নভেম্বর
নভেম্বরে পণ্য রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২০২২ সালের একই মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ কমেছে।
সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। তবে আগের মাসের (অক্টোবর) তুলনায় বেড়েছে।
সোমবার (৪ ডসেম্বর) প্রকাশিত ইপিবির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে রপ্তানি আয় করেছে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।
তৈরি পোশাকের (আরএমজি) চালান উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানি কমেছে। আরএমজি সেক্টর নভেম্বরে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিটওয়্যার সাবসেক্টরে পোশাকের চালান বিশেষভাবে কমে গেছে। গতমাসে যা ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আগের চেয়ে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ কম। ওভেন পোশাক থেকেও আয় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তবে, চলতি অর্থবছরের ২০২৩-২৪ সালের ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) সামগ্রিক রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রধান খাতগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক ছাড়া বাকি সব খাতে রপ্তানি কমেছে। এর মধ্যে হিমায়িত খাবার অন্তর্ভুক্ত; চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য; পাট ও পাটজাত পণ্য; কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭%
নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা আগের মাস অক্টোবরের তুলনায় ৫০ মিলিয়ন ডলার কম।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীরা দেশে ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।
নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ১৪৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক পেয়েছে ৫৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পেয়েছে ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলো পেয়েছে ৫ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার।
প্রবাসীরা অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ দশিমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছিল। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো পেয়েছিল ১৫৪ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার, একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পেয়েছিল ১ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলো পেয়েছিল ৬ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, নভেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ কিছুটা কমেছে, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথাযথ উদ্যোগের কারণে রেমিটেন্স আসার সামগ্রিক প্রবণতা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা আইনি চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
প্রবাসী আয়ে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারবে। মোট প্রেরকদের ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। ফলে আইনি মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স আসছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর সেলিম রায়হান বলেন, রেমিটেন্স প্রণোদনার দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা কোনো কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, ডলারের দামের ওপর সরকার অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ দেবে। রেমিটেন্সে মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা সাময়িকভাবে বাড়াবে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না বলে জানান তিনি।
সেলিম বলেন, রেমিটেন্স বাড়াতে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে হলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখনও প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে এবং তা যেকোনো উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যাংক যত বেশি প্রণোদনা দেবে, হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তত বেশি দেবে। তাই যতদিন হুন্ডির প্রচলন থাকবে, ততদিন আইনি মাধ্যমে প্রত্যাশিত রেমিটেন্স আসবে না।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
৩ দিনে ১১টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
৩০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ১১টি গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, অগ্নিসংযোগের শিকার যানবাহনসমূহের মধ্যে ঢাকায় চারটি, গাজীপুরে পাঁচটি এবং সিলেট ও দিনাজপুর জেলায় একটি করে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তিনটি কাভার্ড ভ্যান, পাঁচটি বাস ও তিনটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা বলেন, এই সময়ের মধ্যে ১৯টি ফায়ার ফাইটিং ইউনিটের মোট ৯৬ জন সদস্য আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ ও হরতাল চলাকালে এ পর্যন্ত ২৪৪টি যানবাহন ও প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ ঘণ্টায় ১১ অগ্নিকাণ্ড, পুড়েছে ১২টি যানবাহন: ফায়ার সার্ভিস
ঢাকার মধ্যে মিরপুরে অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
নারায়ণগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন ৪ নভেম্বর, বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল চলাচল
আগামী ৪ নভেম্বর মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন উপলক্ষে সেইদিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ ৪ নভেম্বর উদ্বোধনের পরদিন ৫ নভেম্বর থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, মেট্রোরেল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে শুরুতে শুধু চার ঘণ্টার জন্য মেট্রোরেল চলবে। প্রথমে তিনটি স্টেশন চালু রাখা হবে। পরে বাকি স্টেশনগুলো খুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
বুধবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মেট্রোরেলের কার্যালয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৪ নভেম্বর উদ্বোধনের জন্য বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল চলাচল। ৫ নভেম্বর থেকে আবার চালু হবে মেট্রোরেল। উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী একটি ট্রেন উদ্বোধন করবেন আর পরের ট্রেনে চড়ে মতিঝিল যাবেন। সেখানে এমআরটি নর্দার্ন রুটের কাজের উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে এমআরটি ৫-এর ফলক উন্মোচন করবেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ নভেম্বর থেকে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উভয় দিক ১০ মিনিট পর পর মেট্রোরেল চলাচল করবে। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তর অংশে মেট্রো রেলের সময় ও অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, মতিঝিল থেকে আগারগাঁও অংশে শুধু ফার্মগেট, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে মেট্রোরেল থামবে।
আরও পড়ুন: ফের পেছাল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেলের উদ্বোধন
নভেম্বরে তফসিল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: ইসি আনিছুর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রগুলোতে ভোট হবে ব্যালট পেপারে। এবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনের দিন সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
উদ্বোধনের প্রথম দিনে ৩০জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়। এই উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচান কমিশন সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ জন্য সব দলের সঙ্গে সংলাপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সংলাপের পর নির্বাচন কমিশনের ওপর সবার আস্থা আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে পারে বাংলাদেশ
চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে আইএমএফ থেকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৪ দশামিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কর্মকর্তারা বেশ কয়েকবার ঢাকা সফর করেছেন এবং বিভিন্ন খাতে সন্তোষজনক অর্জন পেয়েছেন। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি যথাসময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
ইতোমধ্যে, বাংলাদেশ কিছু খাতে সংস্কার করেছে এবং আইএমএফের প্রয়োজনীয় শর্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বশেষ তথ্য হালনাগাদ করেছে। তাই ঋণের পরবর্তী কিস্তি সময়মতো পাওয়ার বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আইএমএফের নির্ধারিত মানদণ্ডের নিচে নেমে এসেছে। এ কারণে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর।
তবে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি যথাসময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল একাধিক বৈঠক করেছে। ঋণের দ্বিতীয় ধাপ যথাসময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ওই বৈঠকে আশ্বস্ত করেছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
গত ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৭০.৬২ মিলিয়ন ডলার।
২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে আইএমএফের পুরো ঋণ পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন: আইএমএফের শর্তের ভিত্তিতে বাজেট করা হয়নি: অর্থমন্ত্রী
নভেম্বরের মধ্যে নতুন বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, নতুন বছরের প্রথম দিন সব শিশুর মাঝে বই পৌঁছাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের মধ্যে আগামী শিক্ষাবর্ষের সব বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে’।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে ইউএস এআইডি'র ‘সবাই মিলে শিখি’ প্রকল্পের দ্বিতীয় বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় (ভার্চুয়ালি) এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, নতুন বছরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবই পরিমার্জিত পাঠ্যক্রম অনুযায়ী প্রণয়ন করা হয়েছে। পরবর্তী বছর চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির জন্য নতুন পাঠ্য বই প্রণয়ন করা হবে।
গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘সবাই মিলে শিখি’র মূল কথাই হলো কেউ বাদ যাবে না, কিংবা পিছিয়ে পড়বে না, সবাই সমান সুযোগ পাবে, সম্মিলিত প্রয়াসে নিরন্তর এগিয়ে যাবে। তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযোগী করে শিশুদের গড়ে তুলতে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দিলীপ কুমার বণিকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তৃতা দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন, ইউএস এআইডির পরিচালক অ্যান্ড্রু হল্যান্ড, সোনজাই রেনল্ডস-কুপার, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমা প্রমুখ।
‘সবাই মিলে শিখি’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগের ৯টি জেলার ১৬টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি আরও ২০টি উপজেলাসহ মোট ৩৬টি উপজেলার ৫ হাজারেরও অধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ ৫ বছর।
আরও পড়ুন: নতুন বইয়ের আনন্দে শিশুরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নভেম্বরে চালু হবে নির্বাচনী অ্যাপের কার্যক্রম
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, অনলাইনে মনোনয়ন জমার ব্যবস্থা রাখতে নভেম্বরের মধ্যে চালু করা হবে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ।
বুধবার (৯ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আইন অনুযায়ী অফলাইন, অনলাইন দুভাবেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, ভোটার, দল, প্রার্থী, প্রতীক, ছবি, ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানানোসহ একগুচ্ছ সেবা দিতে ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ’ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তফসিলের আগে নির্বাচনী ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ চালু করতে হবে, তা না হলে এটা চালু করলাম কেন? অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমাসহ নানা বিষয় এ অ্যাপে থাকবে। যে অবস্থায় রয়েছে আমাদের খুব বেশি সময় লাগবে না, নভেম্বরে চালু করতে পারব। অ্যাপ আমরা নভেম্বরে চালু করব।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে চায় ইসি
আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘শুধু অনলাইন রাখতে গেলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করতে হবে। সম্পূর্ণভাবে অনলাইন এখন আমরা চাইলেও হবে না। আমরা চিন্তা করছিলাম সব নির্বাচনের জন্যই যাতে এটা প্রযোজ্য হয়। এটা বাধ্যতামূলক করার সুযোগ নেই। কারণ আইনে সংশোধন আনতে হবে। তাই বাধ্যতামূলক করতে আমরা যাচ্ছি না। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দেওয়ার সুযোগটা এজন্য করা হয়েছে যাতে কেউ কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। আমরা অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করব। কেননা, ঘরে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।’
নির্বাচনী অ্যাপসে আর কী থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূলত সম্পর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি হবে ওটা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিলে অনেক বিষয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যাবে। ডকুমেন্ট স্ক্যান করে দিতে হবে।
নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোর নামের তালিকা ও ছবি থাকবে। কে কোথায় কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে। এনআইডি নম্বর দিয়ে অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এতে গুগল ম্যাপেও ভোটার তার ভোটকেন্দ্র দেখতে পারবে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা থাকবে। দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর ভোট পড়ার হার জানানো হবে। ১০টা, ১২টা, ২টা ও বিকেল ৪টায় আপডেট থাকবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ফলাফল আমরা অ্যাপসে কেন্দ্রভিত্তিক দেখতে পারব। বেসরকারি ফলাফলটাও দেখা যাবে।
মো. আনিছুর রহমান বলেন, অ্যাপসের ফলে নির্বাচনে সহিংসতা বা শক্তি প্রদর্শন কমে আসবে। ভোটাররাও সহজেই কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে পারবে। প্রার্থীও কত ভোট পড়েছে তাও জানতে পারবে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা ম্যানুয়ালি করতে হয়, এতে অনেক সময়ের ব্যয় হয়। এটা কমে আসবে।
ইসি বলেন, এই নির্বাচনের পরে যেন আরেকটি নির্বাচনেও এই অ্যাপস ব্যবহার করা যায়, আমরা এজন্য ছয় বছর মেয়াদি এই উদ্যোগ নিচ্ছি। পরবর্তী কমিশন এসে কী করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, কেননা, এতে অর্থ ব্যয়ের বিষয় আছে। সব নির্বাচনেই আমরা এই অ্যাপস ব্যবহার করব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এটির কার্যক্রম শুরু হবে। নভেম্বরে এটা আমরা চালু করব।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা হার্ডওয়্যারের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছি। আর সফটওয়্যাট যারা দেবে তাদের সঙ্গে আমাদের ছয় বছরের চুক্তি থাকবে। ইসির যে ডাটাবেজ আছে সেখান থেকেই মূল তথ্যগুলো এই অ্যাপে আসবে।ে
আরও পড়ুন: ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
নভেম্বরে দুর্ঘটনায় ৭০৯ জন নিহত, ৮৪০ জন আহত
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে নভেম্বর মাসে সড়ক, রেল ও নৌপথে ৬৬৮টি দুর্ঘটনায় ৭০৯ জন নিহত ও ৮৪০ জন আহত হয়েছেন।
১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সড়ক-মহাসড়কে ৫৮৬টি দুর্ঘটনায় ৬৪৩ জন নিহত ও ৮২৬ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া রেলপথে ৬৪টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। একই সময়ে নৌপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত ও ১০ জন আহত এবং সাতজন নিখোঁজ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
বেশিরভাগ দুর্ঘটনার পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে- বিপজ্জনক ওভারটেকিং, বেপরোয়া গতি, অযোগ্য যানবাহন, ফুটপাথের অভাব বা দখল করা ফুটপাথ, রেলক্রসিং ও হাইওয়েতে ফিডার রোড থেকে হঠাৎ যানবাহনের প্রবেশ, ছোট যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এছাড়া অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সার্ভিস লেনের অভাব, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন ফিডার রোড থেকে ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা নেমে আসা।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ ভাই নিহত
চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নভেম্বরে রপ্তানি আয় পাঁচশ’ কোটি ছাড়াল, ডলার সংকট কেটে যাওয়ার আশা
পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধিতে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে। যা এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ আয়। কর্মকর্তাদের পরিসংখ্যান এ তথ্য তুলে ধরেছে।
বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিবেদনে নভেম্বরের রপ্তানি আয় পাঁচ দশমিক ০৯ বিলিয়ন যা গত জুনে আগের মাসিক সর্বোচ্চ চার দশমিক ০৯৮ বিলিয়ন আয়কে ছাড়িয়ে গেছে।
ইপিবি জানিয়েছে, নভেম্বরে অর্জিত পাঁচ দশমিক ০৯ বিলিয়ন আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি আয়ের ঊর্ধ্বগতি এমন এক সময়ে হলো যখন পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের পোশাকের প্রধান ক্রেতা। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটে হতাশাজনক চাহিদার সঙ্গে লড়াই করছে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে বাংলাদেশ ডলার সংকটে ভুগছে। সেই সময়ে এই অর্জন ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক মুদ্রার সংকট লাঘবের আশা জাগিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
সাম্প্রতিক ইপিবি তথ্য দেখায়, ২০২৩ অর্থবছরে একটি ইতিবাচক প্রবণতায় প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এক মাসে পাঁচ বিলিয়ন বিলিয়ন অতিক্রম করেছে কারণ প্রস্তুতকারকরা, বিশেষ করে পোশাক, পশ্চিমা ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি অর্ডার এবং রপ্তানি চালান পেয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান ইউএনবিকে বলেছেন যে পোশাকের অর্ডার, যা গত কয়েক মাসে কমছে, পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ এবং দক্ষিণ কোরিয়া, নন-ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সদস্য দেশ এবং কিছু আফ্রিকান দেশের এর মতো নতুন রপ্তানি গন্তব্য যুক্ত হওয়ার কারণে এটি একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশের সরবরাহ ক্ষমতা ভালো এবং কাপড়ের দাম এখন পর্যন্ত খুবই সাশ্রয়ী হওয়ায় শীত ও ক্রিসমাস উদযাপনের সময় অর্ডার আরও বাড়বে।
বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন যে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও স্থগিত চালানের শিপমেন্ট পুনরায় শুরু করা এবং বৈচিত্র্যকরণের ওপর বেশি মনোযোগ দেয়া বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সব ধরণের ক্রেতাদের জন্য একটি ভালো বিকল্প তৈরি করছে।
ইউরোপীয় বাণিজ্য গবেষক ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ কমমূল্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পোশাক রপ্তানি করছে, যার চাহিদা ইউরোপের বাজারে কিছুটা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের
ইউরোপে সাশ্রয়ী মূল্যে পোশাকের চাহিদা বেড়েছে যেখানে মূল্যস্ফীতি-আক্রান্ত ক্রেতারা চড়া দামের সঙ্গে লড়াই করছে।
রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ নিয়মিত পরিধান এবং বাড়িতে বুনন কাপড় আইটেম তৈরি করে এবং এটি ইইউ বাজারে তার রপ্তানিতে প্রাধান্য পায়।
এছাড়া ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ফল, সবজি, হিমায়িত মাছ, পাট ও চামড়াজাত পণ্য এবং হস্তশিল্পের রপ্তানিও বেড়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষণ দৃশ্যমান হওয়ায় ইইউ প্লাস দেশ, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি গন্তব্য ক্রমাগত বাড়বে।
ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ রাজ্জাকের আশাবাদের উল্লেখ করে বলেছেন যে ইইউ বাজার বাংলাদেশের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রতিবছর বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নভেম্বরে সেই ফলাফল দেখতে পাচ্ছি, যেখানে প্রথমবারের মতো রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: মাছের আঁশ: রপ্তানি বৈচিত্র্যে আশা জাগানো নতুন পণ্য