তত্ত্বাবধায়ক সরকার
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু: পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রায় আজ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
গত ৪ ডিসেম্বর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিটের শুনানি শেষ করেন আদালত।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন এই আবেদনের সঙ্গে জড়িত। তাদের বেশিরভাগই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে।
২০১১ সালের ৩০ জুন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান বাতিল করে।
সংশোধনীতে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এটিকে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
সংশোধনীতে সংসদ নির্বাচনের সময়সীমাও পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে সংসদীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।
এর আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা ছিল।
পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধানে ছোট ও বড় মিলে মোট ৫৫টি পরিবর্তন আনা হয়।
৫ দিন আগে
শুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়: উপদেষ্টা নাহিদ
‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়’ উল্লেখ করে শুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেচির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো রাজনৈতিক দলগুলোর কর্তব্য: উপদেষ্টা নাহিদ
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সারা পৃথিবী থেকে সমর্থন পেয়েছে, যা এখনও অব্যাহত আছে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার চলমান। বিচার নিরপেক্ষভাবে শেষ করতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে স্বৈরাচারী বা অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থেকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে। এ বিষয়ে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।
এছাড়া দেশের স্বার্থরক্ষা হয় এমন যেকোনো কাজ করতে অন্তবর্তী সরকার প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
এসময় বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেচি।
এসময়ে নির্বাচনি প্রক্রিয়া সংস্কারসহ সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগের প্রতি সম্ভাব্য সব উপায়ে কমনওয়েলথের সমর্থনের আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়াও বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য কমনওয়েলথের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন লুইস ফ্রান্সেচি।
আরও পড়ুন: মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
লুইস ফ্রান্সেচি বলেন, তারা সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। এছাড়া তারা শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সাইবার নিরাপত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান লুইস ফ্রান্সেচি।
পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার মধ্যদিয়ে সাক্ষাৎকার শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, কমনওয়েলথের অ্যাডভাইজার অ্যান্ড হেড অব এশিয়া ড. দিনুসা নিহারাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
১ মাস আগে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি: বিশ্লেষকরা
চলমান রাজনৈতিক ও শ্রমিক অসন্তোষ দেশের অর্থনীতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলীয় জোট সরকারকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিতে দেশব্যাপী হরতাল ও অবরোধ পালন করছে।
অন্যদিকে, মজুরি বৃদ্ধির জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকদের অব্যাহত বিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, হতাহত ও যানবাহনে; প্রধানত বাসে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারবিরোধীদের বিক্ষোভ দেশের অর্থনীতিতেও আঘাত হেনেছে। কোভিড-১৯ বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানো অর্থনীতি এখন বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, টাকার মান ৩০ শতাংশের বেশি কমে যাওয়া, দুই অংকের মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি ও শ্রমের উচ্চমূল্যের সঙ্গে লড়াই করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং এর সাবেক গভর্নরদের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
আলোচনাসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আমন্ত্রিত অর্থনীতিবিদরা মার্কিন ডলার সংকট, স্থিতিশীল বিনিময় হার ও মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনতে নীতি পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন।
আলোচনায় উপস্থিত বিশ্লেষকেরা অভিমত দিয়েছেন, গার্মেন্টস সেক্টরে উচ্চ মজুরির জন্য শ্রমিক অসন্তোষও এই খাতের তৈরি পোশাক কারখানার মালিক ও নীতি নির্ধারকদের মাধ্যমে সমাধানযোগ্য।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে আইএমএফ
তবে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা মনে করেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আগামী নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমতের পরামর্শ দেওয়া ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা সম্পর্কে তাদের কিছু বলার নেই।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব অর্থনীতিকে বড় অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই পরিস্থিতির ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিণতি হতে পারে।
