ঢাকার বাইরে আক্রান্ত কোনো ডেঙ্গু রোগীকে রাজধানীতে না পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু বিষয়ে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে তা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীকে যেন ঢাকায় পাঠানো না হয়।
আরও পড়ুন: আগস্টে ডেঙ্গু কমার আশা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে মশাবাহিত এই রোগে। মৃতের তালিকাটাও দীর্ঘ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, সাধারণত অন্যান্যবার ডেঙ্গুর প্রকোপ রাজধানীতে বেশি থাকলেও এবার সারাদেশেই ডেঙ্গু মারাত্মক আকারে ছড়িয়েছে। এবার ঢাকার বাইরে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকার তুলনায় ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়েছে। আমরা ঢাকার বাইরে সব জায়গায় ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। সারাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।
তিনি বলেন, কিছু ক্লিনিক এবং হাসপাতাল রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। রোগীদের হাসপাতালে রাখছে ও আইসিইউতে নিচ্ছে। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে এবং যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধন নেই বা মেয়াদোত্তীর্ণ সেসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান পরিচালিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্যালাইনের সংকট হয়নি। বাংলাদেশে পেঁয়াজের মজুত থাকলেও সংকট দেখা দেয়। কেউ আর্টিফিশিয়াল কোনো সংকট যেন তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা বিদেশ থেকে তিন লাখ স্যালাইন আমদানি করছি।
ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসময়ে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি, কোথাও স্যালাইনের দাম বেশি রাখা হলে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১১ এলাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর