অধিদপ্তর
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভবনের ভিত্তি প্রস্তর ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নতুন ২টি বেজমেন্টসহ ১০ তলা ভিত বিশিষ্ট ৮ তলা মূলভবণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
সোমবার(৩ জুন) রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে এ ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের পথে তার যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। প্রাণিসম্পদের জন্য এধরণের ভবন নির্মাণ তারই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই জাতি ও দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণই দেশ নিয়ে ভাবেন, দেশের মানুষ নিয়ে ভাবেন, প্রাণি নিয়ে ভাবেন। প্রধানমন্ত্রী এ দেশকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান যেখান থেকে এ দেশ কোনো দিন আর পেছনে ফিরবে না, এদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
নানাবিধ পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত জনগোষ্ঠী তৈরির নিমিত্তে দৃষ্টি নন্দন একটি ভবন তৈরি করার ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী যে আশা নিয়ে করে দিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তা পূরণ করবেন বলে মন্ত্রী এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর যোগান দেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই ভবন তৈরিকে সামনে রেখে যাতে কোনো বাড়তি উৎপাতের জন্ম না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে যারা দেশকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, যারা মানুষকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, যারা প্রাণিসম্পদকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, তবে শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে কোন নষ্ট মানুষের জায়গা হবে না এবং আজকের তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে দৈহিক শক্তি ব্যবহার করে কোন কিছুই করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর যদি একসঙ্গে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে পারে তাহলে প্রধানমন্ত্রী যেটি আমাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন তা আমরা দিতে পারব।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ সেবা ত্বরান্বিত ও অধিদপ্তরের কর্মপরিবেশ ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা উন্নয়নে ভবনটি বিশেষ অবদান রাখবে বলে এসময় তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন নান্দনিক এ ভবনটি নির্মিত হলে সেবাগ্রহীতাদের সেবাপ্রদান আরও সহজতর হবে বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ভবনটির আয়তন প্রায় ১ লাখ স্কয়ার ফিট। ভবনটিতে ২টি বেইজমেন্ট রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ থাকবে।
এছাড়া ভবনটিতে প্রায় ২২০ জনের মাল্টিপারপাস হলরুম, ৬০ জনের ১টি কনফারেন্স রুম, ২৫ জনের ১টি কম্পিউটার ল্যাব, ৬০ জনের ১টি প্রশিক্ষণ রুমের ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়াও ৩৫ জন নারী ও ১২২ জন পুরুষের পৃথক নামাজের ব্যবস্থা, পুরুষ ও নারীদের পৃথক ওয়াশরুম, রিসিপশন, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, ওয়েটিং রুম, সার্ভার রুম, ডে-কেয়ার সেন্টার, ডক্টরস রুম ও ক্যাফেটেরিয়ার সু-ব্যবস্থা থাকবে।
ভবনটিতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক সাবষ্টেশন, জেনারেটর ও ৪টি লিফট, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আরবরিকালচার ও ট্রেস গার্ডেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ভবনটির নির্মাণ কাজের সময়কাল ধরা হয়েছে ১৮ মাস।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন (বিভিএ) এর মহাসচিব ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন ও অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল এসময় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে ডিআরএফ প্রণয়ন করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
মাস্ক পরার পরামর্শ পরিবেশ অধিদপ্তরের
বায়ুমান সূচকে ঢাকার বায়ুদূষণ ৩০০ এর বেশি হলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনায় ঘরের বাইরে অবস্থানকারী জনসাধারণকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পাশাপাশি অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু ও বয়স্কদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া বা দূষণের মাত্রা বিবেচনায় অন্য পরামর্শ দেওয়া হবে।
বায়ুদূষণ বায়ুমান সূচকে ৩০০ এর কম হলে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশনায় বায়ু দূষণ নিয়ে জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক পরামর্শ প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বায়ু দূষণের মাত্রা বিবেচনায় এখন থেকে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের বায়ুমানের অবস্থা পরিবীক্ষণের লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরগুলোতে ১৬টি কন্টিনিউয়াস এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম (সিএএমএস) থেকে পরিবীক্ষণ ডাটা রিয়াল টাইম অটোমেশন পদ্ধতিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের কালিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
১০ মাস আগে
ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী না পাঠানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
