আবুল মাল আবদুল মুহিত
শেখ হাসিনার কারণেই সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সফলতা দেখাতে পেরেছিলেন: স্মরণসভায় ড. মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের উন্নয়নে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে সব সময় ভাবতেন। আর শেখ হাসিনা তাকে সুযোগ দিয়েছিলেন বলেই আবুল মাল আবদুল মুহিত সফলতা দেখাতে পেরেছিলেন।’
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’- স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত, কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত; এগুলো নিয়ে আবুল মাল আব্দুল মুহিত অনেক চিন্তা করেছেন ও কাজ করেছেন। তিনি আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বইয়ের দশকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত সময়ে এসব বিষয়ে একাধিক বই লিখেছিলেন। এসব বইতে মুহিত সাহেব দেশের উন্নয়নের জন্য কী কী করণীয় তা লিখেছেন এবং সেগুলোর বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ সম্পর্কে তার বিভিন্ন বইতে তিনি তুলে ধরেছিলেন।’
আবুল মাল আবদুল মুহিতের মেধা দেশের জন্য কাজে লাগানো সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে আওয়ামী লীগে গ্রহণ করেন এবং মনোনয়ন দেন। আবুল মাল আব্দুল মুহিত সেই নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। তবে ২০০১ হতে ২০০৮ এই সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যার স কাজ করার সুযোগ পান। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশের উন্নয়ন করবেন সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করেন। তাদের সেই পরিকল্পনার সফল প্রতিফলন তিনি অর্থমন্ত্রী হওয়ার পরে আমরা দেখেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর দেশের উন্নয়নে তার পূর্বের পরিকল্পনার সফল প্রতিফলন তিনি দেখিয়ে যেতে পেরেছেন এবং সেটা সম্ভব হয়েছিল শেখ হাসিনা তাকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন বলে।’
১ বছর আগে
সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের জানাজা সম্পন্ন, মা-বাবার কবরের পাশে দাফন
সাবেক অর্থমন্ত্রী, সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, ভাষাসৈনিক, বরেণ্য লেখক আবুল মাল আবদুল মুহিতের শেষ জানাযার নামাজ সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ঢল নামে সিলেট নগরের আলিয়া মাদরাসা মাঠে।রবিবার (১ মে) বেলা ২টা ১৮ মিনিটে অনুষ্ঠিত জানাযার নামাজে ইমামতি করেন আল্লামা মুহিবুল হক গাছবাড়ি। জানাযার পরে আলিয়া মাঠে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।জানাযার আগে মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। এসময় বক্তারা মুহিতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যু দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা প্রাজ্ঞপ্রাণের প্রস্থান: তথ্যমন্ত্রীএর আগে দুপুর ১২টার দিকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর মরদেহ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়ার পর সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সেখানে কালো কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় শ্রদ্ধা নিবেদন মঞ্চ। সেখানে ফুল আর চোখের জলে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে শেষ বিদায় জানান সর্বস্তরের সিলেটবাসী।শহীদ মিনারে আবুল মাল আবদুল মুহিতকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এর আগে সেখানে সিলেটের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত হন।আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিতকে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকে শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর আগে সেখানে কালো কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় শ্রদ্ধা নিবেদন মঞ্চ।প্রথমে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) একটি চৌকস দল ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে। পরে প্রয়াতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ এএমএ মুহিত একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেনএরপর সাবেক অর্থমন্ত্রীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদসহ আরও অনেকে।শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জানাজার জন্য মরদেহ আনা হয় নগরের আলিয়া মাদরাসা ময়দানে।মরদেহ আসার আগেই মানুষে সয়লাব হয়ে যায় বিশালাকারের মাঠ। সিলেটের সূর্য সন্তানের জন্য মানুষের ভালোবাসা আরেকবার প্রমাণিত হলো জানাজায় উপস্থিতির মধ্য দিয়ে। এ সময় জানাজার আগে মরহুমের স্মৃতি চারণমূলক বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের নেতারা।সেখানে দুপুর সোয়া ২টার দিকে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আবুল মাল আবদুল মুহিতের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নগরের রায়নগরে পারিবারিক কবরস্থানে নেয়া হয়। সেখানে তার বাবা প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ এবং মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। বেলা পৌনে ৩টায় দাফন সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোকএর আগে, শনিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে মুহিতের লাশ বহনকারী ফ্রিজার ভ্যান সিলেটের পথে রওয়ানা হয়ে রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে নগরের হাফিজ কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছায়। সেখানে মরদেহ গ্রহণ করেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। রাতে হাফিজ কমপ্লেক্সেই রাখা হয় মরদেহ। সিলেটের মানুষ তাকে একনজর দেখে নেন শেষ দেখা। তবে মরদেহ আসার আগে থেকেই সেখানে দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হন। মরদেহ আসার পর সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের তৈরি হয়।এদিকে, সাবেক অর্থমন্ত্রীর মরদেহ সিলেটে পৌঁছার আগে থেকেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ও প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ধোপাদিঘীরপাড় হাফিজ কমপ্লেক্সে ভিড় করেন। এসময় নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে বাসার আঙ্গিনা।সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মরদেহ সিলেটে পৌঁছার আগে ২ দিনের কর্মসূচি হাতে নেয় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।গত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।প্রসঙ্গত, আবুল মাল আবদুল মুহিত বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যের নানা জটিলতা ও লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন। তাকে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। এরপর গত শুক্রবার রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।মুক্তিযুদ্ধে দেশের পক্ষে অনন্য অবদান রাখা দেশের এই কৃতি সন্তান ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী ও বাবা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ। মা-বাবা দুইজনই তৎকালীন সিলেট জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৪ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে। শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নানা শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শনিবার বেলা ২টায়। এর পরপরই সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে সিলেটের পথে রওয়ানা করা হয়।