আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে আরও ৫৪ লাখ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৯-১০ তারিখ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় আরও ৩৪ লাখ টিকা পৌঁছাবে এবং চিন থেকে ক্রয়কৃত ১০ লাখ টিকা পৌঁছাবে, তারা আরও ১০ লাখ টিকা আমাদের উপহার হিসেবে দেবে। সবমিলে ৫৪ লাখ আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে আমরা পেয়ে যাবো। এতে আমাদের টিকা কার্যক্রম যে গতিতে চলছিল সেটি অব্যাহত রাখতে পারব।
আরও পড়ুনঃ সিলেট নগরীতে গণটিকা নিলেন ২২ হাজার ৭৫৩ জন
জাহিদ মালেক বলেন, আজ কেবিনেট মিটিংয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষার বিষয়ে কিছু আলোচনা ছিল। আরও বেশ কিছু বিষয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। তবে টিকার বিষয়ে আজকের বৈঠকে কোন আলোচনা ছিল না। টিকার বিষয়ে আমরা একটা সফল কার্যক্রম শুরু করেছি। সেটা গত পরশুদিন থেকে শুরু হয়েছে। সেদিনই গ্রামে উৎসবমুখর ভাবে মানুষ টিকা নিয়েছে। যেভাবে নির্বাচনের সময় মানুষ আসে,সেভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে মানুষ টিকা নিয়েছে। আমাদের প্রতিটা ইউনিয়নে ৬০০ করে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু আমরা দেখলাম তার চেয়ে বেশি মানুষ এসে হাজির হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ টিকা পেতে ভোগান্তি, বিশৃঙ্খলা
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যেসব সেন্টারে টিকা বেশি ছিল তারা বেশি দিয়েও দিয়েছে। ঝড় বৃষ্টির কারণের অনেক জায়গায় টিকা দিতে পারেনি সেখানে পরেরদিন দেয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকাতেও দেয়া হয়েছে এবং সুন্দরভাবেই দেয়া হয়েছে। একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় গ্রামে যেখানে টিকা প্রাপ্তির সংখ্যা কম ছিল, বয়স্করা কম পেয়েছিল, অনেকের অনীহা ছিল সেই অনীহা কেটে গেছে। টিকার প্রতি তাদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, পৌরসভায় যেসব টিকা দেয়া হচ্ছে সেটি চলমান থাকবে। নরমাল টিকার কার্যক্রমও চালমান থাকবে। আমাদের রুটিন টিকাদান চালু থাকবে। গত দুই-তিনদিনে কোন ঘটনা সেভাবে সামনে আসেনি। সব জায়গাতেই ভালোভাবে হয়েছে। এ পর্যন্ত গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় ৩০ লাখের বেশি টিকা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দেশে টিকার কোন সংকট নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে আরও ছয় কোটি টিকা কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ক্রয় কমিটিতেও পাস হবে। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ৩৪, চীন থেকে কেনা ১০ লাখ ও উপহার ১০ লাখ টিকা। এছাড়াও ভারতের বাকি টিকাও পাবো বলে আশা করছি।