দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা সরকারের নেই।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ের নেতৃত্বে সাড়ে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে জলোচ্ছ্বাসের কোনো ভয় নেই। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হতে পারে। এটি মাথায় রেখে, আমি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।’
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা একই এলাকার উপর দিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘনিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান ইউএনবিকে বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এবং তাদের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলো ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী