ভূমি
ভূমি সংস্কার বোর্ডের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ চলছে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমি সংস্কার বোর্ডের সক্ষমতা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনে ভূমি সংস্কার বোর্ডের সভাকক্ষে এ বোর্ডের কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সভায় আরও ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল।
স্মার্ট ভূমি সেবা বাস্তবায়ন করতে ভূমি মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন কার্যক্রম সরাসরি তত্ত্বাবধান করছে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সরকারি-খাস জমি রক্ষায় সর্বদা সতর্ক থাকার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
তিনি বলেন, স্মার্ট ভূমিসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত সংস্থাগুলো স্মার্ট ভূমিসেবার দৈনন্দিন কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবে এবং ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করবে।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, অবৈধ দখলে থাকা খাস ও সরকারি জমি চিহ্নিত করতে হবে। যেসব জলমহাল ভরাট ও বেদখল হয়েছে তাও চিহ্নিত করতে হবে এবং পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ সময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের ১৮০ দিনের কর্মসূচির আওতায় ভূমি সংস্কার বোর্ডের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাসময়ে শেষ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান।
সভায় আরও ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য শশাঙ্ক শেখর ভৌমিকসহ ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ভূমি সংস্কার বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও জলবায়ু নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভূমি মন্ত্রণালয় কাজ করছে: ভূমিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
খুব শিগগিরই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করা হবে: মন্ত্রী
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করার কাজ চলছে। আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে বিধিমালা শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে স্মার্ট ভূমি সেবা বিষয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলেছি। এটাকে একটা সাসটেইনেবল জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমার পরে যিনি আসবেন তার বেসিক্যালি রুটিন ওয়ার্ক হবে। কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলোকে যদি ক্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারে। মোটামুটি আমরা একটা কাঠামোতে নিয়ে এসেছি।’
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এই মেয়াদের শেষ সময়। আগামীটা আগামীতে দেখা যাবে, আল্লাহ কী রাখছেন। তবে মনে হচ্ছে, স্যাটিসফেকশন (সন্তুষ্টি) নিয়ে ইনশাআল্লাহ যেতে পারছি। আমার মধ্যে সব সময় একটা ভীতি কাজ করত... একটা কথা আছে- শেষ ভালো যার সব ভালো তার।'
তিনি বলেন, 'জাতিকে কতটুকু পেরেছি সেটা তারা বিবেচনা করবে, কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে ইনশাআল্লাহ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। স্যাটিসফ্যাকশন নিয়ে আমি যেতে পারছি।’
আরও পড়ুন: পরিবেশ সুরক্ষায় চিংড়ি মহালের ফাঁকা স্থানে সবুজায়নের নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'যারা কাজের প্রতি মনোযোগী, কাজ করতে বেশি আগ্রহী, তাদের মধ্যে সবসময় একটা জিনিস থেকে যায়- আরেকটু সময় পেলে যদি আর একটু কাজ করতে পারতাম এই সময়টা পেলে নিশ্চয়ই আমি কাজ আরও গোছাতে পারতাম। আমার পাঁচ বছরটা আমি চেষ্টা করেছি প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটি দিনকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়।'
শেষ সময়ে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'এমন একটা মার্জিনাল সময়ে পড়েছিলাম, এটা না হওয়ার আশঙ্কা ছিল। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সাপোর্ট দিয়েছেন, সেজন্য এটা আমি করতে পেরেছি। একটা আইন পাস করা চাট্টিখানি কথা নয়। একেবারে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত অধীর আগ্রহে এই আইনের অপেক্ষা করছিল। আমি স্যাটিসফাইড যে এই আইন করে যেতে পেরেছি।'
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করার কাজ চলছে জানিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ইনশাআল্লাহ বিধিটা হয়ে যাবে। বিধিটা না হলে হাফ-ডান হয়ে যাবে। হাফ-ডান নিয়ে আবার প্রবলেম হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, 'ভূমি উন্নয়ন কর যেটা ম্যানুয়ালি ছিল, সেটাকে আমরা বন্ধ করে পুরো ক্যাশলেস করে ফেলেছি। প্রতিদিন ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ৫ কোটি টাকা জমা হচ্ছে। বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।'
ভূমিমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। অনেকের একসঙ্গে খতিয়ান থাকে, ভাগ হয় না, ল্যান্ডট্যাক্স দিতে পারে না। কিছু কিছু বিষয়ে কমপ্লেইন আসছে। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মোটামুটি কি পয়েন্টস, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন, ল্যান্ডট্যাক্স এগুলো মোটামুটি আমরা সেরে ফেলেছি।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা কার্যক্রমের সমন্বয়ে ধীরগতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বা সাব রেজিস্ট্রি অফিস আবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে, কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে আরও কাজ বাকি আছে।
তিনি বলেন, 'আমরা ল্যান্ড জোনিংয়ের কাজ করছি। ডিজিটাল সার্ভের কাজ সারাদেশে শুরু হবে।'
সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাজ একটা ট্র্যাকে আমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। এখন এটা স্পিড আপ করতে হবে। কিছু কাজ বাকি আছে আমার মনে হয়। এটাই এক মাসের মধ্যে মোটামুটি একটা কাঠামোতে চলে আসবে। শতভাগ সন্তুষ্ট না হলেও মোটামুটি একটা জায়গায় আমরা দাঁড় করিয়েছি।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, 'তবে হ্যাঁ, মাঠ পর্যায়ে এখনও আমাদের সমস্যা আছে। রাতারাতি কোনো কিছু রিপেয়ার করা খুবই কঠিন। সিস্টেমের মাধ্যমে ডেভলপ করে আমি যতটুক পেরেছি করেছি।'
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. জাহিদ হোসেন পনির।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
১ বছর আগে
শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৫ জন
কর্মক্ষেত্রে শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ ভূমি মন্ত্রণালয়ের পাঁচজন গণকর্মচারী ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা সনদ ও স্মারক তুলে দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে: ভূমিমন্ত্রী
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নজরুল ইসলাম, উপসচিব ড. মো. রাজ্জাকুল ইসলাম, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. শাহজামাল, অফিস সহায়ক মো. আব্দুল বাছেদ এবং অফিস সহায়ক হাবিবা আক্তার নিজ নিজ ক্যাটাগরিতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন করেন।
এ সময় শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ভূমিমন্ত্রী।
ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্বাছ উদ্দিন, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান সহ অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভের মধ্যে ‘স্মার্ট সরকার’ অন্যতম।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে শুদ্ধাচার নিশ্চিত করা স্মার্ট সরকার স্থাপনে অপরিহার্য। আমাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে এমনভাবে কাজ করতে হবে যা কর্মক্ষেত্রে আমাদের অনুজদের অনুপ্রাণিত করে।
ভূমি মন্ত্রণালয় একটি সেবামুখী মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত সবাইকে আইনের মধ্যে থেকে ভূমিসেবা গ্রহীতার সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, স্মার্ট সরকার স্তম্ভের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পাদিত উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি ১২টির অধিক দপ্তর-সংস্থার সাথে ডাটার আন্তঃসংযোগ, ল্যামস-এর আন্তঃসিস্টেমসমূহের মাধ্যমে আন্তঃযোগাযোগ, কিউআর কোড ভিত্তিক খতিয়ান, দাখিলা ও ডিসিআর, দ্বিতীয় প্রজন্মের স্মার্ট মিউটেশন, স্মার্ট এলডি ট্যাক্স, স্মার্ট খতিয়ান, এলএসজির মাধ্যমে সকল ধরণের ডেটার আন্তঃসংযোগ, ২০টির অধিক এসওপি ও গাইডলাইনের খসড়া প্রণয়ন।
আরও পড়ুন: ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকলে মালিক পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন: ভূমিমন্ত্রী
ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ভূমি উন্নয়ন কর বিল ২০২৩ সংসদে পাস
জাতীয় সংসদে ভূমি-সম্পর্কিত করগুলোকে সহজ করার লক্ষ্যে ভূমি উন্নয়ন কর বিল ২০২৩ পাস করা হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী- মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: সংসদে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন
তবে জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে সমগ্র কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। এটি ১৯৭৬ সালের ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ বাতিল করে।
তবে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে এ আইন প্রযোজ্য হবে না।
এতে বলা হয়েছে, আখ ও লবণ চাষের জমি এবং কৃষকদের পুকুরও (বাণিজ্যিক মৎস্য চাষ বাদে) ছাড়ের আওতায় থাকবে।
এতে বলা হয়েছে, কৃষি জমির ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকা বা পৌর এলাকা নির্বিশেষে সব ক্ষেত্রে অভিন্ন ভূমি উন্নয়ন করের হার ও শর্ত প্রযোজ্য হবে।
অকৃষি জমির উপর ভূমি উন্নয়ন করের হার নির্ধারণের জন্য দেশের সব জমিকে ভূমির গুণাগুণ ও ব্যবহার অনুযায়ী একাধিক শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।
সরকার যেকোনো ব্যক্তি বা কোনো শ্রেণির ব্যক্তি বা সংস্থার উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারে। বিল অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর ইলেকট্রনিকভাবে আদায় করা যাবে।
সারাদেশে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা ছাড়াও যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা যাবে।
কোনো ব্যক্তি শহরে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করলে প্রথম থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত বার্ষিক ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ জরিমানা হবে।
সার্টিফিকেট ইস্যু করে তৃতীয় বছর শেষে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে।
বিলে বলা হয়েছে- ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রতি বছর জুলাই মাসের মধ্যে এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং ভূমি ব্যবহারের শর্ত বিবেচনা করে নির্ধারিত ফরমে সব মৌজার ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা পরীক্ষা করে অনুমোদন করবেন।
এতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী অফিসার, উত্তরাধিকারী, কালেক্টর ইত্যাদির সংজ্ঞা আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ওষুধ ও কসমেটিকস বিল-২০২৩ কণ্ঠভোটে পাস
বিএসএমএমইউ ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ ৪ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন
১ বছর আগে
বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রণয়নের চেষ্টা হচ্ছে। এই আইনের খসড়া পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে শিগগিরই সংসদে প্রেরণ করা হবে। এই আইন প্রণীত হলে মানুষ অনেক কষ্ট থেকে বাঁচবে এবং ভূমি খাতে আসবে পরিচ্ছন্নতা।
শনিবার চট্টগ্রামের জিমনেশিয়াম হলে ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত এক ভূমি বিষয়ক জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, এনডিসি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় সরকারের একটি কর্মসম্পাদনকারী দক্ষ মন্ত্রণালয়। জনগণকে সেবা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের শতভাগ সফল ব্যবহারকারী এই মন্ত্রণালয়। আমাদের মৌলিক সেবাগুলোর প্রায় সবগুলো টেকসই করে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর শতভাগ ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমের মাধ্যমে গত ৪৩ দিনে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা, যা বছরে দুই হাজার কোটি টাকা হবে বলে আমরা আশা করছি।
আরও পড়ুন: ওয়ান স্টপ সার্ভিস শিল্প স্থাপনে ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত জটিলতা দূর করবে: ভূমিমন্ত্রী
একই সঙ্গে চলমান ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত জমির মালিকদের দুর্দশা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমিমন্ত্রী এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে স্মার্ট ভূমিসেবার ওপর একটি সচিত্র উপস্থাপনা করেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ভূমিমন্ত্রী প্রত্যাশী সংস্থার অনুকূলে অধিগৃহীত জমির খতিয়ান ও ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণ চেক হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভূমি সেবা গ্রহীতা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্তরের ভূমি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন অংশীজনসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ মে থেকে শুরু হওয়া ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৩ রবিবার ২৮ মে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে মাদরাসা ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন এসিল্যান্ড
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১৫ বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড মো. আলাউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মধ্যম করলডেঙ্গায় অভিযান চালিয়ে এ বিয়ের আয়োজন বন্ধ করেন তিনি।
মেয়েটি স্থানীয় গাউছিয়া তৈয়বিয়া আজিজিয়া সুন্নিয়া মাদরাসায় ৮ম শ্রেণিতে পড়ে।
আরও পড়ুন: বিনা সুদে পাওয়া যাবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ লোন
মো. আলাউদ্দিন জানান, ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে তা বন্ধ করা হয়েছে। বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭-এর ৮ ধারায় মেয়েটির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না মর্মে মেয়ের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত মেয়েটির অভিভাবকদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝানো হয়।
আরও পড়ুন: বাল্যবিবাহ ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জোন্টা ক্লাবের ১৬ দিনের প্রচারণা
১ বছর আগে
ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতির নতুন সভাপতি মোতাহার হোসেন খান
বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোতাহার হোসেন খান।
শনিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ইউপি নির্বাচন: বিনা ভোটে আ’লীগের ৩৯ প্রার্থী নির্বাচিত
এ সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম সরকার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমিতির মহাসচিব জামালউদ্দিন।
সাধারণ সভায় ৮১ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী পরিষদের নতুন কমিটি নির্বাচিত করা হয়েছে। এ কমিটিতে নির্বাহী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আবুল হোসেন এবং মহাসচিব হয়েছেন আসাদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এফএও পরিষদের সদস্য নির্বাচিত
৩ বছর আগে
ভোলায় ৩৭১ ঘর পাচ্ছেন ভূমি ও গৃহহীনরা
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভোলা জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৭১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার নতুন ঘর পাচ্ছেন।
এর মধ্যে ২৫৮টি ঘর নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১১৩টি ঘরের কাজ জুলাই মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জুন এই জমি ও ঘর বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলো শেরপুরে ১৬৭ গৃহহীন পরিবার
এর আগে মুজিববর্ষের প্রথম পর্যায়ে এই জেলায় ৫২০টি ভূমিহীন পরিবার ঘর পেয়েছেন ।
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই-লাহী-চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে জেলায় মোট ঘরের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫টি ঘরের জন্য ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বোরহানউদ্দিনে ১৬টি ঘরের জন্য ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা, দৌলতখানে ২০টির জন্য ৩৮ লাখ টাকা, লালমোহনে ২০টির জন্য ৩৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহহীনের অভাব ঘুচবে ১৫৭২ পরিবারের
এছাড়া তজুমদ্দিনে ১৫০টির জন্য ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, চরফ্যাসনে ৬০টির জন্য ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা ও মনপুরায় ৫০ টি ঘরের জন্য ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
৩ বছর আগে