ফাইভ-জি
মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তাফা জব্বার
আগামী মার্চের মধ্যে দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য ফাইভ-জি অপরিহার্য।’
বুধবার ঢাকায় এক হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ণেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিতএকসেস টু মিনিংফুল কানেক্টিভিটি অ্যান্ড সোস্যাল ইনক্লিউশন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২: মোস্তাফা জব্বার
সচেতনতা ও প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল নিরপত্তার হুমকি মোকাবিলা করতে হবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘যত বেশি ডিজিটাল তত বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকি।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব পৃথিবীতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্দেশ্য এবং আমাদের উদ্দেশ্য এক নয়।’
দেশে ডিজিটাল ডিভাইড নিরসনে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেটের একদেশ এক রেট একটি বিপ্লবের নাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা কোন নাগরিককেও ইন্টারনেট অধিকার থেকে যেমন বঞ্চিত করা যাবে না তেমনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য আলাদা কোন রেটও গ্রহণযোগ্য নয়। এই লক্ষ্যে আমরা দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের দোড়গোড়ায় উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। কোভিডকালে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ এলাকায় ৪-জি নেটওয়ার্ক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষাকে সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বিআইজিএফ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নির্ধারণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাউথ এশিয়া আর্টিকেল ১৯’র আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, বিএনএনআরসি রিসার্স ফেলো এএইচএম বজলুর রহমান, বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হক অনু, সাংবাদিক রাশেদ মেহেদি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২ বছর আগে
ফাইভ-জি যোগে বাংলাদেশ
রাষ্ট্রীয় টেলিকম অপারেটর মোবাইল ফোন টেলিটক রবিবার পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ছয়টি স্থানে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা (ফাইভ-জি) চালু করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় পঞ্চম ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে সন্ধ্যায় রাজধানীর রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত 'নিউ ইরা উইথ ফাইভ-জি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সেবার উদ্বোধন করেন।
টেলিটকের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি-৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া এভিনিউ এবং ঢাকার বাইরে সাভার ও টুঙ্গিপাড়ায় এই সেবা পাওয়া যাবে। হুয়াওয়ে এবং নকিয়ার সহযোগিতায় এই সেবা চালু করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে ঢাকার ছয়টি স্থানে ফাইভ-জি কাভারেজের আওতায় আনা হলেও পরবর্তীতে টেলিটক ঢাকা শহরের ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ প্রযুক্তি সেবা চালু করবে।
আরও পড়ুন: মেগা ডিসকাউন্টে রিয়েলমি স্মার্টফোন পাওয়া যাবে দারাজ ১২.১২ ক্যাম্পেইনে
আগামী বছর মার্চে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নিলামে দেয়ার পর বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটর এই প্রযুক্তি চালু করবে। ২০২২ সালের পর টেলিটক ও বিটিসিএলের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনসমূহে এই সেবা চালু করার প্রস্তুতির কাজ চলছে।
বিশ্বের নবম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ফাইভ-জি সেবা চালু হলো বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবা কেবল গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবোটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন, আইওটি প্রযুক্তির আইওটি, হিউম্যান টু মেশিন, মেশিন টু মেশিন, ইত্যাদি প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ক্রিটিক্যাল মিশন সার্ভিস, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোম, স্মার্ট ফ্যাক্টরী সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাহাব উদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী জিলাপিকে তুলে ধরার জন্য লাইকির #জালেবিবেবি
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বাধীনতার বীরদের খোঁজে অপো
২ বছর আগে
এ বছরই পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে
চলতি বছরেই পরীক্ষামূলকভাবে দেশে ফাইভ-জি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বুধবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ'-এ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব তথ্য জানান।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া। সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যান্য নেতারা ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ। আপনারা জেনে খুশি হবেন রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক চলতি বছর পরীক্ষামূলকভাবে পঞ্চম প্রজন্মের বা ৫জি সেবা চালু করবে। আর আগামী বছর ২০২২ সালে দেশের অন্যসব মোবাইল অপারটেরদের জন্য ৫জি তরঙ্গ নিলাম করবে সরকার
তিনি বলেন, আমরা বড় ধরনের জাম্প করতে চাই, পৃথিবীতে ৫জি এসেছে, ২০১৮ সালের জুলাইতে ৫জি পরীক্ষামূলক চালু করে দেখেছিলাম। ২০২১ সালের মধ্যে ৫জি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করব।
আরও পড়ুন: শিক্ষাকে সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে জব্বার বলেন, টেলিটক ইতিমধ্যে পাঁচটি সাইট রেডি করেছে। এটি ২০২২ সালে সম্প্রসারণ করব এবং ২০২২ সালে প্রথম কোয়ার্টারে একটি স্পেকট্রাম অকশন করব। আশা করি সব অপারেটরেরা ২০২২ সাল থেকে ৫জি প্রযুক্তি বিকাশ ঘটাতে পারবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে দেশে ৪জি সেবা চালু আছে। নতুন করে ৫জি চালু হলে ইন্টারনেটের গতি কয়েকগুণ বাড়বে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এলাকায় ৫জি প্রযুক্তি চালুর পরিকল্পনা জানিয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ৫জি কেবলমাত্র সাধারণ প্রযুক্তি না, এটি সব প্রযুক্তির মহাসড়ক। ৪জি নেটওয়ার্ক ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের সাধারণ চাহিদা পূরণ করবে। কল কারখানার জন্য ৫জি প্রযুক্তি দিতে পারি, হাইটেক পার্কে ৫জি প্রযুক্তি দিতে পারি, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক নির্মাণের দায়িত্ব আমরা পালন করে যাচ্ছি।
বর্তমানে ৯৫ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মোবাইল নির্ভর। এই মোবাইল নির্ভরতার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ৪জি সম্প্রসারণ, সব অপারেটররা তা করেছে। কিন্তু এখনো কিছু যান্ত্রিক অসুবিধা রয়ে গেছে যার জন্য কলড্রপ বা নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না, ইন্টারনেট গতি পাওয়া যায় না এসব মোকাবিলা করতে হয়। এসব সমস্যা সাধানের কাজ করা হচ্ছে।’
সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় ফেসবুককে দায়ী করেছেন অনেকে এ নিয়ে এক প্রশ্নে জব্বার বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো একটি দিক মাত্র, সব কিছুই যখন ডিজিটাল হচ্ছে সেই তথ্য নিরাপত্তা দিতে না পারলে উল্টো বিপদ ডেকে আনবে। ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের আইনের আওতায় যদি ব্যবস্থা নেওয়া যায়… আমি লক্ষ্য করছি কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ আইনের অপব্যবহার হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনেরও অপব্যবহার হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিরাপত্তা হরণ করার জন্য নয়, এটি অপব্যবহার রোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
মোস্তফা জব্বার বলেন, ফেইবুক, ইউটিউব যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি, সব নিরাপত্তার বিষয়ে তাদের সমাজ ব্যবস্থার সাথে তারা নির্দেশ তৈরি করেছে, তারা বাংলাদেশের ইস্যুগুলো উপলব্ধি করে না। বর্তমানে তাদের সাথে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ হয়, কুমিল্লাসহ অন্যান্য ঘটনায় দৃষ্টান্ত দিতে পারি তারা ৩০০ লিঙ্কের মধ্যে ২৬৬টি লিঙ্ক বন্ধ করে দিতে পেরেছে। আমি আশা করি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তারা বিবেচনা করবে। আমাদের যে সক্ষমতা আছে তা হল কোনো সাইট আমরা তাৎক্ষণিক বন্ধ করতে পারি। সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে ইচ্ছা করলে ফেসবুকের লাইভ বন্ধ করতে পারব। যখন কোনো সমস্যা হবে তখন প্রয়োগ করতে পারব। সহজ উপায় ফেইবুক, ইউটিউব বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়। যেটা প্রয়োজন মাথা ব্যথা হয়েছে ওষুধ দিয়ে সারাতে হবে, এ জন্য এসব বন্ধ করা হয়নি। দেশে চার কোটির বেশি ফেসবুক ব্যবহার করে, তারা বুঝেছে এখানে ব্যবসা বিশাল এবং তাদের আয় বাড়ছে।
অবৈধ মোবাইল সেট বন্ধের উদ্যোগ থেকে সরে আসার বিষয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এটি উপকারের চেয়ে অপকার বেশি করছে, জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে। দেশে ২জি সেট ব্যবহারকারী সংখ্যা বেশি, তাদের নিবন্ধনের সক্ষমতা নেই। আমরা মাঝে মধ্যেই অবৈধ সেট বিষয়ে অভিযান চালাই, অবৈধ সেট বন্ধের সক্ষমতা আমরা তৈরি করেছি।
আরও পড়ুন: মার্চের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষ টিকা পাবে: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ফাইভ-জি প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ‘ফাইভ জি: ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ এন্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে মন্ত্রী এ কথা জানান।
টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) ওয়েবিনারটি আয়োজন করে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালুর প্রক্রিয়া সরকারের একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। ডিসেম্বরের মধ্যেই টেলিটকের মাধ্যমে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু হবে। পরবর্তীতে তা বিস্তৃত হবে। ২০২২ সালের মধ্যে অন্য অপারেটরদেরও ফাইভ-জি নিয়ে আসতে দেখবো।’
জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকলে প্রযুক্তির সফলতা পাওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রযুক্তি সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও সম্পৃক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি হবে ফাইভ-জি। আমরা এরই মধ্যে হুয়াওয়ে ও রবি’র মাধ্যমে ফাইভ-জি টেস্ট করেছি, যা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমেই আমরা বোঝাতে পেরেছি ফাইভ-জি প্রযুক্তি নিয়ে আমরা একচুলও পিছিয়ে থাকব না।’
আরও পড়ুন: বিনা ও বিনা’র বিজ্ঞানীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘এ বছরের মধ্যেই ঢাকা শহরে ফাইভ-জি চালুর বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটক প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। ব্রডব্যান্ড নীতিমালা তৈরির কাজ চলমান আছে। এর আগেই আমরা সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসবো এবং তাদের মতামত নেয়া হবে।’
বিটিআরসি’র কমিশনার ও ফাইভ-জি গাইডলাইন কমিটির প্রধান এ কে এম শহিদুজ্জামান বলেন, ‘ফাইভ-জি ইস্যুতে বিটিআরসি এরই মধ্যে অপারেটর, টেলিকম খাত সংশ্লিষ্ট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। মোবাইল অপারেটরগুলোর জন্য একটি কমন গাইডলাইন তৈরিতে কাজ চলছে, যা ফাইভ-জি বিস্তারে ভূমিকা রাখবে। বিটিআরসি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনুকরণে তুলনামূলক কম দামে তরঙ্গ বরাদ্দে কাজ করছে এবং এ বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত বিদ্যমান অপারেটরগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করা হবে।’
রবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অ্যাক্টিং সিইও) এম রিয়াজ রশিদ বলেন, ‘ফাইভ-জি থেকে চলেছে পরবর্তী টেলিকম সেবার মান নির্ধারক। এক্ষেত্রে শুধু বিটিআরসি কিংবা অপারেটরগুলো এককভাবে সুফল বয়ে আনতে পারবে না। সকলের সমন্বিত চেষ্টার প্রয়োজন আছে। কারণ ফাইভ-জির সুফল পেতে প্রযুক্তি, স্পেকট্রামের পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘টিআরএনবি’র এ আয়োজন খুবই উৎসাহদায়ক এবং সময়োপযোগী। টেলিকম শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম উন্নয়নে কাজ করছি। ফাইভ-জির সুফল পেতে প্রযুক্তি, ডিভাইস, ফাইবার, টাওয়ার অবকাঠামো ও স্পেকট্রাম একে অপরের পরিপূরক। ফাইভ-জি নিশ্চিতে কতটা সুলভে স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা সম্ভব হবে, সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।’
এমটবের চেয়ারম্যান ও বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক কর্মকর্তা (সিইও) এরিক অস বলেন, ‘টিআরএনবি ফাইভ-জি প্রযুক্তি বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। ফাইভ-জি প্রযুক্তিকে প্রয়োগের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা প্রয়োজন। তাই, ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে স্পেকট্রাম নীতি সঠিকভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।’
টেলিটকের এমডি মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইভ-জি চালু করতে চেষ্টা করছি। দেশে ফাইভ-জি নিশ্চিতের জন্য আমাদের ডিভাইস ও হ্যান্ডসেটের সক্ষমতা এবং উচ্চমানের ফাইবার প্রয়োজন। এছাড়াও, ফোর জি’র তুলনায় ফাইভ জি’র স্পেকট্রাম সক্ষমতার হার বেশি। যেখানেই ফাইভ-জি সংযোগের প্রয়োজন হবে, আমরা সেখানে পৌঁছে যাব এবং স্মুথ নেটওয়ার্ক স্থাপন করব।’
পড়ুন: অপোর ‘গেজ দ্য স্টোরি’: অসমাপ্ত গল্প শেষ করতে পারলে পুরস্কার
ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি ও ট্রিপল ক্যামেরার বাজেট ফোন এ১৬
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিওও তাও গুয়াংয়াও বলেন, ‘ফোর জি জীবন বদলে দিয়েছে, ফাইভ-জি সমাজ বদলে দিবে। ফোর জি ও এর আগের নেটওয়ার্কগুলো যা করতে পারেনি, ফাইভ-জি সেগুলো করার ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া, সার্ভিস অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এবং শিল্পের ডিজিটাল ও ইন্টেলিজেন্ট রূপান্তরের জন্য ফাইভ জি অপরিহার্য।’
এলএম এরিকসন (বাংলাদেশ)-এর কান্ট্রি ম্যানেজার আবদুস সালাম বলেন, ‘ফাইভ-জি’র জন্য মূলত ১৮’শ থেকে ২১’শ ফ্রিকোয়েন্সি প্রয়োজন। আমাদের ডাইন্যামিক স্পেকট্রাম শেয়ারিং’র জন্য যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমরা বিআরটিসি’র লাইসেন্সের জন্য অপেক্ষা করছি এবং ফাইভ-জি সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সকল নেটওয়ার্ক ও প্রযুক্তি বাস্তবায়নে উন্মুখ হয়ে রয়েছি।’
কী-নোট স্পিকার ও টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশন ফাইভ-জি’র (ওয়্যারলেস রোবট, গাড়ি, পরিবহন ও স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং) উপর নির্ভরশীল থাকবে। ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের জীবনযাত্রা ফাইভি-জি কেন্দ্রিক হয়ে উঠবে। তাই, ব্যবহারকারীদের সেরা অভিজ্ঞতা দিতে ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
৩ বছর আগে