নভেম্বর
নভেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতি ১১.৩৮%
নভেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে। আগের মাস অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই হার গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশে।
এদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছে নভেম্বরে। শহর ও গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হারও গত মাসে বেড়েছে।
নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমাতে ৮ মাস লাগবে: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর
একই সময় গ্রামাঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে গ্রামাঞ্চলে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি নভেম্বর ও অক্টোবরে অপরিবর্তিত ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ ছিল।
অন্যদিকে নভেম্বরে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ, নভেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
নভেম্বরে মজুরি হার সূচক ছিল ৮ দশমিক ১০ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি রোধে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
১ সপ্তাহ আগে
নভেম্বরে সিলেটে ২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরেছে ৩২ প্রাণ
সিলেটে নভেম্বরে ২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৩৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সিলেট বিভাগীয় কমিটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটে ১২টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জে ৫টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ৩ জন আহত, মৌলভীবাজারে ৭টি দুর্ঘটনায় ৮ নিহত ও ৯ আহত এবং হবিগঞ্জে ৫টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সিএনজি, লেগুনাচালক ও যাত্রী ৫ জন এবং ৬ জন পথচারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে অক্টোবর মাসে ৩৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যু
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিলেটের সড়কে গাড়ি উল্টে ৪টি দুর্ঘটনায় ৫ জন, সংঘর্ষে ১০টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ২ জন এবং ১৪ জন চালক নিহত হয়েছেন। এছাড়া নভেম্বর মাসে নিহত ৩২ জনের মধ্যে ২৪ পুরুষ, ৫ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অক্টোবর মাসে সিলেট বিভাগে ৩৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত ও ৬৭ জন আহত হয়েছিলেন।
১ সপ্তাহ আগে
নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২০ কোটি ডলার
নভেম্বর মাসে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২.২ বিলিয়ন বা ২২০ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছরের নভেম্বর মাসের তুলনায় তা ১২.২৫ শতাংশ বেশি।
গত বছরের নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। তার আগের অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ রেমিট্যান্স আপডেটে দেখা গেছে, নভেম্বর মাসে গড়ে প্রতিদিন ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ২.৩৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি
এ নিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮২ কোটি ৪২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২২ কোটি ৩১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এককভাবে ৩৬ কোটি ৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স গ্রহণ করেছে, যা একক ব্যাংকের রেমিট্যান্স আয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এছাড়া ১৮ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স আহরণকারী বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২.৬ কোটি ডলার
১ সপ্তাহ আগে
নভেম্বরের ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২.৬ কোটি ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের প্রথম ২৩ দিনে দেশে ১৭২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স ঢুকেছে। সে হিসাবে, প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি নভেম্বরের প্রথম ২৩ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৪ কোটি ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ডলার।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার
গত জুন মাসে দেশে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। ওই মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৯১ কোটি ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তবে আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রবণতা স্থিতিশীল হতে শুরু করে এবং ওই মাসেই রেমিট্যান্স আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার। এরপর সেপ্টেম্বরে আসে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং অক্টোবরে তা সামান্য হ্রাস পেয়ে আসে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার।
২ সপ্তাহ আগে
নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের প্রথম ৯ দিনে দেশে মোট ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, দৈনিক হিসাবে যা গড়ে প্রায় ৭ কোটি ২৮ লাখ ডলার।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, অক্টোবরের একই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ৭৩ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, অর্থাৎ গত মাসের তুলনায় চলতি মাসের এই সময় পর্যন্ত ৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার কম এসেছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ২.৩৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি
এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে ঢোকা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৯ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে সর্বোচ্চ ৪২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছ ৩ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। পাশাপাশি বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার দেশে এসেছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৬১ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৪ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ডলার।
আরও পড়ুন: ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ চ্যানেলে ১.৯৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে
গত জুন মাসে দেশে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস যায়। ওই মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৯১ কোটি ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তবে আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রবণতা স্থিতিশীল হতে শুরু করে এবং ওই মাসেই রেমিট্যান্স আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার। এরপর সেপ্টেম্বরে আসে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং অক্টোবরে তা সামান্য হ্রাস পেয়ে আসে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ১৯ দিনে ১.৫৫৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
১ মাস আগে
নভেম্বরে এলপিজির দাম প্রায় অপরিবর্তিতই থাকছে