মনসুর বলেছেন, ‘কিন্তু এখন পর্যন্ত রাজনীতিবিদদের মনোভাবে নমনীয়তার কোনো লক্ষণ নেই। কয়েক দিনের জন্যও উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হলে, তা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। এটি মুদ্রাস্ফীতির চাপ, ডলারের সংকট ও কর্মসংস্থানের সুযোগের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান মনসুর বলেন, আমদানি-রপ্তানি, বেসরকারি খাতের ঋণ বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহ, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, রাজস্ব সংগ্রহ এবং অন্যান্য সব খাত এই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তারা জানায়, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মূল উৎস রপ্তানি খাত। প্রতি মাসে গড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আসে পণ্য রপ্তানি থেকে।
তারা আরও জানায়, গত অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অক্টোবরে পণ্য রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমেছে। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে পোশাক রপ্তানি কমেছে ১৩ শতাংশ। ২০২৩-২৪ সালের অক্টোবর মাসে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি আয় হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার কম।
আরও পড়ুন: আমদানি নিয়ন্ত্রণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, হরতাল-অবরোধে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। এতে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে অনেক জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা মনে করে যেভাবেই হোক রাজনৈতিক সমঝোতা হওয়া উচিত। সবাইকে দেশের অর্থনীতি ও স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান ইউএনবিকে বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব ও সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বাংলাদেশি পণ্যের ক্রেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
সময়মতো পণ্য হাতে না পাওয়ার অনিশ্চয়তার কারণে কিছু ক্রেতা ব্র্যান্ড রপ্তানির অর্ডার কমিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘ক্রেতারা উদ্বিগ্ন; তারা আমাদের পরিস্থিতি বুঝতে চায়। ঢাকায় ক্রেতা ফোরামের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক আয়োজনের অনুরোধ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, একদিনের হরতালে ৬ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
অবরোধের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতিও বিশাল। অবরোধ চলাকালে কিছু দোকানপাট খোলা থাকে, তবে ক্রেতা আসে গুটিকয়েক। বিক্রিতে দৈনিক পাঁচ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত লোকসান হতে পারে।
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে সমস্যার দ্রুত সমাধান এবং অর্থনীতিকে বাঁচাতে সমঝোতায় পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সবাইকে দেশের স্বার্থ সব কিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে।
কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন জানান, অবরোধে পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
বিক্ষোভের দিনগুলোতে বাজারে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে।
অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ ইউএনবিকে বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অর্থনীতির সব খাতে প্রভাব ফেলে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিতেই এর সমাধান করা উচিত।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে অর্থনীতিতে দ্বিগুণ আঘাত আনবে।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হচ্ছে, উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং অনিশ্চয়তার কারণে ক্রেতাদের আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। উৎপাদনে ব্যবহৃত মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি হ্রাসের প্রবণতা বেশ উদ্বেগজনক। মূলধন আমদানি হ্রাস মানে আউটপুট হ্রাস পাবে। এতে রপ্তানি আরও কমবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২০২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্বব্যাংক
বিভিন্ন আর্থিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস রপ্তানি খাত। কিন্তু এ খাত থেকেও আয় কমেছে।
পণ্য রপ্তানি থেকে মাসে গড়ে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়। কিন্তু গত অর্থবছর ২০২২-২৩ সালের একই মাসের তুলনায় অক্টোবরে পণ্য রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমেছে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। বিভিন্ন ধরনের তৈরি পোশাকের কাঁচামাল আমদানি ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ কমেছে।
পোশাক উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল তুলার আমদানি প্রায় ৩৯ শতাংশ কমেছে। সুতা, কাপড়সহ অন্যান্য কাঁচামালও প্রায় একই হারে কমেছে। পোশাক ছাড়া অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি ৩৬ শতাংশের বেশি কমেছে।
১ বছর আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না: জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর মতিঝিলের কাছে আরামবাগে জামায়াত আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জামায়াতে ইসলামী পূর্বানুমতি না থাকা সত্ত্বেও মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করতে অনড় ছিল। তবে পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে শাপলা চত্বরে যেতে পারেননি দলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে নটরডেম কলেজের সামনে থেকে দুপুর দুইটা ২০ মিনিটে র্যালিটি শুরু হয়।
জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে সমাবেশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর ছিল জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে হত্যার দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই। কিন্তু হত্যা করে নয়। বরং আমরা কুরআন ও সুন্নাহর আইন প্রয়োগ করে প্রতিশোধ নেব।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি দাবি করেন, শনিবারের সমাবেশে যাওয়ার পথে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জামায়াতের আমীরসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
জামায়াতের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে আরামবাগ এলাকা পার হতে পারেননি। কিন্তু তারা আরামবাগে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর আমীর নুরুল ইসলাম।
সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করে তিনি নেতা-কর্মীদের শাহজাহানপুর হয়ে কমলাপুর ত্যাগের নির্দেশ দেন।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, শামসুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
১ বছর আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত: কাদের
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোন দুঃখে পদত্যাগ করবেন? তত্ত্বাবধায়ককে আর ডাকবেন না। বিএনপি যে পথে চলছে, সেই পথ ভুল পথ। ব্যর্থ আন্দোলন করতে করতে বিএনপি এখন পতনের দিকে যাচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টেবর) সকালে ঢাকার তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে ১৫০টি সেতু ও ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন শেষে কাদের এসব কথা বলেন।
এই আওয়ামী লীগ নেতা তার বক্তব্যে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এই রূপান্তর বিশ্বের বিস্ময়। যা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃজনশীল নেতৃত্বের কল্যাণে। কিন্তু একটি দল দেশের এই উন্নয়ন নিয়ে বিষোদগার করে।
আরও পড়ুন: অবরোধ করলে বিএনপি অবরুদ্ধ হবে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, এদেশের উন্নয়ন, এদেশের অর্জন, এদেশের গণতন্ত্রকে যদি রক্ষা করতে চান, দেশকে ভালোবাসতে চান, তাহলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘তারা কি দেখে না যে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জি-টোয়েন্টিতে (শেখ হাসিনার সঙ্গে) এবং নিউইয়র্কেও ছবি তুলেছেন।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রওশন আরা মান্নান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শপথ
পাকিস্তানের প্রাক্তন সিনেটর আনোয়ার-উল-হক কাকার সোমবার (১৪ আগস্ট) দেশটির জাতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
পাকিস্তান যখন অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এমন এক সময় এ দায়িত্ব গ্রহণ করলেন কাকার।
রাজনীতিতে কাকার তুলনামূলকভাবে নতুন এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তিনি ২০১৮ সাল থেকে সিনেটে বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দেশটির রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি অনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্সি নামে পরিচিত সাদা মার্বেল প্রাসাদে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনা সভার আয়োজন
রবিবার বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির প্রধানের পদ এবং সিনেটর পদ থেকে পদত্যাগ করেন কাকার। ভোটের তত্ত্বাবধান এবং নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সরকারের দৈনন্দিন কার্যাবলী পরিচালনা করবেন তিনি। নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন নিয়োগ করা পাকিস্তানে স্বাভাবিক রীতি।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা।
পাকিস্তানের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় শপথ গ্রহণ করলেন। ১৯৪৭ সালে বিদায়ী ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে উপমহাদেশকে বিভক্ত করলে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে।
সোমবার দিনের শুরুতে রাজধানী ইসলামাবাদ এবং চারটি প্রাদেশিক রাজধানীতে তোপধ্বনির মাধ্যমে উৎসব শুরু হয়। স্বাধীনত দিবস উপলক্ষে রাজধানী ইসলামাবাদে দেশটির রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় পাকিস্তানের কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১ বছর আগে
আনোয়ার-উল-হক কাকার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত
পাকিস্তানের আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আনোয়ার-উল-হক কাকার। শনিবার (১২ আগস্ট) দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এর মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের কোনো সিনেটর জাতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দেবেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পর কাকারকে নির্বাচন করা হয়।
রিয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, তিনিই কাকারের নাম প্রস্তাব করেছিলেন।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি সই করার পর কাকারের মনোনয়ন কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মানার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত সপ্তাহে সংসদ ভেঙে দেন।
সাধারণত, সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই দেশের সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হয়।
কাকার পাকিস্তানের রাজনীতিতে তুলনামূলকভাবে নতুন মুখ। তিনি ২০১৮ সাল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিনেটে বেলুচিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং বর্তমানে বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির সদস্য।
বেলুচিস্তান পাকিস্তানের চারটির মধ্যে সর্বনিম্ন জনবহুল ও স্বল্পোন্নত প্রদেশ। কিন্তু আয়তনের দিক থেকে এটি দেশটির বৃহত্তম প্রদেশ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার
পাকিস্তানে সমাবেশে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত, আহত প্রায় ২০০
১ বছর আগে
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
নতুন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ২৮ জুলাই বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ জুলাই জেলা শহরগুলোতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করবে দলটি। এ ছাড়া আগামী ১ আগস্ট ঢাকায় সমাবেশ করবে বলে জানানো হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, দলের আমীর শফিকুর রহমানসহ আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দাবিতে সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: জামায়াত সম্পর্কে মার্কিন প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণের নিন্দা মানবাধিকার কর্মীদের
তিনি বলেন, একটি স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা জরুরি।
তিনি নির্বাচনী প্রার্থীদের আটকে রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মেনে সরকারের নির্বাচনের প্রস্তুতির সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ।
এ ছাড়া তিনি নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এমনভাবে প্রশাসনকে সাজানোর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বিশেষ করে সিলেট ও চট্টগ্রামে মিটিং ও মিছিল করার জন্য দলের “স্বাধীনতার অভাব” ছিল বলে অভিযোগ করেন জামায়াতের এ নেতা।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্যদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে আটক করা হচ্ছে।
দেশে বিগত নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনে সরকার প্রমাণ করেছে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডক্টর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আবদুর রহমান মুসা, সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সিলেটে সমাবেশের অনুমতি পায়নি জামায়াত
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত
১ বছর আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি। এর ফাঁক দিয়ে অজগর সাপ ঢুকে সব খেয়ে ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে এটি বাতিল করা হয়েছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করে। সারা পৃথিবীতে কেউ এতে সম্মতি দেয় না।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শনিবার (২২ জুলাই) সকালে কুমিল্লার টাউন হল মিলনায়তনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্থানীয় সরকার শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা (বিএনপি) চান যে, একটা দুর্যোগপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ। আপনারা ক্ষমতা চান, দেশের উন্নয়নের জন্য?
কিন্তু দুই দফায় ক্ষমতায় থেকে কী কী করেছেন আর আওয়ামী লীগ কী কী করেছে তা দেখেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ শান্তিপূর্ণ দেশ। এ দেশটাকে নষ্ট করার জন্য তারা চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি অশান্তি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে শিকার করতে চায়। বাংলাদেশ রক্ষা করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: তাজুল ইসলাম
১ বছর আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের প্রশ্নে কোনো আপস হবে না, লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে রাজপথে ফয়সালা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। তারা সকালে বলে এক কথা। বিকেলে বলে আরেক কথা।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
রবিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ জন্যই এই দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু। কিন্তু না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি জীবন্ত ইস্যু। সারাবিশ্ব চায় বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হোক।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল নয়, প্রকৃত পক্ষে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। তাই তারা নির্বাচন চায় না। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দেয় তারা সন্ত্রাসী ছাড়া আর কিছুই না। তাদের সঙ্গে ফয়সালা হবে রাজপথেই।
তিনি আরও বলেন, মানুষ ন্যায়বিচার পাবে, সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে, গরীব আরও গরীব হবে না, ধনী আরও ধনী হবে না, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমাদের স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছে। ৭১’ সালে যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ গড়েছিলাম সেই বাংলাদেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
১ বছর আগে