গণটিকা
টিকা নিতে এসে ভবনের রেলিং ভেঙে আহত ৮
ভোলার লালমোহনে গণটিকা নিতে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে মানুষের চাপে রেলিং ভেঙে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করেছে। তবে এদের মধ্যে কয়েকজনকে ভোলা লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার লালমোহনের কালমা ইউনিয়ন পরিষদের জরাজীর্ণ ভবনের রেলিং ভেঙ্গে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে লালমোহনের কালমা ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের টিকাদান কেন্দ্রে সকাল থেকে বিভিন্ন বসয়ী নারী-পুরুষরা টিকা নিতে ছুটে যায়। এ সময় টিকা নিতে আসা মানুষের চাপে দোতালা ভবনের রেলিং ভেঙে নিচে পরে কমপক্ষে আটজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে পারুল বেগম, পারভিন বেগম, নিবিয়া বেগম, রোমানা বেগম, সীমা বেগম ও শিশু জুলেখা বেগমের নাম পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে গুরুতরদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। লালমোহন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণটিকাদানের মেয়াদ আরও দুইদিন বাড়লো
করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
গণটিকাদানের মেয়াদ আরও দুইদিন বাড়লো
প্রথম ডোজের গণটিকাদান কর্মসূচির মেয়াদ আরও দুইদিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনের আওতায় টিকা দেয়া হবে। রাজধানীসহ সারাদেশে টিকাদানে আগ্রহের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শনিবার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা
তিনি জানান, টিকা নিতে সাধারণ মানুষের আগ্রহ দেখে গণটিকার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে গণটিকা নিতে কেন্দ্রে ভিড়, ভোগান্তিতে মানুষ
এক কোটি টিকা দেয়ার লক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচি শুরু
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে গণটিকা নিতে কেন্দ্রে ভিড়, ভোগান্তিতে মানুষ
চট্টগ্রামে চরম ভোগন্তিতে চলছে গণটিকা কার্যক্রম। শনিবার সকাল থেকে চলছে নগরীর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৪১টি ওয়ার্ড ও নগরীর ১৫টি উপজেলায় একসঙ্গে এ টিকাদান কর্মসূচি চলছে।
ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন টিকা নিতে আসা লোকজন। কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। নগরী ও জেলায় একদিনে (শনিবার) সাড়ে চার লাখ লোককে গণটিকা কার্যক্রমে করোনার প্রথম ডোজ দেয়ার লক্ষ্য নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।তবে উপজেলাগুলোতে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম শুরু হলেও নগরীর কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে অব্যবস্থাপনা। সময়মতো স্বাস্থ্যকর্মীরা কেন্দ্রে না আসায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এছাড়া বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রের বাইরে সড়কে দেখা গেছে মানুষের লম্বা লাইন।সকালে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে স্থাপন করা অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করতে থাকে টিকা প্রত্যাশীরা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। সময়মতো স্বাস্থ্যকর্মীরা কেন্দ্রে না আসায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। মোস্তফা হাকিম কলেজ কেন্দ্রে টিকাগ্রহণে ইচ্ছুক হাজারও নারী-পুরুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের। এছাড়া বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রের বাইরে সড়কে দেখা গেছে মানুষের লম্বা লাইন।
আরও পড়ুন: এক কোটি টিকা দেয়ার লক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচি শুরু
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামে গণটিকা কার্যক্রম সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে চলছে। সকালে লালদিঘীর পাড় টিকাদান কেন্দ্রসহ নগরীর বেশকটি কেন্দ্র সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। টিকা নিতে আসা লোকজন সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা গ্রহণ করছেন।তিনি আরও বলেন, ‘আজ একদিনে নগরী ও জেলার ১৫টি উপজেলায় সাড়ে চার লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আশা করছি, আমরা সফল হবো।’
২ বছর আগে
পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারের সাহায্যে করোনার টিকা পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের ৫১৩ জন মানুষের মাঝে প্রথম করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুর্গম ইউনিয়নটিতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে এসব টিকা নিয়ে যাওয়া হয়।
টিকা কার্যক্রমে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মপ্লেক্স এর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর চৌকস মেডিকেল টিমের সদস্যরা অংশ নেন।
করোনার গণটিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডে বসবাসকারী সর্বমোট ৫১৩ জন পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠির মাঝে করোনার টিকা দেয়া হয়। দূর্গমতার কারণে অঞ্চলগুলোতে করোনার টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না বিধায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের সহযোগীতায় এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে স্কুল শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে করোনার টিকা
উক্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
