নাজমুন নাহার
বিশ্ব ভ্রমণে নাজমুনের ১৭৮ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৭৮টি দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন নাজমুন নাহার। ১৭৮তম দেশ হিসেবে পাপুয়া নিউগিনি ভ্রমণের মাধ্যমে এ রেকর্ড গড়েন তিনি। এছাড়া বিশ্বের প্রথম মুসলিম নারী হিসেবেও ১৭৮টি দেশ ভ্রমণের এ কীর্তি এখন তার দখলে।
পাপুয়া নিউগিনির উপপ্রধানমন্ত্রী জন রোসো এক বিশেষ সাক্ষাতে নাজমুন নাহারকে বিশ্ব ভ্রমণের এই বিরল রেকর্ড অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এছাড়া নাজমুন ১৭৭তম দেশ হিসেবে ভ্রমণ করেছেন সলোমান আইল্যান্ড। সলোমান আইল্যান্ডের জনপ্রিয় তাভুলী নিউজে বিখ্যাত সাংবাদিক জর্জিনা কেকেয়ার লেখা ফিচারে উঠে আসে নাজমুন নাহারের গৌরবময় বিশ্ব ভ্রমণের সংগ্রাম ও সাফল্যের কথা।
নাজমুন নাহার এভাবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা তুলে ধরছেন এবং বিশ্ব শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন মানুষের মাঝে। নাজমুন তার ভ্রমণের সময় বিশ্ব শান্তি, ঐক্য এবং পরিবেশ রক্ষার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন মানুষের মাঝে।
এই অভিযাত্রায় গত তিন মাস তিনি ভ্রমণ করেছেন ওশেনিয়া মহাদেশের ফিজি, টোঙ্গা, ভানুয়াতু, সলোমন আইল্যান্ড ও পাপুয়া নিউগিনি।
নাজমুন বলেন, ওশেনিয়ার সামুদ্রিক এসব দেশ ভ্রমণ অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবে ভূস্বর্গের অপরূপ রহস্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আবিষ্কার করেছি সেখানে।
তার বিশ্ব ভ্রমণের মাঝে তিনি বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন, তবুও তিনি দুর্গম পথ পেরিয়ে গিয়েছেন তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে।
ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন, সাহস, অধ্যবসায় ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি তাকে পৌঁছে দিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। তার বিশ্ব ভ্রমণের প্রবল ইচ্ছে শক্তির কাছে কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
২০০০ সালে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণ শুরু হয় নাজমুন নাহারের। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ব ভ্রমণ চলছে এবং তিনি ভ্রমণ করবেন বিশ্বের অবশিষ্ট দেশগুলো।
নাজমুন ২০১৮ সালের ১ জুন ১০০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেন জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের সীমান্তের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের উপর। ৬ অক্টোবর ২০২১ সালে ১৫০ তম দেশ হিসেবে "সাওটোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপ" ভ্রমণের মাধ্যমে ঐতিহাসিক মাইলফলক সৃষ্টি করেন। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে ১৭৫ দেশ ভ্রমণের আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করেন।
ছোট্টবেলা থেকে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও অদম্য স্বপ্ন আর চেষ্টা তাকে নিয়ে গেছে এতদূর। নাজমুন বেশিরভাগ দেশ ভ্রমণ করেছেন একাকী সড়কপথে।
২০০৬ সালে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে পাড়ি জমান সুইডেনে এবং সেখান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। নাজমুন তার অসাধারণ অভিযাত্রার মাঝে যেমন পৃথিবীকে দেখেছেন, তেমনি তিনি সব শিশু ও তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছেন সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে বড় করে স্বপ্ন দেখার।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বড় বড় গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে নাজমুন নাহারের বিশ্ব ভ্রমণের অভিযাত্রা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বড় বড় ব্যক্তিত্বরা তাকে সম্মাননা ও সংবর্ধনা দিয়েছে। পৃথিবী ভ্রমণের সময় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্য দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পিস টর্চ বিয়ারার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নাজমুন নাহার। এছাড়াও তার অর্জনের ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে ৫৫টির মতো পুরস্কার ও সম্মাননা।
বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরে জন্ম নিয়েছেন এই কৃতি নারী। বিশ্ব ভ্রমণের জন্য নাজমুন নাহারের জীবনের সবচেয়ে বড় উৎসাহের প্রতীক হলেন বাবা, দাদা ও বই।
তার দাদা আহমদ উল্লাহ একজন ইসলামিক স্কলার ছিলেন। ১৯২৬ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত আরব ভূখণ্ডের অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন ঘোড়ায় চড়ে, পায়ে হেঁটে ও জাহাজে করে। তিনি তার মাকে নিয়েও ভ্রমণ করেছেন পৃথিবীর ১৪টি দেশ।
নাজমুন নাহার লাল–সবুজের পতাকাবাহী তারকা। বিশ্বভ্রমণের ইতিহাসে দেশে দেশে বাংলাদেশের মানচিত্র স্থান পাচ্ছে নাজমুন নাহারের হাত ধরে।
নারীদের বাধা ডিঙিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আলোর পথ দেখিয়েছেন বেগম রোকেয়া, প্রীতিলতার মতো নক্ষত্ররা। নাজমুন আগামী প্রজন্মের জন্য এমন পথ সৃষ্টি করেছেন, যা শিশু-তরুণসহ সব মানুষকে উৎসাহিত করবে যুগে যুগে।
১ সপ্তাহ আগে
১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন নাজমুন নাহার। ভ্রমণে বাংলাদেশের পতাকাবাহী নাজমুন নাহার বিশ্ব মানচিত্রে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সকল বাধা-বিঘ্নকে অতিক্রম করে নারীর অগ্রযাত্রায় আজও যারা অবদান রাখছেন, তাদেরই একজন আমাদের গর্বিত নারী নাজমুন নাহার।
বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা হাতে যিনি পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ একাকী সড়ক পথে ভ্রমণ করেছেন। ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নাজমুন নাহার ১৬০ তম দেশ হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পূণ্যভূমি সৌদি আরবের মাটিতে পা রাখেন।
এরই মধ্যে তিনি দেশটির বিভিন্ন শহর যেমন- রিয়াদ, জেদ্দা ও মক্কা সফর করেন এবং ওমরাহ পালন করেন। তারপর নিজ দেশের মাটিতে ফিরে আসেন। তিনি বিশ্ব শান্তির বার্তা ও পরিবেশ সচেতনতায় তরুণ ও শিশুদেরকে উৎসাহিত করেন।
দেশে ফিরেই ২৪ শে ফেব্রুয়ারি রোটার্যাক্ট দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলনে নাজমুন নাহার দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৪৫০ জন প্রতিনিধির সামনে তার বিশ্ব ভ্রমণের সাহসিকতার গল্প তুলে ধরেন।
নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকাকে বহন করার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী তরুণদেরকে উৎসাহিত করার জন্য এই সম্মেলনে সকল প্রতিনিধিদের সামনে রোটেশিয়ার পক্ষ থেকে নাজমুন নাহারকে বিশেষ সম্মাননা ‘রোটেশিয়া লেজেন্ডস অ্যাওয়ার্ড’- দেয়া হয়।
বন- জঙ্গল, পর্বতমালা, মহাসমুদ্র, মরুভূমির লাখ লাখ মাইল একাকী পাড়ি দিয়ে আসা তার বিশ্বভ্রমণের এই অভিযাত্রাকে অভিনন্দিত করেন এশিয়া থেকে আসা সকল প্রতিনিধিরা।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন আয়োজিত 'মিট দ্য সেলিব্রেটি’- সেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে আসা তরুণ ডিবেটারদেরকে উৎসাহিত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেলেন বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার
১ বছর আগে
‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেলেন বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের ১৫৫ দেশে লাল সবুজের পতাকা বহনের কৃতিত্ব স্বরূপ ‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেয়েছেন নাজমুন নাহার। বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ড. আব্দুল্লাহ ফারুক কনফারেন্স হলে তাকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
'স্ট্রাগল টু সাকসেস' শিরোনামে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাকসেস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মো. মোশারফ হোসেন নাজমুন নাহারকে এই বিশেষ সম্মাননা ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। এসময় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এভারেস্ট বিজয়ী মুহিতসহ অন্যান্য সফল ব্যক্তিত্বরা এই সম্মাননাটি পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ড. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘নাজমুন নাহারের অবদান বাংলাদেশের জন্য সত্যিই গর্বের। তিনি স্ট্রাগল করে সাকসেস হয়েছেন। আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই। আমরা তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিদ্যাপীঠে সাকসেস ফাউন্ডেশন আয়োজিত সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রাপ্তির সম্মাননা ও গৌরবে ভূষিত করলাম।’
পড়ুন: ১৫৫ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
২ বছর আগে
১৫৫ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের পতাকা হাতে ১৫৫ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার।
বাংলাদেশের পতাকা হাতে ১৫৫তম দেশ হিসেবে তাজিকিস্তান সফর করেন তিনি। ২৯ মে ২০২২ এ নাজমুন নাহার তাজিকিস্তানে পামির মালভূমির 'পৃথিবীর ছাদে' বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ১৫৫ দেশ ভ্রমণের এই ইতিহাস গড়ছেন। তার সাথে ছিল বিশ্ব শান্তির বার্তা।
স্বপ্ন আর সাহস কখনো মানুষকে থামিয়ে রাখতে পারে না-তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন নাজমুন নাহার। লড়াকু সৈনিক নাজমুন লাল সবুজের পতাকা নিয়ে পৃথিবী ভ্রমণ করছেন গত ২১ বছর ধরে। পৃথিবী ভ্রমণের সময় বহুবার মৃত্যুমুখে পতিত হয়েও সকল বাঁধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলছেন নাজমুন।
নাজমুন নাহার ৬ অক্টোবর ২০২১ বাংলাদেশের পতাকা হাতে বিশ্বের প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে বিশ্বভ্রমণের এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক সৃষ্টি করেন আফ্রিকার দেশ সাওটোমে ও প্রিন্সিপ ভ্রমণের মাধ্যমে। তারপর ২০২২ এর শুরুর দিকে তিনি আবার বেরিয়ে পড়েন আফ্রিকা, ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার নতুন দেশ সফরের জন্য। তারুণ্যের এই অগ্রপথিক নাজমুন নাহার এবার অভিযাত্রা করেছেন ইরাক, সান মারিনো, মরিশাস, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান পর্যন্ত। বেঙ্গল এয়ারলিফটের সিস্টার কনসার্ন বেঙ্গল ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস লিমিটেডের সৌজন্যে তিনি এই পাঁচটি দেশ ভ্রমণ করেন। ইতিপূর্বে তিনি প্যারাগন বাংলাদেশের সৌজন্যে আফ্রিকার পাঁচটি দেশ সফর করেছেন।
তার পুরো বিশ্বভ্রমণ অনেক অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর। এবারের পাঁচটি দেশ তিনি পুরোপুরি ভিন্ন রুটে ভ্রমণ করেছেন। উজবেকিস্থান ও তাজিকিস্তানের পৃথিবীখ্যাত সিল্করুট ভ্রমণ করেছেন নাজমুন। এছাড়া উজবেকিস্তানের তাশখন্দ, সমরখন্দ, বুখারা শহরের মতো বিখ্যাত ঐতিহাসিক শহরগুলো তিনি ভ্রমণ করেছেন।
তাজিকিস্তান ও আফগানিস্তান পামির করিডোরের পৃথিবীর ছাদের ভয়ঙ্কর এক হাজার কিলোমিটার টানা সড়ক পথে দুর্গম পথে বেয়ে ভ্রমণ করেছেন। এরই মধ্যে পামিরের রাজধানী খরোগসহ পৃথিবীর ছাদের মুরগাব, ইশকাশিম, ওয়াকাহান মত পামিরের ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভ্রমণ করেন- যা পৃথিবীর ছাদের অংশজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে।
পড়ুন: নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
২ বছর আগে
নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
বাংলাদেশের পতাকাবাহী সর্বাধিক রাষ্ট্র ভ্রমণকারী প্রথম বাংলাদেশি নাজমুন নাহার এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেশে-বিদেশে তিনটি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
