চোরাচালান পণ্য
জুনে ১৭২.৯৫ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
গত জুন মাসে সারাদেশে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৭২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের অস্ত্র, গুলি, মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
বুধবার (১০ জুলাই) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে বিজিবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অভিযানে ৩ কেজি ৮৯১ গ্রাম স্বর্ণ, ১৬ কেজি ২০ গ্রাম রুপা, ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩০টি কসমেটিকস সামগ্রী, ৩ হাজার ৫০১ পিস ইমিটেশন জুয়েলারি, ১৭ হাজার ৫১৮টি শাড়ি, ১২ হাজার ৪৪৪টি থ্রিপিস/শার্টপিস/বিছানার চাদর/কম্বল, ১ হাজার ২২২ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ৩৯৭ কেজি চা পাতা, ১০ হাজার ৬০০ কেজি কয়লা, ১২০ ঘনফুট পাথর, তিনটি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ১১টি ট্রাক, ৮টি পিকআপ ভ্যান, ৬টি প্রাইভেট ও মাইক্রোবাস, ১টি কাভার্ড ভ্যান, ১টি বাস, ৩টি ট্রাক্টর, ৩১টি সিএনজি/হিউম্যান হলার, ৪৩টি মোটরসাইকেল ও ৩২টি বাইসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে তিনটি পিস্তল, একটি বন্দুক, দুটি ম্যাগজিন ও ১৩ রাউন্ড গুলি।
চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে আরও রয়েছে- ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮ কেজি ৯৭৭ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ১৪ হাজার ৮৮৯ কেজি হেরোইন, ১২ হাজার ৫৩২ বোতল ফেনসিডিল, ১২ হাজার ৮৮৫ কেজি কোকেন, ২০ হাজার ৫৭ বোতল বিদেশি মদ, ৮৩১ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ১২৪ কেজি গাঁজা, ৫১ হাজার ৬৩৯টি ইনজেকশন, ১ হাজার ৭৬৩টি এসকাফ সিরাপ, ৪০০০ এনেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৩৮৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৯ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ৭ বোতল এলএসডি এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৬০টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
আরও পড়ুন: চামড়া পাচাররোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি
এ সময় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৩৪ জন চোরাকারবারি, ১৫৬ জন বাংলাদেশি, ৪ জন ভারতীয় ও ৩০৬ জন মিয়ানমারের নাগরিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান শরিফুল ইসলাম।
৪ মাস আগে
আগস্ট মাসে ২১৫.২৯ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়েছে: বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আগস্ট মাসে ২১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক জব্দ করেছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিজিবি।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে-
২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৫টি ইয়াবা, ৮ দশমিক ৪২০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ১০ হাজার ৪২৮ বোতল ফেনসিডিল, ২৪ হাজার ৭১৭ বোতল বিদেশি মদ, ৯৮৫ লিটার দেশি মদ, ৪ হাজার ৬৪৪টি বিয়ারের ক্যান, ১ দশমিক ২১৫ কেজি গাজা, ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৫টি সিগারেটের প্যাকেট, ৬৫ হাজার ৩৪৭টি ইনজেকশন, ৭ হাজার ৫০৫টি এসকুফ সিরাপ, ২ দশমিক ৫০০ কেজি কোকেন, ২ হাজার ৭৪২টি এমকেডিল/কফিডিলের বোতল, ২৬ হাজার ৫০৫টি সেনেগ্রা ট্যাবলেটের টুকরা এবং ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৫৬টি বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট।
জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে-
৫টি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ১৮ রাউন্ড গুলি।
অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে-
৩৩.৩৪ কেজি স্বর্ণ, ৩৫ দশমিক ৭৫৮ কেজি রূপা, ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯২টি প্রসাধনী, ১৮ হাজার ৩২১টি ইমিটেশন গয়না, ১৯ হাজার ৮৫৭টি শাড়ি, ৭ হাজার ৩২৩টি থ্রি পিস, শার্ট পিস, বিছানার চাদর ও কম্বল, ১ হাজার ৬২৮টি সিএফটি কাঠ, ৯ হাজার ৯৩২ কেজি চা পাতা, ৫১ হাজার ৮৯০ কেজি কয়লা, ৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৫টি পিক আপ, ২টি ব্যক্তিগত গাড়ি, ২টি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ৬৪টি মোটরসাইকেল এবং ২৭টি সিএনজি/ব্যাটারি/চান্দেরগাড়ি অটোরিকশা।
এদিকে, বিজিবি অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের চেষ্টাকারী ২৭৩ জন চোরাকারবারী, ২৮ বাংলাদেশি, ১২৪ মিয়ানমারের নাগরিক এবং ৪ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফ আঞ্চলিক কমান্ডার পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
চুয়াডাঙ্গায় কোমরের বেল্ট থেকে ১৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার: বিজিবি
১ বছর আগে
মাদকদ্রব্য উদ্ধারে দেশসেরা কুমিল্লা পুলিশ
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে জানানো হয়েছে, এক বছরে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে সারাদেশে প্রথম হয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। এছাড়া চোরাচালান পণ্য ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে কুমিল্লা জেলা পুলিশ তৃতীয় অবস্থান অধিকার করেছে।
