ইউএনজিএ
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অধ্যাপক ইউনূস, রয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার রাতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের কাউন্সেলর ফাহমিদ ফারহান জানান, নিউইয়র্ক সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান অধ্যাপক ইউনূস। তাকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সিডিএ সালাহউদ্দিন মাহমুদ।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে এটি অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এই প্রথম বিদেশ সফর।
আরও পড়ুন: সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করায় অধ্যাপক ইউনূসকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা
প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধি দলের সদস্যদের বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সেখানে তার আবাসস্থল হায়াত গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল নিউইয়র্কে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ আলোচনায় ভাষণ দেবেন তিনি।
২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কর্মসূচি
২৪ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ ও পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
প্রফেসর ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টেও যোগ দেবেন।
এছাড়াও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা 'মিট দ্য ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ' নামে একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টেও যোগ দেবেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ইতালির মন্ত্রী পরিষদের সভাপতি জর্জিয়া মেলোনি এবং কুয়েতের যুবরাজ শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে পৃথকভাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়: নিউইয়র্কে বাইডেন-ইউনূস বৈঠক ২৪ সেপ্টেম্বর
এছাড়াও মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউইয়র্কে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনবিকে বলেন, এটি একান্ত বৈঠক হতে যাচ্ছে।
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ গত কয়েক দশকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেননি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময়ের এই বৈঠকটি হতে পারে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করা স্বাভাবিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে এমন কোনো নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্ব এই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছে ঢাকা।
২৩-২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফর করছেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিউইয়র্ক সফর নিয়ে প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মোকাবিলা, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি এগিয়ে নেওয়া এবং মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠান গঠন ও উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের রূপরেখা খুঁজছে, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তৌহিদ হোসেনের মতে, প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্কে চার দিন অবস্থানকালে নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএইড প্রশাসকসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই সময়ে সভার অনেক সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে নেওয়া হয়। সেই বিবেচনায় নতুন সভা যুক্ত হতে পারে; আবার সময়ের অভাবে কোনো সভা বাদ পড়তে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবারও বাংলাদেশ থেকে শতাধিক সদস্যের কোনো প্রতিনিধি দল চার্টার্ড ফ্লাইটে করে নিউইয়র্ক যাচ্ছে না। বরং নিজ নিজ দায়িত্ব অনুযায়ী যথাসম্ভব সীমিত পরিসরে প্রতিনিধি দল তৈরি করা হয়েছে। ইউএনজিএতে আলোচ্য বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা সরাসরি যুক্ত তারাই শুধুমাত্র প্রতিনিধি দলে আছেন।
আরও পড়ুন: ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ইউনূস
এবারের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- 'কাউকে পেছনে ফেলে নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করা'।
প্রধান উপদেষ্টার ২৭ সেপ্টেম্বর ভাষণের আলোচ্য
অধ্যাপক ইউনূস ২৭ সেপ্টেম্বর তার ভাষণে গত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অকল্পনীয় গণঅভ্যুত্থান এবং আগামী দিনে জনমুখী, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে তার দৃঢ় প্রত্যয়ের বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় একই দিন রাতে ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করার কথা রয়েছে তার। ২৯ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকায় পা রাখবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইউএনজির ৭৯তম অধিবেশন ড. ইউনূসের সরকারের জন্য বড় সুযোগ: কুগেলম্যান
২ মাস আগে
ইউএনজিএ অধিবেশন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুক্রবার
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে বুধবার (৪ অক্টোবর) দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডনে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি রুশনারা আলীর (এমপি) নেতৃত্বে এপিপিজি’র একটি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রীসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: লন্ডন থেকে ঢাকার পথে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগদানকারী বিশ্ব নেতাদের সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্ট- এ নৈশভোজের আয়োজন করেন বাইডেন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর আয়োজিত নৈশভোজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন হাসিনার উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
