তিনি বলেন, ‘এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জায়গায় পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। ফলে পেঁয়াজের উৎপাদন ২৩-২৪ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে...যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে আগামী বছর (সময়) কোনো সমস্যা হবে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের (রাজশাহী-৩) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. রাজ্জাক জানান, কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের ভালো দাম পায় এবং অধিক পরিমাণে চাষে আগ্রহী হয় সে জন্য পেঁয়াজ উত্তোলনের সময় আমদানি বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, কৃষকরা পেঁয়াজ তোলার মৌসুমে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে বার্ষিক ৩০-৩২ লাখ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে চাষ হয় ২৩-২৪ লাখ টন। এ ঘাটতি আমদানি দিয়ে পূরণ করা হয়।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হয়ে এসেছে।
গত মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ খেতে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবং ভারত হঠাৎ করে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় সরকার পেঁয়াজের বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল বলে জানান মন্ত্রী।
কিন্তু সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাসদের সাংসদ শিরিন আখতারের (ফেনী-১) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, পেঁয়াজের দাম কোনোভাবেই ১১০ টাকা কেজি থাকবে না।