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নভেম্বর মাসেও প্রায় একই রয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) হিসাবে, নভেম্বর মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১২১ টাকা ৩২ পয়সা থেকে কমে ১২১ টাকা ২৫ পয়সা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: এলপিজির দাম বাড়ল, ১২ কেজি সিলিন্ডার ১৪২১ টাকা
বিইআরসি নতুন দাম ঘোষণা করে বলেছে, ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ টাকা কমানো হয়েছে।
একজন খুচরা গ্রাহক এখন ১২ কেজির সিলিন্ডারের জন্য ১ হাজার ৪৫৫ টাকায় (ভ্যাটসহ) কিনতে পারবেন, যা পূর্বে ছিল ১ হাজার ৪৫৬ টাকা।
আজ ঢাকায় নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি জানায়, অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে কমিয়ে ৪৫ কেজি পর্যন্ত একই হারে কমবে।
বিইআরসির কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, 'অটো গ্যাস' (মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি) এর দাম আগের ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে কমে ৬৬ টাকা ৮১ পয়সা (ভ্যাটসহ) হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা স্থানীয় এলপিজির দাম একই থাকবে। এর মার্কেট শেয়ার ৫ শতাংশের কম।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: জুনে এলপিজির দাম কমেছে কেজিতে ২.৫৩ টাকা
১২ কেজির এলপিজিতে দাম কমল ৪৯ টাকা
১ মাস আগে
নভেম্বরেই পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে জেডিপিসি
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) উদ্যোগে ঢাকায় বসছে বহুমুখী পাটপণ্য মেলা ২০২৪।
আগামী ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর তেজগাঁওয়ের মনিপুরী পাড়ায় জেডিপিসি প্রাঙ্গণে ৫ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
এই বহুমুখী পাটপণ্য মেলায় থাকছে পাটকেন্দ্রিক ফটোগ্রাফি ও রচনা প্রতিযোগিতাও।
ব্রিফিংয়ে জেডিপিসি’র নির্বাহী পরিচালক জিনাত আরা, এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশনের সভাপতি এম সাফাক হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
জিনাত বলেন, ‘পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে এবং মানুষকে উৎসাহ দিতে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সরকার পাট ও অন্যান্য পণ্য চালুর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই মেলার আয়োজন করা হবে।
মেলার উদ্বোধন করবেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এম সাফাক হোসেন বলেন, ‘পাট বিষয়ে রচনা (এক হাজার থেকে তিন হাজার শব্দের মধ্যে) লিখতে গিয়ে প্রতিযোগিরা পাটের বিষয়ে আরও জানবে, আগ্রহী হবে। এর জন্য মন্ত্রণালয় ও জেডিপিসি এবং এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশনের পেইজের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে। পাটের উৎপাদন ও পুরো সাপ্লাই চেইন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রদর্শনীতে ফুটিয়ে তোলা হবে।'
উল্লেখ্য, বহুমুখী পাটপণ্যের প্রচার ও পরিচিত করা এবং তা ব্যবহারে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এই বহুমুখী পাটপণ্যের একক মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সমগ্র বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশন সোনালী আঁশ পাট দিয়ে স্থির চিত্র প্রদর্শনী, ফটোগ্রাফি ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন হচ্ছে। এতে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, এ মেলায় বিভিন্ন ধরণের পাটপণ্যের প্রায় ৩০টি স্টল থাকবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় বিভিন্ন প্রকার ব্যাগ, অফিস আইটেম, নার্সারি আইটেম, হোম টেক্সটাইল, পরিধেয় বস্ত্র, বিভিন্ন ধরণের জুতা ও শোপিসসহ ব্যবহারযোগ্য বহুবিধ পাটপণ্য সামগ্রী প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হবে।
আরও পড়ুন: পাট, বস্ত্র ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিশ্বব্যাংককে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের
১ মাস আগে
নভেম্বরে ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমছে ৫০ পয়সা
সরকার নভেম্বর মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০৫ টাকা করেছে। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ১২৫ ও ১২১ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১ নভেম্বর থেকে খুচরা ক্রেতাদের আর্থিক সাশ্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধিতিতে এই মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্ববাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে ২০২৩ সালের মার্চে স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করে।
আরও পড়ুন: ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমিয়েছে সরকার
১ মাস আগে
নভেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে খেলবে টাইগাররা
আগামী ৬ থেকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
রবিবার আফগান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই সিরিজ আয়োজন করবে তারা।
যদিও এই সিরিজের ভেন্যু চূড়ান্ত হওয়া এখনও বাকি তবে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে ৬ নভেম্বর এবং বাকি দুটি ম্যাচ ৯ ও ১১ নভেম্বর।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে মধ্যাহ্নভোজের পরপরই থামল প্রথম দিনের খেলা
আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরের অংশ এই সিরিজটি চলতি বছরের জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। তবে আবহাওয়া ও ভেন্যু সমস্যার কারণে বাংলাদেশকে সিরিজ খেলার নিমন্ত্রণ জানাতে পারেনি আফগানিস্তান।
আগামী বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজ দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ বলা যায়।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। আসন্ন ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ফরম্যাটের সিরিজ খেলতে দেশটিতে পা রাখবে আফগানরা।
আরও পড়ুন: শেষ টেস্ট খেলে দেশ ছাড়ার ইঙ্গিত সাকিবের
২ মাস আগে
নভেম্বরে পণ্য রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২০২২ সালের একই মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ কমেছে।
সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। তবে আগের মাসের (অক্টোবর) তুলনায় বেড়েছে।
সোমবার (৪ ডসেম্বর) প্রকাশিত ইপিবির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে রপ্তানি আয় করেছে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।
তৈরি পোশাকের (আরএমজি) চালান উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানি কমেছে। আরএমজি সেক্টর নভেম্বরে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিটওয়্যার সাবসেক্টরে পোশাকের চালান বিশেষভাবে কমে গেছে। গতমাসে যা ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আগের চেয়ে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ কম। ওভেন পোশাক থেকেও আয় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তবে, চলতি অর্থবছরের ২০২৩-২৪ সালের ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) সামগ্রিক রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রধান খাতগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক ছাড়া বাকি সব খাতে রপ্তানি কমেছে। এর মধ্যে হিমায়িত খাবার অন্তর্ভুক্ত; চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য; পাট ও পাটজাত পণ্য; কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭%
১ বছর আগে