প্রজনন
শুক্রবার থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে সরকার।
মাছের সর্বোচ্চ প্রজনন সময়কালে ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন ইউএনবিকে জানান, ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও খুলনায় ইলিশের দাম চড়া
ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে ফেরির লষ্কর নিখোঁজ
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
২ বছর আগে
সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে কুমিরের ৩৮টি ছানা ফুটেছে
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে পিলপিল নামের কুমিরের ডিম থেকে ৩৮টি ছানা ফুটেছে। সোমবার দুপুরে প্রজনন কেন্দ্রের ডিজিটাল ইনকিউবেটর থেকে একে একে কুমিরের ছানা ফুটে বের হয়।
জানা যায়, ছানা ফুটাতে কুমিরের ৩৮টি ডিম ৮২ দিন ইনকিউবেটরে রেখে নিবিড় পরিচর্যা করে বন বিভাগ। প্রজনন কেন্দ্রের প্যানে রেখে কুমিরের বাচ্চাগুলোকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে বন বিভাগ। এবার বন বিভাগ কুমিরের ডিম থেকে শতভাগ বাচ্চা ফুটাতে সফল হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিন বছরে জুলিয়েট এবং পিপল নামে এই দুটি কুমিরে প্রজনন কেন্দ্রে ১৬৪টি ডিম পাড়ে। কিন্তু বন বিভাগ ওই ১৬৪টি ডিম থেকে কুমিরের একটি ছানাও ফোটাতে পারেনি। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কুমিরের চারটি ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। ২০২১ সালে প্রজনন কেন্দ্রে একটি ডিমও পাড়েনি কুমিরে।
আরও পড়ুন:বাগেরহাটে জেলের বাড়ি থেকে কুমির উদ্ধার
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, প্রজনন কেন্দ্রের কুমির পিলপিল ২২ জুন ৩৮টি ডিম পাড়ে। ওই ডিমগুলো ডিজিটাল ইনকিউবেটরে রাখা হয়। ৮২ দিন পর ৩৮টি ডিমের সবগুলো থেকেই বাচ্চা ফুটেছে। প্রজনন কেন্দ্রের প্যানে কুমিরের ছানাগুলো লালন পালন করে বড় করে তোলা হবে।
তিনি আরও জানান, ৬ থেকে ৭ বছর প্যানে থাকবে কুমির। পরবর্তীতে সুন্দরবনের নদী-খালে এই কুমিরগুলো অবমুক্ত করা হবে।
এপর্যন্ত করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া ২০৬টি কুমির সুন্দরবনের নদী-খালে অবমুক্ত করা হয় বলে তিনি জানান। বন বিভাগের তথ্য মতে, বিলুপ্তপ্রায় লবণপানি প্রজাতির কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য সরকার ২০০০ সালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে ওই ‘কুমির প্রজনন’ কেন্দ্র গড়ে তোলে। সুন্দরবনের নদী-খালে পাওয়া লবণ পানির পাঁচটি কুমির নিয়ে কেন্দ্রের প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৫ সাল থেকে রোমিও-জুলিয়েট নামের ওই কুমির জুটি দিয়ে প্রজনন শুরু হয়। এর পর ওই প্রজনন কেন্দ্রে যুক্ত হয় পিলপিল এবং আলেকজেন্ডার। বর্তমানে রোমিও এবং জুলিয়েট প্রজনন ক্ষমতা হারিয়েছে বলে বন বিভাগ জানায়।
আরও পড়ুন:কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে গেলেন যুবক
বাগেরহাটে চিংড়িঘের থেকে কুমির উদ্ধার
২ বছর আগে
মধ্যরাত থেকে ধরা যাবে ইলিশ
মা ইলিশ রক্ষায় দেশ্যাপী সরকার কর্তৃক আরোপ করা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সোমবার মধ্যরাতে শেষ হবে। এদিকে দীর্ঘদিন পর জেলেরা মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে এ সময়ে ইলিশ ধরার পাশাপাশি এ মাছ বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ মা ইলিশ ও মাছ ধরার জাল, ট্রলার জব্দ করেছে।
কঠোরভাবে এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস অধিদপ্তর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এর আগে সেপ্টেম্বরে মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এসএম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে জাতীয় টাস্ক ফোর্সের এক সভায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভা চলাকালে দেশের জাতীয় স্বার্থের যারা ক্ষতি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছন মন্ত্রী।
মা ইলিশকে রক্ষা করাই এ নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্যে ছিল। সাধারণত বর্ষাকালের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরই ইলিশের প্রজননের প্রধান মৌসুম।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ সালে ইলিশ উৎপাদন ছিল তিন লাখ মেট্রিক টন যা বেড়ে ২০১৭-১৮ তে হয় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৯ সালে ইলিশ উৎপাদন হয় পাঁচ দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিক টন। চলতি অর্থ বছরে ইলিশ উৎপাদন ছয় লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করতে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১২ জেলের কারাদণ্ড
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকার: আটক ৩
মধ্যরাতে থেকে মেঘনায় ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ
৩ বছর আগে
এডিস নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির অভিযানে ৫ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৬ নির্মাণাধীন ভবন ও বাসা-বাড়িকে ৫ লাখ ৯০০ টাকা জরিমানা করেছে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলো পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু পরিস্থিতি: ২৪ ঘণ্টায় ২১৮ রোগী হাসপাতালে
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর ধানমন্ডি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাহফুজুল আলম মাসুম, অঞ্চল-২ এর কমলাপুর ও মতিঝিলে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, অঞ্চল-৩ এর রহমতবাগ ও চকবাজারে তৌহিদুজ্জামান পাভেল, অঞ্চল-৫ এর অভয়দাস লেনে শাহিন রেজা, অঞ্চল-৫ এর ওয়াসা রোড, নতুন রাস্তা ও পশ্চিম মীরহাজারিবাগে মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া, অঞ্চল-৮ এর ডেমরার কবরস্থানের ৪ নং গলি কাজী হাফিজুল আমিন এবং অঞ্চল-১০ এ বিকাশ বিশ্বাস এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু মশার লার্ভার তথ্য দেয়ার আহবান মেয়র তাপসের
এছাড়াও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের (আনিক) মধ্যে অঞ্চল-১ এর মেরীনা নাজনীন ধানমন্ডির ১৩,১৪,১৫ ও ২৭ নং রোডে, অঞ্চল-৩ আনিক বাবর আলী মীর ছোট দায়রা শরীফে, অঞ্চল-৪ এর আনিক মো. হায়দর আলী ওয়ারীর শাহজাহানপুর লেনে, অঞ্চল-৭ এর আনিক ড. মোহাম্মদ মাহে আলম দক্ষিণ মান্ডায় এবং অঞ্চল-৯ এর আনিক মো. খায়রুল হাসান যাত্রাবাড়ীর মোমেনবাগ এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করেন।
অঞ্চল-৩ এর আনিক বাবর আলী মীর অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, আজ রহমতবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানকালে ৩৭/১ ছোট দায়রা শরীফ হোল্ডিং সম্বলিত একটি বহুতল ভবনের ছাদে মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবনের সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে: মেয়র তাপস
ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো এ সময় ৮৮৫টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন এবং মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩৬টি নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িকে ৩৬ মামলায় সর্বমোট ৫ লাখ ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়াও এ সময় এডিস মশার লার্ভা প্রজনন উপযোগী পরিবেশ বিরাজ করায় মোট ২২টি বাসা ও নির্মাণাধীন ভবনকে সতর্ক করা হয়।
এডিসের লার্ভা বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
৩ বছর আগে