দেশ সেরা এই অর্জনে পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিভিত্তিক পুলিশ সেবা সম্প্রসারণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, পুলিশ আছে জনতার পাশে’- এই প্রতিপাদ্যে ৩ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ছয় দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, ২০২২ সালে কুমিল্লা জেলায় ১৮টি থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে মোট দুই হাজার ১২৯টি মাদকের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাধারণ ডায়েরি হয়েছে ১৩ টি। এসব মামলায় মোট গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা দুই হাজার ৬০১ জন। মোট ১৮ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ৮৭০ টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমানে গাঁজা, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, ইস্কাপ সিরাপসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এক বছরে আট হাজার ৬৯৯ কেজি ৬৩ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ২১ হাজার ৫৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এক লাখ ২১ হাজার ৫২৯ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। বিদেশি মদ বিয়ার, বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় সিরাপও জব্দ করা হয়।
অপরাধ বিশ্লেষক ও কুমিল্লা আদলতের আইনজীবী এএমএম মইন বলেন, যেহেতু আমাদের জেলাটি ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা এবং কুমিল্লা থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি হওয়ায় কুমিল্লা মাদকের ট্রানজিট হিসেবে কাজ করে। যে কারণে মামলাও বেশি। শুধু স্থানীয়রা না, দেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীরাও এসব মামলার আসামি।
তিনি আরও বলেন, মাদক মামলা বডি রিকভারি না হলে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায় আসামিরা। যারা আটক হচ্ছে তারা বেশির ভাগই বাহক। আসল ব্যবসায়ী ধরা কম পড়ে।
পুলিশ মামলাগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করে মূল পর্যন্ত যাওয়া উচিত। তবে কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাদক উদ্ধারে যে অর্জন- তা কুমিল্লায় মাদক নির্মূলে স্মারক হিসেবে থাকবে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইমরুল হাসান বলেন, পুলিশ তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে। আমরাও চেষ্টা করি মাদক উদ্ধার করার। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আমরা মাদক উদ্ধারে চেষ্টা করি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কুমিল্লার প্রতিটি থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ প্রতিনিয়ত মাদক উদ্ধারে কাজ করছে। সারা দেশে আমাদের এই অর্জনে আমরা খুশি। কুমিল্লা ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়া মাদক সম্পর্কিত তৎপরতা বেশি, তবে আমরা সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করি।
আরও পড়ুন: পুলিশকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দৃঢ়ভাবে মোকাবিলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সেবা অব্যাহত রাখুন: পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
‘সেপ্টেম্বরে ১২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ’
সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ১২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রবিবার বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জব্দ করা মাদকের মধ্যে রয়েছে আট লাখ ৩১ হাজার ৫৯৪টি ইয়াবা ট্যাবলেট, তিন দশমিক ১৪১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ১৯ হাজার ৭৯৭ বোতল ফেনসিডিল, ১৫ হাজার ২০২ বোতল বিদেশি মদ, ৭৯৫ লিটার দেশি মদ, দুই হাজার ৬৮০ ক্যান বিয়ার, দুই হাজার ২০৬ কেজি গাঁজা, দুই দশমিক ১৬ কেজি হেরোইন, ২১ হাজার ৯৮টি ইনজেকশন, ছয় হাজার ৬২০ বোতল এসকুফ সিরাপ, ৭৫৫টি বোতল এমকেডিল/কফিডিল, দুই লাখ ৮৫ হাজার ২৬৭টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৯ লাখ ৬১ হাজার ৫২৪টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ৯৭ হাজার ৩৫০টি ট্যাবলেট।
অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৩১ দশমিক ৮৫১ কেজি সোনা, ৮ দশমিক ৪০০ কেজি রূপা, এক লাখ ৮৩ হাজার ৪৭০টি প্রসাধনী সামগ্রী, এক হাজার ৬৩টি ইমিটেশন গহনা, ১৯ হাজার ৯৫৬টি শাড়ি, দুই হাজার ৯৩০টি থ্রি-পিস/শার্টের কাপড়/বিছানার চাঁদর/কম্বল, দুই হাজার ১০৫টি তৈরি পোশাক, দুই হাজার ৩৪৭ সিএফটি কাঠ, চার হাজার ৫০২ কেজি চা পাতা, ৪০ হাজার ৮৫০ কেজি কয়লা, পাঁচটি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ৪৯১ কেজি কীটনাশক, ৫৬টি মোটরসাইকেল, পাঁচটি গাড়ি (কার/মাইক্রোবাস), ১০টি পিকআপ ভ্যান, ২৪টি সিএনজি/ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা।
আরও পড়ুন: মে মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদক জব্দ করেছে বিজিবি
জব্দ অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে তিনটি পিস্তল, একটি রিভলবার, সাতটি বন্দুক, ১৬ রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন ও ৫৮৮ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য।
এদিকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করার সময় ২২৩ জন চোরাকারবারী, ৮৬ বাংলাদেশি ও চার ভারতীয়কে আটক করেছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: জুন মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ বিজিবির
কক্সবাজারে ৭ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
২ বছর আগে
ডিসেম্বরে বিজিবির অভিযানে জব্দ ৮২.৭৬ কোটি টাকার পণ্য
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত ডিসেম্বর মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৮২ কোটি ৭৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে।
৪ বছর আগে