পেঁয়াজের দাম
ফরিদপুরের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ
ফরিদপুরে গত ১০ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দর মণপ্রতি হাজার টাকা বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। এদিকে, পাইকারি বাজারে দর বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে ভোক্তা পর্যায়ে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শাহেদুজ্জামান বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর। মৌসুমে এ জেলার ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল যা থেকে ৬ লাখ ৭৭ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। মৌসুমের সময় এক থেকে দেড় হাজার টাকা মনপ্রতি দর পেয়েছিলেন চাষিরা। তখন তাদের দাবি ছিল, উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দর পেলে তারা লাভবান হতে পারেন।
তবে, হঠাৎ করেই গত দশ দিনের ব্যবধানে দেড় হাজার টাকার পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা দরে, খুচরা বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের এই দরবৃদ্ধির কারণ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ করে কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। পাইকাররা বলছেন, চলতি মৌসুমে জেলা চাষিরা পাট নিয়ে ব্যস্ত সময়ে পার করায় বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ করছে কম। এতেই এই পণ্যটির চাহিদার বিপরীতে সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারি গুদামে রেকর্ড মজুত, বোরোতে সর্বোচ্চ ধান-চাল সংগ্রহের আশা
ফরিদপুরের কানাইপুরের ব্যবসায়ী তপন কুমার বলেন, ‘বর্তমানের বাইরের (বিদেশি) পেঁয়াজের আমদানি নেই। এ ছাড়া দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ তুলনামুলক কম থাকায় চাহিদার সঙ্গে মিলছে না। এ কারণেই দর বেড়েছে।’
১১৯ দিন আগে
দাম কমে যাওয়ায় ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষিরা বিপাকে
পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা ফরিদপুরের চাষিরা। জেলার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০০ টাকায়। তবে চাষিরা বলছেন, অন্তত ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দর না পেলে লাভ তো দূরের কথা, পুঁজি তোলা কষ্টকর হয়ে যাবে।
রবিবার (২২ জুন) সকালে সালথা উপজেলার ঠেনঠেনিয়া পেঁয়াজ বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ছয়টা থেকেই ভ্যান, নসিমন ও অটোরিকশাযোগে, কিংবা মাথায় বস্তা, ধামা বা ঝুড়িতে পেঁয়াজ নিয়ে হাটে আসছেন চাষিরা। হাটে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকাররাও দরদাম করে পেঁয়াজ কিনছেন। সপ্তাহে রবি ও বুধবার বসা এই হাট চলে দুপুর পর্যন্ত।
হাটে মানভেদে প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম উঠছিল দেড় হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত। জেলা শহর ও আশপাশের বাজারগুলোতেও একই চিত্র।
আরও পড়ুন: বৈচিত্র্যময় আমে সয়লাব নাটোরের হাটবাজার, দামও নাগালের মধ্যে
চাষিরা জানান, পেঁয়াজ উৎপাদনে তুলনামূলকভাবে ব্যয় বেড়েছে, কিন্তু সেই হারে দর বাড়েনি। এ মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদও বেশি হয়েছে।
১৬৫ দিন আগে
খুলনায় লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, তদারকির ঘাটতির অভিযোগ
রমজানে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ করে ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে, যার প্রভাব ইতোমধ্যে খুলনার বাজারে পড়তে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগের ৩০-৩৫ টাকার পেঁয়াজ এখন খুলনার পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে। নগরীর পাইকারি বাজার ঘুরে সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ টাকায়। শনিবার ( ১৯ এপ্রিল) দিনজুড়ে নগরীর পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। তদারকির ঘাটতিতে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।
হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাড়তি দামের কারণ হিসাবে জানা গেছে, বাজারে সরবরাহের জন্য কৃষকের কাছ থেকে যারা সরাসরি পেঁয়াজ কেনেন, তারা সেই পেঁয়াজ বাজারে না ছেড়ে অবৈধভাবে মজুত শুরু করেছেন। ওই চক্রটি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের অজুহাত সামনে এনে বাজারে অস্থিরতার পাঁয়তারা করছে। এমন অজুহাতে পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজের অবৈধ মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
খুলনার বাজারে পেঁয়াজের এমন দামের পরিবর্তনে ক্রেতা সাধারণ দিশেহারা এবং সামনে আরও দাম বৃদ্ধির ব্যাপারেও শঙ্কিত। পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে দাম বৃদ্ধির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি ও সামনে আরও দাম বাড়তে পারে এমন শঙ্কায় অধিকাংশ ভোক্তারা বাড়িতে পেঁয়াজ মজুত করছেন। যে কারণে স্বাভাবিক কেনাবেচার তুলনায় বর্তমানে নগরীর বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেশ বেড়েছে। এমন বাস্তবতায় পেঁয়াজের বাজার রমজানের মতো সহনীয় রাখতে সাধারণ ভোক্তারা সংশ্লিষ্টদের প্রতি অবৈধ মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত বাজার তদারকির দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা সূত্র থেকে জানা গেছে, পেঁয়াজের দাম কারা বাড়িয়েছে, তা চিহ্নিত করে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: মোংলা-চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে চালু হচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল
শনিবার (১৯ এপ্রিল) খুলনা নগরীর পাইকারী পেঁয়াজের বাজার ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে খুলনায় ঝিনাইদহের শৈলকূপা, লাঙ্গলবাঁধ, ফরিদপুর রাজবাড়ীর পানশা, কুষ্টিয়ার কুমারখালি, পানথি, চৌরঙ্গী, রাশগ্রাম, শ্মশান, চাঁকমোহড়া, হাজিরহাটসহ বিভিন্ন হাট ও মোকাম থেতে বাজারে সরবরাহের জন্য কৃষকের কাছ থেকে যারা সরাসরি পেঁয়াজ কেনেন, তারা সেই পেঁয়াজ বাজারে না ছেড়ে অবৈধভাবে মজুত শুরু করেছেন। পাশাপাশি বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহের জন্য পাইকাররা পেঁয়াজের যে দাম বলছেন, তারা (মজুতকারী) কয়েক মাস পর বাড়তি দামে ওই পেঁয়াজ বিক্রির হিসাব ধরে বাড়তি দামে কিনছেন। যে কারণে মোকামে বা হাটে পেঁয়াজের দামে বর্তমানে ঊর্ধ্বগতি। তারা (ব্যাপারীরা) বলছেন, যদি পেঁয়াজের অবৈধ মজুত বন্ধ করা যায়, তবে দাম আগের মতোই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বর্তমানে মোকামে প্রতি মন পেঁয়াজ কেনা লাগছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা দরে। সে হিসাবে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়ে ৪৫-৪৭ টাকা। এরপর পাইকারি ঘর পর্যন্ত পৌঁচ্ছাতে খরচ রয়েছে। সামান্য লাভে তো বিক্রি করতেই হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের আগুনের কারণ না জানাতে পারলেও ১৮ সুপারিশ কমিটির
পাইকারি ব্যবসায়ীদের বিপরীতে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা নগরীর পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করি। যে সময় যে দামে কিনি, সেই সময় সেই দামে বিক্রি করি, সামান্য লাভে বিক্রি করি। খুলনা বাজারে পেঁয়াজের হঠাৎ ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে সাধারণ ভোক্তারা বলছেন, প্রতি বছর পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে থাকেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইতোমধ্যে সিন্ডিকেট শুরু হয়ে গেছে। ঈদের আগে অর্থাৎ রমজানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ তারা কিনেছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে। ঈদের পর তা ৪০ টাকা এবং এখন কেনা লাগছে ৬০ টাকা দরে। শনিবার নিউ মার্কেট, ময়লাপোতা খুচরা বাজারে পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৬০ টাকা ও দৌলতপুর বাজারে ৫৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে দেখা গেছে।
দৌলতপুর পাইকারি কাঁচা বাজারে আসা ক্রেতা জাহিদ জানান, বাজারে ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে। রোজা ও ঈদে বাজারে এক প্রকার স্বস্তি ছিল। হঠাৎই অসাধুরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে নাজেহাল করে ফেলছে। যে পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় কিনতাম, এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় কেনা লাগছে। পেঁয়াজের দামের এমন গতি দেখে মনে হচ্ছে সামনে দাম আরও বাড়বে। সরকারের উচিত হবে রোজা ও ঈদে যেভাবে বাজার তদারকি করে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল, এখনো একইভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা। এতে আমাদের মতো ভোক্তারা একটু হলেও স্বস্তিতে থাকবে।
কেসিসির সোনাডাঙ্গা পাইকারী বাজারে ব্যবসায়ী মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে চাহিদার কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ভোক্তা ভাবছে সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে, ওই শঙ্কায় তারা বাসা-বাড়িতে পেঁয়াজ মওজুদ শুরু করেছে। এছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এল.সি পেঁয়াজ আসবে না, ওই শঙ্কায় পেঁয়াজ মজুত করছে। এ কারণে চাহিদা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদার কারণে দাম বাড়তি। তবে আশা করা যাচ্ছে সামনে দাম কমে যাবে।
মের্সাস জোনাকী ভান্ডারের সত্বাধিকারী আবু সুফিয়ান জানান, বর্তমানে মোকামে পেঁয়াজের দাম বেশি। মোকামে মজুত করার জন্য কৃষকের কাছ থেকে অনেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনছে। যে কারনে ব্যাপারীদেরও বাজার ঠিক রাখতে বাড়তি দামে পেঁয়াজ কেনা লাগছে। ওই প্রভাব গোটা বাজারের উপর পড়ছে।
খুচরা বিক্রেতা হারুন মোড়ল জানান, ‘দাম বাড়ার পেছনে খুচরা বিক্রেতাদের কোনো হাত নেই। পাইকারি বাজার থেকে যে দামে কিনি, সেই অনুযায়ী বিক্রি করি। তবে যতটুকু জানি পেঁয়াজ মজুত করার কারণে দাম বাড়তি।’
নগরীর ময়লাপোতা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কাওসার জানান, সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজার থেকে বাছাই করা পেঁয়াজ ৫৪ টাকা কেজি দরে কেনা লাগছে। এরপর খরচ আছে, খুচরা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি। যে সময় যেমন কেনা, সেই সময় সময় তেমন দামে বিক্রি করি। রাখি বা মজুতের কারণে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
নগরীর নিউ মার্কেট বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কালু জানান, দাম তো আর আমাদের হাতে নেই। পাইকারি বাজার হতে যে দামে কিনি, সামান্য লাভে বিক্রি করি। গতকাল সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজার থেকে ৫৩ টাকা দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনেছি। খরচ-খরচা বাদে কয় টাকা দরে বিক্রি করব বলেন। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি। যখন দাম কমবে, তখন কম দামে বিক্রি করব।
এ ব্যাপারে সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা জানান, সরকার রমজানে বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে করলেও সিন্ডিকেট কিন্তু এখনো সক্রিয়। তার প্রমাণ কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন হয়েছে। সিন্ডিকেটদের যদি নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, যদি বাজার তদারকি জোরদার না করা যায়, তবে বাজার আবার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে। পেঁয়াজের সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কঠোর ভূমিকায় থাকতে হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মাদ সেলিম জানান, খুলনার নিত্যপণ্যের বাজারে আমরা নিয়মিত তদারকিসহ অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ভোক্তার অধিকার লঙ্ঘিত করলে ওই ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসাবে জরিমানা আরোপসহ আদায় করা হচ্ছে। যেহেতু পেঁয়াজের মজুতকে কেন্দ্র করে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে অবগত করা হয়েছে, এ ব্যাপারে বাজার তদারকির করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কোনো ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান সরকার প্রদত্ত নিয়মনীতির বাইরে ব্যবসা পরিচালনা করলে তাদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
২২৯ দিন আগে
ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পরেই সোমবার (২১ আগস্ট) খুলনার বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
বর্তমানে খুলনার বাজরগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, রবিবার (২০ আগস্ট) ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা অথচ শনিবার (১৯ আগস্ট) দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ একদিনে বাজার ও আকার ভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
নগরীর ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের ব্যবসায়ী সুজন ও কাওসার বলেন, বাজারে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। তবুও পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশিতে পেঁয়াজ কিনেছি। ফলে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
আমদানিকারকরা জানান, পেঁয়াজ আমদানিতে বাংলাদেশকে এতদিন কোনো শুল্ক দিতে হতো না। ১৯ আগস্ট পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় ভারত। দেশটির বাজারে পেঁয়াজের দামের নাগাল টানতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয়। এটি ২০ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
সর্বশেষ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে ৩৮ থেকে ৪৬ টাকা খরচ হতো। শুল্ক আরপের পর প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ ৫৩ থেকে ৬৫ টাকায় পৌঁছাবে।
খুলনার দৌলতপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬২ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
ক্রেতারা জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমদানি শুল্কের অজুহাতে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ মজুদ হতে পারে। ফলে দাম আবারও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, এ বিষয়টি আমাদের নজরদারীতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বপ্নতে আলু, পেঁয়াজ ও চিনিতে বিশেষ ছাড়
৮৩৬ দিন আগে
হিলির আড়তগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আড়তগুলোতে কয়েকদিন থেকে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই ২/১ টাকা করে বেড়ে শুক্রবার দুপুরে বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪০ টাকা দরে। কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে অন্তত ১০-১২ টাকা।
সর্বশেষ গত সোমবার ২৬-২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি।
দীর্ঘদিন ধরে দাম স্থিতিশীল থাকার পর আবারও অস্থির হয়ে উঠছে পেঁয়াজের বাজার। হঠাৎ করে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ ভোক্তারা।
জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকাগুলোতে সাম্প্রতিক বন্যা হওয়ায় আবাদ ব্যাহত হয়েছে। ফলে সেখানে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়ায় চাহিদা মত পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কেজিতে ৮-১০ টাকা করে ভারতের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজের প্রচুর চাহিদা। তাই সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বেশি দাম দিয়ে আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে। তবে বন্দর দিয়ে আগের চেয়ে পেঁয়াজের আমদানি কম হচ্ছে। আরও দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা এই ব্যবসায়ীর।
