করোনা প্রতিরোধে সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। বুধবার কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেয়া শুরু হবে। এই কয়দিনে আরও টিকা আসবে। দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে কোন সমস্যা হবে না।
খুরশীদ আলম বলেন, সারাদেশে গণটিকা চলাকালে যে যেই কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেখানেই দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যাবে। কিছু কিছু দেশ আমাদের কাছে মডার্না ও ফাইজারের টিকা চাচ্ছে, এটা এখন দেয়া সম্ভব নয়। শিগগিরই দেশে ৬০ লাখ ফাইজার আসবে।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, কিছু রেপিড আরটি পিসিআর মেশিন কেনার চেষ্টা চলছে। নতুন করে আরও ৩০টি আরটি পিসিআর মেশিন কেনা হচ্ছে। উপজেলায় জিন এক্সপার্ট মেশিন সেনসিটিভিটি ১০০ শতাংশ। এই মেশিনগুলোকে চালু করার জন্য একটা স্পেশাল ইকুইপমেন্টস লাগে, যেটা আমরা ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করছি। সেটা যদি হয় তাহলে পরে এক্টিভেশন কোন জায়গা দিয়েছে, সেগুলো কাজ করতে পারবে আশা করি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে প্রতিটি মেশিন নষ্ট হতে পারে। যেকোনো মেশিন, এয়ার কন্ডিশনও হতে পারে। এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা যথাযথ ব্যবহারের চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: গণটিকা কার্যক্রম আর নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলোতে ব্যবহৃত মেশিন যন্ত্রপাতিগুলো যত্ন করে ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, আমি আশা করব যেই জিনিসগুলো হাসপাতালে দেয়া হচ্ছে, সেগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করবেন। যত্ন করে ব্যবহার করবেন এবং এটা রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো করবেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা শুনেছেন যে ৫৬১টি ভ্যান্টিলেটর পেয়েছি। এগুলো আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে দেবো। এই যন্ত্রগুলো আমরা ৩০০টি হাসপাতালে দেয়ার কথা ভাবছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেনাকাটা প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, আপনারা জানেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় একটি প্রক্রিয়া হলো কেনাকাটা। সারাদেশের হাসপাতালগুলো যে চাহিদা দেয়, সে অনুযায়ী সেগুলো হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে সিএমএসডি। এই মহামারির সময় আমাদেরকে যারা সহায়তা করেছেন সেজন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
আরও পড়ুন: করোনায় আজও ১১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৯৬৬