তিনি লন্ডনে স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশে উইমেন ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ড ও ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
৬ মার্চ লন্ডনে রয়েল রিজেন্সি কনভেনশন হলে নোয়াখালী উৎসবের এক আয়োজনে বিলেতে প্রবাসী নোয়াখালী বাসীর পক্ষ থেকে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস ও বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে নাজমুন নাহারকে দেয়া হয় 'স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ‘পিস রানার অ্যাওয়ার্ড' পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশে রিয়াল হিরোস এক্সপো এন্ড কমিউনিকেশন আয়োজিত আইসিসিবি কনভেনশন হলে মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে বাংলাদেশ উইমেন ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন নাজমুন নাহারের বড় বোন কামরুন নাহার।
একই দিনে ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পান নাজমুন নাহার। ই- ক্লাব(অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব বাংলাদেশ) আয়োজিত গ্রীন হাউজ কনভেনশন হলে নেপালের রাষ্ট্রদূত কুমার রাজ এর হাত থেকে ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন তাঁর বড় বোন জোবায়দাতুন নাহার।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নাজমুন নাহার বিশ্বের ১৫২টি দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন।
ইতোপূর্বে তিনি 'পিস টর্চ বিয়ারার অ্যাওয়ার্ড' অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা,পিস রানার অ্যাওয়ার্ড, বিদ্রোহী নারী সম্মাননা, মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড, গেম চেঞ্জার অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল উইমেন অব বাংলাদেশ, গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা, জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, তিন বাংলা সম্মাননা ও রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ডসহ দেশে-বিদেশে মোট ৫০টির মতো সম্মাননা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বভ্রমণে ৫ দেশের জন্য বেঙ্গল এয়ারলিফট গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নাজমুন নাহার
২ বছর আগে
বিশ্বভ্রমণে ৫ দেশের জন্য বেঙ্গল এয়ারলিফট গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নাজমুন নাহার
বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পতাকাবাহী পরিব্রাজক নাজমুন নাহার এরই মধ্যে ১৫০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। অতি শিগগিরই আবারও বাংলাদেশের পতাকা হাতে শান্তির বার্তা নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে। এই অভিযাত্রার পরবর্তী পাঁচটি দেশ ভ্রমণে নাজমুন নাহারের পাশে থাকবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান ‘বেঙ্গল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লিঃ’।
গত ২৩ ডিসেম্বর ‘পতাকা কন্যা’খ্যাত নাজমুন নাহার-এর সঙ্গে বেঙ্গল এয়ারলিফট্ গ্রুপ-এর প্রতিষ্ঠানটির একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয় ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাজমুন নাহারসহ বেঙ্গল এয়ারলিফট্ গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আরিফ রহমান ও নির্বাহী পরিচালক জনাব বাহাউদ্দিন মিয়া সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: নেপাল ভ্রমণ: শত বছরের তীর্থস্থান ঘুরতে হিমালয়ের দেশে
নাজমুন নাহার গত ২১ বছর ধরে বেশিরভাগ দেশেই সড়কপথে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা হাতে বিশ্ব শান্তির বার্তা পৌঁছাতে এ পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় ১৫০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি ভূষিত হয়েছেন আন্তর্জাতিক ‘পিস টর্চ অ্যাওয়ার্ড’পদকে। তিনি পেয়েছেন ‘ডটার অব দ্য আর্থ’ উপাধিও। ইতোমধ্যে কোটি- কোটি মানুষের হৃদয়ে সাড়া জাগিয়েছেন এই নারী পরিব্রাজক! শুধু তাই নয় পৃথিবীব্যাপী তিনি পেয়েছেন ব্যাপক পরিচিতি, ভূষিত হয়েছেন বহু সম্মাননায়।
