মেগাপ্রকল্প
এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ বা জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসতে বলেছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেগাপ্রজেক্ট করা যাবে না, তবে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ প্রকল্প বা কল্যাণমুখী প্রকল্পে কোনও আপস করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: এখনও ৫ মাসের খাদ্য আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যথেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী
একনেক সভাপতি শেখ হাসিনা যে কোনও বড় প্রকল্প গ্রহনের ক্ষেত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি দেশের সর্বত্র অনাবাদি জমি চিহ্নিত করে চাষের জন্য প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন।
‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’ উদ্বৃতি দিয়ে মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় অনাবাদি জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী চলমান বিশ্ব মন্দার মধ্যে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে এবং অপচয় বন্ধ করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন:কৃষি উৎপাদন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য সমবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: যুবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
একনেক সভায় মোট তিন হাজার ৯৮১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ের সাতটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে (শুধুমাত্র তিনটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় এখানে গণনা করা হয়েছে)।
ব্যয়ের মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে তিন হাজার ৩৯২ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৬৭ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৩৩২ দশমিক ২১ কোটি টাকার যোগান আসবে।
আরও পড়ুন: ২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
মেগাপ্রকল্প বিএনপির ‘মেগা-যন্ত্রণার’ কারণ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অদক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কারণে বিএনপি তাদের মেয়াদে কোনো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি, তাই এখন আওয়ামী লীগের সাফল্যে তারা ব্যথিত।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে 'মেগাপ্রকল্প' বলতে বোঝায় বড় আকারের, উচ্চাভিলাষী, নজরকাড়া ও অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট যে প্রকল্পগুলো সাধারণত সরকার গ্রহণ করে। এই ধরনের প্রকল্পগুলো কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ, তবে এগুলোর সঙ্গে যুক্ত প্রশাসনের জন্য এর সম্ভাব্য রাজনৈতিক প্রতিদান বিশাল।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় ২০৫৭ সালের মধ্যে পরিশোধ করা হবে: ওবায়দুল কাদের
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মেগাপ্রকল্পগুলো দেখলে মেগা-যন্ত্রণায় ভোগে বিএনপি। কারণ তাদের শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি এতটাই নাজুক অবস্থায় ছিল যে, তারা দেশে কোনো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের মানসিকতা, সাহস, দক্ষতা ও আর্থিক সামর্থ্যের কথা চিন্তাও করতে পারেনি।’
কাদের বলেন, বিএনপি শুধু দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত ছিল।
তিনি বলেন, এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার যোগ্য নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও মেধা দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
এই আ. লীগ নেতা বলেন, তার নেতৃত্বে ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা-খরা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।
কাদের বলেন, পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ও ষড়যন্ত্রকারীরা যত অপচেষ্টাই চালাক না কেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলার জনগণ দেশবিরোধী সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে উন্নয়নের এই অভিযাত্রা অব্যাহত রাখবে। আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে সক্ষম হবো।
তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘পাকিস্তান আমলে তারা ভালো ছিল’ এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনাও করেন।
ফখরুলের এহেন মন্তব্যকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে এই বক্তব্য উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান কাদের।
এ মন্তব্যের মধ্য দিয়ে আবারও বিএনপির ঐতিহ্যগত বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান এবং স্বাধীনতাবিরোধীতার গোপন এজেন্ডা ও অপরাজনীতির প্রকাশ পেয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এই আ.লীগ নেতা বলেন, বিএনপি এখন দেশে সুশাসন, জননিরাপত্তা ও দারিদ্র্য নিয়ে আওয়াজ তুলছে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তারা কীভাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল তা দেশবাসী ভুলে যায়নি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে পার পাবেন না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া: ওবায়দুল কাদের
২ বছর আগে
অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে ব্যয়বহুল মেগাপ্রকল্প বাদ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান বিএনপির
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের মধ্যে বাংলাদেশ ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিরোধীদলীয় এই নেতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কার মতো একই পরিণতির মুখোমুখি হতে পারে। তাই তারা সরকারকে ব্যয়বহুল মেগা প্রকল্পগুলো বাদ দেয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বুলেট ট্রেন, দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, পূর্বাচলে ১১০ তলা বঙ্গবন্ধু বহুতল ভবন কমপ্লেক্স, শরীয়তপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, নোয়াখালী বিমানবন্দর, দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্প এবং রাজধানী ঢাকার বাইরে স্থানান্তরের মতো প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ এবং পদ্মা সেতু হয়ে পায়রা বন্দর এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এবং দোহাজারী হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা ইতোমধ্যে এই প্রকল্পগুলোকে ব্যয়বহুল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যা কেবলমাত্র সরকারি ঋণের বোঝা বাড়াবে।
আরও পড়ুন: নতুন ফসল উঠলেও ভুল নীতির কারণে চালের দাম বাড়ছে: বিএনপি
সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা আশঙ্কা করছি, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতো বিপদে পড়তে পারে। আমাদের আশঙ্কাকে বাস্তবসম্মত বলা যায়।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ব্যাপকভাবে লুণ্ঠন করে অর্থ উপার্জন করা। ‘অর্থনীতি তখনই চাঙ্গা হবে, যখন জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে তাদের দলের ঐক্য প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ‘আপনারা আমাদের আন্দোলন পরিকল্পনাসহ সবকিছু জানতে পারবেন, আমরা প্রকাশ্যে ঐক্য প্রক্রিয়ার ঘোষণা নিয়ে আসব।’
ফখরুল বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ‘দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি গত ১৩-১৪ বছরের তুলনায় এখন সবচেয়ে বেশি চাপের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, রপ্তানি হ্রাস এবং রেমিট্যান্স হ্রাসের কারণে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে দ্রব্যমূল্য অসহনীয় হয়ে উঠছে। মনে হচ্ছে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গত আট মাসে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নেমে এসেছে। আগামী দুই মাসে এটি আরও ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে যদি রপ্তানির তুলনায় আমদানি বাড়তে থাকে এবং রেমিট্যান্সের মাধ্যমে সেই শূন্যতা পূরণ না হয়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ খুব শিগগিরিই শেষ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: তীব্র সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশ: বিএনপি
এরকম কতজন পি কে হালদার আছে, জানতে চাই: ফখরুল
২ বছর আগে
সেপ্টেম্বরে শুরু হবে ধানমন্ডির বিদ্যুতের তার ভূগর্ভে নেওয়ার কাজ
বিদ্যুতের নিরাপদ সঞ্চালন নিশ্চিত করতে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে থেকে ধানমন্ডি এলাকার সকল বিদ্যুৎ সংযোগের তার মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কাজ শুরু করবে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। ডিপিডিসির মেগাপ্রকল্প হিসেবে প্রাথমিকভাবে ধাণমন্ডি এলাকায় এই কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘মঙ্গলবার একটি সভায় আমরা সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’
আরও পড়ুনঃ বিটিসিএলকে টেলিযোগাযোগ সেবা সম্প্রসারণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ধানমন্ডি এলাকায় রাস্তা খননের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে সংস্থাটি। ধানমন্ডিতে পাইলট প্রকল্পের ভিত্তিতে এই কাজ শুরু হবে।
ইউএনবিকে বিকাশ দেওয়ান জানান, ডিএসসিসি মেয়র এই প্রকল্পের ব্যাপারে খুব ইতিবাচক হওয়ায় আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে অনুমতি পাওয়া যাবে।
ডিপিডিসিএর এই কর্মকর্তা আরও জানান ধানমন্ডি প্রকল্পের অধীনে ১৯০ কিলোমিটার এলাকার মাথাও ওপরের বিদ্যুতের তারগুলি ভূগর্ভে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ইন্টারনেট, ক্যাবল টিভি সেবা বন্ধের কর্মসূচি স্থগিত
৩ বছর আগে