বাংলাদেশে সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন। তারা এমনভাবে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন যাতে বাজারে বিভিন্ন স্তরের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
সোমবার (০৭ নভেম্বর) একটি বৈঠকে এই পরার্মশ দেন আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম ইউএনবিকে বলেন, নির্ধারিত বৈঠকে আইএমএফ দলটি সমাজের সব অংশের মানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে শেয়ারবাজারে পণ্য বৈচিত্র্যের পরামর্শ দিয়েছে।
তারা (আইএমএফ) কমোডিটি এক্সচেঞ্জ মার্কেট, রিয়েল এস্টেট এবং শেয়ার মার্কেটে অন্যান্য সেক্টরের তালিকাভুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তুলতে আইএমএফ এর ঋণ দরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আইএমএফ পুঁজিবাজারের প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করবে। যাতে বিশ্ব মান বজায় রেখে বাজার কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশে আইএমএফ মিশন চিফ রাহুল আনন্দ আইএমএফের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং বিএসইসির সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন।
এর আগে, আইএমএফ দল অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিদ্যুৎ বিভাগ, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠক করেন।
সোমবার চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে আইএমএফ দল বিএসইসির শীর্ষ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে দেখা করে এবং নিয়ন্ত্রকের সক্ষমতা বাড়াতে কিছু পরামর্শ দেয়।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক বৈশ্বিক ঋণদাতার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে এবং উপলব্ধি করতে ২৬ অক্টোবর সফর শুরু করে। কারণ দেশটি বাজেট সহায়তা হিসাবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছিল।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোন বৈশ্বিক ঋণদাতার কাছে এত বড় ঋণ চায়নি। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে প্রভাবিত করেছে।
ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে আইএমএফ-এর কাছে সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য আবেদন করে।
আরও পড়ুন: মর্যাদা ক্ষুন্ন হলে বাংলাদেশকে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার দরকার নেই: এফবিসিসিআই
জিডিপি প্রতিবেদন প্রতি ৩ মাসে হালনাগাদ করার পরামর্শ আইএমএফের