উজবেকিস্তান
উজবেকিস্তানের ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও দেশটির ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান উমিদ সাডাইয়েভের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে উভয়ই বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে পর্যটন সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক অনুষ্ঠিত
পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বৈচিত্র্যতা ও প্রাচুর্যতার প্রতি আলোকপাত করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণসমূহ বর্ণনা করেন।
বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবন ও ইউনেস্কো হ্যরিটিজ সাইটগুলোর উল্লেখ করেন, যা উজবেকিস্তানের পর্যটকদের জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
পর্যটন সহযোগিতাকে ত্বরান্তিত করার জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে সরাসরি যোগযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ঢাকা-তাসখন্দ রুটে উজবেকিস্তান এয়ারলাইন্স চালুর বিষয়ে চেয়ারম্যানের সমর্থন কামনা করেন।
এর ফলে পর্যটক বিনিময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা দু’দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্ক উন্নয়নে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যেকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সেতুবন্ধনের কথা উল্লেখ করে উজবেকিস্তানের ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান সাডাইয়েভ বলেন, পর্যটন দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা ও গতি যোগ করতে পারে।
তিনি পর্যটন খাতে উজবেকিস্তান সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে পর্যটন সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য তিনি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পর্যটন খাতে সম্পর্ক সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে দু’দেশের জনগনের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে- এ আশাবাদ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারত নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু মঙ্গলবার
১০ মাস আগে
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রেক্টরের বৈঠক
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সঙ্গে তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রেক্টর অধ্যাপক ড. গুলচেরা রিকসিয়েভা সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস রেক্টর ড. নদির আবদুল্লাহ এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান ড. নিলুফার খোদজায়েভা।
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যোগসূত্র ও বন্ধুত্বের ওপর আলোকপাত করে উভয়ই এ সম্পর্ককে আরও বেগবান ও অর্থবহ করার ব্যাপারে সৃজনশীল উদ্যোগ ও কার্যক্রম গ্রহণের ওপর জোর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বিশেষ করে বাংলাদেশের ইতিহাস, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উজবেকিস্তানে পরিচিতি, প্রচার ও বিকাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উজবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অগ্রযাত্রার বর্ণনা দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক বিষয়ে দু’দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষকবৃন্দ তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আদান প্রদান করতে পারেন, যা তাদের বোঝাপোড়া ও দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও সমৃদ্ধশালী করবে।
এ লক্ষ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী পর্যায়ে সফর বিনিময়সহ তাদের মধ্যেকার পারস্পরিক যোগাযোগকে আরও গভীর ও মজবুত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
রেক্টর ড. রিকসিয়েভা তার বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা কোর্স চালুসহ বাংলাদেশের অনুরূপ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা স্থাপনে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান সম্পর্ককে আরও ত্বরানিত করতে, বিশেষ করে শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্প্রসারণে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করার মধ্যে দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলমমের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
১০ মাস আগে
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উজবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বুধবার (২০ ডিসেম্বর) উজবেকিস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বাখরমজন জুরাবয়েভিচ অ্যালয়েভের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি সম্মন্ধে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীকে সামগ্রিক ধারণা দেন।
তিনি ঢাকা-তাসখন্দ বন্ধুত্বকে আরও কার্যকরী ও অর্থবহ করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘রোড ম্যাপ’ চুড়ান্তকরণসহ যেসব বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার প্রতি আলোকপাত করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে কমনওয়েলথ অব ইনডিপেন্ডেন্ট স্টেটস- বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিআইএস-বিসিসিআই) একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের উজবেকিস্তানে সফর বর্ণনা করে বস্ত্র, ওষুধ, কৃষি, পাট ও পর্যটন খাতে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণে অপরিসীম সুযোগ রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে উজবেকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করনে উদ্ধুদ্ধ করতে রাষ্ট্রদূত উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।
উজবেকিস্তান এয়্যারওয়েজের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ।
তিনি বলেন, সরাসরি ফ্লাইট চালু দু’দেশের সম্পর্কে নতুন গতি সঞ্চার করবে, যা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি ঢাকা-তাসখন্দ রুটে উজবেকিস্তান এয়ারলাইন্স পুনরায় চালুর বিষয়ে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীর সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন করেন।
আলোচনাক্রমে তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
উজবেকিস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরাম, বিশেষ করে আগামী ২০২৫ সালে সামারকান্দকে ইউনেস্কো জেনারেল কনফারেন্সের ভেন্যু নির্বাচন করতে বাংলাদেশ সমর্থন করায় সরকারের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্কের অগ্রযাত্রায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতি সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার উপর তাগিদ দেন।
আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে দৃশ্যমান অগ্রগতি ও ফলাফল আনার জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে সফর বিনিময়ের উপর জোর গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাৎকালে উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হুমায়ুন আখমাদভ এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. নাজমুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলমমের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম তাসখন্দের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি এন্ড ডিপ্লোমেসি-এর বাণিজ্য অনুষদ থেকে শুক্রবার (১৬ জুন) এক্সটারনাল রিসার্চার হিসেবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার গবেষণার বিষয় ছিল- ‘ফ্যাক্টরস অ্যফেক্টিং দ্য অ্যাডোপশন অব টেকনোলজি-ড্রাইভেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড: এশিয়ান কনটেক্সট’।
আরও পড়ুন: ঢাবির পিএইচডি থিসিস কীভাবে সংরক্ষণ ও মূল্যায়ন হয়, জানতে চায় হাইকোর্ট
গবেষণার বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনা শেষে বৈজ্ঞানিক কাউন্সিলের ১০ জন সদস্যই গোপন ব্যালটে সর্বসম্মতভাবে তার পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের পক্ষে ভোট দেন।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি এন্ড ডিপ্লোমেসি-এর রেক্টর এবং উজবেকিস্তান পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সাদিক সাফায়েভ, ভাইস রেক্টরগণ, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ সহ এ অঞ্চলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ গবেষণার বিষয়বস্তু উপস্থাপনের সময় বৈজ্ঞানিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া ও উজবেকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলম এর ৬টি আর্টিকেল ও ২ টি কনফারেন্স পেপার প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ, উজবেকিস্তান, কানাডা, চীন, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ তার থিসিসের বিষয়ে রিভিউ করেন।
রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের অষ্টম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।
তিনি মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের বিশিষ্ট স্কুল শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমীনের ছেলে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করা চুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু
ইবির এমফিল, পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
১ বছর আগে
উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর আহ্বান সালমান এফ রহমানের
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং পর্যটন খাত সম্প্রসারণে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট পরিবেষা চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে তার গুলশানের কার্যালয়ে উজবেকিস্তানের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাখরোম অ্যালোয়েভ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে উজবেকিস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালু এবং ভিসা সহজীকরণ হলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা সফর করে বিনিয়োগের ক্ষেত্র বের করতে পারবেন। সরকার টু সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী টু ব্যবসায়ী যোগাযোগ বৃদ্ধি হবে।
সেইসঙ্গে আলোচনায় দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামগ্রিক সুবিধার জন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোকে খুঁজে বের করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়াসহ ১৫২টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার বিশাল সুযোগ রয়েছে।
উজবেকিস্তানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ও প্রবৃদ্ধির অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-তাসখন্দ সম্পর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দু বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা। দেশটিতে টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস ও তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। তৈরি পোশাক, ওষুধ, আইসিটি পণ্যের বড় বাজার হতে পারে উজবেকিস্তান। দু’দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার হবে।’
আরও পড়ুন: সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সালমান এফ রহমানের বৈঠক
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটন খাতের বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করেছেন এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনা প্যাকেজ এবং সুবিধা ঘোষণা দিয়েছেন। তাই উজবেকিস্তানের বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করতে পারেন।’
এসময় বাণিজ্য সম্প্রসারণে উজবেকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালুসহ বাংলাদেশিদের সহজ শর্তে ভিসা সুবিধা দেয়ার কথা বলেছেন বাংলাদেশে সফররত উজবেকিস্তান উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাখরোম অ্যালোয়েভ।
সাক্ষৎকালে উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল সূচকে সাফল্য অর্জন করেছে। ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য বিশ্বে সুনাম ধরে রেখেছে।’
