চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গায় লাগেজ থেকে উদ্ধার করা মস্তকহীন ৮ খণ্ড করা লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম, পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিবিআই জানায়, পতেঙ্গার আকমল আলী রোডে লাগেজ থেকে উদ্ধার করা খণ্ড খণ্ড মরদেহের পরিচয় মিলিছে। ওই ব্যক্তির নাম মো. হাসান। তার বয়স ৫৮ বছর। তিনি বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলি এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে। লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: তিস্তায় নিখোঁজের ১৬ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষার্থী লাশ উদ্ধার
পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, ৩০ বছর ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর ১ বছর আগে ফিরে আসেন। পরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ বাধে। সেই থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তান তাকে মারার পরিকল্পনা করেন।
স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও ছেলে মোস্তাফিজকে আটকের পর পিবিআই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া পলাতক অন্য এক ছেলেকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
পিবিআই চট্টগ্রাম নগর অঞ্চলের ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন সেলিম জানান, মো. হাসানের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে।সম্পত্তিকে কেন্দ্র করেই স্ত্রী ও ছেলেদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে দুই ছেলেকে নিয়ে হাসানকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করেন তার স্ত্রী। হত্যার পর কেটে টুকরো করে লাগজে ভরে মাথা এক জায়গায় এবং লাগেজ ভর্তি ৮ টুকরো লাশ অন্য জায়গায় ফেলে দেয়।
সিএমপি পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আফতাব হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পরিত্যক্ত লাগেজটি পাওয়া যায়। যাতে একটি লাশের খণ্ডিত অংশগুলো পাওয়া যায়। এর মধ্যে হাত-পায়ের আটটি খণ্ডিত অংশ ছিল। হাত-পাগুলো আট টুকরো করে কেটে টেপ মুড়িয়ে লাগেজে ভরা হয়েছিল। লাগেজের ভেতর শার্ট এবং লুঙ্গিও ছিল।