ভ্রাম্যমাণ
কুড়িগ্রামে ৮ টাকার ভ্রাম্যমাণ শাড়ি-লুঙ্গির হাট
কুড়িগ্রামে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ভ্রাম্যমাণ শাড়ি-লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ফাইট আনটিল লাইট (ফুল)।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর দিকে সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের কুমরপুর দাখিল উলুম মাদরাসা মাঠে শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রি করে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় রেল কর্মচারীর মৃত্যু
৮ টাকায় একটি শাড়ি, ৮ টাকায় একটি লুঙ্গি ও ২ টাকায় একটি ব্লাউজ পিস বিক্রি করা হয় সংগঠনের আয়োজনে।
৮ টাকায় শাড়ি পেয়ে আমেনা বেওয়া বলেন, বর্তমানে একটা শাড়ির দাম কমপক্ষে ৩০০ টাকা। সেই শাড়ি ৮ টাকায় পেয়ে খুব উপকার হলো।
লুঙ্গি পেয়ে হামিদ মিয়া বলেন, আমি এই ৬৫ বছর বয়সে কোনোদিনও দেখিনি ৮ টাকায় লুঙ্গি পাওয়া যায়। তাই ৮ টাকায় লুঙ্গি পেয়ে আমি খুব খুশি।
ভোগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান বলেন, ফুল দীর্ঘদিন ধরে জেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অসহায় বাবা-মাকে নিয়ে কাজ করছে। ফুলের আজকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
ফুলের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল কাদের বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক সংগঠন ফুল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ত্রাণ নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই।
তাই অসহায় বাবা মায়ের কাছে মাত্র ৮ টাকার বিনিময়ে শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় শ্যালিকা-দুলাভাই নিহত, আহত ৩
৬ মাস আগে
আমাদের প্রশাসনের ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারের কৃত্রিম সংকট ও কারসাজি রোধে সারা দেশে চলতি আগস্ট মাসে ৩৮৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ৩৮৩জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
যশোর জেলায় সবচেয়ে বেশি ৬০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৩৫টি, নওগাঁয় ৩১টি, ঠাকুরগাঁও ও নড়াইলে ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, নির্দেশ দেয়া হয়েছে যারা অনিয়ম করেছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য। লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। আমরা তাদের কাছে সুপারিশ পাঠাচ্ছি, তারা এটা পরীক্ষা করবে এবং অনেক ডিলারের লাইসেন্স বাতিল হবে বলে আমরা মনে করতেছি।
আরও পড়ুন: কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন চাষীরা ধান লাগানোর জন্য পাগল হয়ে গেছে। তাদের সারও কিনতে হয়। হয়তো ডিলার বলতেছে গাড়ি আসেনি বা কোন কারণে আজকে সার নেই, কাল আসেন। কৃষক হয়তো বলে না থাকলেও কিছু দাও, তখন চালাকি করে কারসাজি করে দাম বেশি নিচ্ছে। ডিসি, এসপি, কৃষি কর্মকর্তাদের টেলিফোন করি, সবাই বলে আমাদের এখানে সারের কোন সমস্যা নেই। আমাদের গুদামে সারের সংকট নেই, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি সার দিচ্ছি। তারপরও কেন দাম বাড়বে। এখানে আমাদের প্রশাসনের কিছুটা ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে। দাম বাড়ার তো কোন কারণ নেই। সংকট নেই।
প্রশাসনের ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশাসনের লোক থাকতে পারে, সেটাও আমরা দেখছি। খুব শক্তভাবে, কঠোরভাবে আমরা এটা করার চেষ্টা করছি। রংপুর ও বগুড়ায় এটা বেশি হয়েছে, আমরা এগুলো তদন্ত করছি।
আগস্টে আজকে পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানি করা এক লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার দেশে পৌঁছেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এক লাখ ১৬ হাজার টন সার দেশে পৌঁছবে। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার টন ও অক্টোবর ৭০ হাজার টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে মজুদ অনেক বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বর্তমানে (২৫ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৮ লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি।
আরও পড়ুন: জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
সারের দাম বেশি নিলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবি ডিলারের ৬ মাসের কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে এক ডিলারকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি ৭হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার জলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ।
সাজাপ্রাপ্ত আব্দুর রহমান (৩৮) জেলা শহরের উত্তর পৈরতলার কাঞ্চন মোল্লার ছেলে ও মাইশা এন্টারপ্রাইজ নামের টিসিবির ডিলার।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছেলের হাতে বাবা খুন
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ জানান, জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার এলাকায় টিসিবির ডিলার মাইশা এন্টারপ্রাইজের পণ্য বিক্রয়ের সময় ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া গেছে। প্রতিদিন যে বরাদ্দ ডিলারদের দেওয়া হয় এর মধ্যে ৭০০ কেজি চিনি, ৩০০ কেজি ডাল, ৫০০ লিটার তেল ট্রাক সেলের মাধ্যমে বিক্রয় করার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার পণ্য বিক্রয়ের ট্রাকে আমরা গিয়ে ৪৫৯কেজি চিনি, ১০৯কেজি ডাল ও ১১২ লিটার তেলে ঘাটতি পেয়েছি।
কম পণ্য কেন বিক্রয় করা হচ্ছে, তা আমরা ডিলার কে জিজ্ঞাস করার পর তিনি স্বীকার করেন বেআইনী ভাবে পণ্য গুলো অন্য জায়গায় সংরক্ষণ করেছেন। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ৪৫ ধারা মতে প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথ ভাবে বিক্রয় না করায় ডিলার আব্দুর রহমানকে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৭হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি তার ডিলারশিপ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে আটক ২, হাজার ইয়াবা জব্দ
পরে ডিলারের নিজস্ব গোডাউনে লুকিয়ে রাখা বাকি পণ্যগুলোও টিসিবির ট্রাকে এনে বিক্রয় করা হয়।
৩ বছর আগে
লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে গ্রেপ্তার ৪৬৭
লকডাউন লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজধানী থেকে ৪৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউনের ’ ষষ্ঠদিনে মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় ১০৮৭টি গাড়িকে জরিমানা করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মিডিয়া) ইফতেখারুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য ৪৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালত লকডাউন লঙ্ঘনের জন্য ৩০৫ জনের কাছ থেকে জরিমানা হিসাবে ২ লাখ ২৭ হাজার ৪৮০ টাকা আদায় করেছে।
আরও পড়ুন: করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
এই সময়ে ট্র্যাফিক বিভাগ লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য যানবাহন থেকে জরিমানা হিসাবে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ২৫ টাকা আদায় করে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় ১ জুলাই থেকে সরকার সাত দিনের লকডাউন দিয়েছে। চলমান ‘কঠোর লকডাউন’ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
৩ বছর আগে