সারা বিশ্বে শান্তি ও পরিবেশ রক্ষায় নাজমুন নাহারের এই আন্তরিক উদ্যোগ ও অভিযাত্রাকে আরও বেগবান করার প্রয়াসে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লিমিটেড তার আগামী পাঁচটি দেশ ভ্রমণে সহযোগিতা করবে। তার যাত্রা শুরু হবে ইরাক হয়ে সিরিয়া, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান পর্যন্ত। বেঙ্গল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লিঃ এর ব্যানারে নাজমুন নাহার এই পাঁচটি দেশ ভ্রমনে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি বহন করবে বিশ্ব-শান্তির বার্তা- ‘No war, Only Peace / Save the Planet / Stop child marriage /and Stop cyberbullying ’
তার এই মহান অভিযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে আরও গৌরবান্বিত হবে এটাই বেঙ্গল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লিঃ এর একমাত্র প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর ভ্রমণ: সাগরের উপকন্ঠে অভিজাত উদ্যাননগরী
সাজেক ভ্রমণ: ঘুরে আসুন মেঘে ঢাকা স্বর্গে
২ বছর আগে
‘পিস রানার অ্যাওয়ার্ড' পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার ‘পিস রানার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। ২৭ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির গেলর্ডে অনুষ্ঠিত ৩৫তম ‘ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনস অব নর্থ আমেরিকা’ (ফোবানা) সম্মেলনে তাকে এই বিশেষ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
এর আগে চলতি বছরের ৬ অক্টোবর নাজমুন নাহার বিশ্বের ১৫০তম দেশ ‘সাওটোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপ' ভ্রমণের মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক সৃষ্টি করেন। নাজমুন বিশ্বের প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ১৫০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশের পতাকা হাতে ও বিশ্বশান্তির বার্তা নিয়ে।
২০০০ সলে ভারতের ভুপালের পাঁচমারিতে 'ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল এডভেঞ্চার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে নাজমুন নাহারের প্রথম বিশ্ব ভ্রমণের সূচনা হয়। ১ জুন ২০১৮ সালে নাজমুন ১০০ তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেন জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের সীমান্তের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের উপর।
নাজমুন বেশির ভাগ দেশ ভ্রমণ করেছেন সড়কপথে, কঠিন দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি, বহুবার মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। বহু প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হয়েও তিনি থামেননি, লাল-সবুজের পতাকা হাতে পৃথিবীতে উদ্যত বহমান চলছে তাঁর বিশ্বভ্রমণ।
আরও পড়ুন: নাজমুন নাহার: পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পরিব্রাজক
৩ বছর আগে
নাজমুন নাহার: পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পরিব্রাজক
২০২১ এর ৬ অক্টোবর মধ্য আফ্রিকার সাওটোমে ও প্রিন্সিপে নামক দ্বীপদেশে পদচিহ্ন রাখার মাধ্যমে নিজের ভ্রমণ তালিকায় ১৫০টি দেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করলেন বাংলাদেশের মেয়ে নাজমুন নাহার। এই বিশ্ব রেকর্ডটি করতে তার সময় লেগেছে ২১ বছর। বাংলাদেশের বয়স অর্ধশত বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই এমন একটি অবিস্মরণীয় গৌরব উপহার দিলেন এই পরিব্রাজক। এক কথায় তার ব্যাপারে বলতে গেলে বলতে হয়, সেই ছোট্টবেলায় পাঠ্যবইয়ে পড়া বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সংকল্প’ কবিতার জীবন্ত রূপ নাজমুন নাহার।