দেশের যেকোনো প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর এরুপ সহযোগীতা ভবিষ্যতেও সর্বদা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ডোজের গণটিকা কার্যক্রম শুরু, একদিনে পাবে ৮০ লাখ লোক
৩ বছর আগে
দ্বিতীয় ডোজের গণটিকা কার্যক্রম শুরু, একদিনে পাবে ৮০ লাখ লোক
দ্বিতীয় দফায় টিকা ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজ আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই গণটিকা কার্যক্রম চলবে বিকাল তিনটা পর্যন্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে দুইদিনে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করলেও দ্বিতীয় ডোজে একই দিনে ৮০ লাখ লোককে টিকা দিতে চায় তারা।
সকালে অধিদপ্তরেরলাইন ডিরেক্টর ও টিকা ব্যবস্থা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, তারা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সব জেলায় টিকা পাঠানো হয়েছে। এক দিনে ৮০ লাখ লোক টিকা পাবে বলে আশা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
শামসুল হক বলেন, সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এই ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে প্রয়োজন হয় ৩ টার পরও এই ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি চলমান থাকবে। সারাদেশে সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলায় এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে এবং ক্যাম্পেইন চলাকালে শুধু দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ৮০ লাখ মানুষকে একসঙ্গে টিকা দেয়ার কথা ছিল। তবে এক দিনে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হয়নি। ২৯ সেপ্টেম্বরসহ ৮০ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৬ জনকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা উৎপাদনে এএফসি-ঢাবির চুক্তি
৩-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেবে চীন
৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গণটিকা কার্যক্রম শুরু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক দিনে ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার আরেকটি দেশব্যাপী গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, সকাল ৯টা থেকে সারা দেশে ছয় হাজার টিকা কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। ‘প্রথম দুই ঘণ্টার মধ্যে ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারী এবং প্রতিবন্ধীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন।’
মন্ত্রী বলেন, যারা আগে ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন কিন্তু সময়মত পাননি তাদের এই সময় অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে গণটিকা: পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বাস্থ্যের ডিজি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় (ডিএনসিসি) জোন -২ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজম বলেন, বিশেষ টিকা অভিযান দুপুর আড়াইটার দিকে শুরু হয়। কিন্তু টিকা পরিচালনার নিয়মিত প্রক্রিয়া সকাল থেকেই চলছে।
৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে গণটিকা: পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বাস্থ্যের ডিজি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে গণ পরিসরে টিকা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ লাখে পৌঁছানো পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সোমবার বিকাল ৪টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এই টিকা ক্যাম্পেইনের পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি জানান, কর্মসূচি সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ লাখে পৌঁছানো পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী যাদের ২৫ বছর বা তদূর্ধ্ব তাদেরকে রাতেই এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিব এবং টিকা নিতে আসার সময় তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিকা কার্ড সঙ্গে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডিজি বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সারা দেশব্যাপী টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ব্যাপক হারে টিকা দেয়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এই ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হবে এবং একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান শুরু হবে। টিকা দেয়ার পর আমাদের ভ্যাক্সিনেশন টিম কেন্দ্রে এক ঘণ্টা অবস্থান করবে।তিনি বলেন, জেলা-উপজেলায় টিকা ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বরতরা টিকা ক্যাম্পেইনের সময় পরিবর্তন করতে পারবেন। বৃষ্টি বা অন্যান্য যেকোন সুবিধা-অসুবিধায় তারা তাদের সুবিধামতো সময়ে এই কর্মসূচি পালন করতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই আমাদের নিয়মিত টিকা কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না।
ডিজি বলেন, আমরা চল্লিশোর্ধ জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেব। বয়স্ক, শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরকে আমরা বিশেষ বিবেচনায় আনবো। তবে এক্ষেত্রে স্তন্যদানকারী মা এবং গর্ভবতী মায়েদের টিকা ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হবে না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই ‘শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি ইউনিয়নের একটি করে ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে বুথ থাকবে। পৌরসভায় একটি ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে একটি বুথ এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বুথের মাধ্যমে টিকা দেয়া হবে।
