অগ্রাধিকার
জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার পাবে: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। জনস্বার্থে যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা দরকার সেটা সবার আগে দেখা উচিত।
চলমান প্রকল্পগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকট মাথায় রেখেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে, প্রকল্প বাস্তবায়নে হাত দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি ঘটানো যাবে না। বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটাও দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, আমেরিকা প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা
বিভিন্ন বড় প্রকল্পের অগ্রাধিকার নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে কমলাপুরের প্রকল্প মতিঝিল পর্যন্ত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও জানান, ‘হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা এবং কমলপুর থেকে পূর্বাচল হয়ে বিমানবন্দর ৩১ কিলোমিটারের মধ্যে পাতাল রেল এবং তারপর আরেকটি ১৩ কিলোমিটারের পাতাল রেল- এই দুই প্রকল্প চলমান এবং জনস্বার্থেও দরকার। এতে বিদেশি তহবিলও আছে।’
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার প্রকল্পতে জাইকা সম্মতি দিয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। যশোর-খুলনা প্রকল্পকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঐতিহ্যগত দুর্নীতি বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভালো কাজের জন্য পুরস্কার, খারাপ কাজের জন্য তিরস্কার- দুটিই প্রয়োজন। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবসহ প্রধান কর্মকর্তা, আমরা যদি সৎ থাকি, তাহলে দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ নেই। দুর্নীতির জন্য আমাদের যে মূল্য দিতে হয়, সেটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক, দুঃখজনকও বটে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কমিশন, পার্সেন্টেজ এক সময় এখানে নিয়ম হিসেবে চালু ছিল। এখানে পদোন্নতি ও ট্রান্সফার নিয়ে অনেক কথা ছিল। এসব চর্চা বন্ধ করা হয়েছে।’
বিআরটিএ এবং সড়ক ও মহাসড়ক কোনো ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভুয়া সাংবাদিকের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: সেতুমন্ত্রী
ঢাকা অচল করতে আসলে বিএনপিকে অচল করে দেবে ঢাকাবাসী: সেতুমন্ত্রী
৪ মাস আগে
ডিএনসিসিতে নতুন যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে: মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগামী এক বছর ডিএনসিসিতে নতুনভাবে যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, খালগুলো দখলমুক্ত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছি এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলবে।
সোমবার (১৩ মে) সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের প্রধান কার্যালয়ের হল রুমে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ৪ বছর পূর্তিতে সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু: ডিএনসিসি মেয়র
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি মেয়র তার দায়িত্বগ্রহণের ৪ বছরের অগ্রগতির সার্বিক চিত্র এবং আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
মেয়র বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা সারা বছরই কাজ করছি। এ বছর বর্ষার আগেই ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযান পরিচালনা করছি। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। বিটিআই আনার জন্য গত বছর উদ্যোগ নিয়েছিলাম, ঠিকাদার প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তাকে কালো তালিকাভুক্ত করাসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে আমরা বিটিআই আনার বিষয়টি বন্ধ না করে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে নিজেরাই সরাসরি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে। দ্রুতই বিটিআই আনতে পারব। প্রথমবারের মতো এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি নগদ টাকায় কিনে নিচ্ছি। কার্যকরভাবে ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন বাফেলো টারবাইন নিয়ে আসব, এটি প্রক্রিয়াধীন। সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযান চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সেবার পরিসর বাড়িয়েছি। হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। গুলশান-১ ও তালতলা মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্মার্ট পার্কিং চালু করেছি। গুলশান-২ এ এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ভিত্তিক ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর মাধ্যমে প্রমাণ করেছি ডিএনসিসি ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল বাস্তবায়নে সক্ষম। আরও ছয়টি স্থানে এআই ভিত্তিক ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে অনলাইন সেবার পরিসর বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছি।
সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে ইচ্ছা ছিল কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, একটি স্মার্ট জবাইখানা করার ইচ্ছা আছে। আমি দ্রুতই এটি বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেব। এছাড়াও গাবতলীতে বৃক্ষ ও প্রাণী হাসপাতাল নির্মাণ করার ইচ্ছা রয়েছে।