তার ভ্রমণের গল্পকে কেন্দ্র করেই এই ফিচার।
বাংলাদেশি পরিব্রাজক নাজমুন নাহার-এর ব্যক্তিগত জীবন
চট্টগ্রাম বিভাগের লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন নাজমুন নাহার। বাবা মোহাম্মদ আমিন পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। মা তাহেরা আমিন ১৪টি দেশে মেয়ের ভ্রমণসঙ্গী হয়েছেন। আট ভাইবোনদের মধ্যে নাজমুন সর্বকনিষ্ঠ। পরিবারের লোকদের নিকট তিনি সোহাগী নামে পরিচিত।
মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শেষ করেন লক্ষ্মীপুর জেলা সদরেই। রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পর্ব শেষ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তারপর কিছুদিন একটি বিনোদন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ২০০৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে পাড়ি জমান সুইডেনে। সেখানে লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এশিয়ান স্টাডিজের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়া তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার ও এশিয়া বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের ঢল
কর্মজীবনে তিনি সুইডেনের সুইডওয়াচসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণা প্রকল্পগুলোতে গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া শিক্ষাজীবনে ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ গার্ল্স গাইড এ্যাসোসিয়েশনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ছিলেন।
অবিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী পরিদর্শনের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে একাই এগিয়ে যাচ্ছেন নিজ গন্তব্যে। এরই সুবাদে সঞ্চিত অভিজ্ঞতার আলোকে বই লেখার মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মকে দীক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।
নাজমুন নাহার-এর বিশ্ব পরিব্রাজক হয়ে ওঠা
দাদা ইসলামী পন্ডিত আলহাজ্ব আহমেদ উল্লাহ একজন পরিব্রাজকও ছিলেন। তার মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণের গল্প অবাক হয়ে শুনতেন নাজমুন নাহার। স্কুলে পড়ার সময় সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রমণবিষয়ক লেখাগুলো সহ দেশ-বিদেশের ভ্রমণের বইগুলো থেকে তার মনে বিশ্ব ঘুরে দেখার স্বপ্ন দানা বাধতে শুরু করে।
এর পাশাপাশি অনুপ্রেরণা এসেছে বাবা ও ভাইবোনদের কাছ থেকে। ফলে কৈশোর থেকেই নিজের মেধা বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আর এই মেধাই তাকে সুযোগ করে দিয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গা ঘোরার।
আরও পড়ুন: দেশে অবকাশে থাকার শীর্ষ ৩ জায়গা
দেশের বাইরে প্রথম পা রাখার সুযোগটি আসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন। বাংলাদেশ গার্ল্স গাইড এ্যাসোসিয়েশন থেকে তারই নেতৃত্বে একটি টিম পাঠানো হয় ভারতে একটি আন্তর্জাতিক অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে। মধ্যপ্রদেশের পাঁচমারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বের ৮০টি গার্ল্স গাইড এ্যাসোসিয়েশন ও স্কাউটদের এই সম্মেলনটি।
পার্ট-টাইম চাকরি থেকে প্রয়োজনীয় খরচ বাদে যা সঞ্চয় হোতো তা নিয়েই বেরিয়ে পড়তেন নতুন কোন দেশ ভ্রমণে। এই সঞ্চয়ের সময়টাতেও তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। কোন কোন দিনে ১৭ থেকে ১৮ ঘণ্টা টানা কাজ করেছেন। সব সময় নখদর্পণে রাখতেন স্বল্প খরচে বিদেশ যাত্রা ও সেখানে থাকা-খাওয়ার ব্যাপারগুলো।
সুইডেনে উচ্চশিক্ষার সময় এভাবেই কয়েক মাসের জমানো টাকা নিয়ে জাহাজে করে চলে গিয়েছিলেন ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড। আর এরপর থেকেই শুরু হয়ে যায় তার নিয়মিত দেশ ভ্রমণ।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছে কাশফুলের খোঁজে: গন্তব্য যখন শরতের শ্বেতশুভ্র স্বর্গ
৩ বছর আগে