সাহিত্যিক
কবি আবু বকর সিদ্দিক আর নেই
বিজয়ের মাসের শেষ প্রান্তে এসে নীরবে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন বিদিশা এরশাদের বাবা কবি আবু বকর সিদ্দিক।
বৃহস্পতিবার (২৮ডিসেম্বর) ভোর পৌনে ৬টার দিকে খুলনা মহানগরীর ৫নং মুন্সিপাড়ায় ছোট বোনের বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
কবির ছোট বোনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রয় একযুগ যাবৎ মামা আবু বকর সিদ্দিক আমাদের বাসায় থাকতেন। আজ বৃহস্পতিবার বাদ যোহর খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে কবির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
মৃত্যুকালে কবি ৫ মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি মেয়র রিফাত আর নেই
বরেণ্য শিক্ষক ও কবি আবু বকর সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
আবু বকর সিদ্দিক একাধারে ছিলেন কবি, কথাসাহিত্যিক, ছড়াকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও সমালোচক। তিনি ১৯৩৪ সালে ১৯ আগস্ট রবিবার বাগেরহাট জেলার গোটাপাড়া গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃনিবাস একই জেলার বৈটপুর গ্রামে। বাবা মতিয়র রহমান পাটোয়ারী ছিলেন একজন সরকারি চাকুরে।
বাবার চাকরিসূত্রে ১৯৩৫ সাল থেকে তিনি হুগলি শহরে এবং ১৯৪৩ সাল থেকে বর্ধমানে বসবাস করেন। বাল্যকাল থেকেই লেখাপড়ার প্রতি তার ছিল প্রবল ঝোঁক। ১৯৪৬ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন তার প্রথম কবিতা আবদুস সাত্তার সম্পাদিত বর্ধমানের কথা পত্রিকায় ছাপা হয়।
তিনি বাগেরহাট মাধ্যমিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক, ১৯৫৪ সালে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একই কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাগত জীবনে শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি পর্যায়ক্রমে চাখার ফজলুল হক কলেজ, দৌলতপুর বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক এম ওয়াহিদুল্লাহ আর নেই
১৯৯৪ সালের ৭ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও ঢাকার নটর ডেম কলেজে অধ্যাপনা করেন।
তিনি কবিতা লিখতে বেশি পছন্দ করতেন। তার প্রকাশিত ধবল দুধের স্বরগ্রাম (১৯৬৯), বিনিদ্র কালের ভেলা (১৯৭৬), হে লোকসভ্যতা (১৯৮৪), মানুষ তোমার বিক্ষত দিনসহ (১৯৮৬) আঠারোটি কাব্যগ্রন্থ আছে। আছে হট্টমালা (২০০১) নামে একটি ছড়াগ্রন্থও।
তার লেখা গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ১০টি। তিনি জলরাক্ষস (১৯৮৫), খরাদাহ, একাত্তরের হৃদয়ভস্ম, বারুদপোড়া প্রহর (১৯৯৬) নামে উপন্যাসও লিখেছেন।
সাহিত্যে অবদানের জন্য কবি আবুবকর সিদ্দিক ভূষিত হয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বঙ্গভাষা সংস্কৃতি প্রচার সমিতি পুরস্কার (কলকাতা), খুলনা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, বাগেরহাট ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশি-বিদেশি বহু পুরস্কার ও সম্মাননায়।
আরও পড়ুন: সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান আর নেই
১০ মাস আগে
চলে গেলেন কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার আর নেই। আজ সোমবার (৮ মে) বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির গণমাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে খবরটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, সমরেশ মজুমদার দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সাহিত্য অকাডেমি পুরস্কার জয়ী এই সাহিত্যিককে। পরবর্তীতে বাড়তে থাকে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা।
উত্তরাধিকার, কালপুরুষ ও কালবেলাসহ আরও অনেক কালজয়ী উপন্যাসের লেখক সমরেশ মজুমদার।
১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গে জন্ম তার। শৈশব কেটেছে ভারতের জলপাইগুঁড়ি জেলায়।
১৯৭৫ সালে দেশ পত্রিকায় সমরেশের প্রথম উপন্যাস ‘দৌড়’ প্রকাশিত হয়েছিল। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে সাতকাহন, তেরো পার্বণ, স্বপ্নের বাজার, উজান, গঙ্গা, ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অনুরাগ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন প্রয়াত এই সাহিত্যিক। জয় করেছেন দুই বাংলার কোটি পাঠকের হৃদয়।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক আর নেই
১ বছর আগে
সার্ক লেখক ও সাহিত্যিকদের ফাউন্ডেশন বঙ্গবন্ধুকে প্রদান করল সার্ক সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩
মর্যাদাপূর্ণ দিল্লি-ভিত্তিক সাহিত্য প্ল্যাটফর্ম সার্ক লেখক ও সাহিত্যের ফাউন্ডেশন ৬৩তম সাহিত্য উৎসবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সার্ক সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করেছে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার শতাধিক শীর্ষস্থানীয় গবেষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক এবং শিক্ষাবিদদের নিয়ে নয়াদিল্লিতে চলতি বছরের ২৬ থেকে ২৮ মার্চ তিন দিনব্যাপী এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হাই-প্রোফাইল সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে, ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিক ও পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত অজিত কোর বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক মফিদুল হকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার ও কাউন্সেলর (রাজনৈতিক)।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর জনগণের কাছে পরিচিত ‘বঙ্গবন্ধু’ বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জাতীয় মুক্তির এক সুউচ্চ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং আমেরিকার নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং-এর মতো, বঙ্গবন্ধুকে অশুভ শক্তি নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, কিন্তু পৃথিবীর কোনো শক্তি তাকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে পারেনি। তার জীবনের একটি নতুন মাত্রা উন্মোচিত হয় যখন তার দীর্ঘদিনের হারিয়ে যাওয়া জেলখানার ডায়েরি এবং নোটবুক প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয়।
ফোসওয়াল উল্লেখ করেছেন যে ট্রিলজির একটি রাজনৈতিক দলিল এবং একটি মানবিক সনদ রয়েছে যা প্রেম ও সহানুভূতির সঙ্গে লেখা, একজন ব্যক্তি যিনি ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছেন এবং তার জনগণকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গেছেন।
তার বক্তৃতায়, ফোসওয়াল অজিত কোর-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রবিবার স্বাধীনতা দিবস সারা বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে এবং এটি ফোসওয়াল -এর জন্য তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মান জানানোর জন্য একটি মহান সম্মান, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন এবং তার জনগণকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে চালিত করেছিলেন।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন অনুসারে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ভিন্ন এবং অনন্য ছিল। কারণ, এটি ছিল 'মানুষের প্রাণবন্ত আত্মা' সংরক্ষণের জন্য যা শুধুমাত্র নিজস্ব সংস্কৃতি এবং নিজস্ব ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে।
১ বছর আগে
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দিলারা হাশেমের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দিলারা হাশেমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় তিনি সাহিত্যিক দিলারা হাশেমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাহিত্যকর্ম ও সাংবাদিকতায় প্রয়াত দিলারা হাশেমের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। শোকবার্তায় তিনি বলেন, সাহিত্যিক হিসেবে দিলারা হাশেম তাঁর বিরল ও ব্যতিক্রমী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
শনিবার (১৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের সাবেক এমপি সৈয়দ মকবুল হোসেন আর নেই
‘ছুটির ঘণ্টা’ সিনেমার পরিচালক আজিজুর রহমান আর নেই
আ’লীগ নেতা সাজ্জাদ মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
গণহত্যা নিয়ে ইউএনবিতে আলোচনা অনুষ্ঠান
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো নির্মম গণহত্যা নিয়ে ‘দখল দেশে: গণহত্যা ও ৭১’ শিরোনামের চার পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে ইউএনবিতে। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর সম্প্রচারিত হয়েছে এই সিরিজের প্রথম পর্ব ‘পাকিস্তান ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর পরাজয়’। আজ বৃহস্পতিবার এই সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব ‘গণহত্যা ও ৭১’ সম্প্রচার হয়েছে ইউএনবি প্লাটফর্মে।
চার পর্বের এই আলোচনা অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করছেন ইউএনবি’র এডিটর এট লার্জ আফসান চৌধুরী। তিনি একজন শিক্ষক, সাহিত্যিক, গবেষক ও সাংবাদিক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন আফসান চৌধুরী।
‘দখল দেশে’ সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব ‘গণহত্যা ও ৭১’ এ অতিথি হিসেবে থাকবেন গণহত্যা বিষয়ক গবেষক মো.এনামুল হক। তিনি বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের চারটি জেলা –রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোরে সংঘটিত ১১১টি গণহত্যা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেছেন এবং এই গবেষণালব্ধ ফলাফল তাঁর রচিত চারটি বইতে তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: ৭১-এ নারীর ভূমিকা নিয়ে ইউএনবিতে পডকাস্ট
গবেষণা করতে গিয়ে তিনি দেখেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন কর্মক্ষম ব্যক্তি। তাদের মৃত্যুর পর স্বজন হারানোর বেদনার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহ করাটা তাদের পরিজনদের জন্য আরেকটি যুদ্ধের মতো ছিল।
তিনি আরও দেখেছেন, যেখানেই গণহত্যা হয়েছে সেখানেই ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনও হয়েছে।
মো.এনামুল হক বলেছেন, রাজাকারদের কারণে গণহত্যা বেশি হয়েছে। তাদের ব্যক্তিগত রেষারেষি,রাগ,ক্ষোভের কারণেও অনেক গণহত্যা হয়েছে। গণহত্যা হানাদারেরা করলেও রাজাকাররা ছিল গণহত্যার মূল ইন্ধনদাতা।
তিনি বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদারদের প্রধান টার্গেট ছিল এদেশের হিন্দুরা। তাই যেখানে হিন্দু পেয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মী পেয়েছে; তাদের কাউকে ছাড়েনি।
সবশেষে মুক্তিযুদ্ধ মানুষের মনে কেমন প্রভাব ফেলেছিল সঞ্চালকের এই প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মানুষের মনে আতঙ্ক ও ভয় তৈরি করে। মানুষ একটা রাতও শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। বিজয়ের পর মানুষ আস্তে আস্তে এই দুর্বিষহ স্মৃতি ভুলতে থাকে।
আরও পড়ুন: ইউএনবি এবং ঢাকা কুরিয়ারে এডিটর এট লার্জ হিসেবে যোগ দিলেন আফসান চৌধুরী
বাংলাদেশে গণহত্যার ‘স্বীকৃতি’ আদায়ে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান
২ বছর আগে
কবি, সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত আর নেই
সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কবি অরুণ দাশগুপ্ত আর নেই।শনিবার দুপুর ১২ টায় তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে পটিয়ার ধলঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।কবি, সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফাচট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, একজন গুণী সাংবাদিককে আমরা হারালাম। স্রষ্টার কাছে প্রয়াত দাদা মনির আত্মার সদগতি কামনা করছি।অরুণ দাশগুপ্ত দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের হাত ধরে ১৯৭৩ সালে পত্রিকাটিতে যোগ দেন । তিনি ছিলেন সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ও সাহিত্য সম্পাদক। পত্রিকাটির সাহিত্য পাতা প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিবিড় তত্ত্বাবধানে।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি ধলঘাট গ্রামে অরুণ দাশগুপ্ত’র জন্ম। তিনি ওই গ্রামের জমিদার যশোদা নন্দন ওয়াদ্দেদার (দাশগুপ্ত) এর নাতি এবং অবিনাশ ওয়াদ্দেদারের ছেলে। কবিতা, চিত্রকলা, ছোটগল্প, সঙ্গীত ক্ষেত্রে তাঁর অবাধ বিচরণ। পেয়েছেন অনেক পুরস্কার।
অরুণ দাশগুপ্ত রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থাবলী ‘রবীন্দ্রনাথের ছয় ঋতুর গান ও অন্যান্য’, ‘নবীনচন্দ্র সেন’, ‘কবিতা চিন্তা ও অন্যান্য প্রবন্ধ’, কবিতার বই ‘খাণ্ডবদাহন’।পটিয়া ধলঘাট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। সেখানে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেন তিনি। দেশমাতৃকার টানে ফিরে আসেন চট্টগ্রামে। ততদিনে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পথে। হাতছাড়া হয়ে গেছে বিপুল সম্পদ।এসময় মিরসরাইয়ের এক গ্রামে প্রতিষ্ঠিত উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি নিলেন শিক্ষকতার চাকরি। এরপর ফটিকছড়ির নারায়ণহাট স্কুলে। অবশেষে সব ছেড়ে আসেন সাংবাদিকতায়। এই প্রবীণ সাংবাদিক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের(বিএফইউজে) সাবেক সহ সভাপতি ছিলেন।
৩ বছর আগে