ঢাকার বাইরে আক্রান্ত কোনো ডেঙ্গু রোগীকে রাজধানীতে না পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু বিষয়ে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে তা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীকে যেন ঢাকায় পাঠানো না হয়।
আরও পড়ুন: আগস্টে ডেঙ্গু কমার আশা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে মশাবাহিত এই রোগে। মৃতের তালিকাটাও দীর্ঘ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, সাধারণত অন্যান্যবার ডেঙ্গুর প্রকোপ রাজধানীতে বেশি থাকলেও এবার সারাদেশেই ডেঙ্গু মারাত্মক আকারে ছড়িয়েছে। এবার ঢাকার বাইরে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকার তুলনায় ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়েছে। আমরা ঢাকার বাইরে সব জায়গায় ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। সারাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।
তিনি বলেন, কিছু ক্লিনিক এবং হাসপাতাল রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। রোগীদের হাসপাতালে রাখছে ও আইসিইউতে নিচ্ছে। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে এবং যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধন নেই বা মেয়াদোত্তীর্ণ সেসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান পরিচালিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্যালাইনের সংকট হয়নি। বাংলাদেশে পেঁয়াজের মজুত থাকলেও সংকট দেখা দেয়। কেউ আর্টিফিশিয়াল কোনো সংকট যেন তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা বিদেশ থেকে তিন লাখ স্যালাইন আমদানি করছি।
ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসময়ে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি, কোথাও স্যালাইনের দাম বেশি রাখা হলে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১১ এলাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ডেঙ্গু সবচেয়ে বেশি কক্সবাজারে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
১ বছর আগে
ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার সকালে 'মধ্যম' পর্যায়ে
এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দূর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান রবিবার সকালে 'মধ্যম'
ঢাকার বাতাস শনিবার সকালে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
১ বছর আগে
আগস্টে ডেঙ্গু কমার আশা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন জানান, আগস্টে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারলে আশা করা যায় ডেঙ্গু রোগী কমে স্বস্তিকর জায়গায় আসবে।
রবিবার (৬ আগস্ট) দেশের চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডেঙ্গু পরীক্ষার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি জানান, দেখা যায় যে কোনো রোগের প্রাদুর্ভাবে একটা সময় সর্বোচ্চ পরিমাণ হয়ে এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে প্রতি বছর একইভাবে মিল থাকবে তাও নয়।
আরও পড়ুন: এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৩০০ ছাড়াল
গত বছরে অক্টোবরে এসে ডেঙ্গু কমতে শুরু করে। তবে এবার সেটা আগস্টেও হতে পারে। আগস্ট মাস ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারলে আশা করা যায় এ রোগে আক্রান্ত কিছুটা কমে আসবে এবং একটা স্বস্তিকর জায়গায় যাওয়া যাবে।
অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন জানান, জুলাই মাস জুড়ে ডেঙ্গু প্রতিনিয়ত বেড়েছে। এ বিগত সময়ের তুলনায় বর্তমানে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।
তবে ঢাকার বাইরে আগে যে হারে রোগী বাড়ছিল, এখন সে হারে বাড়ছে না বলে জানায় অধিদপ্তর।
রোগীর সংখ্যা এতদিন বেড়েছে এবং সে জায়গায় স্থিতিশীল রয়েছে। যখন এ স্থিতিশীলতা থেকে রোগী কমার দিকে যাবে তখন আমাদের হাসপাতালগুলোতে চাপ কমবে। তবে তার আগ পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমাদের থাকতে হবে।
এডিস মশা নিধনে সিটি করপোরেশন নতুন একটি ওষুধ নিয়ে এসেছে, কতটুকু সেটি কার্যকর হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিধন নিয়ে আমার আসলে পুরোপুরি জানা নেই।
তিনি বলেন, তবে সিটি করপোরেশন যে ওষুধগুলো এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে, সবগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে, এরপরেই সেটি প্রয়োগ করা হয়েছে।
আমরা আশ করি, যেহেতু তারা নতুন একটি ওষুধ নিয়ে এসেছে, অবশ্যই এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন সংকট মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানানো হয়েছে। কেন সংকট ও কোথায় দাম বেশি রাখা হচ্ছে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তদারকি করছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১০, আক্রান্ত ১৭৫৭
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১০, আক্রান্ত ২৫৮৯
১ বছর আগে
সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর তার নিয়মিত বুলেটিনে জানিয়েছে যে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শনিবার সকালেও ‘মধ্যম’
ঢাকার বাতাস শুক্রবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
১ বছর আগে
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টে তলব
এক ছাত্রের ভর্তিসংক্রান্ত নথিপত্র আদালতে হাজির না করায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলামের ভর্তির মূল কাগজপত্রসহ ২৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি টিটো মিয়াকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
