গণশিক্ষা
বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
গত বছর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার।
বাজেট উপস্থাপনের সময় মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে শিশুর জ্ঞানের ভিত্তি তৈরি হয়। তাই জাতীয় উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষার প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে চলমান কার্যক্রম গতিশীল করার পাশাপাশি এ খাতের উন্নয়নে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২৬ হাজার ৩৬৬টি নতুন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত যেখানে ২০০৬ সালে প্রতি ৫২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১ জন শিক্ষক ছিল, ২০২২ সালে এসে তা প্রতি ৩৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জনে উন্নীত হয়েছে।
এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৫টি কোর ও ৩টি নন-কোর বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ইংরেজি ও গণিত এবং অন্যান্য ২৭টি বিষয়ে ৫ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষককে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ৬৭টি পিটিআইতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, 'দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিড' শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার ৪৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য চলমান স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে।’
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ১৫০টি উপজেলা থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'স্কুল ফিডিং কর্মসূচি' চালুর লক্ষ্য নিয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সুচিন্তিত সরকারি নীতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নিট ভর্তির হার ২০০৯ সালের ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
একই সময়ে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ছিল ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
পাশাপাশি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা কাঠামো আধুনিকায়ন ও এর মূল্যায়ন ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লক্ষাধিক ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ইন্টারনেটসহ সাউন্ড সিস্টেম বিতরণ এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী
জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
৫ মাস আগে
শিগগিরই দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিন চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, খুব শিগগিরিই দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিনের ব্যবস্থা করা হবে। কারণ স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় ধরে ক্লাসে থাকতে হয়। ক্ষুধা লাগলে ছাত্ররা পড়ায় মন দিতে পারবে না, এ চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য টিফিনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন,করোনাকালীন সময়ে তারা যাতে পোশাক ও খাতা-কলম কিনতে পারে, তাই সরকার তাদেরকে অর্থ সহায়তা দিয়েছে। আরও কিছু বাকি আছে, তা খুব শিগগিরিই দেয়া হবে।
রবিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার গণকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও একই অনুষ্ঠানে তিনি আরও ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বসেরা তালিকায় শাবিপ্রবির ৮৫ গবেষক
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেকে গড়ার লক্ষ্যে শুরুতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এর মধ্য দিয়েই স্বাধীন দেশের শিক্ষার ভিত স্থাপন হয়। তার নেতৃত্বেই প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন শুরু হয়। এরপর অনেক সরকার আসলেও প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে আর কোন ভূমিকা নেয়নি কেউ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঘিরে সাজিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওদুদসহ শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী এবং আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব: প্রতিমন্ত্রী
এ বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ার ইঙ্গিত
২ বছর আগে
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিলে, নিয়োগ জুলাইতে
আগামী এপ্রিলের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং জুলাইয়ে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।বুধবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২,৫৭৭ (বত্রিশ হাজার পাঁচশ সাতাত্তর) টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির বাস্তবতায় নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও দশহাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে করে বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে; যা পাঠদান কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। এ সমস্যা নিরসনকল্পে মন্ত্রণালয় পূর্বের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিল চেয়ে রিট
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, রুহুল আমিন, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষার বিকল্প নেই, এবং প্রাথমিক শিক্ষা জাতির ভিত নির্মাণ করে, তাই সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষিত ফল কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ
২ বছর আগে
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেব। কাস্টমাইজ (সংক্ষিপ্ত) সিলেবাসে হবে পরীক্ষা। আমরা সিলেবাস দিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা পাবে ফাইজার মডার্নার টিকা
সোমবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে এক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে একদিন ক্লাস করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে যাবে, তাহলে কি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে যদি ছয়টি বিষয়ে নিতে পারি তাহলে নেব। আমাদের রিকভারি পরিকল্পনা করা আছে। আমরা আগে স্কুলগুলো খুলে দেই। দেখি কি হয় না হয়।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষাগুলোও হবে। সশরীরে ক্লাস হলেও ওয়ার্কশিট চলবে।
৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলেই স্কুল খুলতে প্রস্তুত আছি: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলেই স্কুল খুলতে প্রস্তুত আছি: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, স্কুল খোলার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা লাগবে। এখন যে পরিস্থিতি, হুট করে তো স্কুল খোলা যায় না। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন। স্কুল খোলার বিষয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। প্রধানমন্ত্রী যদি আজ নির্দেশনা দেন আমরা আগামীকাল থেকেই স্কুল খুলতে প্রস্তুত আছি।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো ৩১ জুলাই পর্যন্ত
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিজ্ঞজনরা স্কুল খোলার বিষয়ে মত দিচ্ছেন। দেড় বছর বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। তারা নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে। অনলাইনেও আমাদের কিছু সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বাজে গেমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।
জাকির হোসেন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। স্কুলগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকরা স্কুলে যাচ্ছেন। আমরা অনলাইন ও অফলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছি। সংসদ টিভিতে ক্লাস হচ্ছে। স্কুল বন্ধ থাকলেও আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। তাদের ওয়ার্কশিট দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে সিলেটে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্কুল খুললেও আপাতত দুই ভাগে হবে প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের ক্লাস। এর মধ্যে ক্লাস থ্রি, ফোর ও ফাইভে সপ্তাহে ২ দিন করে ক্লাস নেয়ার পরিকল্পনা আছে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে একদিন করে নেয়া হবে। এভাবে আমরা করতে চাচ্ছি। আমাদের কারিকুলাম অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত একটা সিলেবাসও চিন্তা ভাবনা করছি।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন
সমাপনী পরীক্ষার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাপনী পরীক্ষা সশরীরে হবে নাকি মূল্যায়নভিত্তিক হবে এ সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি অনুযায়ী নেয়া হবে। এ রকম যদি পরিবেশ থাকে তাহলে পরীক্ষা না নিয়ে আমরা গতবার যেভাবে মূল্যায়ন করেছি সেভাবে করব। আমরা তো ওয়ার্কশিট দিচ্ছি। এই ওয়ার্কশিটগুলোই আমরা মূল্যায়ন করব। এই শিট অনুযায়ী বাচ্চারা কে কী করল, সেভাবেই মূল্যায়ন করব।
৩ বছর আগে
১৫ আগস্টের মধ্যে আসছে আরও ৫৪ লাখ টিকা
আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে আরও ৫৪ লাখ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৯-১০ তারিখ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় আরও ৩৪ লাখ টিকা পৌঁছাবে এবং চিন থেকে ক্রয়কৃত ১০ লাখ টিকা পৌঁছাবে, তারা আরও ১০ লাখ টিকা আমাদের উপহার হিসেবে দেবে। সবমিলে ৫৪ লাখ আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে আমরা পেয়ে যাবো। এতে আমাদের টিকা কার্যক্রম যে গতিতে চলছিল সেটি অব্যাহত রাখতে পারব।
আরও পড়ুনঃ সিলেট নগরীতে গণটিকা নিলেন ২২ হাজার ৭৫৩ জন
জাহিদ মালেক বলেন, আজ কেবিনেট মিটিংয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষার বিষয়ে কিছু আলোচনা ছিল। আরও বেশ কিছু বিষয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। তবে টিকার বিষয়ে আজকের বৈঠকে কোন আলোচনা ছিল না। টিকার বিষয়ে আমরা একটা সফল কার্যক্রম শুরু করেছি। সেটা গত পরশুদিন থেকে শুরু হয়েছে। সেদিনই গ্রামে উৎসবমুখর ভাবে মানুষ টিকা নিয়েছে। যেভাবে নির্বাচনের সময় মানুষ আসে,সেভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে মানুষ টিকা নিয়েছে। আমাদের প্রতিটা ইউনিয়নে ৬০০ করে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু আমরা দেখলাম তার চেয়ে বেশি মানুষ এসে হাজির হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ টিকা পেতে ভোগান্তি, বিশৃঙ্খলা
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যেসব সেন্টারে টিকা বেশি ছিল তারা বেশি দিয়েও দিয়েছে। ঝড় বৃষ্টির কারণের অনেক জায়গায় টিকা দিতে পারেনি সেখানে পরেরদিন দেয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকাতেও দেয়া হয়েছে এবং সুন্দরভাবেই দেয়া হয়েছে। একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় গ্রামে যেখানে টিকা প্রাপ্তির সংখ্যা কম ছিল, বয়স্করা কম পেয়েছিল, অনেকের অনীহা ছিল সেই অনীহা কেটে গেছে। টিকার প্রতি তাদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, পৌরসভায় যেসব টিকা দেয়া হচ্ছে সেটি চলমান থাকবে। নরমাল টিকার কার্যক্রমও চালমান থাকবে। আমাদের রুটিন টিকাদান চালু থাকবে। গত দুই-তিনদিনে কোন ঘটনা সেভাবে সামনে আসেনি। সব জায়গাতেই ভালোভাবে হয়েছে। এ পর্যন্ত গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় ৩০ লাখের বেশি টিকা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দেশে টিকার কোন সংকট নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে আরও ছয় কোটি টিকা কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ক্রয় কমিটিতেও পাস হবে। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ৩৪, চীন থেকে কেনা ১০ লাখ ও উপহার ১০ লাখ টিকা। এছাড়াও ভারতের বাকি টিকাও পাবো বলে আশা করছি।
৩ বছর আগে