অপহরণকারী
২৫ দিন পর নিখোঁজ তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার: অপহরণকারী দলের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহৃত হওয়া তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। বুধবার (২৪ মে) টেকনাফ হাবিবছড়া গাহীন পাহাড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- ছৈয়দ হোসন ওরফে সোনালী ডাকাত (৩৫) ও এমরুল।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা ১২ টার দিকে র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
তিনি জানান, তারা তিন বন্ধু মিলে টেকনাফ পাত্রী দেখতে গেলে গাড়ি থামিয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। পরে তাদের পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
ভুক্তভোগী পরিবার বিষয়টি র্যাবকে অবগত করলে অভিযানে নামে র্যাব। র্যাব তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী টেকনাফ দমদমিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো ছিল অর্ধগলিত। এছাড়া তিন বন্ধুর লাশ নিশ্চিহ্ন করতে অপহরণকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, লাশগুলো যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে মানুষের সমাগম নেই। ডাকাত দলের লোকজন বারবার সিম পরিবর্তন করার কারণে তাদের শনাক্ত করতে সময় লেগেছে।
র্যাবের অধিনায়ক জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন যে তারা দীর্ঘদিন ধরে এই কাজে জড়িত। বিত্তশালীদের টার্গেট করে এসব অপহরণ করতেন। দিনে এই চক্রের সদস্যরা লোকালয়ে এসে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে থাকতো, আর রাতে পাহাড়ে গিয়ে অপহৃতদের নির্যাতন করতো। যারা টাকা দিতে ব্যর্থ হয়তাদের খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখা হতো।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২৫ দিন পর নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১, উদ্ধার ১৩
১ বছর আগে
টেকনাফে পাহাড় থেকে অপহরণকারী ও ডাকাতদলের প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৬
কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড় থেকে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ ও ডাকাতির অন্যতম হোতা ছালেহ বাহিনীর প্রধানসহ ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব -১৫।
শনিবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি টেকনাফে অপহরণের প্রবণতা বেড়েছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এটি জানতে পেরে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করি। আমাদের কাছে খবর আসে সালেহ বাহিনী অপহরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা গৃহহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচলনা করি। এসময় সালেহ বাহিনীর প্রধানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, দেশীয় তৈরি ৩টি একনলা বড় বন্দুক, ২টি একনলা মাঝারি বন্দুক, ৬টি একনলা ছোট বন্দুকসহ মোট ১১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ২টি ছুরি ও ৬টি দেশীয় দা উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
আরও পড়ুন: দুইদিনের ব্যবধানে টেকনাফে ৭ জন অপহরণ
গ্রেপ্তারেরা হলেন-ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাত, নুরুল আলম নূরু, আক্তার কামাল সোহেল, নুরুল আলম লালু, হারুনুর রশিদ ও এরিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন যে টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাতের সরাসরি নেতৃত্বে এই চক্রটি অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাব এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
১ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে মুক্তিপণের টাকাসহ ‘অপহরণকারী’ গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মুক্তিপণের ৩০ হাজার টাকাসহ ‘অপহরণকারী’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ভুক্তভোগী দিপু মোল্লা (৩২) একজন মুদী ব্যবসায়ী।
গ্রেপ্তার মো. সজিব মিয়া (৪০) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার পাঁচরুখী এলাকার মো. বাবু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: খুলনায় রহিমা ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৬
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পাচরুখী এলাকায় টহল দেয়ার সময় ওই এলাকা থেকে ভুক্তভোগী দিপু মোল্লা ও মুক্তিপনের ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এসময় তারা অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সজিব মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
এতে আরও বলা হয়, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১০/১২ দিন গ্রেপ্তার আসামি নিজেকে চাল ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে তার গোডাউনে থাকা চাল স্বল্পমূল্যে ভুক্তভোগীর কাছে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে একটি প্রাইভেটকারে করে আড়াইহাজার থানার পাচরুখী সাকিনস্থ কালীবাড়ী রোডের একটি বাড়িতে এনে আটক করে রাখে। এসময় ভুক্তভোগীকে মারপিট করে ও মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ভুক্তভোগীর মোবাইল থেকে তার মায়ের কাছে ফোন দিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তখন ভুক্তভোগীর মা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পাচরুখী ভূইয়া পাড়া কালীবাড়ী রোডের বালুর মাঠে উপস্থিত হলে অপহরণকারী টাকা নিতে আসলে র্যাব মুক্তিপণের ৩০ হাজার টাকাসহ অপহরণকারী সজিব মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া তার অপর সহযোগী পালিয়ে যাওয়ায় র্যাব-১১ কর্তৃক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করার কার্যক্রম চলমান আছে।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
গাজীপুরে মাদরাসাছাত্রকে যৌন নিযার্তনের অভিযোগে ৪ শিক্ষক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
কক্সবাজারে ২ ‘অপহরণকারী’ আটক, ভুক্তভোগী উদ্ধার
কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোন এলাকা থেকে দুজন অপহরণকারীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) সদস্যরা। এসময় মো. হাবিবুল্লাহ (৫৫) নামে একজন ভুক্তভোগী উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকাল পৌনে ১১টায় র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহাকরী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে তাঁতী লীগের সভাপতি আটক
আটকরা হলেন, মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের দিনেশপুর এলাকার মো. নাসিমের ছেলে মো. ইকবাল হাসান (৩২) ও সদরের পাহাড়তলী এলাকার মো. নুরুল হকের ছেলে মো. রাশেদুল হক (৩৪)।
র্যাব জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোন এলাকা থেকে র্যাবের একটি দল একজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কয়েকজন সহযোগী পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২ নেপালি নাগরিক আটক
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে, তারা ১৪ নভেম্বর মাগরিবের নামাজের পর ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে সুগন্ধা বিচ পয়েন্ট সংলগ্ন হোটেল-মোটেল জোনে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে, অন্যথায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
আটকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
২ বছর আগে
মোবাইলে মেসেজে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, আটক ২
নওগাঁয় অপহরণের পর পুলিশ সুপারের মোবাইলে মেসেজ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি সদস্যরা। এসময় অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকিকে আটক করতে না পারলেও তারা বাবা-মাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
বুধবার সকালে জেলা ডিবির কার্যালয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
উদ্ধার কিশোরীর বাড়ি জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯: জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন, কিশোরী উদ্ধার
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকির সাথে পরিচয় হয়। তারপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে রকি বিভিন্ন ছেলেকে ডেকে এনে জিম্মি করতে বললে ওই কিশোরী রাজি হয় না। এরই এক পর্যায়ে চলতি মাসের ৩ অক্টোবর বিকালে মেস থেকে বাড়ির উদ্দেশে বের হলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার কদমতলী এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান রকি ওই কিশোরীকে অপহরণ করে সদর উপজেলার গাংজোয়ারতার নিজ বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর তাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে রেখে ৯ দিন ধরে একাধিকবার ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতন চালায়। গতকাল রাতে ওই কিশোরী অপহরণকারী মাহমুদুল হাসান রকির মোবাইল থেকে পুলিশ সুপারের মোবাইল মেসেজ করে তাকে উদ্ধারের কথা জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: ৩ যুবক গ্রেপ্তার
এরপর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার সার্বিক দিক নির্দেশনায় রাতেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এসময় অপহরণকারী মাহমুদুল হাসান রকি পালিয়ে যায়। তবে মাহমুদুল হাসান রকির বাবা মোজাম্মেল হক এবং মা তাছলিমা বেগমকে আটক করা হয়। আটকের পর মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামসুদ্দিনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে