প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে গণ পরিসরে টিকা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ লাখে পৌঁছানো পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সোমবার বিকাল ৪টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এই টিকা ক্যাম্পেইনের পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি জানান, কর্মসূচি সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ লাখে পৌঁছানো পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী যাদের ২৫ বছর বা তদূর্ধ্ব তাদেরকে রাতেই এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিব এবং টিকা নিতে আসার সময় তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিকা কার্ড সঙ্গে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডিজি বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সারা দেশব্যাপী টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ব্যাপক হারে টিকা দেয়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এই ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হবে এবং একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান শুরু হবে। টিকা দেয়ার পর আমাদের ভ্যাক্সিনেশন টিম কেন্দ্রে এক ঘণ্টা অবস্থান করবে।
তিনি বলেন, জেলা-উপজেলায় টিকা ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বরতরা টিকা ক্যাম্পেইনের সময় পরিবর্তন করতে পারবেন। বৃষ্টি বা অন্যান্য যেকোন সুবিধা-অসুবিধায় তারা তাদের সুবিধামতো সময়ে এই কর্মসূচি পালন করতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই আমাদের নিয়মিত টিকা কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না।
ডিজি বলেন, আমরা চল্লিশোর্ধ জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেব। বয়স্ক, শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরকে আমরা বিশেষ বিবেচনায় আনবো। তবে এক্ষেত্রে স্তন্যদানকারী মা এবং গর্ভবতী মায়েদের টিকা ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হবে না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই ‘শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি ইউনিয়নের একটি করে ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে বুথ থাকবে। পৌরসভায় একটি ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে একটি বুথ এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বুথের মাধ্যমে টিকা দেয়া হবে।
এক্ষেত্রে সব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু