সক্ষমতা
পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে মার্কিন বিশ্লেষক যা বললেন
ওয়াশিংটন ডিসির উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, ভারত ও চীন, পশ্চিমা ও পশ্চিমের বাইরের বিশ্বসহ উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষভাবে পারদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ডয়চে ভেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি বলেন, 'এটি এমন একটি দেশ যারা ভারতের মতোই প্রতিদ্বন্দ্বিতার কাছে নতি স্বীকার করার পরিবর্তে ভারসাম্য বজায় রাখার শক্তিশালী ক্ষমতা দেখিয়েছে৷'
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে নেই আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
কুগেলম্যান বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ কোনো পক্ষ বেছে নিতে বাধ্য হবে না এবং পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতার সুবিধা ভোগ করছে।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
ডয়চে ভেলেকে এই বিশ্লেষক বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিংয়ের সঙ্গে দেশটির অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আমরা এমন একটা তথ্য পেয়েছি, যে চীন বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটিতে অর্থায়ন করছে।ভারসাম্য বজায় রাখার সক্ষমতা হিসেবে ঢাকার সাফল্যের এটি আরেকটি প্রতিফলন।’
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে সরকার জানায়, অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের বিপুল অংশগ্রহণে গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীন-আইএফসিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের
সৌদি বিনিয়োগ দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আঞ্চলিক ব্যবসায়িক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সৌদি আরব।
তিনি জানান, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগেও উৎসাহী দেশটির ব্যবসায়ীরা। সৌদি আরবের এই বিনিয়োগকে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ হিসেবে দেখছে সরকার। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব উদ্যোগের ফলেই এ ধরনের বিনিয়োগ বাড়ছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান সালমান এফ রহমান।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে নির্বাচন থামানো যাবে না: সালমান এফ রহমান
সকালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের পর দুপুরে অনির্ধারিত সফরে বিশেষ বিমানে সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী এবং রেড সি গেটওয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে যান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বন্দর নগরীতে এসে সরাসরি পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে যায় এই প্রতিনিধিদল। ঘুরে দেখেন পুরো টার্মিনাল এলাকা।
পরে সাংবাদিকদের সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। প্রধানমন্ত্রী এই খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন সবসময়। সরকার ব্যবসা করে না, বরং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে– এটাই প্রমাণ করেছেন তিনি।
এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা মনে করেন, বিশ্ব বাণিজ্যে শক্ত অবস্থান নেওয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ সেই সুযোগকে আরও প্রসারিত করবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভৌগোলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
এসময় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের প্রশংসা করেন সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী।
এই অঞ্চলকে ঘিরে ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ের সঙ্গে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার বিষয়ে ২২ বছরের চুক্তি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ল্যান্ডলর্ড বন্দর ধারণার যুগে প্রবেশ করল চট্টগ্রাম।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
সরকার পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে: সালমান এফ রহমান
