পেঁয়াজের দাম
ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পরেই সোমবার (২১ আগস্ট) খুলনার বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
বর্তমানে খুলনার বাজরগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, রবিবার (২০ আগস্ট) ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা অথচ শনিবার (১৯ আগস্ট) দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ একদিনে বাজার ও আকার ভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
নগরীর ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের ব্যবসায়ী সুজন ও কাওসার বলেন, বাজারে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। তবুও পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশিতে পেঁয়াজ কিনেছি। ফলে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
আমদানিকারকরা জানান, পেঁয়াজ আমদানিতে বাংলাদেশকে এতদিন কোনো শুল্ক দিতে হতো না। ১৯ আগস্ট পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় ভারত। দেশটির বাজারে পেঁয়াজের দামের নাগাল টানতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয়। এটি ২০ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
সর্বশেষ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে ৩৮ থেকে ৪৬ টাকা খরচ হতো। শুল্ক আরপের পর প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ ৫৩ থেকে ৬৫ টাকায় পৌঁছাবে।
খুলনার দৌলতপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬২ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
ক্রেতারা জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমদানি শুল্কের অজুহাতে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ মজুদ হতে পারে। ফলে দাম আবারও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, এ বিষয়টি আমাদের নজরদারীতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বপ্নতে আলু, পেঁয়াজ ও চিনিতে বিশেষ ছাড়
১ বছর আগে
হিলির আড়তগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আড়তগুলোতে কয়েকদিন থেকে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই ২/১ টাকা করে বেড়ে শুক্রবার দুপুরে বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪০ টাকা দরে। কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে অন্তত ১০-১২ টাকা।
সর্বশেষ গত সোমবার ২৬-২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি।
দীর্ঘদিন ধরে দাম স্থিতিশীল থাকার পর আবারও অস্থির হয়ে উঠছে পেঁয়াজের বাজার। হঠাৎ করে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ ভোক্তারা।
জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকাগুলোতে সাম্প্রতিক বন্যা হওয়ায় আবাদ ব্যাহত হয়েছে। ফলে সেখানে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়ায় চাহিদা মত পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কেজিতে ৮-১০ টাকা করে ভারতের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজের প্রচুর চাহিদা। তাই সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বেশি দাম দিয়ে আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে। তবে বন্দর দিয়ে আগের চেয়ে পেঁয়াজের আমদানি কম হচ্ছে। আরও দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা এই ব্যবসায়ীর।
আরেক আমদানিকারক রেজাউল ইসলাম জানান, ভারত থেকে আমদানি কম হওয়ায় দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে দাম বাড়তে আছে। ভারতে নতুন পেঁয়াজ না উঠা পর্যন্ত দাম আরও বাড়তে পারে। এখন থেকে সরকারকে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দামের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা গত তিনদিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৬-২৮ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার কাছে।
আরও পড়ুন: ৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
২ বছর আগে
হিলিতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও কমছে না পেঁয়াজের দাম। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন থেকেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণের দাম। এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের বাজার এমনই থাকবে। ঈদে দাম বাড়ার কারণ দেখছেন না তারা। গত রবিবারের পর থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত বন্দরের মোকামে পাইকারীতে প্রতি কেজিতে ৬-৭ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪ টাকায়।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মঙ্গলবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতীয় ৫৪টি ট্রাকে প্রায় হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আমদানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রথম পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে সফল তড়িৎ বিশ্বাস
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, ভারতের নাসিকসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আগের চেয়ে বেশি আমদানি করা হচ্ছে। গত ৫-৬ দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ২৪-২৬ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু গত ৩-৪ দিন থেকে হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবং বৃষ্টি হওয়ায় দাম একটু বাড়তির দিকে। ফলে গত বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার বন্দরের মোকামে প্রকার ভেদে পাইকারী বিক্রি হয়েছে ৩২-৩৪ টাকায়।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও নাজমুল হোসেন জানান, দ্বিতীয় ধাপে করোনা বেড়ে যাওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। একারণে সময় কম হওয়ায় চাহিদা মত পেঁয়াজের ট্রাক ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা কম হওয়ার কারণে বাজারে চাহিদা বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় দাম বেড়ে যাচ্ছে।
তারা আরও জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সকালের দিকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করলে চাহিদা মত পেঁয়াজ দেশে আমদানি করা যেত। তাতে আসন্ন কোরবানির ঈদে বাজারে পর্যাপ্ত ভারতীয় পেঁয়াজের যোগান দেয়া যাবে। ভোক্তারা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবে। তাহলে ঈদে দাম বাড়বে না।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের পেঁয়াজের বাজারে হঠাৎ দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি
বন্দরে পাইকারী পেঁয়াজ কিনতে আসা ঢাকার কারওয়ান বাজারের আব্দুল লতিফ জানান, আমরা এখান থেকে পেঁয়াজ পাইকারী দরে কিনে ঢাকার বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করে থাকি। ৪-৫দিন আগে ২৬-২৭ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ শুক্রবার মোকামে সেই পেঁয়াজ কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। জানি না কোরবানির ঈদে আরও কত বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়?
এদিকে বন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ২৫টি ট্রাকে ৬২৬ মেট্রিক টন, গত বুধবার ১৬টি ট্রাকে ৪১৮ মেট্রিক টন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩টি ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
হিলি (দিনাজপুর), ২৯ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারির পর দেশের বাজারে নিত্যপ্রেয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল।
৩ বছর আগে
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার বোঝা ক্রেতার ঘাড়ে
পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ২৫-৩৫ টাকা কমলেও, খুচরা পর্যায়ে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
৪ বছর আগে
‘সরকারি দলের সিন্ডিকেট’ পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে: বিএনপি
বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ‘সরকারি দলের সিন্ডিকেটই’ পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে বলে বুধবার অভিযোগ করেছে বিএনপি।
৪ বছর আগে
বাগেরহাটে ৬০ টাকা কেজির পেঁয়াজ এখন ৯৫
বাগেরহাটে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
৪ বছর আগে
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত
দেশের বাজারে যখন পেঁয়াজের মূল্য বেড়েই চলেছে ঠিক তখনই পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ হয়ে গেল ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি।
৪ বছর আগে
ঢাকায় এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮০ শতাংশ
সরবরাহ সংকটের কারণে রাজধানী ঢাকার কাঁচাবাজারে গত বছরের তুলনায় গড়ে ৮০ শতাংশ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
৪ বছর আগে
আগামীতে পেঁয়াজের সংকট হবে না, আশ্বাস কৃষিমন্ত্রীর
পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষকে অনেক ভুগতে হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্বীকার করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। সেই সাথে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে আগামীতে এ সমস্যা আর হবে না।
৪ বছর আগে