সেজান জুস
নারায়ণগঞ্জে লেদার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রেণে
নারায়ণগঞ্জে বুধবার লেদার কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দফতরের স্টেশন অফিসার (মিডিয়া) রায়হানুল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টা ১৪ মিনিটের দিকে রূপসী ইউনাইটেড লেদার কারখানায় আগুন লাগে।
আরও পড়ুনঃ সেজান জুস অগ্নিকাণ্ড: বুধবার থেকে মরদেহ হস্তান্তর শুরু
ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজিব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এর সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ সেজান জুস কারখানায় আগুন,৪৫ লাশ শনাক্ত
এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় গত ১০ জুলাই একটি হত্যা মামলা করেন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
৩ বছর আগে
সেজান জুস অগ্নিকাণ্ড: বুধবার থেকে মরদেহ হস্তান্তর শুরু
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজিব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এর সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মৃতদেহ বুধবার দুপুর থেকে নিহতদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে পরিচয় শনাক্ত হওয়া ৪৫ জনের মরদেহ হস্তান্তর শুরু হবে।
স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ নিশ্চিত করেছেন। আগুনে পোড়া মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। তবে সবগুলো মরদেহ প্রায় আগুনে পুড়ে যাওয়ায় কারো চেহারা বোঝা যায়নি। পরে পরিচয় শনাক্তে নিহতদের পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
আরও পড়ুন: সেজান জুস অগ্নিকাণ্ড: হাসেম, ২ ছেলের জামিন
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ডিএনএ পরীক্ষা করে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এসব মরদেহ বুধবার দুপুর থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, প্রথম দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে থাকা ২৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। পরের দুই দিনে ধরাবাহিকভাবে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে থাকা মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এখনও চারজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, মরদেহ দাফন ও সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান হবে। মোস্তাইন বিল্লাহ আরো জানান, বুধবার দুপুরে সিআইডি জেলা প্রশাসনকে লাশ হস্তন্তরের পর একজন এডিসি ও ম্যাজিস্টেটসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সেজান জুস কারখানায় আগুন, ৪৫ লাশ শনাক্ত
গত ৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় গত ১০ জুলাই একটি হত্যা মামলা করেন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
৩ বছর আগে
সেজান জুস অগ্নিকাণ্ড: হাসেম, ২ ছেলের জামিন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকান্ডে ৫২ শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এম.এ হাসেম ও তার দুই ছেলে জামিন পেয়েছেন।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন: গেটে তালা থাকায় এতো প্রাণহানি
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বুলবুল জানান, ভার্চুয়াল শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী এই মামলায় কারাবন্দি ছয় আসামির জামিন আবেদন করলে আদালত এম.এ. হাসেম এবং তার দুই ছেলে তারেক ইব্রাহিম ও হাসিব বিন হাসেম এর জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া আদালত প্রতিষ্ঠানটির ডিজিএম ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত ‘আইওয়াশ’: বিএনপি
এর আগে গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানার ছয়তলার একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আগুনে পুঁড়ে নিহত হয় কারখানার ৫২ জন শ্রমিক-কর্মচারী। ঘটনার পরদিন রাতে উপজেলার ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টন নাজিম উদ্দিন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষ, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার
ওই মামলায় আসামি করা হয় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম, তার চার ছেলে ও তিন কর্মকর্তাকে।
পুলিশের দায়ের করা এই মামলার পর শ্রম আদালতে শ্রম আইনের ৮০ ধারায় প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ডিজিএমের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করে জেলা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কতৃপক্ষ।
৩ বছর আগে
কল-কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নেই: বিএনপি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে বহু প্রাণহানির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি শুক্রবার বলেছে, দেশের বেশিরভাগ কল-কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশের অভাব রয়েছে।
এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে তদন্তের মাধ্যমে এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনের আসল কারণ খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি নিহত ও আহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
তিনি এই ধরনের ঘটনা এড়াতে সরকারের প্রতি নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।
বিএনপি নেতা বলেছেন, ‘রূপগঞ্জের হাশেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ও মর্মস্পর্শী। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা জানানোর আমার কোন ভাষা নেই। আমি তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
আরও পড়ুনঃ নারায়নগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দাবি বিরোধীদলীয় নেতার
ফখরুল বলেন, অনিরাপদ কাজের পরিবেশ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং তদারকির বিষয়ে সরকারের দ্বৈত নীতিমালার কারণে এত বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। লকডাউন চলাকালে যদি কল-কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হত, তবে এতো নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাত না।
আরও পড়ুন; নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানিতে রাষ্ট্রপতির গভীর শোক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লাগা এই আগুনে এ পর্যন্ত ৫২ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৫২ লাশ উদ্ধার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার দুপুরে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান জানান, ভবনটির পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধার কাজ চলছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুনঃ মগবাজার বিস্ফোরণ: মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১১
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের এই কারখানায় আগুন লাগে। রাতে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে কারখানার অনেক শ্রমিক নিখোঁজ থাকায় তাদের স্বজনরা ছবি নিয়ে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন বলে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে শুক্রবার ৪৯ টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আগের দিন এ ঘটনায় আরো ৩ জন মারা যান। কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্তের পর জানা যাবে। ধ্বংসস্তুপের ভিতরে আরও লাশ থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। আরেফিন আরো জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ছয়তলার কিছু কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে আগুন লাগার পরপরই মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামে দুই শ্রমিকের লাশ কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মুরসালিন (২২) নামে এক কর্মী রাত ১১ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি আগুন লাগার পর তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ মগবাজার বিস্ফোরণ: বাসযাত্রী সুভাষের মৃত্যু
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল আহসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সাততলা ভবনে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে এবং ১৬ জনকে রূপগঞ্জ ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহাদাত হোসেন দুই শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেকের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে তাঁরা হলেন: নাহিদ (২৩), মনজুরুল ইসলাম (২৫), মহসিন হোসেন (৩২), আবু বকর সিদ্দিক (৪০), আমেনা বেগম (৩২), ফাতেমা আক্তার (২৩), মহসিন (২ ৭) ও মাজেদা
৩ বছর আগে
রূপগঞ্জে কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৩
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের সেজান জুসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে তিনজন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পরপরই মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামে দুই শ্রমিক নিহত হন।
পরে মুরসালিন (২২) নামে এক কর্র্মী রাত ১১ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: সাভারে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে আগুন
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল আহসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সাততলা ভবনে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং দমকল বাহিনীর ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে এবং ১৬ জনকে রূপগঞ্জ ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহাদাত হোসেন দুই শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ২৫ দোকান
ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের মধ্যে নাহিদ (২৩), মনজুরুল ইসলাম (২৫), মহসিন হোসেন (৩২), আবু বকর সিদ্দিক (৪০), আমেনা বেগম (৩২), ফাতেমা আক্তার (২৩), মহসিন (২ ৭) ও মাজেদা (২৮)।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ধোঁয়াজনিত কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেকের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আহতদের একজন আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে লাফিয়ে লাফিয়ে নামতে গিয়ে আমরা আহত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে কয়েকটি ঘর, গোডাউন
কারখানার ভিতরে সাত থেকে আট হাজার শ্রমিক কাজ করায় আহত ও নিহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. আব্দুল আল আরেফিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শুনেছি ওয়েল্ডিংয়ের কারণে সেজান জুসের কারখানায় আগুন লেগেছে। তবেআসলে কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্তের পর জানা যাবে।’
৩ বছর আগে