তিনি বলেন, ওয়াসার কাছ থেকে খালের দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পরই খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদে আমরা কাজ শুরু করেছি। যত প্রভাবশালী হোক না কেন খাল দখলদার কেউ ছাড় পাবে না। খাল পাড়ের অবৈধ সব বহুতল ভবন ভেঙে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সব বেদখল খাল উদ্ধার করা হবে: মন্ত্রী
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত রাজধানীর ইব্রাহিমপুর এলাকায় ইব্রাহিমপুর খাল পরিষ্কারকরণ ও খালের দুই পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন।
উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, মানচিত্র অনুযায়ী খালের জায়গায় যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে, তা একতলা হোক বা দশ তলা হোক, ভেঙে ফেলা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য খালেও এই অভিযান চালানো হবে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির মধ্যেই খালের দায়িত্ব পাচ্ছে ২ সিটি করপোরেশন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
পরিদর্শনকালে ইব্রাহিমপুর বাজার খাল পাড়ের কালভার্টের দুই পাশে অবৈধভাবে খালের উপর নির্মিত একটি তিনতলা ভবনসহ কয়েকটি টিনশেড দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
মেয়র আরও বলেন, সিএস জরিপ অনুসারে অনতিবিলম্বে ঢাকা শহরের খালের সীমানা চিহ্নিত করে খালের দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পুনঃখনন করে পানি ধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি, পাড় বাঁধাই করে সবুজায়ন, ওয়াকওয়ে (হাঁটার পথ) ও সাইকেল লেন তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: খালের বর্জ্যের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের দুর্নীতিও অপসারণ করা হচ্ছে: মেয়র তাপস
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মতিউর রহমান মোল্লা, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন রশীদ জনি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নগরবাসীকে নিয়ে সবার ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার মেয়র আতিকের