ভোজসভায় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমানের নৈশভোজে মার্কিন প্রতিনিধি দল
বাজেট পরবর্তী নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
রবিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে ৪ ঘণ্টার যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে (নিউইয়র্ক সময়) নিউইয়র্কের জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিনে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: শিল্পী শাহাবুদ্দিনের বিশেষ শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিতেও শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তিনি রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সার্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থায়নসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউনিডো ও ডেলয়েট আয়োজিত 'থট ফর ফুড-কোলাবরেটিং ফর ফুড সাপ্লাই চেইন ইনোভেশন টু অ্যাক্সিলারেট দ্য এসডিজি’স' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
একই দিন ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে 'এসডিজি সামিট-লিডার্স ডায়ালগ-৪' (এসডিজি অর্জনে সমন্বিত নীতি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করা) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনে ভাষণ দেবেন তিনি।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে লেক্সিংটন ভেন্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের গ্লোবাল এডুকেশন বিষয়ক বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন এবং গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ার সারাহ ব্রাউন আয়োজিত জাতিসংঘের ২০২৩ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দেবেন।
তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সিআর-১৬ এ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট আয়োজিত 'টুওয়ার্ডস আ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
একই দিন শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সিআর-১১ এ বাংলাদেশ, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ভুটান, চীন, মালয়েশিয়া, চ্যাথাম হাউস এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে চিকিৎসা সেবাভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপক্ষীয় বুথে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় (নিউইয়র্ক সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর অবস্থান করবেন।
এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও বেশি যুক্ত করুন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিশ্বের সংকটের কার্যকর সমাধানের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আরও বেশি নারীদের থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সংকটের সময় নারীরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সংকটের কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের যুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।’
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিলে সাধারণ পরিষদের সভাপতি কাসাবা কোরোসি আহ্বান করা ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারদের একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে ভাষণদানকালে এসব কথা বলেন।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আজকের আন্তঃসংযুক্ত চ্যালেঞ্জে নারী নেতাদের দ্বারা রূপান্তরমূলক সমাধান।‘
শেখ হাসিনা বলেন, নারীরা প্রতিটি সেক্টরে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে, সব ধরণের গতানুগতিকতা ভেঙ্গে এবং অদম্য সাহস ও নেতৃত্বের দক্ষতা দেখাচ্ছে।
পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, জটিল বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মতামত বিনিমিয় এবং শুধুমাত্র আমাদের নিজ নিজ দেশের জন্য নয়, মানবজাতির জন্যও ইতিবাচক ফলাফল আনার লক্ষে এই নেটওয়ার্ক (ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারস) ব্যবহার করার সময় এসেছে।
বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাপী নারী নেতৃত্বকে উৎসাহিত করার জন্য জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
এই বিষয়ে তিনি তিন দফা প্রস্তাব বিষয় তুলে ধরেন, সেগুলো হলো লিঙ্গ সমতার বিষয়ে উপদেষ্টা বোর্ডের স্থানীয়করণ, পর্যাপ্ত রাজনৈতিক ও আর্থিক উপায়ে নারী-নেতৃত্বাধীন সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোকে লালন ও সমর্থন করা এবং লিঙ্গ সমতার জন্য সাধারণ এজেন্ডাকে শক্তিশালী করার জন্য একটি শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করা।
পড়ুন: ‘একজন অভিভাবকের বিদায়’: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুধুমাত্র আ.লীগের আমলেই হয়: বিবিসিকে প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাল যুক্তরাজ্য আ.লীগ
রাষ্ট্রীয় সফরে বৃহস্পতিবার লন্ডনে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ যুক্তরাজ্য শাখা।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশেকুন নবী চৌধুরী বলেন, লন্ডনে তার অবস্থানকালীন হোটেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
শেখ হাসিনা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে এখন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে রয়েছেন।
১৬ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
