চামড়া
পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমূখীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে পাট ও চামড়া খাতে বিনিযোগ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ আহ্বান জানান। মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার পৃথক পৃথক সাক্ষাৎ করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমূখীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত এবং চামড়া চামড়াজাত পণ্য খাতকে এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন। এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
এ ছাড়া পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্যের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল বিশেষ করে এপিআই খাতে, এগ্রো প্রসেসিং, সি ফুড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, বাই সাইকেল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্যে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি ও গুণগতমান উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ট্রেড ও রেগুলেটোরি সংক্রান্ত বাধা দূর করে আমদানি ও রপ্তানি পলিসি যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিচ্ছে।
২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এবছর মেলায় বাংলাদেশে অবস্থিত সব মিশনের প্রধান এবং ট্রেড বা কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের নিয়ে মেলা পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে উৎপন্ন পণ্য প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় আসর এই মেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন এখানে অনেক বিদেশি প্যাভেলিয়নও থাকে। মিশন কর্মকর্তাদের মেলা পরিদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের ব্রান্ডিং করা সম্ভব হবে বলেও জানান।
যেসব পণ্য ইইউ ও যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে সেসব পণ্য কন্ট্রাক্ট ম্যানু্ফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক দেশ সরকার নির্ধারিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আগামী ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি আবুধাবীতে অনুষ্ঠিব্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজন আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের অবস্থানের পক্ষে প্রয়োজনীয় সমর্থনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার কামনা করেন।
হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। বর্তমানে উভয় দেশের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। উন্নয়ন সহযোগিতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তিনি অংশীদারিত্বের উপরও গুরুত্বারোপ করেন। দক্ষ জনবল তৈরি করার লক্ষ্যে উচ্চ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ারসহ পেশাদারী খাতে সার্টিফিকেশন ও অ্যাক্রিডিটেশন সমতায়নে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
এছাড়া, সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক বাধা দূরীকরণ, সেবা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাস্বত্বের প্রয়োগ ও সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উদারীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তা সত্যিই প্রসংশনীয় উল্লেখ করে ফার্মাসিউটিক্যাল ও আইটি খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিযোগের আগ্রহ প্রকাশ করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
এসময়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
১১ মাস আগে
চার বছরের মধ্যে চামড়া রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বিদ্যমান ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে আগামী ৩-৪ বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিবেশ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সাভার চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিসমূহ, সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিবেশ কমপ্লায়েন্স ও লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) মানদণ্ড উন্নীতকরণ সংক্রান্ত একটি সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন।
শিল্প সচিব ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির ও শিল্প (বিসিক) চেয়ারম্যানসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতিসহ ট্যানারি মালিক ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারকদের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে মুখ্য সচিব বলেন, সাভার ট্যানারি এস্টেটে সিইটিপি সংশোধন ও মানোন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
তিনি বলেন, ‘এখন চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে দেশের রপ্তানি আয় প্রায় ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা যদি একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারি, তাহলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে এই খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা কঠিন হবে না।’
সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে ২০২৭ সালের মধ্যে চামড়া খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তোফাজ্জেল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এখানে এই পরিবেশ তৈরিতে সরকারি ও বেসরকারি খাত উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
কমপ্লায়েন্স একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের চামড়া খাতকে সংশোধন ও আপগ্রেড করতে হবে।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
জনসমাগমে বিধিনিষেধসহ কোভিডের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮-দফা নির্দেশনা
১ বছর আগে
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম বর্গফুট প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
তিনি আরও জানান, ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, ট্যারিফ কমিশন ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিতের উদ্যোগ বিসিকের
মন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ঢাকায় তিন টাকা এবং ঢাকার বাইরে পাঁচ টাকা বেড়েছে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দামে। আর খাসি (পুরুষ ছাগল) ও ছাগলের চামড়ার দাম আগের বছরের মতোই রাখা হয়েছে।
টিপু মুনশি জানান, কোরবানির কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে পুরুষ ছাগলের দাম ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়ারদাম রাখা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা।
গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা।
আসন্ন ঈদুল আজহায় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য ট্যানারী মালিকরা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫৯ কোটি টাকা ঋণ পাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ট্যানারি মালিকরা ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন।
সর্বমোট ১২টি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক আবেদনকারীদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ দেবে।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
১ বছর আগে
বাঘের চামড়াসহ ২ চোরা শিকারী আটক
সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়াসহ দুই বাঘ শিকারীকে আটক করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৬ খুলনার সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অধিনায়ক কর্নেল মোসতাক আহমেদ।
অধিনায়ক জানান, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের র্যাব গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী অবৈধভাবে কৌশলে শিকার করে সেসব চামড়া ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার র্যাবের সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদে জানতে পারে, জেলার শ্যামনগর থানা এলাকায় পাচারকারী চক্রের সদস্যরা বাঘের একটি চামড়া পাচার করার উদ্দেশে অবস্থান করছেন।
সেই সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি গতকাল সন্ধ্যায় হরিণনগর ধল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কুমিরসহ ১৮ বন্যপ্রাণী অবমুক্ত
তখন মো. হাফিজুর শেখ (৪৭) ও মো. ইসমাইল শেখকে (২৪) আটক করা হয়।
এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আটক করা আসামিদের কাছ থেকে একটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা স্বীকার করেছেন মাছধরা ও গোলপাতা সংগ্রহের পাশ নিয়ে সুন্দরবনে যান। পরে ছাগলের মাংসের সঙ্গে কীটনাশক ব্যবহার করে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী শিকার করেন।
রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়া দেশে ও দেশের বাইরে শৌখিন মানুষদের কাছে কোটি টাকায় বিক্রয় করেন।
তিনি আরও বলেন, পাঁচ লাখ টাকার লোভে আসামিরা মাছ ধরা ও গোলপাতা সংগ্রহের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ করে। এরপর ছাগলের মাংসের সঙ্গে বিষাক্ত কীটনাশক মিশিয়ে বাঘসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী শিকার করে।
এছাড়া গত ২৭ জানুয়ারি শ্যামনগর এলাকা থেকে বাঘটি শিকার করে তারা। পরে চামড়া ছাড়িয়ে পাচারকারীর কাছে সরবরাহের চেষ্টা করছিল তারা।
তিনি জানান, র্যাব-৬ সাতক্ষীরার কমান্ডার মেজর গালিব অভিযান চালিয়ে বাঘের চামড়াসহ তিনজনকে আটক করেন। পরে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দু’জনকে আটক করা হয়। বাকি একজনকে মুচলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ফরেস্ট অফিসের কাছে ৩ বাঘ, আতঙ্কিত বনরক্ষীরা
১ বছর আগে
সীমান্ত এলাকায় চামড়া পাচার রোধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: শিল্প সচিব
দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় কাঁচা চামড়া পাচার রোধে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।
বুধবার বিসিকের ট্যানারি শিল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সরকার রাজধানীর বাইরে কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে এবং কাঁচা চামড়া পাচার রোধে সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে।’
সচিব জানান, এ বছর ঈদুল আজহায় সারাদেশে ৯৭ থেকে ৯৮ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে ১ দশমিক ২১ কোটি কাঁচা চামড়া প্রস্তুত করা হয়েছে এবং একই পরিমাণ সাভারের সেন্ট্রাল এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে প্রক্রিয়াজাত করা হবে।
জাকিয়া সুলতানা জানান, মন্ত্রণালয় ধলেশ্বরী নদী ও এর ট্যানারি শিল্প এলাকা সংলগ্ন এলাকাকে দূষণমুক্ত রাখতেও পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ: জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার পশুর হাটগুলো
২ বছর আগে
গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এবারের কোরবানির লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল-আযহা উপলক্ষে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে এ দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি জানান, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। গত বছর যা ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। একই চামড়া ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে; গত বছর যা ছিল ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা; গত বছর যা ছিল ১৫ থেকে ১৭ টাকা। পাশাপাশি প্রতি বর্গফুট বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা, গত বছর যা একই ছিল।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চামড়ায় লবণ দেয়ার বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করতে হবে। সামনে একটি জুমার দিন রয়েছে সেদিন যদি চামড়ায় লবন দেয়ার বিষয়টি বলা হয়, তাহলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ চামড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, গত বছর ঢাকাতে প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১৫ থেকে ১৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
পড়ুন: মানবজীবনে পবিত্র ঈদুল আযহার শিক্ষা
ঈদ উপলক্ষে ১ লাখ ৩০০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
২ বছর আগে
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। গত বছরের চেয়ে এবার সব ধরনের চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে। ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। গত বছর যা ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর যা ছিলো ২৮ থেকে ৩২ টাকা।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটের উদ্বোধন
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে এ দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকা; গত বছর যা ছিলো ১৩ থেকে ১৫ টাকা। এক্ষেত্রে গত বছরের চেয়ে দাম বাড়ানো হয়েছে। পাশাপশি বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা, গত বছর যা ছিল ১০ থেকে ১২ টাকা। এক্ষেত্রেও দাম বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, গতবছর এক্সপোর্ট ট্রেডটা ভালোই হয়েছে। সবদিকে প্ল্যান করেই এগুতে হবে। সবার একটাই ইচ্ছা যেনো চামড়ার ন্যায্য মূল্য পায়। আমরা ওয়েট-ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি, এটি খুব একটা স্বস্তির নয়। যেহেতু দেশে দাম পাওয়া যাচ্ছে না তাই রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি। এটা স্থায়ী হোক সেটা আমি চাই না। এবার সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় তিন পশুর হাট বাতিল
এ সময় ব্যবসায়ীদের কোরবানির পরপরই দ্রুত চামড়ায় লবণ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বিটিএ'র সভাপতি শাহীন আহমেদসহ ব্যবসায়ী নেতারা ।
৩ বছর আগে