ইসির সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সুষ্ঠু নির্বাচন করার সক্ষমতা নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক টেরি এল. ইজলে ও আয়ারল্যান্ডের ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ক রিপোর্টার নিক পাওয়েল ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী, পরিচালকদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, ড. আজাদুল হক, মোহাম্মদ ইকবাল বাহার এবং আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বৈঠকে যোগ দেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা নানা প্রশ্ন করেছে বিশেষ করে আগামী নির্বাচন করার লক্ষ্যে সরকার কী প্রস্তুতি নিচ্ছে বা নির্বাচন কমিশনের কী পরিস্থিতি, সেগুলো তারা আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি তাদের জানিয়েছি নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং নির্বাচনকালে বর্তমান সরকার শুধু ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করবে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মাঠ প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রশাসন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেগুলো নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত হয় তাদের উপর সরকারের কর্তৃত্ব থাকে না। সরকার নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো কর্মকর্তাকে বদলি বা কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার ধারণা, তারা বুঝতে পেরেছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের অধীনে বর্তমান সংবিধানের আলোকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব এবং নির্বাচনকালে সরকারের ভূমিকা গৌণ এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই বেশি।
তিনি বলেন, তারা জেনেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন কমিশন যে কতো শক্তিশালী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে, যেমন সরকারি দলের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন তারা বাতিল করেছিল। সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ হয়েছে এবং ভোটারদের অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশের বেশি ছিল।
সেখানে একজন প্রার্থীর গায়ে একটি ঘুষি লেগেছে যা সমীচীন হয়নি। কিন্তু যে ঘুষি দিয়েছে তাকেসহ আশেপাশের অনেককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা-১৭ আসনে একজন প্রার্থীকে যারা হেনস্তা করেছিল সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৫০ জনের বেশি মৃত্যুবরণ করেছে।
বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির বেশির ভাগ নেতারাই নির্বাচন করতে চায়। বিএনপি এমন একটি দল যে দলের কাউকে ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন কোনো নির্বাচনই করতে দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, অথচ তাদের দলের প্রায় সবাই নির্বাচন করতে চায়। সেটির বহিঃপ্রকাশ আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে দেখেছি, উকিল আব্দুস সাত্তারকে দেখেছি। এ রকম বহু আব্দুস সাত্তার আগামী নির্বাচনে বেরিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘ আগুনসন্ত্রাস’ বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
কাঁটাতার ছিঁড়তে পারেনি নাড়ির বন্ধন: কলকাতায় তথ্যমন্ত্রী
কক্সবাজারের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা নেই: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা সরকারের নেই।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ের নেতৃত্বে সাড়ে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে জলোচ্ছ্বাসের কোনো ভয় নেই। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হতে পারে। এটি মাথায় রেখে, আমি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।’
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা একই এলাকার উপর দিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘনিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান ইউএনবিকে বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এবং তাদের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলো ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
খুলনা সিটি করপোরেশনে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা নেই, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
প্রতিদিনই খুলনা নগরীতে জমা হচ্ছে কয়েক শত কেজি ইলেট্রনিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য। কিন্তু এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা নেই খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি)। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিত্যক্ত টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, এয়ারকন্ডিশনার, মাইক্রোওভেন, সিএফএল বাতি, ওয়াশিং মেশিন, মুঠোফোন, ডিভিডি প্লেয়ার, ইলেকট্রনিক খেলনাসামগ্রী ইত্যাদি ই-বর্জ্যের প্রধান উৎস।
আরও পড়ুন: কেসিসি’র ৬০৮ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
ইলেকট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেলেও উপাদানগুলো নিঃশেষ হয় না, বর্জ্যের মধ্যেই থেকে যায়। এগুলো পচনশীল নয়, বিধায় পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে।
কেসিসি থেকে জানা গেছে, নগরীতে দৈনিক উৎপাদিত হয় প্রায় এক হাজার টন বর্জ্য। এর মধ্যে কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা ৮০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে রাজবাঁধ ও শলুয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলে। বাকি ২০০ টন বর্জ্য ড্রেনে বা খালে পড়ে।
কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. আবদুল আজিজ বলেন, নগরীতে প্রতিদিন এক টনের কাছাকাছি ই-বর্জ্য উৎপাদন হয়। কিন্তু পৃথকভাবে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দক্ষতা তৈরি হয়। গৃহস্থালী বর্জ্যের মতো এগুলো রাজবাঁধে ফেলা হয়। ড্রেন থেকে আসা বিপুল পরিমাণ টিভি-কম্পিউটারসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের খোলস রূপসা স্লুইচগেট এলাকায় জমা হয়। সেগুলোও সংগ্রহ করে রাজবাঁধে ফেলা হয়।
প্রায় ১৫ বছর ধরে ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মো. কবির বলেন, এখানে আগে টিভি, বিদ্যুতের মিটার, ব্যাটারি, পানির মোটর বেশি আসতো। গত সাত থেকে আট বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল, ছোট মটর বিক্রি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, পণ্য খুলে পরিষ্কার করে বিক্রির জন্য রাখা হয়। কখনও কেউ সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের কথা বলেনি।
নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়ি থেকে পণ্য কিনে নিয়ে শেখপাড়ায় বিক্রি করেন দুলাল।
তিনি জানান, অনেকে নষ্ট জিনিস কিনে নিয়ে মেরামত করেন। বাকিটা ভাঙারি হিসেবে বিক্রি হয়। তার পুড়িয়ে তামা বের করি। বাকিটা ফেলে দেই। এসব কাজ করতে গিয়ে হাতে ফুসকুড়ির মতো উঠেছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, ই-বর্জ্যের মধ্যে সিসা, ক্যাডমিয়াম, পারদসহ নানা ধরনের রাসায়নিক থাকে। যার ক্ষতিকর রশ্মি পরিবেশ ও প্রাণিকূলের জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় এগুলো প্রাণির রূপান্তরকেও ব্যাহত করে।
এছাড়া পারদ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিবেশ ও মানবদেহে প্রবেশ করে। পারদ মস্তিষ্কের ক্ষতি করে, শ্রবণশক্তি হ্রাস ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ই-বর্জ্যের সিসা নবজাতকের স্নায়ুতন্ত্রে মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে।
মো. আবদুল আজিজ জানান, কেসিসিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপার ওপর মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ চলছে। এছাড়া শলুয়ায় আধুনিক বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ হচ্ছে। সেখানে সব ধরনের বর্জ্য পৃথক করে ব্যবস্থাপনা করা হবে।
প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় চলে আসবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ট্রাকের ধাক্কায় কেসিসির টোল আদায়কারী নিহত
কেসিসির ৮৬১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিলো আইএমএফ
বাংলাদেশে সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন। তারা এমনভাবে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন যাতে বাজারে বিভিন্ন স্তরের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
সোমবার (০৭ নভেম্বর) একটি বৈঠকে এই পরার্মশ দেন আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম ইউএনবিকে বলেন, নির্ধারিত বৈঠকে আইএমএফ দলটি সমাজের সব অংশের মানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে শেয়ারবাজারে পণ্য বৈচিত্র্যের পরামর্শ দিয়েছে।
তারা (আইএমএফ) কমোডিটি এক্সচেঞ্জ মার্কেট, রিয়েল এস্টেট এবং শেয়ার মার্কেটে অন্যান্য সেক্টরের তালিকাভুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তুলতে আইএমএফ এর ঋণ দরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আইএমএফ পুঁজিবাজারের প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করবে। যাতে বিশ্ব মান বজায় রেখে বাজার কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশে আইএমএফ মিশন চিফ রাহুল আনন্দ আইএমএফের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং বিএসইসির সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন।
এর আগে, আইএমএফ দল অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিদ্যুৎ বিভাগ, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠক করেন।
সোমবার চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে আইএমএফ দল বিএসইসির শীর্ষ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে দেখা করে এবং নিয়ন্ত্রকের সক্ষমতা বাড়াতে কিছু পরামর্শ দেয়।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক বৈশ্বিক ঋণদাতার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে এবং উপলব্ধি করতে ২৬ অক্টোবর সফর শুরু করে। কারণ দেশটি বাজেট সহায়তা হিসাবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছিল।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোন বৈশ্বিক ঋণদাতার কাছে এত বড় ঋণ চায়নি। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে প্রভাবিত করেছে।
ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে আইএমএফ-এর কাছে সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য আবেদন করে।
আরও পড়ুন: মর্যাদা ক্ষুন্ন হলে বাংলাদেশকে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার দরকার নেই: এফবিসিসিআই
জিডিপি প্রতিবেদন প্রতি ৩ মাসে হালনাগাদ করার পরামর্শ আইএমএফের
খাদ্য অনিরাপত্তা মোকাবিলায় আইএফসি’র ৬০০ কোটি ডলারের অঙ্গীকার
বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতের শাখা ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) খাদ্য অনিরাপত্তা সংকট মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের সক্ষমতা জোরদার এবং খাদ্য অস্থিতিশীলতায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে উৎপাদন সহায়তার জন্য নতুন এক ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থায়ন সুবিধা চালু করেছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থায়নের একটি মূল অংশ টেকসই উৎপাদন ও খাদ্য মজুদ সরবরাহে সহায়তা করা হবে। আর এই অর্থায়ন নতুন গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
এই অর্থ আইএফসি’র খাতগুলোকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য মূল্য শৃঙ্খলে বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হবে। আর আইএফসি’র দক্ষতা রয়েছে এরকম খাতগুলো হচ্ছে-কৃষি ব্যবসা, উৎপাদন, অবকাঠামো, প্রযুক্তি, সেইসাথে আর্থিক খাত ও বাণিজ্য অর্থায়ন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ করতে হবে: ইফাদ প্রধান
আইএফসি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাখতার দিওপ বলেন, ‘সাপ্লাই চেনকে শক্তিশালী করে এবং জনগণের সাশ্রয়ী মূল্যের খাদ্যের প্রবেশাধিকার রয়েছে ও তা বৃদ্ধি করতে পারার বিষয়টি নিশ্চিত করে এই উদ্যোগটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে স্থিতিস্থাপক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অবদান রাখবে।’
ইউক্রেনের যুদ্ধ ও কোভিড মহামারি থেকে একটি অসম বৈশ্বিক পুনরুদ্ধার ক্ষুধা ও অপুষ্টির ক্রমবর্ধমান মাত্রা যোগ করেছে, যা ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান তীব্র আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর দ্বারা আরও খারাপ হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে এবং ফলন হ্রাস পাচ্ছে।
প্ল্যাটফর্মটি খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের তিন হাজার কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতিকে পরিপূরণে সহায়তা করবে। কারণ আইএফসি অন্যান্য অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ফাউন্ডেশন, ব্যাংকের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি।
আরও পড়ুন: এশিয়ায় খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ১৪ বিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৬০০ কোটি ডলার সহায়তার লক্ষ্য হবে খাদ্য পণ্যের বাণিজ্য সহজতর করা, কৃষকদের ইনপুট সরবরাহ করা, ইউক্রেনসহ প্রধান উৎসগুলোকে দক্ষ উৎপাদন সমর্থন করা ও গন্তব্য দেশগুলোতে খাদ্য পণ্যের কার্যকর বিতরণ করা। এই অর্থ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে এবং এর জলবায়ু ও পরিবেশগত পদচিহ্ন কমাতে সহায়তা করবে।
এর মধ্যে রয়েছে কার্যকর শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সারের প্রবেশাধিকার উন্নত করা, সার উৎপাদন ও ব্যবহারকে পরিবেশবান্ধব করা, ফসলের ক্ষতি ও খাদ্যের অপচয় কমানো, সাপ্লাই চেনের দক্ষতা উন্নত করা এবং অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা প্রশমন করা।
আইএফসি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য। যা বাংলাদেশসহ উদীয়মান বাজারে বেসরকারি খাতের ওপর নজর রাখা বৃহত্তম বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। ২০২২ অর্থবছরে আইএফসি উন্নয়নশীল দেশগুলোর বেসরকারি কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য রেকর্ড তিন হাজার ২৮০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার তৈরির আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব চায় জার্মানি
জার্মানির স্টেট সেক্রেটারি এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত জেনিফার মরগান বলেছেন, তারা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব তৈরি করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমি এখানে শুনতে এবং শিখতে এসেছি; এবং আমরা একসঙ্গে মিলে কি করতে পারি তা দেখতেও এসেছি। আমি মনে করি আমাদের একে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’
তিনি আরও বলেন,এটা স্পষ্ট যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি সক্ষমতা থেকে একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়।
শনিবার বাংলাদেশে জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টারের সঙ্গে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির জলবায়ু বিষয়ক প্রথম দূত জেনিফার মরগান এসব কথা বলেন।
দূত বলেন, দ্রুত সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং স্পষ্ট এর (জলবায়ু পরিবর্তনের)প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
জার্মান জলবায়ু দূত বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জ্বালানি দক্ষতার বিষয়ে কাজ করতে চাই এবং কীভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি দক্ষতার প্রচেষ্টা বাড়াতে পারি তা দেখতে চাই।’
৪ এপ্রিল প্রকাশিত জাতিসংঘের আন্তঃসরকারি প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) প্রতিবেদনে দেখায় যে, গত এক দশকে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের বৃদ্ধি কমেছে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক নির্গমন অর্ধেক করা, লক্ষ্যমাত্রা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখাসহ আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান ঢাকার
ডি-৮ এর শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর একসঙ্গে শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোটে পরিণত হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। বুধবার গণভবনে ডি৮এর মহাসচিব ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমামের সঙ্গে বৈঠকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলো একসঙ্গে মিলে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোটে পরিণত হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও ডি-৮এর মহাসচিব উভয়েই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য প্রসারের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়িত করার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাব: জয়শঙ্কর
তারা ব্যবসা, অর্থনীতি, বাণিজ্য, পরিবহন, কৃষি, পর্যটন, শিক্ষা এবং শক্তির মতো ডি-৮ এর থ্রাস্ট সেক্টর অন্বেষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
এ সময় ডি-৮ মহাসচিব আইসিটি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম ১ জানুয়ারি ডি-৮ এর মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ডি-৮ সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ ভাষাপ্রেমীদের মিলন মেলা
বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে আগ্রহী ইউরোপীয় কোম্পানি
সক্ষমতার চেয়ে বেশি নিবন্ধনে এসএমএস পেতে সমস্যা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দেশে সক্ষমতার চেয়ে বেশি সংখ্যক নিবন্ধনের কারণে টিকার এসএমএস পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি নিবন্ধন হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সমাধান করতে কিন্তু বাস্তবতা হলো একটি কেন্দ্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকা এক দিনে দেয়া যায়। তার চেয়ে বেশি টিকা দিতে গেলে হয়তো আমাদের অনেক কিছু আপোস করতে হবে। সেখানে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি আছে। সেগুলোকে সমাধান করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, শিগগিরই আমরা আশার বাণী শোনাতে পারবো।’
অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, গত সাত দিনে শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে আছে। এই ধারাটি অব্যাহত থাকুক তাহলে আমরা খানিকটা স্বস্তিতে থাকতে পারি।
আরও পড়ুন: গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু
তিনি বলেন, ‘গত ৩০ দিনে সংক্রমণ নিম্নমুখী আছে। সেটি ধরে রাখার জন্য আমাদের আরও বেশি সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে। গত চার দিন ধরে শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে আছে। আমাদের প্রত্যাশা, এটি আরও কমে গেলে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার কাজটি সহজ হবে।’
টিকা উৎপাদন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিনোফার্মের সঙ্গে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের যে চুক্তি হয়েছিল-বাংলাদেশে টিকা প্রক্রিয়াজাত হবে সেই কাজ চলছে। তারা সময় চেয়েছিলেন, তিন মাসের মতো সময় লাগবে পুরো কাজ গুছিয়ে আনতে। আশা করছি তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক তথ্য পাব।’
অধিদপ্তরের মুখপাত্র জানান, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট টিকা নিয়েছেন ৩ কোটি ১৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩২০ জন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪১ হাজার ২৯২ জন আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ২৮ জন।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশকে এক কোটি ডোজ টিকা দেবে ইইউ