ওই ছাত্রের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ২৪ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেছেন, চট্টগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেলের ছাত্র শরীফুল ইসলাম ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ শরীফুলের ভর্তির রোল নম্বর নিবন্ধন না দেয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে রিটের শুনানি শেষে শরীফুলের ভর্তিসংক্রান্ত মূল কাগজপত্র জমা দিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ: ভিডিও অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
গত বছরের নভেম্বরে এই নির্দেশনা দিলেও তা আদালতে জমা দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে শরীফুলের ভর্তির মূল কাগজপত্রসহ ২৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি টিটো মিয়াকে নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি কারাগারে চিকিৎসক সংযুক্তির বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করেন হাইকোর্ট। ২৪ জানুয়ারি তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবসরের পরই সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেয়া কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
১ বছর আগে
‘সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে’
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার,এনডিসি, এইচডিএমসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি,জি অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রেশন রিপোটার্স ফোরাম (পিআইআরএফ) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পিআইআরএফ’র সভাপতি দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার আছাদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালবেলা আতাউর রহমানের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের একটি দল নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় মহাপরিচালক ফোরামের নির্বাহী কমিটির সকল সদস্যের সঙ্গে পরিচিত হন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি দৈনিক ইত্তেফাকের জামিউল আহসান সিপু, সহসভাপতি রুহুল আমিন তুহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের আলী আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক বণিক বার্তার নেহাল হাসনাইন, দপ্তর সম্পাদক দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার ফজলুর রহমান।
আরও পড়ুন: ‘বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দেয় জাতিসংঘ’
মঙ্গলবার দুপুরে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অধিদপ্তরের সেবাকে সহজীকরণ করতে আমাদের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আপনাদের সহযোগিতায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’
এসময়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মাসব্য ও অর্থ) উম্মে সালমা তানজিয়া, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পাসপোর্ট ভিসা ও ইমিগ্রেশন) সেলিনা বানু, ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসাইন, এনডিসি, পিএসসি, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), শিহাব উদ্দিন খান, পরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন) মো. সাঈদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ ‘ভেরি স্পেশাল পার্টনার’: ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
সিউলে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উদযাপিত
২ বছর আগে
‘সরকারি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা ১৮৯৩ কোটি টাকা’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে বিদ্যুৎ বিল বাবদ বকেয়া ১৮৯৩ কোটি টাকা পাবে বিদ্যুৎ বিভাগ।
তিনি আরও বলেন, দৈনিক গড়ে ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের কথা বিবেচনা করলে বাকি গ্যাস প্রায় ১১ বছর (১০ বছর ৮ মাস) ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
হামিদ জানান, বিদ্যুৎ বিভাগ স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৯০৫ দশমিক ২১ কোটি টাকা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ৩৯৫ দশমিক ৬৮ কোটি টাকা পাবে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তদারকি জোরদার ও মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত কয়েক বছরে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে (এপিএ) বকেয়া কমানোর জন্য বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাছ থেকে বকেয়া আদায়ের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা, বিল খেলাপিদের তালিকা তৈরি ও তা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অপরিশোধিত বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা।
আরও পড়ুন: ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: নসরুল হামিদ
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া কমাতে সকল গ্রাহককে প্রিপেইড/স্মার্ট মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বশেষ (১ জুলাই, ২০২২) হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রমাণিত ও সম্ভাব্য পুনরুদ্ধারযোগ্য গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৫৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
গ্যাস উৎপাদনের শুরু থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে গ্যাসের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ ১৯ দশমিক ৫৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
বর্তমানে অবশিষ্ট পুনরুদ্ধারযোগ্য মজুদ ৯ দশমিক ০৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসক্ষেত্র থেকে বর্তমান গড় দৈনিক ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বিবেচনা করলে অবশিষ্ট গ্যাস ১০ বছর ৮ মাস (প্রায় ১১ বছর) ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, দৈনিক হারে গ্যাস উৎপাদন হ্রাস পেলে এবং নতুন গ্যাসক্ষেত্র উদ্ভাবনের পর গ্যাস উৎপাদন বাড়ানো হলে উল্লিখিত সময় বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশে এলপিজি আমদানি করতে হয়, সেহেতু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে সরকারি ভর্তুকি ছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজারে এলপিজির দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির আশা নসরুল হামিদের
নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-১০ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে ২৮ দশমিক ৩বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিদ্যুতের জন্য বেসরকারি খাতে ৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে হামিদ বলেন, ডিজেল বিক্রি করে বিপিসি প্রতি লিটারে ২১ টাকা লোকসান করছে।
দেশব্যাপী চলমান লোডশেডিং নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে হামিদ বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার এবং পরিকল্পিত লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে জ্বালানি সংকট কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে গ্রিডে যুক্ত করা হবে এবং বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করে দ্রুত সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক লুটপাট, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কথা বলে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
হারুন প্রস্তাব করেন, স্পিকার এ বিষয়ে সংসদে আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।
জবাবে হামিদ বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হারুনের সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহের সমস্যা সমাধান করা হবে: নসরুল হামিদ
২ বছর আগে
অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফের অভিযান
অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধে সোমবার থেকে আবারও কঠোর অভিযান চালাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, প্রথম দফায় অভিযান পরিচালনা শেষেও এখনও অসংখ্য অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়ে গেছে। সোমবার থেকে আবারও কঠোর অভিযান পরিচালনা করবো। যেভাবে তিন মাস আগে অভিযান পরিচালনা করেছি, এখনও সেভাবেই হবে।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
তিনি জানান, এখন থেকে তিন মাস আগে অবৈধ হাসপাতালগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছি। তখন বলেছিলাম তিন মাস পর আপনাদের অবহিত করবো। আজ সে উদ্দেশ্যই আপনাদের ডেকেছি। সে সময়ে সর্বমোট ১৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি জানান, লাইসেন্সবিহীন বা অবৈধ কোন হাসপাতালে যদি বৈধ কোন চিকিৎসকও চিকিৎসা সেবা দিতে যান, তাহলে তিনিও অবৈধ বলে বিবেচিত হবেন। তাদের কোন দায় আমরা নিব না। এছাড়া গত ২৬ মে সারা দেশে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে মোট ১৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। অভিযানে সেগুলোকে জরিমানা করে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এই মুহুর্তে আমাদের কাছে নতুন লাইসেন্সের জন্য পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে এক হাজার ৯৪৬ টি। লাইসেন্স নবায়নের জন্য পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে দুই হাজার ৮৮৭টি প্রতিষ্ঠান।
তিনি জানান, এই পর্যন্ত নতুন লাইসেন্স দেয়া হয়েছে এক হাজার ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে। লাইসেন্স নবায়ন হয়েছে দুই হাজার ৯৩০টিকে। নতুন লাইসেন্সের জন্য পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে ৩৭৯টিকে। লাইসেন্স নবায়নের জন্য পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে ১০৭৬টি এবং নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে অপেক্ষমান রয়েছে ২০০০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
তিনি আরও জানান, লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে যে, সময় দেয়ার পরেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করছে না এবং কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের আবেদনও করছে না। এমনকি তারা লাইসেন্স ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বারবার সতর্ক করার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধন না করার ফলে আবেদন পেন্ডিং অবস্থায় আছে। এজন্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্সের অবস্থা আরও তরান্বিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান কার্যক্রম চালনা করা জরুরি।
এর আগে গত ২৬ মে সারা দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরদিন থেকে সারা দেশে চলে অভিযান। এতে ঢাকা জেলাসহ রাজধানীতে ১৬৪টি ও ঢাকার বাইরে ৩৭৪ টিসহ মোট ৫৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ আছেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে সারাদেশে ১১৬ অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
২ বছর আগে