এক্ষেত্রে সব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু
৩ বছর আগে
গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু
দেশব্যাপী গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে।
শহর এলাকায় গত ৭ ও ৮ আগস্টে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীরা আজ টিকা নিয়েন। ৯ ও ১০ আগস্টে টিকা গ্রহণকারীরা ৮ সেপ্টেম্বর এবং ১১ ও ১২ আগস্টে টিকা গ্রহণকারীরা ৯ সেপ্টেম্বর টিকা নেবেন।
শহরের বাইরে ৭ আগস্ট যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা ৭ সেপ্টেম্বর (আজ) দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। যে কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়েছিল, একই কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে। একদিনে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৩৯ জনের।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, নতুন মৃত্যুসহ দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৬ হাজার ৬৮৪ জনে। আর এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৮০৫ জনে।
এর আগে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জনের মৃত্যু ও ২ হাজার ৭১০ আক্রান্ত হয়েছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ২৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসময় শনাক্তের হার ৯.৬৯ শতাংশ। দেশে মৃত্যুর হার ১.৭৬ শতাংশ। এই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৫৪ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৬.১১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক কোটি ডোজ টিকা দেবে ইইউ
করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে
জবিতে ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
৩ বছর আগে
গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু আজ
আজ মঙ্গলবার দেশব্যাপী গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হচ্ছে। গ্রামের ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে শহরের সিটি কর্পোরেশন এলাকার সর্বত্র সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এই টিকাদান চলবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই দেশব্যাপী গণটিকা কার্যক্রমের প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়। এই কার্যক্রমের আওতায় দেশব্যাপী একযোগে ৫০ লাখ ৭১ হাজার মানুষ গণটিকায় অংশ নিয়ে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: টিকা পেতে ভোগান্তি, বিশৃঙ্খলা
টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও প্রায় ৮ লাখ ডোজ টিকা আসছে আজ
৩ বছর আগে
গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু ৭ সেপ্টেম্বর
করোনা প্রতিরোধে সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। বুধবার কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেয়া শুরু হবে। এই কয়দিনে আরও টিকা আসবে। দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে কোন সমস্যা হবে না।
খুরশীদ আলম বলেন, সারাদেশে গণটিকা চলাকালে যে যেই কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেখানেই দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যাবে। কিছু কিছু দেশ আমাদের কাছে মডার্না ও ফাইজারের টিকা চাচ্ছে, এটা এখন দেয়া সম্ভব নয়। শিগগিরই দেশে ৬০ লাখ ফাইজার আসবে।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, কিছু রেপিড আরটি পিসিআর মেশিন কেনার চেষ্টা চলছে। নতুন করে আরও ৩০টি আরটি পিসিআর মেশিন কেনা হচ্ছে। উপজেলায় জিন এক্সপার্ট মেশিন সেনসিটিভিটি ১০০ শতাংশ। এই মেশিনগুলোকে চালু করার জন্য একটা স্পেশাল ইকুইপমেন্টস লাগে, যেটা আমরা ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করছি। সেটা যদি হয় তাহলে পরে এক্টিভেশন কোন জায়গা দিয়েছে, সেগুলো কাজ করতে পারবে আশা করি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে প্রতিটি মেশিন নষ্ট হতে পারে। যেকোনো মেশিন, এয়ার কন্ডিশনও হতে পারে। এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা যথাযথ ব্যবহারের চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: গণটিকা কার্যক্রম আর নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলোতে ব্যবহৃত মেশিন যন্ত্রপাতিগুলো যত্ন করে ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, আমি আশা করব যেই জিনিসগুলো হাসপাতালে দেয়া হচ্ছে, সেগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করবেন। যত্ন করে ব্যবহার করবেন এবং এটা রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো করবেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা শুনেছেন যে ৫৬১টি ভ্যান্টিলেটর পেয়েছি। এগুলো আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে দেবো। এই যন্ত্রগুলো আমরা ৩০০টি হাসপাতালে দেয়ার কথা ভাবছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেনাকাটা প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, আপনারা জানেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় একটি প্রক্রিয়া হলো কেনাকাটা। সারাদেশের হাসপাতালগুলো যে চাহিদা দেয়, সে অনুযায়ী সেগুলো হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে সিএমএসডি। এই মহামারির সময় আমাদেরকে যারা সহায়তা করেছেন সেজন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
আরও পড়ুন: করোনায় আজও ১১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৯৬৬
সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু
৩ বছর আগে