আরেক আমদানিকারক রেজাউল ইসলাম জানান, ভারত থেকে আমদানি কম হওয়ায় দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে দাম বাড়তে আছে। ভারতে নতুন পেঁয়াজ না উঠা পর্যন্ত দাম আরও বাড়তে পারে। এখন থেকে সরকারকে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দামের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা গত তিনদিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৬-২৮ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার কাছে।
আরও পড়ুন: ৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
১১৪৭ দিন আগে
হিলিতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও কমছে না পেঁয়াজের দাম। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন থেকেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণের দাম। এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের বাজার এমনই থাকবে। ঈদে দাম বাড়ার কারণ দেখছেন না তারা। গত রবিবারের পর থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত বন্দরের মোকামে পাইকারীতে প্রতি কেজিতে ৬-৭ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪ টাকায়।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মঙ্গলবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতীয় ৫৪টি ট্রাকে প্রায় হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আমদানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রথম পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে সফল তড়িৎ বিশ্বাস
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, ভারতের নাসিকসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আগের চেয়ে বেশি আমদানি করা হচ্ছে। গত ৫-৬ দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ২৪-২৬ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু গত ৩-৪ দিন থেকে হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবং বৃষ্টি হওয়ায় দাম একটু বাড়তির দিকে। ফলে গত বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার বন্দরের মোকামে প্রকার ভেদে পাইকারী বিক্রি হয়েছে ৩২-৩৪ টাকায়।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও নাজমুল হোসেন জানান, দ্বিতীয় ধাপে করোনা বেড়ে যাওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। একারণে সময় কম হওয়ায় চাহিদা মত পেঁয়াজের ট্রাক ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা কম হওয়ার কারণে বাজারে চাহিদা বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় দাম বেড়ে যাচ্ছে।
তারা আরও জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সকালের দিকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করলে চাহিদা মত পেঁয়াজ দেশে আমদানি করা যেত। তাতে আসন্ন কোরবানির ঈদে বাজারে পর্যাপ্ত ভারতীয় পেঁয়াজের যোগান দেয়া যাবে। ভোক্তারা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবে। তাহলে ঈদে দাম বাড়বে না।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের পেঁয়াজের বাজারে হঠাৎ দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি
বন্দরে পাইকারী পেঁয়াজ কিনতে আসা ঢাকার কারওয়ান বাজারের আব্দুল লতিফ জানান, আমরা এখান থেকে পেঁয়াজ পাইকারী দরে কিনে ঢাকার বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করে থাকি। ৪-৫দিন আগে ২৬-২৭ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ শুক্রবার মোকামে সেই পেঁয়াজ কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। জানি না কোরবানির ঈদে আরও কত বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়?
এদিকে বন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ২৫টি ট্রাকে ৬২৬ মেট্রিক টন, গত বুধবার ১৬টি ট্রাকে ৪১৮ মেট্রিক টন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩টি ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
১৬১৬ দিন আগে
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
হিলি (দিনাজপুর), ২৯ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারির পর দেশের বাজারে নিত্যপ্রেয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল।
১৮০২ দিন আগে
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার বোঝা ক্রেতার ঘাড়ে
পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ২৫-৩৫ টাকা কমলেও, খুচরা পর্যায়ে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
১৯০০ দিন আগে
‘সরকারি দলের সিন্ডিকেট’ পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে: বিএনপি
বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ‘সরকারি দলের সিন্ডিকেটই’ পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে বলে বুধবার অভিযোগ করেছে বিএনপি।
১৯০৫ দিন আগে
বাগেরহাটে ৬০ টাকা কেজির পেঁয়াজ এখন ৯৫
বাগেরহাটে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৯০৫ দিন আগে