তাই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদেরকে উজবেকিস্তানে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে দুই দেশের সম্পর্ককে আরো বন্ধত্বপূর্ণ এবং দৃঢ় অবস্থানে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বৈঠকে উজবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাখরোম অ্যালোয়েভ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বিস্তৃত করার সময় এসেছে এখন। পরিবহন ও যোগাযোগ একটি উদ্বেগের বিষয় ছিল, তবে আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করার জন্য প্রস্তুত আমরা।
মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তান। স্থলবেষ্টিত দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নতমানের তুলা উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের পোশাক খাতে ক্রমবর্ধমান সুতার চাহিদা মেটাতে বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার প্রয়োজন পড়ে। বিপরীতে উৎপাদন হয় মাত্র পৌনে দুই লাখ বেল। ঘাটতি মেটাতে বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকার তুলা আমদানি করতে হয়। যা বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তুলা আমদানিকারক দেশে পরিণত করেছে।
এ অবস্থায় ঢাকা-তাসখন্দের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বাড়াতে উচ্চ পযায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করছেন উজবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আগামী মাসের মধ্যে ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট দূর হয়ে যাবে: সালমান এফ রহমান
মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: সালমান এফ রহমান
১ বছর আগে
উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
যৌথ উদ্যোগে উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপনে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে উজবেক সরকারের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী জামশিদ খোদজায়েভে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এলে তিনি এ কথা বলেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্বেষণ করতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, তরুণ ও প্রাণবন্ত জনশক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশ সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছিল। সেই সম্পর্ক এখন আরও শক্তিশালী হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও শিল্পের উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সব দেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং এর জন্য জনগণ ভোগান্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।
উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার এবং আমরা এটিকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তর করতে চাই।’
তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, উজবেকিস্তান সিআইএস (কমনওয়েলথ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস) দেশগুলোর একটি ভালো কেন্দ্র কারণ, এখানে ব্যবসা বাণিজ্য বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
পড়ুন: ঢাকা-তাসখন্দ রুটে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত
তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ওষুধ ও আইসিটি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সফররত উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং কৃষি খাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ঢাকায় উজবেকিস্তানের দূতাবাস স্থাপনেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে দ্বৈত কর পরিহারের বিষয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
এ সময় উজবেকের বিনিয়োগ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী লাজিজ কুদ্রাতভ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন বিষয়ক উপমন্ত্রী জাসুরবেক চোরিয়েভ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: ৬ আগস্ট ঢাকায় আসবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
তাসখন্দের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রাধান্য পাবে রোহিঙ্গা ইস্যু
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া: সংযুক্তির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জবিষয়ক’ সম্মেলনে অংশ নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বুধবার উজবেকিস্তানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
সফরে ড. মোমেন উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োইয়েভের সাথে বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাবো।’
সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে ফেসবুকে ‘সুখবর’ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তাসখন্দে রোহিঙ্গা ইস্যু, টিকা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রাধান্য পাবে বলে ড. মোমেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চীন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে সিনোফার্মের আরও ১০ লাখ ডোজ দেবে এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠককালে ভ্যাকসিন বিষয়ে আলোচনা হবে। এটি ভালো সংবাদ।’
ড. মোমেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি বিমান চলাচলের জন্য উজবেকিস্তানের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে কোভ্যাক্সের ৩৫ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ আরও টিকা পাওয়ার ইঙ্গিত পেয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সংযুক্তির মাধ্যমে ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদারের জন্য উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োইয়েভের দু'দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করছেন।
আগামী সোমবার (১৯ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।
৩ বছর আগে