পরে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়কমন্ত্রী লর্ড আহমেদ অব উইম্বলডন, লেবার পার্টির বিরোধী দলীয় নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারও আলাদাভাবে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় এবং লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে যুক্তরাজ্যের রাজার সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যাবেন।
পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেখ হাসিনার ছয় প্রস্তাব
করোনাকে একটি সাধারণ শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের সামনে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর ধারণা সংবলিত ছয়টি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দুঃখজনক হলেও এই মহামারি আরও বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে বলে মনে হচ্ছে। সেজন্য এ অভিন্ন শত্রুকে মোকাবিলা করার জন্য অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আমাদের অনেক বেশি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে আমি কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরতে চাই।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সদর দপ্তরে শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে (ইউএনজিএ) ভাষণ দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বরাবরের মতো এবারও তিনি বাংলায় ভাষণ দেন।
টিকা বৈষম্য দূর করুন
প্রথম প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, কোভিডমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে টিকার সর্বজনীন ও সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর এ মহতি অধিবেশনে আমি কোভিড-১৯ টিকাকে ‘বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। বিশ্বনেতাদের অনেকে তখন এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেছিলেন।
সে আবেদনে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং আমরা ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকা বৈষম্য বাড়তে দেখেছি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, এ যাবৎ উৎপাদিত টিকার ৮৪ শতাংশ উচ্চ ও উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মানুষের কাছে পৌঁছেছে। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের দেশগুলো এক শতাশেরও কম টিকা পেয়েছে।
জরুরি ভিত্তিতে এ টিকা বৈষম্য দূর করতে হবে। লাখ লাখ মানুষকে টিকা থেকে দূরে রেখে কখনই টেকসই পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। আমরা পুরোপুরি নিরাপদও থাকতে পারবো না। তাই আমি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও সাশ্রয়ী মূল্যে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে টিকা প্রযুক্তি হস্তান্তর টিকার সমতা নিশ্চিত করার একটি উপায় হতে পারে। প্রযুক্তি সহায়তা ও মেধাস্বত্ত্বে ছাড় পেলে বাংলাদেশও ব্যাপক পরিমাণে টিকা তৈরি করতে সক্ষম।
জলবায়ু পরিবর্তনে কোভিডের প্রভাব
দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ মহামারি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে অধিকমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ইন্টারগভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)-এর ওয়ার্কিং গ্রুপ-১ এর প্রতিবেদনে আমাদের এ গ্রহের ভবিষ্যতের এক ভয়াল চিত্র ফুটে উঠেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক প্রভাব কাটিয়ে উঠা কঠিন হবে। ধনী অথবা দরিদ্র - কোন দেশই এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে নিরাপদ নয়। তাই আমি ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, নিঃসরণের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং টেকসই অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তির অবাধ হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’: বললেন জাতিসংঘের মহাসচিব
তিনি বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ভালনারেবল-২০ গ্রুপ অব মিনিস্টারস্ অব ফাইন্যান্স-এর সভাপতি হিসেবে আমরা ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা- দশক ২০৩০’ এর কার্যক্রম শুরু করেছি। এ পরিকল্পনায় বাংলাদেশের জন্য জলবায়ুকে ঝুঁকির কারণ নয়, বরং সমৃদ্ধির নিয়ামক হিসেবে পরিণত করার কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ’ (COP) এর ২৬তম শীর্ষ সম্মেলন আমাদের নতুন নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন আদায়ের অপার সুযোগ করে দিতে পারে। এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই।’
৩ বছর আগে
জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে হেলসিঙ্কি থেকে নিউইয়র্কের পথে প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬ তম অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কি ত্যাগ করেছেন। তিনি এখন নিউইয়র্কের পথে রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। ফ্লাইটটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টায় অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে ১৮ বারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) যোগ দিতে যাচ্ছেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দিবেন।
এছাড়াও, শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। ২০-২৪সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে (ইউএনএইচকিউ) পাশাপাশি অন্যান্য ইভেন্টে অংশ নেবেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: ফিনল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আগামী ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি ছোট গ্রুপের এইচওএস/এইচওজি-র সাথে একটি বৈঠকে যোগ দিবেন এবং একটি গাছ লাগাবেন। এছাড়া সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইউএনএইচকিউ এর উত্তর লনে শান্তি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
৩ বছর আগে