বর্ণাঢ্য জীবনসংক্ষেপ :আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ও সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরীর ১৪ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান তিনি। স্ত্রী সৈয়দা সাবিয়া মুহিত একজন ডিজাইনার। তিন সন্তানের মধ্যে কন্যা সামিনা মুহিত ব্যাংকার ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ। বড় ছেলে সাহেদ মুহিত বাস্তুকলাবিদ এবং ছোট ছেলে সামির মুহিত শিক্ষক।যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া আবদুল মুহিত বরাবরই একজন মেধাবী মানুষ ছিলেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। পরের বছর একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে অংশ নেন ভাষা আন্দোলনে। ছাত্রজীবনে সলিমুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।১৯৫৬ সালে আবদুল মুহিত যোগ দেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি)। সিএসপিতে যোগ দিয়ে তিনি ওয়াশিংটন দূতাবাসে পাকিস্তানের কূটনীতিকের দায়িত্ব নেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের জুনে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করেন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।সিএসপি হওয়ার পর মুহিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, কেন্দ্রীয় পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে তিনি পরিকল্পনাসচিব হন। এর আগে পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনের উপসচিব থাকাকালে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্যের ওপর ১৯৬৬ সালে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন তিনি। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে এটিই ছিল এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন।বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য হলে সেপ্টেম্বরে তিনি হন বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের পক্ষে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা গ্রুপের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক।আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ছিলেন এবং ১৯৮১ সালে স্বেচ্ছায় সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা দখল করলে তাঁকে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী করার প্রস্তাব দিলে তিনি শর্ত সাপেক্ষে রাজি হন। শর্তটি ছিল, নির্দলীয় সরকার গঠন করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।এরশাদ কথা না রাখলে দুই বছরের মাথায় মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন মুহিত। এরপর তিনি বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সরকার তাঁকে ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে। স্বাধীনতাযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এ পদক দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ, জনপ্রশাসন, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক বিষয়ে মুহিত বই লিখেছেন ৪০টি।অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত মোট ১২টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন, যার ১০টি আওয়ামী লীগ সরকার আমলের।
২ বছর আগে
রবিবার সিলেটের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হবেন এএমএ মুহিত
সাবেক অর্থমন্ত্রী, খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিতকে আগামীকাল রবিবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
শফিকুর রহমান চৌধুরী আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সড়কপথে সিলেটের হাফিজ কমপ্লেক্সে তার মরদেহ আনা হবে। রবিবার দুপুর ১২টায় তার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন
পরে দুপুর ২টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তার রায়নগরের ডেপুটি বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দীর্ঘ অসুস্থতাজনিত কারণে মুহিত মারা যান বলে ইউএনবিকে জানান তার ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
২০২১ সালের ২৫ জুলাই এমএ মুহিত করোনা আক্রান্ত হন এবং দীর্ঘদিন রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। সবশেষ চলতি বছরের মার্চ মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ এএমএ মুহিত একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেন
২ বছর আগে
মুহিতের মৃত্যুতে এফবিসিসিআই প্রধানের শোক
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
শনিবার ভোররাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে বাংলাদেশের অর্থনীতির স্থপতি মুহিত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিত: আওয়ামী লীগের উন্নয়ন যুগের স্থপতি আর নেই
শোকবার্তায় এফবিসিসিআই প্রধান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অতুলনীয় অবদানের জন্য জাতি তাকে মনে রাখবে।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
২ বছর আগে
সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের শারীরিক অবস্থার উন্নতি
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিতের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন তার ছোট ভাই ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন।
হাসপাতালে ভাইকে দেখে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘মুহিত ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা আজকে কিছুটা ভালো। দেশে বিদেশে সকলের কাছে আমার ভাইয়ের সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বদান ও সাহসী ব্যক্তিত্ব ছোটবেলা থেকেই ফুটে উঠেছে: মুহিত
এর আগে রবিবার ড. মোমেন জানান, তার ভাইয়ের ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তার বড় কোনো রোগ নেই। কিন্তু তিনি খুবই দুর্বল। তার খাওয়ার রুচি নেই। তিনি অনেক দিন খান না। ফলস্বরূপ, তার ওজন মারাত্মকভাবে কমে গেছে এবং সম্প্রতি তাকে আবার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধির জন্য দেশে আরও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন: মুহিত
সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর বয়স ৮৮ বছর, তিনি মুখে খাবার খেতে না পারায় সম্প্রতি ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এর আগে, তিনি ২০২১ সালের জুলাই মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছিলেন।
২ বছর আগে
করোনা আক্রান্ত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সিএমএইচে ভর্তি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে তিনি বাসায় চিকিত্সাধীন ছিলেন এবং বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আবুল মাল আবদুল মুহিতের শারীরিক কোনো জটিলতা নেই। তিনি সুস্থ আছেন, তবে কিছুটা দুর্বল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে।
পড়ুন: করোনায় দেশে আরও ২৩৯ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫,২৭১
৮৭ বছর বয়সী সাবেক অর্থমন্ত্রী রবিবার কোভিড-১৯ শনাক্ত হন।
তার বড় ছেলে শাহেদ মুহিতও করোনা পজিটিভ হয়েছেন।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন তার ভাইয়ের দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
পড়ুন: ২৫ বছর হলেই করোনার টিকা
টিকার চেয়ে মাস্ক বেশি কার্যকর: কাদের
সিলেটসহ দেশ-বিদেশে মুহিতের সুস্থতার জন্য দোয়া মাহফিলের সময় সবাইকে ভিড় না করে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
৩ বছর আগে