অনিবন্ধিত
অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সারাদেশে অনিবন্ধিত, অব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে চিকিৎসা সেবা না দেয়া সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর সদর জেনারেল হাসপাতালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীসহ ছয় জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য স্থাপনা উদ্ধোধন এবং প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টিকা পাবে শিশুরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে অব্যবস্থাপনা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগেুলো। এছাড়া বহু বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স নবায়ন করতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন নবায়ন না করলে এবং সংশোধন না হলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ করে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মীর মোবারক হোসাইন বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রাত ১০টার পর বন্ধ থাকবে: ডিএসসিসি
২ বছর আগে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে সারাদেশে ১১৬ অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালার
ফরিদপুর, বাগেরহাট, মাগুরা, কেরানীগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রামের স্থানীয় প্রশাসন রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) নির্দেশনা অনুযায়ী কমপক্ষে ১১৬ অনিবন্ধিত ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করেছে।
এগুলোর মধ্যে শেরপুরে ৪২টি, ফরিদপুরে ২৬টি, বাগেরহাটে ২৫টি, মাগুরায় ১৫টি, কেরানীগঞ্জে পাঁচটি ও কুড়িগ্রামে তিনটি সিলগালা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশের সব অনিবন্ধিত ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একটি দল সদর, মধুখালী, বোয়ালমারী, সালথা, নগরকান্দা, ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলায় ২৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধ করে এবং আরও ১৫টি হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন জেলার ৯টি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২৫টি অবৈধ হাসপাতাল সিলগালা ও মোট ৩৫টি হাসপাতালকে পাঁচ লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. মো. শহীদুল্লাহ ইউএনবিকে জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে এবং একজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানান, অভিযানের দ্বিতীয় দিনে পাঁচটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে এবং চারটিকে দুই লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া একজন ভুয়া চিকিৎসককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন মঞ্জুর মুর্শেদ জানান, অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার তিনটি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ৩৭টি অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা, আটক ১
২ বছর আগে
অনিবন্ধিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের
মাইক্রোক্রেডিটের (ক্ষুদ্রঋণ) নামে সারাদেশে সুদের ব্যবসা পরিচালনাকারী অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়ন করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি লাইসেন্স না থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সমবায় সমিতি ও মাইক্রোফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশনের কার্যক্রম তদারকি ও তত্ত্বাবধানে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটিসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আদেশের জন্য আদালত আগামী ৩০ নভেম্বর দিন রেখেছেন।
পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
আদেশে বলা হয়েছে, অনুমোদনহীন ক্ষুদ্র ঋণের কারবার নিয়ে তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করতে হবে। আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে এ কিমিটিকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে। তদন্তের সময় যদি অননুমোদিত বা লাইসেন্স ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ কারবারী সমবায়, বা কোনো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় বন্ধের পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে আদালত ৪৫ দিনের মধ্যে স্থানীয় ঋণ বিতরণকারীদের একটি তালিকা আদালতে দাখিল করতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সারা দেশে চড়া সুদে ঋণদাতা মহাজনদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক ৭ সেপ্টেম্বর রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে সৈয়দ সায়েদুল হক নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক। ২০ সেপ্টেম্বর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২৭ সেপ্টেম্বর (আজ) আদেশের জন্য দিন রাখেন। সে অনুযায়ী আজ আদেশ হয়।
আদেশের পর ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সারাদেশের অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চড়াহারে সুদ নেয়া হয়। এদের কোন অনুমোদন নেই। তারা কোন ক্ষুদ্রঋণ কর্তৃপক্ষের অধীন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধীন বা ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিত নয়। এসব অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের চড়া সুদ দিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া, কিডনি বিক্রি করাসহ নানা অমানবিক ঘটনা আমরা দেখি। পত্র-পত্রিকায় এসব বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেছিলাম। আদালত রুল ও আদেশ দিয়েছেন।
পড়ুন: মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা: শর্তসাপেক্ষে রিপনের হাইকোর্টে আগাম জামিন
৩ বছর আগে