পিলার
নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীকে রক্ষা করার দায়িত্ব শুধু নৌপরিবহন বা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নয়, বরং প্রতিটি মানুষের। এছাড়া নদীতে সেতু তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কম পিলার থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, নদীর কথা চিন্তা করে জাহাজগুলোর হাইট নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে সমন্বয় দরকার। দেশে প্রতিনিয়ত ডেভেলপমেন্টের কারণে নদীগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদেরকে বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন: সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে ৩ মাস আগে নোটিশ দিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘ডিটারমিনেশন অব স্ট্যান্ডার্ড হাই ওয়াটার লেভেল, স্ট্যান্ডার্ড লো ওয়াটার লেভেল এবং রি-ক্লাসিফিকেশন অব ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ফলাফল চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বপ্রথম ২০১০ সালে নদ-নদীর উপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশে একটি বিধিমালা জারি করা হয়।
তিনি বলেন, প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে ওই বিধিমালায় একটি সংযোজনীও যুক্ত করা হয়। এর আগে ৪০ বছরে এরকম বিধিমালা কেন হয়নি? নদীকে খাল, খালের উপর কালভার্ট দিয়ে নদীকে সংকুচিত করা হয়েছে। এখন কালভার্টের নিচে নালাও নাই। তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। আমরা পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। দুই-তিন বছর থেকে জলাবদ্ধতা হচ্ছে না, এটা ভালো দিক।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাল্টিমোডাল যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ঢাকার চারপাশে রেল, রোড ও নৌপথে যোগাযোগের কথা বলেছেন। যোগাযোগকে মাল্টিমোডাল করতে হবে। রেল, রোড ও নৌপথ যাতে থাকে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্রথমে রেল সংযোগের বিষয় ছিল না। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নির্দেশনার আলোকে রেললাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রেল, সড়ক ও নৌপথ গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- মানুষের শিরায় শিরায় রক্তপ্রবাহ না থাকলে মানুষ মারা যায়, তেমনি নদীর নাব্যতা না থাকলে নদী মরে যাবে।
তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযান মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে। মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে। মানুষ এখন নদীতে ময়লা ফেলার আগে ডান-বামে তাকায়। এটি সফলতা। আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর আগে ১৯৬৭ সালে এবং ১৯৮৯ সালে নদীর ‘হাই ও লো লেভেল’ নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছিল। ওই সমীক্ষা দুইটি করেছিল বিদেশি সংস্থা। এবার আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান আইডব্লিউএম এই সমীক্ষার কাজ করেছে। এর ফলে প্রমাণ হয়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও সক্ষমতায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ নদ-নদীর উপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশে বিধিমালা (সংশোধিত) তৈরি করবে। সে বিধিমালায় যাতে কোন স্ট্রাগল তৈরি না হয়, সেটি হবে সবার জন্য ফলপ্রসূ এবং সবার জন্য সুবিধাজনক।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক নিহত, আহত ২
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মাতাল অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক পিলারে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলের আরও দুই আরোহী।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার উথলী-বেগমপুর সড়কের ছোটপুল ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের বোতলে মদ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোটরসাইকেলচালকের নাম সেলিম উদ্দিন। তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
আহতরা হলেন- একই গ্রামের ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন এবং নজরুল ইসলামের ছেলে স্বপন হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তিন যুবক দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছোটপুল ব্রিজ এলাকায় সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক পিলারে ধাক্কা খায়। এ সময় মোটরসাইকেলের তিন যুবক সড়কে ছিটকে পড়েন এবং গুরুতর আঘাত পান। পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. জাবীদ হাসান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল ও দুই বোতল বাংলা মদ জব্দ করে।
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের স্থায়ী সমাধানে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব চায় ইউএনএইচসিআর-এনজিও
ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২১২৯
১ বছর আগে
পোস্টার লাগানো নিরুৎসাহিত করতে মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারে গ্রাফিতি শিল্প
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন শহরের অবকাঠামো এবং পাবলিক স্পেসে ব্যাপকভাবে পোস্টার লাগানোকে নিরুৎসাহিত করতে ঢাকার মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারগুলোতে আকর্ষণীয় গ্রাফিতি আর্ট করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার ফ্লাইওভারের পিলারে পোস্টার লাগানো বন্ধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে চায়। তাই ফ্লাইওভারের পিলারে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট যত্রতত্র পোস্টার বন্ধে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করবে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মগবাজার চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের পিলারে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসক কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মেয়র পদে লড়তে আতিকুলের মনোনয়নপত্র জমা
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘শহরের ফ্লাইওভারের পিলারের দিকে তাকালে আমরা সব জায়গায় পোস্টার দেখতে পাই। আমি সবাইকে এটা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করতে চাই। অন্যথায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। জেল ও জরিমানা হবে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র আতিকুল ইসলাম চিত্র শিল্পীদের অনুপ্রেরণা দিতে নিজেই রঙ তুলির আচরে গ্রাফিতি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
মেয়র বলেন, ‘দেশটা আমাদের, এই শহরটাও আমাদের। এই দেশ, এই শহর বাইরের কারো নয়। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি। অথচ যত্রতত্র পোস্টার লাগিয়ে আমরা নিজেরাই এই শহরে দৃশ্য দূষণ করছি।’
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
তিনি বলেন, ‘আমরাই শব্দ দূষণ করছি, বায়ু দূষণ করছি। শহরের দূষণ বন্ধে আমাদের নিজেদের ঠিক হতে হবে, সচেতন হতে হবে। শুধু সরকার, সিটি করপোরেশন দায়িত্ব নিলে হবে না। সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
মেয়র আতিক বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশন থেকে পোস্টার-ব্যানারে ভরা অসুন্দর পিলারগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চিত্রকর্মের মাধ্যমে পিলারগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিচ্ছি। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি শহর গড়ে তুলতে চাই। পিলারগুলোতে চিত্রকর্মের মাধ্যমে শিক্ষণীয় ম্যাসেজ দেওয়া হবে। যেমন-হর্ন বাজাবেন না, পোস্টার না লাগাই, গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই, তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন, আসুন দেশকে ভালোবাসি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন রিকশায় যারা পেইন্টিং কাজ করতেন, তাদের যেন সম্পৃক্ত করি। তাই রিকশা পেইন্টিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিখ্যাত চিত্র শিল্পীদের এই গ্রাফিতি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। মগবাজার ফ্লাইওভারে শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে বাকি ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেলের পিলারেও গ্রাফিতি করা হবে।’
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সুন্দর পিলারগুলোতে পোস্টার লাগাবেন না। শহরকে রক্ষায় আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের গ্রাফিতি কার্যক্রম রয়েছে। আমরাও কিন্তু চাইলেই পারি। সবাই সচেতন হলে আমরা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারব।’
এসময় ফ্লাইওভারের পিলারের সৌন্দর্য রক্ষায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর ঘোষণাও দেন তিনি।
১ বছর আগে
ইবিতে পিলারের আঘাতে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু!
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবনের সামনে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিং করার সময় পিলারের আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ওবায়দুর রহমানের (৪০) বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সালাম সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবনের সামনে নির্মাণাধীন ভবনে পাইলিংয়ের কাজ করছিলেন তিনি। এসময় যন্ত্রাংশ দিয়ে পিলারের অবশিষ্টাংশ কাটার সময় পিলারের বড় একটা অংশ তার শরীরের উপর পড়ে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় বালুবোঝাই বাল্কহেডডুবি
সিরাজগঞ্জে দুদিনের ব্যবধানে আরও একটি বালু বোঝাই বাল্কহেড যমুনা নদীতে ডুবে যায় বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বালু বোঝাই বাল্কহেডটি সেতুর ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত ও নিখোঁজ হয়নি বলেও জানা যায়।
জানা গেছে, বাল্কহেডে থাকা শ্রমিকদের সকলেই সাঁতরে নিকটবর্তী রান্ধুনীবাড়ী চরে উঠে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন:অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
উল্লেখ্য, এর আগে গত রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ থেকে বালু নিয়ে মানিকগঞ্জ যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর সেই একই অর্থাৎ ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা লেগে অপর একটি বাল্কহেড ডুবে যায়। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে তিন শ্রমিক সাঁতরিয়ে নদীর তীরে উঠলেও মানিকগঞ্জ জেলার গ্রাবনিয়া গ্রামের রহিম সিকদারের ছেলে আবুল শিকদার নামে এক শ্রমিক নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নৌ ফাঁড়িতে একটি জিডি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানান নৌ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য। তবে এখনও নিখোঁজ ওই শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আতাউর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা একটি বাল্কহেড যমুনার প্রবল স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা খেয়ে বেশ কিছুক্ষণ পিলারের সঙ্গে বাল্কহেডটি আটকে থাকার পর ধীরে ধীরে ডুবে যায়।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী ইউএনবিকে বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্বাভাবিক স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ স্রোতের কারণেই ওই বালুবোঝাই বাল্কহেডটি ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় সিসি ক্যামেরায় এমনটিই দেখা যায়। যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নৌযান চলাচলও বাড়ছে। তবে বঙ্গবন্ধু সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলে বিধিনিষেধের কোন নির্দেশনা নেই। যে কারণে এসব নৌযান অবাধে চলাচল করছে। ইতিমধ্যেই এ দুর্ঘটনার বিষয়টিও সেতু কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:কঁচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলমুখী নৌপথে যাত্রী কমায় ৩০টি লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ
২ বছর আগে
পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা: ফেরির মাস্টার ও সুকানি বরখাস্ত
পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়া 'ফেরি কাকলী'র ভারপ্রাপ্ত মাস্টার ও সুকানিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ফেরির ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. বাদল হোসেন এবং সুকানি আব্দুর রশিদ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে চলচলারত 'ফেরি কাকলী' সঠিকভাবে পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় উক্ত ফেরির ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. বাদল হোসেন এবং সুকানি আব্দুর রশিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় কে-টাইপ ফেরি ‘কাকলী’ পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কাকলীর ধাক্কায় পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপের সামান্য কিছু অংশের কংক্রিট উঠে গেছে। এতে সেতুর তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। তারপরও এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। ফেরিতে থাকা যাত্রী ও যানবাহনের বড় ক্ষতি হতে পারতো। এটা অত্যন্ত দু:খজনক।
ফেরি কাকলীর চালক মো. বাদল হোসেন জানিয়েছিলেন, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মাঝখান দিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু নদীর প্রচন্ড স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরির একপাশে ফাটল ধরে। তবে ফাটল পানির স্তরের উপরে থাকায় ফেরিতে পানি ওঠেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রচন্ড ধাক্কায় সেতুর ১০ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপের কংক্রিট উঠে যায়। ফেরিতে থাকা এক যান আরেক যানকে ধাক্কা দেয়। অনেকেই পড়ে যান। এই সময় ফেরিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা ষড়যন্ত্র কি না তদন্ত করতে হবে: সেতুমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ফেরির ধাক্কা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। সেতুর খুঁটি উঠে যাওয়ার পর কয়েক বছর ধরেই পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েই ফেরিসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল করছে। তবে এ বছর কেন বারবার পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটছে।
এর আগে গত ৯ আগস্ট রাতে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে। এতে ফেরিতে থাকা দু’টি প্রাইভেটকার ও একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফেরির ৫ যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ লৌহজং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার ও হুইল সুকানীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া মঙ্গলবার যুগ্ম সচিব ও বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (কারিগরি) রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। কমিটি রিপোর্ট দেয়ার আগেই ফেরি আবার পদ্মা সেতুর খুঁটিতে আঘাত করল।
এছাড়া গত ২৩ জুলাই নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ‘শাহজালাল’ নামে রো রো ফেরির সংঘর্ষ হয়। এতে ফেরিটির কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী আহত হন।
ওই ঘটনার পরও ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমান ও সুকানী সাইফুল ইসলামকে বরখাস্ত করে বিআইডব্লিউটিসি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে আঘাত লাগলে দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত লাগে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
৩ বছর আগে
পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা: ফেরির মাস্টার সাময়িক বরখাস্ত
পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কার ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে চলচলারত ফেরি শাহজালালের মাস্টার আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শুক্রবার বিকেলে জানিয়েছে, সঠিকভাবে পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় ওই ফেরির মাস্টার আব্দুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া আসার পথে পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর খুঁটির সঙ্গে রো রো ফেরি শাহজালালের প্রচন্ড ধাক্কা লাগে। এতে ফেরির সমানের অংশে বড় ধরনের ছিদ্র হয়েছে। ফেরিতে থাকা ৩৩ যান একটি আরেকটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ফেরির প্রায় দুই হাজার যাত্রীর অনেকেই ফেরির ওপর পড়ে যায়। এদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। তছনছ হয়ে গেছে ফেরির ভেতরের কেন্টিন।
আরও পড়ুনঃ ২০ বছর পর আরিচা কাজীরহাটে ফেরি সার্ভিস চালু
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার কাছে পদ্মা সেতুর খুঁটির সঙ্গে শাহজালালের এই ধাক্কার ঘটনা ঘটে।এতে খুঁটির বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে সেতু কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে। এই ঘটনায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা
বরখাস্ত হওয়া শাহজালালের মাস্টার আব্দুর রহমান দুর্ঘটনার পর জানিয়েছিলেন, ফেরির ইলেকট্রনিক সার্কিট ব্রেকার পড়ে যাওয়ায় স্টেয়ারিং বিকল হয়ে যায়। তবে দ্রুত ঠিক হলেও এর আগেই প্রবল স্রোতে ফেরিটির সমানের অংশ পদ্মা সেতুর খুঁটির সাথে ধাক্কা লাগে। ভাগ্য ক্রমে বেঁচে যায় যাত্রীরা। আঘাতটি পানির লেভেলের নিচে হলে ফেরিটি ডুবে যেতে পারতো।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি মাসেই এই নিয়ে তিনটি ফেরি সেতুর ঘুঁটিতে আঘাত করেছে। পদ্মা সেতুর মত জাতীয় সম্পদটির রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
৩ বছর আগে