর উদ্ধার
এক সপ্তাহ রহস্যজনকভাবে আত্মগাপন করে থাকা গাইবান্ধার পলাশবাড়ির ব্যাংক কর্মকর্তাকে ৩০ জুন রাতে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বউ পছন্দ হয়নি বলে স্ব-ইচ্ছায় আত্মগোপন করেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ গাইবান্ধায় এক টাকায় ঈদ বাজার
ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান পলাশবাড়ি উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার তৌহিদুর রহমান প্রেস ব্রিফিং করে ঘটনার বর্ণনা দেন এবং আবু সুফিয়ানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
পুলিশ সুপার জানান, আবু সুফিয়ানের পারিবারিকভাবে গাইবান্ধায় এক মেয়ের সাথে বিবাহের দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু তার হবু স্ত্রী পছন্দ না হওয়ায় বিয়ের শপিং করার কথা বলে তিনি ঢাকার আদাবরের ৩১ নম্বর বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্ব-ইচ্ছায় আত্মগোপন করেন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে নিখোঁজের স্বজনরা পলাশবাড়ি থানায় জিডি করলে গাইবান্ধার পুলিশ মোবাইল ট্রেকিং করে তার সন্ধান বের করেন এবং গাইবান্ধায় নিয়ে আসেন।
৩ বছর আগে
ফটিকছড়িতে ৬ মাসের ব্যবধানে বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ৬ মাসের ব্যবধানে বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কাঞ্চন নগরের চমুরহাট বাজারের উত্তর পাশে নিচিন্তাপুর থেকে এজাহার মিয়ার (৬৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। এর ৬মাস আগে একই এলাকা থেকে তার ছেলে বশির প্রকাশ বাঁশির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ অভয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই আনসার সদস্য নিহত
নিহত এজাহার মিয়া উপজেলার ৭নং ওয়ার্ড দিঘিরপাড়া মৃত চুন্নু মিয়ার ছোট ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে এজাহার মিয়া ঘর থেকে বের হন। রাতে ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুজি শুরু করে তারা। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে তার আত্বীয়-স্বজনরা খোঁজ করতে করতে চমুরহাট বাজারে গেলে বাজারের উত্তর পাশে নিচিন্তাপুর নামক জায়গার বাশঁঝাড়ের নিচে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে এলাকাবাসী ফটিকছড়ি থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুনঃ বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)রবিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করি।
উল্লেখ্য গত ৬ মাস আগে চমুরপাড়ার পূর্ব পাশে হলদ্যেখোলা ছড়া থেকে এজাহারের ছেলে বশিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এখন অবধি তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়নি।
৩ বছর আগে
দক্ষিণ আফ্রিকায় একসাথে ১০ সন্তান জন্মদানের দাবি নিয়ে ধোঁয়াশা
দক্ষিণ আফ্রিকায় এক নারী একসাথে ১০ সন্তান জন্মদানের পর রহস্য যেনো সেখানে চেঁপে বসেছে। এটিই বিশ্বের প্রথম ডিকোপ্লেটস বা এক সঙ্গে ১০ সন্তান জন্ম দেয়ার ঘটনা কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
দেশটির সংবাদপত্র 'প্রিটোরিয়া নিউজ' এর সংবাদ অনুসারে জোহানেসবার্গের নিকেটে তেম্বিসা শহরের গোসিয়াম থমারা সিথোল সোমবার এই দশ শিশুর জন্ম দিয়েছে। এর মধ্যে ৭ টি ছেলে সন্তান এবং ৩ টি মেয়ে সন্তান।
আরও পড়ুনঃ করোনা: মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের পর বাংলাদেশে আক্রান্তের ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়ান্ট
তবে এই পর্যন্ত তাদের কোনও ছবি দেখা যায়নি। যদিও তারা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে জন্মগ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে বিষয়টি এখনও যাচাই করা হচ্ছে।
সিথোলের স্বামী তেবোহো সোতেতেসি জানান, প্রিটোরিয়ার একটি হাসপাতালে তার স্ত্রী সন্তান জন্ম দিয়েছেন এবং শিশু জন্মের আগে স্ক্যানে ৮ শিশু দেখালেও, ১০ শিশুর জন্মে তারা এবং ডাক্তাররা খুব অবাক হয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা অধীরভাবে এই বিশ্ব রেকর্ড প্রমাণের অপেক্ষায় রয়েছে।
৩ বছর আগে