তিনি বলেন, শহরের পরিবেশ রক্ষায় দুই বছরে দুই লাখ গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। গত বছর ৯০ হাজার গাছ রোপণ করা হয়েছে। আমরা বৃক্ষরোপণকে গুরুত্ব দিয়ে ৪৭ জন মালি নিয়োগ দিচ্ছি। দুইজন সুপারভাইজার নিয়েছি। এই বছর আরও দেড় লাখ গাছ রোপণ করা হবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে খালি জায়গায় শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে: ডিএনসিসির বর্জ্য প্রদর্শনীতে মেয়র
বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে: মেয়র তাপস
৬ মাস আগে
‘নির্বাচনী ইশতেহারের অগ্রাধিকার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া আছে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
সোমবার (৪ মার্চ) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না: শ্রমপ্রতিমন্ত্রী
ডিসিদের জন্য আপনাদের কোনো নির্দেশনা ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃচ্ছ্রসাধনের বিষয়টি ডিসিদের আগেই বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে আজ সার্বিক বিষয়ে কথা বললাম। প্রকল্প বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে তারাই কাজ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ১১টি অগ্রাধিকার দেওয়া আছে, সে বিষয়েও তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
সে অগ্রাধিকারের যে নির্দেশনা আছে সে বিষয়ে কথাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
ছোট-বড় যেকোনো দুর্নীতি নির্মূলের চেষ্টা করব: সমবায় প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
জলবায়ু অগ্রাধিকার সহায়তা হিসেবে এডিবির কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
জলবায়ু সহনশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অর্জনে প্যারিস চুক্তির জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ এবং জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) ২০২১ হালনাগাদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের নীতিভিত্তিক ঋণ স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং নিজ নিজ পক্ষে ঋণ চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
এই সহায়তা ৭০০ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু সহনশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রথম উপকর্মসূচি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সবেচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি; যার বার্ষিক গড় ক্ষতি প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, 'এই অঞ্চলের জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে এডিবি বাংলাদেশের জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা জোরদার, স্বল্প কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর, গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং সরকারের জলবায়ু কার্যক্রমে লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মূলধারায় বাংলাদেশের প্রগতিশীল পদক্ষেপে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ম্যানিলাভিত্তিক আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক বলেছে, এই কর্মসূচি জলবায়ু অর্থায়নকে একত্রিত করার জন্য সক্রিয় প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিগত পরিবেশ তৈরি করবে। এটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এজেন্ডায় জলবায়ু কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেবে এবং কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবহন ও অবকাঠামো, নগর উন্নয়ন ও জ্বালানিসহ জলবায়ুবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারে সরকারকে সহায়তা করবে।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সরকারের জলবায়ু অগ্রাধিকারের সার্বিক বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়।
সম্প্রতি কপ-২৮-এ উপস্থাপিত বাংলাদেশ জলবায়ু ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব বাস্তবায়নে এই কর্মসূচি সরকারকে নিবিড়ভাবে সহায়তা করবে।
প্রোগ্রামটি সরকারি পরিকল্পনা ও সম্পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে জলবায়ু অগ্রাধিকারকে মূলধারায় আনতে এবং সবুজ বন্ড ও টেকসই অর্থায়ন নীতির মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়নকে একত্রিত করতে সহায়তা করে।
সেক্টরাল পর্যায়ে, প্রোগ্রামটি জলবায়ু-স্মার্ট ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি অনুশীলনগুলো বিশেষত নারী কৃষকদের পক্ষে প্রচার করে। একই সঙ্গে সৌর সেচ পাম্পের অভিযোজন, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নকশা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের অভিযোজন ও গণপরিবহন বহরে বৈদ্যুতিক বাস প্রবর্তনের জন্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো প্রবর্তন করে।
এডিবি শহুরে বন্যা কমাতে জলবায়ু সহনশীল নগর কর্মপরিকল্পনা ও পৌরসভাগুলোর জন্য উন্নত নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রচারে সহায়তা করে।
২০২১ সালের অক্টোবরে এডিবি ঘোষণা করে, তারা ২০১৯ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়ন ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি বাড়িয়েছে। এটি নতুন, জলবায়ুকেন্দ্রিক প্রযুক্তিগুলোতে প্রবেশাধিকার প্রসারিত করবে এবং জলবায়ু অর্থায়নের বেসরকারি মূলধনকে একত্রিত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১.০৮ বিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে
১১ মাস আগে
নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকার পাবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে হয়ত শতভাগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের সফলতা রয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টিসিবিসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে। যার জন্য সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসিতে) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র যৌথ উদ্যোগে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক ছায়া সংসদের গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
করোনা পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটি সত্যি।
এছাড়া দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ ভূমিকা মুখ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজের চাহিদা তার চেয়ে প্রায় ৭-৮ লাখ টন ঘাটতি থাকে। যেটা আমরা ভারত থেকে আমদানি করে থাকি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পারমিশন দেওয়ার জন্য বলা হলেও কৃষকের কথা ভেবে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, পরে যখন আমদানির অনুমতি দেওয়া হলো— তখন ভারত আমদানির ওপর ৪০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করল। এর কিছুদিন পরেই ভারত আবার প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানি ৮০০ ডলার করে, যে কারণে সরকারের পক্ষে নির্ধারিত দাম ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।
চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর পরও দাম না কমা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডলারের মূল্য আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, সেগুলো আন্তর্জাতিক বাজার বা ডলারের মূল্যের ওপর নির্ভর করে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাইলেও সেগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারি না। আমরা যেটা পারি, সেটি হলো শুল্ক কমাতে।
যেমন— চিনির দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় চিনির দামে কোনো প্রভাব পড়েনি বরং বেড়েছে। ফলে এর সুফল ভোক্তা পায়নি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন— জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এতদিন ব্যবসায়ীরা ডিমে বেশি মুনাফা করেছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র সচিবকে মার্কিন কর্মকর্তা
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মোমেন বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ তাকে বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ভবিষ্যতে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা এ সমস্যাটিকে অগ্রাধিকার দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সব দেশ সহযোগিতা করুক... একটি একক দেশ বা প্রতিষ্ঠান এটা করতে পারে না।’
সোমবার (৭ আগস্ট) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ-এর সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় মাসুদ বিন মোমেন বলেন, তিনি সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন, যাতে সমাজে কোনো দায়মুক্তি ও বিরূপ প্রভাব না পড়ে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মার্কিন পক্ষ চলতি বছরের ডিসেম্বরে আটলান্টায় জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের ২০তম বার্ষিকীতে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ওই বৈঠকে অংশ নেবে; যেখানে আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক দুর্নীতি মোকাবিলায় অংশগ্রহণকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন করে প্রতিশ্রুতি চাইবে।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশও একই ধরনের বিষয় নিয়ে জি-টোয়েন্টিতে একটি বৈঠকে অংশ নেবে এবং আইনমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মার্কিন পক্ষ বাংলাদেশি সংস্থার প্রশংসা করেছে এবং বাংলাদেশ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরও সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান মাসুদ বিন মোমেনের
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সফররত মার্কিন কর্মকর্তা তাকে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি হাতিয়ার।
রবিবার ঢাকায় এসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রিচার্ড নেফিউ।
সোমবার তিনি মার্কিন দূতাবাসে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধির কথাও বলেছি এবং যেসব দেশ পাচারকৃত অর্থ পেয়েছিল তাদের সমর্থনের কথাও বলেছি।’
২০২২ সালের জুলাই মাসে রিচার্ড নেফিউকে বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি বিরোধী মার্কিন সমন্বয়কারী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল।
এই অবস্থান মার্কিন কূটনীতি এবং বৈদেশিক সহায়তার সমস্ত দিক জুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে একীভূত করবে এবং উন্নত করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি, তবে ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অখণ্ডতা এবং পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পগুলোর কার্যকারিতা বিবেচনা করবে। বিশেষত বড় প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন করার সময়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় কৌশল রয়েছে, তবে সত্যিকারের প্রভাব ফেলতে সবারই তা চর্চা করা উচিত।
আরও পড়ুন: শান্তিরক্ষা মিশনে বৈষম্য ও যৌন নিপীড়নের কোনো স্থান নেই: পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রদূতদের জন্য বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্র সচিব
১ বছর আগে
মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট চিহ্নিতকরণে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুপারিশগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের পোড়া চাদর কিনলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তিনি বলেন, এখন ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বেড়েছে।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিস সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট এবং ফায়ার সার্ভিসের ৭২২ জন কর্মী আগুন নেভাতে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একদশকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিশ্বব্যাংকের নতুন নেতৃত্বকে অবশ্যই জলবায়ুকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রাখতে হবে: ভি২০
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের নেতৃত্বের পরিবর্তনের ঘোষণার পর ভলনারেবল টোয়েন্টি গ্রুপ অব মিনিস্টারস অব ফাইন্যান্স (ভি২০) -এর সভাপতি জোর দিয়ে বলেছেন যে বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা প্রয়োজন যা বিদ্যমান জলবায়ু সংকট অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত। তিনি বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রধানকে জলবায়ুকে তার শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে রাখার আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় ঘানার অর্থমন্ত্রী এবং ভি২০ এর সভাপতি কেন ওফোরি-আত্তা উল্লেখ করেছেন যে ‘বিশ্বের আন্তর্জাতিক আর্থিক স্থাপত্যে প্রধান সংস্কার জরুরিভাবে প্রয়োজন যাতে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সংকট প্রতিরোধ করা দরকার যাতে বিশ্ব অর্থনীতি অপ্রতিরোধ্য হতে পারে।’
তিনি বিশেষভাবে ঋণের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের আহ্বান জানান; জলবায়ু লক্ষ্য পূরণের জন্য আর্থিক প্রবাহের স্থানান্তর; এবং মূলধারার জলবায়ু ঝুঁকির প্রাতিষ্ঠানিক নজরদারি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ম্যালপাসের পদত্যাগ ঘোষণা
তিনি প্যারিস চুক্তির এক দশমিক ৫সি নিরাপত্তা সীমা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ক্রমাগত অসাম্যের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জি-৭ এর বর্তমান নির্গমনের ২৫ ভাগ এবং জি-২০ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে বিশ্বকে ৩০সি এর বেশি উষ্ণায়নের পথে নিয়ে গেছে। এছাড়া এর সদস্যদের এনডিসিগুলো ইতোমধ্যেই ন্যায্য শেয়ারের ভিত্তিতে এক দশমিক ৫সি কার্বন বাজেট সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ করে দিয়েছে। যখন ভি-২০ একটি ন্যায্য শেয়ার ভিত্তিতে সম্পূর্ণরূপে নমনীয় থাকে।
বিশ্বব্যাংকের একটি নতুন নেতৃত্বকে অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসাবে ইতিবাচক জলবায়ু কর্মের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে (অর্থাৎ দুর্বল দেশগুলোর জন্য একটি ন্যায্য এবং যৌথ উত্তরণ অর্জন)।
ঘানা রিপাবলিকের অর্থমন্ত্রী এবং ভি২০-এর সভাপতি কেন ওফোরি-আত্তা বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র জলবায়ু অগ্রগামী নেতাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে পারি। প্যারিস চুক্তি বহাল রাখতে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার ক্রমাগত ব্যর্থতা আমাদের অর্থনীতি এবং সম্প্রদায়গুলোকে জলবায়ু সংকটের প্রথম সারিতে রেখেছে। পরবর্তী বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বের প্রথম পরীক্ষা হবে একে অপরের বিরুদ্ধে না দাঁড়িয়ে ঋণ, চাকরি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে কাজ করা।
‘আমাদের ভি২০’র ৫৮টি সদস্য অর্থনীতিতে দেড় বিলিয়ন জনগণকে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের নীতিগত অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি দেয় যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমর্থন ও কাজ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷ আমরা বিশ্বব্যাংকের নতুন নেতৃত্বকে একটি ব্যাপক ঋণ সংস্কার, চাকরি, ডিজিটালাইজেশন, জলবায়ু স্মার্ট আর্থিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে এবং ক্রমবর্ধমান ভয়ঙ্কর মূলধনের ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই কর্মসূচিকে সাহসীভাবে সমর্থন করার জন্য নতুন ব্যাংকের প্রেসিডেন্টও ভি২০-এর ওপর নির্ভর করতে পারেন। বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন উন্মুক্ত করার জন্য আমরা নতুন নেতৃত্বের দিকে নজর দিচ্ছি, কারণ আমরা সবাই জলবায়ু সহনশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি।’
২০২৩ সালের এপ্রিলে বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফ গ্রীষ্মকালীন বৈঠকের সময় ভি২০ মন্ত্রীরা মিলিত হবেন।
বর্তমানে ঘানা প্রজাতন্ত্রের অর্থমন্ত্রী কেন ওফোরি-আত্তার সভাপতিত্বে ভি২০ গ্রুপ অব ফাইন্যান্স মিনিস্টারস হলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পদ্ধতিগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতিগুলোর একটি নিবেদিত সহযোগিতা উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে: ডেরেক শোলে
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে বলেছেন, "যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে যা কয়েক দশকের সহযোগিতা ও সমর্থনের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এবং আমরা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা ও যৌথ অগ্রাধিকারের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।"
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক প্রতিনিধিদল ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
আরও পড়ুন: নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহী: কসমস ডায়ালগে রাষ্ট্রদূতেরা
বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে কাউন্সেলর শোলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকগুলোতে কাউন্সেলর শোলে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানবাধিকারের সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে সহযোগিতা ও একটি অবাধ ও উম্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
কাউন্সেলর শোলে বলেন, "বাংলাদেশ সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এবং আমি সম্মানিত বোধ করছি যে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির পরপরই আমি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসেছি।"
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের উভয় দেশের জন্য আরও বেশি স্থিতিশীল, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও মানবিক সহযোগিতার পূর্ণ সম্প্রসারণের পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন গড়ে তোলার জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে চলেছে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব চায় জার্মানি
বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে দক্ষিণ কোরিয়াকে আহ্বান জানাল প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঝুঁকিপুর্ণ বাঁধের কাজ করতে হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঝুঁকিপুর্ণ বাঁধের কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেছেন, সামনে বন্যার আশংকা রয়েছে। মাঠ পর্যায় পরিদর্শন বাড়িয়ে ঝুঁকিপুর্ণ স্থান চিহ্নিত করে কাজ করতে হবে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঝুঁকিপুর্ণ বাঁধের কাজ করতে হবে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নের নির্দেশসহ ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
বুধবার পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাস্তবায়নাধীন এডিপিভূক্ত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ ফারুক বলেন, আসন্ন বন্যায় ক্ষতি আরও কমাতে হবে। এর জন্য আগাম প্রস্তুতিসহ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ও স্থান চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। মেধা, সততা ও মানবিকতার সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমেই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা সম্ভব। তাছাড়া বন্যা-পরবর্তী সময়ে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করাও জরুরি। মনে রাখতে হবে, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে আগাম প্রস্তুতি একটি কার্যকর উপায়।
তিনি বলেন, যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নেরও তাগিদ দেয়া হয়। এছাড়া কোথায়ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তা সংস্কারের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। যে যে এলাকায় বন্যার আশঙ্কা আছে সেখানকার প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যৌথভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে আনার ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন: দেশে ১০০০ খাল খননের পরিকল্পনা রয়েছে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যালোচনা সভায় আটটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।
১) ১৪৮৩২.৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দোহার-মারিচর-নারিশাবাজার প্রকল্পের ইতোমধ্যে ৪৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
২) নোয়াখালী জেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য ৩২৪৯৮.৮৫ লাখ টাকার প্রকল্পের ৭৫.৫৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
৩) চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনে ১৬২০৭৩.৫০ লাখ টাকার প্রকল্পের ১৫ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
৪) কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী-উলিপুর-ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর ডান তীর ভাঙ্গন রোধে ৪৪৮৩১ লাখ টাকার প্রকল্পের ৬৮.৮৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
৫) ৭২২০০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদী ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্পের ৩১.১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
৬) ভৈরব নদীর (মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা) পুনঃখনন কাজ ২৮.৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
৭) বরিশালের কির্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে বরিশাল সদর উপজেলাধীন চরবাড়ীয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্পের ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে।
৮) সীমান্ত নদী সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় ৪৬৬৫৯.৪৪লাখ টাকা এবং প্রকল্পের ৭২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহপরিচালক বজলুর রশিদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালকরা, প্রধানকৌশলীরা এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত সচিব এস.এম. রেজাউল মোস্তফা কামাল সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ভোলাসহ উপকূল রক্ষায় বাঁধের উচ্চতা বাড়াতে সমীক্ষা চলছে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
বন্যা মোকাবিলায় ১৩৯ পোল্ডার তৈরি করা হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে