ক্যানবেরায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
রবিবার করোনা মোকাবিলায় ক্যানবেরায় ঘোষিত লকডাউনের প্রেক্ষিতে স্মরণসভাটি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
দূতাবাসের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনারসহ সেদেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচকরা জাতির পিতার নেতৃত্ব ও অবদানের ওপর আলোচনা করেন। তারা তার প্রজ্ঞা এবং আপোষহীন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
জাতির পিতার দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি আজ স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বক্তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুনঃ শ্রদ্ধাভরে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস
আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের প্রতি শোকাহতচিত্তে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে কিছু আর্দশগত দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যার ভিত্তিতে একটি প্রগতিশীল সমাজ গঠন ও সক্ষম রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সমাজ এবং জাতীয় পর্যায়ে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব বিধায়, এ লক্ষ্যে হাইকমিশনার সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অঙ্গিকারাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট: শোক দিবসে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে